লেখক- আজিজুল হক
সহকারী অধ্যাপক, ইয়েংনাম বিশ্ববিদ্যালয়।
গবেষণাপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে এডিটরস (Editors) প্রধানত এমন গবেষণা পছন্দ করেন যা তাদের পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং মানসম্মত (Quality research)। একটি গবেষণাপত্র গ্রহণযোগ্য কিনা তা নির্ধারণের জন্য তারা মূলত কভার লেটার (Cover letter), সারাংশ (Abstract), উপসংহার (Conclusion) ও রেফারেন্স (References) পর্যবেক্ষণ করেন। এসব উপাদানের মাধ্যমে তারা বোঝার চেষ্টা করেন, গবেষণাটি জার্নালের পরিধির মধ্যে (Scope) পড়ে কিনা এবং এটি পাঠকদের জন্য প্রাসঙ্গিক কিনা।
গবেষণাপত্রের অ্যাকসেপ্টেন্সের সম্ভাবনা বাড়াতে হলে নিচের বিষয়গুলো নিশ্চিত করা প্রয়োজন:
প্রথমত,
গবেষণাটি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট জার্নালের গবেষণা ক্ষেত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। জার্নাল নির্ধারিত বিষয়ের বাইরে কোনো গবেষণা জমা দিলে তা সাধারণত বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত,
গবেষণাটি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে হবে। এমন গবেষণা, যা পূর্ববর্তী জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে এবং গবেষণা ক্ষেত্রের অগ্রগতি সাধন করে, সেটিই সম্পাদকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
তৃতীয়ত,
গবেষণাপত্রটি অবশ্যই জার্নালের নির্ধারিত গাইডলাইন অনুসারে প্রস্তুত করতে হবে। নিয়ম মেনে লেখা গবেষণাপত্রই গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। এছাড়া, গবেষণার ভাষা সহজ, স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত, যাতে পাঠক গবেষণার মূল বিষয়বস্তু দ্রুত বুঝতে পারে।
সবশেষে,
গবেষণাপত্র অবশ্যই নৈতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে লিখতে হবে। গবেষণায় কোনো ধরনের অস্পষ্টতা, ভুল তথ্য বা অনৈতিক উপাদান থাকলে তা সম্পাদকের নজর এড়িয়ে যাবে না এবং গ্রহণযোগ্যতার সম্ভাবনা কমে যাবে।
এই বিষয়গুলো মেনে চললে গবেষণাপত্র প্রকাশের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। গবেষকরা যদি শুরু থেকেই এসব দিক মাথায় রেখে কাজ করেন, তাহলে সহজেই সম্পাদকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন এবং গবেষণা প্রকাশের সুযোগ বাড়বে।
বিদ্র: ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত:——–
https://www.fachttps://www.facebook.com/share/p/19rzjD9Ehc/ebook.com/share/p/15fa7ccFbC
Leave a comment