মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোয়ান্টাম উপাদান ও শক্তি পরিবহণে বিশ্বমানের গবেষণা – এক ব্যতিক্রমী অধ্যায়ের গল্প

ছোটবেলা থেকেই যেসব ছেলেমেয়ে ইলেকট্রনের গল্প শুনে বিস্মিত হতো, তাদের একজন ছিলেন এনামুল হক। কিন্তু তিনি শুধু বিস্মিত হয়ে থেমে যাননি—তিনি ঠিক করেছিলেন এই জগতে ঢুকবেন, বোঝার চেষ্টা করবেন, এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিকে বদলে দেওয়ার জন্য গবেষণার পথে হাঁটবেন।

আজ তিনি মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন গবেষক, যিনি কাজ করছেন এমনসব উপাদান নিয়ে, যা একদিন কোয়ান্টাম কম্পিউটার থেকে শুরু করে শক্তি সাশ্রয়ী পরিবহণ ব্যবস্থা—সবকিছুর চেহারা বদলে দিতে পারে।

তার পিএইচডি থিসিস সম্প্রতি ‘Exceptional’ রেটিং পেয়েছে—অর্থাৎ এটি এমন একটি কাজ, যা সাধারণ মানদণ্ড ছাড়িয়ে গেছে।

গবেষণার শুরু: কৌতূহল আর জেদের সমন্বয়ে গঠিত এক যাত্রা

“আমি সবসময়ই ভাবতাম, এমন উপাদান কি সত্যিই থাকতে পারে, যেগুলো দিয়ে ক্ষয়হীনভাবে শক্তি পরিবহণ সম্ভব?”—এনামুল বললেন।

এই কৌতূহলই তাকে পৌঁছে দেয় ইলেকট্রন-ফোনন ইন্টারঅ্যাকশন ও টপোলজিক্যাল ইনসুলেটর নিয়ে গবেষণার জগতে।

🔬 টপোলজিক্যাল ইনসুলেটর একধরনের উপাদান, যার ভিতরের অংশে ইলেকট্রন চলাচল করে না, কিন্তু তার পৃষ্ঠতলে ইলেকট্রন প্রায় আলোর গতিতে, কোনো শক্তি হারানো ছাড়াই চলতে পারে।

🔹 এটি একটি যুগান্তকারী বৈশিষ্ট্য, কারণ বর্তমান শক্তি পরিবহণ পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নষ্ট হয়।

🔹 এই উপাদান ব্যবহার করে ভবিষ্যতে এমন ডিভাইস তৈরি করা সম্ভব হবে, যা একদিকে হবে ক্ষয়হীন, অন্যদিকে হবে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন—যেমন কোয়ান্টাম কম্পিউটার, শক্তিশালী সেন্সর, বা নতুন ধরনের ব্যাটারি।

গবেষণার প্রভাব: ভবিষ্যতের প্রযুক্তি গঠনের হাতিয়ার

এনামুল বলেন,
“যদি আমরা এই উপাদানগুলোর আচরণ ভালোভাবে বুঝতে পারি, তাহলে আমরা এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে পারব যা আরও দ্রুত, আরও সাশ্রয়ী এবং আরও টেকসই।”

তার গবেষণার ভবিষ্যৎ প্রভাব হতে পারে—
✅ কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে বিপ্লব, যা চিকিৎসা, আবহাওয়া বিশ্লেষণ, সাইবার নিরাপত্তা থেকে শুরু করে মেশিন লার্নিং পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রকে বদলে দিতে পারে।
✅ ক্ষয়হীন শক্তি পরিবহণের মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ, যেখানে শক্তির অপচয় অনেকটাই কমে যাবে।
✅ নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রনিক্স ও টেলিকম ডিভাইস তৈরির পথ উন্মুক্ত হবে।

চ্যালেঞ্জ আর অর্জনের গল্প: এক বাস্তব অভিজ্ঞতা

গবেষণায় আসা মানেই প্রতিদিন নতুন সমস্যা, নতুন অজানা। এনামুল বলেন—
“প্রথম যখন আমি এই কাজ শুরু করি, তখন বিষয়টা ছিল ভয়ংকর রকমের জটিল। তবে প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখেছি। যখন বুঝলাম, আমি এমন কিছু নিয়ে কাজ করছি যা একদিন মানব সভ্যতার বড় উপকারে আসবে, তখন ক্লান্তিও সাহসে পরিণত হলো।”

এই অনুভূতি—”আমি এমন কিছুর অংশ হচ্ছি যা সত্যিই কিছু বদলাবে“—তাকে আরও গভীরভাবে গবেষণার প্রতি নিবেদিত করে তোলে।

এনামুলের চোখে একজন প্রকৃত বিজ্ঞানীর গুণাবলি

তিনি মনে করেন, একজন বিজ্ঞানীর যেসব গুণ থাকা দরকার—

🧠 কৌতূহল: সবকিছুর শুরু এখান থেকেই।
🧘 ধৈর্য: কারণ বিজ্ঞান কখনোই তাড়াহুড়ো পছন্দ করে না।
🔍 বিশ্লেষণ ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা: জটিল বিষয়কে সহজভাবে ভাঙতে জানতে হয়।
🤝 সহযোগিতার মানসিকতা: বিজ্ঞান একার খেলা নয়, এটি দলগত উদ্যম।
🧾 সততা ও স্বচ্ছতা: সত্যই বিজ্ঞানীর সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি বার্তা: বিজ্ঞানকে ভালোবাসো, সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার বানাও

এনামুল বলেন—
“গবেষণা টাকা-পয়সার জন্য নয়, এটি মানুষের উপকারের জন্য। টাকা আসবে, তবে গবেষণা শুরু হওয়া উচিত আগ্রহ ও ভালোবাসা থেকে।”

তিনি আরও যোগ করেন,
📌 “তোমাদের কৌতূহল হারিয়ে ফেলো না। প্রতিটা ‘কেন?’ একটা উত্তরের দিকে নিয়ে যায়।”
📌 “গবেষণা ধৈর্যের খেলা। তাড়াহুড়ো করলে বিজ্ঞান তোমার সঙ্গে হাঁটবে না।”
📌 “প্রথম দিকে ব্যর্থতা আসবেই, কিন্তু হাল ছেড়ো না। গবেষণার প্রকৃত সৌন্দর্য এখানেই—প্রতিটি ব্যর্থতা নতুন কিছু শেখায়।”

যোগাযোগের জন্য তথ্য

📧 ইমেইল: [email protected]
🌐 ওয়েবসাইট ও গবেষণার লিংক:

• https://www.monash.edu/engineering/enamulhaque
• https://orcid.org/0000-0002-5291-7203
  🔗 LinkedIn: Enamul Haque
  📘 Facebook: Ephysicsl
  📷 ছবি: Google Drive লিংক
  

শেষ কথা: বিজ্ঞান মানেই ভবিষ্যৎ গঠনের পথে যাত্রা

এনামুল হক তার জীবন দিয়ে দেখিয়েছেন—যদি তুমি সত্যিই জানতে চাও, তবে জটিল থেকে জটিলতর জিনিসও তোমার কাছে নিজেকে খুলে ধরবে।

“বিজ্ঞান হলো জ্ঞানের গভীর সমুদ্র—যত গভীরে নামবে, তত আলো দেখতে পাবে।”

আজ তিনি শুধু একজন গবেষক নন, বরং নতুন প্রজন্মের জন্য একটি পথপ্রদর্শক, একজন গভীর চিন্তক, যিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন—
“যদি কৌতূহল, সাহস আর একটুখানি ধৈর্য থাকে, তবে তুমি ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় লিখতে পারো।” 💫🧪🚀

---

Absolutely! Here’s the full English version of the enriched and inspirational interview article on Enamul Haque, based on the Bengali version I previously shared:

Enamul Haque: A Bangladeshi Researcher Pushing Boundaries in the Quantum World

From Monash University to the Future of Technology – A Story of Curiosity, Grit, and Global Impact

Some children grow up dreaming of exploring outer space. Others dream of understanding the tiniest particles that make up our universe. Enamul Haque was one of the latter—a boy filled with questions about electrons, energy, and the secrets hidden in the quantum world.

Today, Enamul is a researcher at Monash University in Melbourne, Australia, working on materials that could one day revolutionize quantum computing and energy transport systems.

His recent PhD thesis was rated “Exceptional”—a recognition given to only the most outstanding works. His area of research: Electron-phonon interactions and topological insulators, materials that could fundamentally reshape how we process and transfer energy.

The Beginning of the Journey: Fueled by Curiosity and Purpose

“I’ve always been fascinated by the idea of a material where energy could move without any loss,” Enamul says.

This curiosity led him to explore two-dimensional materials and topological insulators—materials with a very special property:
🔬 While their interiors do not conduct electricity, their surfaces can transport electrons at high speeds and without losing energy—a property known as lossless energy transport.

🔹 This makes them incredibly promising for technologies that demand speed, efficiency, and reliability—like quantum computers, next-generation sensors, and high-efficiency batteries.

The Impact of His Research: Laying the Foundation for Future Technology

According to Enamul, understanding and applying these materials could open doors to a future of smarter, faster, and greener technologies:

✅ Quantum Computing Breakthroughs: These materials could become the backbone of future computers that are thousands of times faster than today’s machines.

✅ Revolution in Energy Transport: Imagine a world where no energy is wasted—this is what lossless transport promises.

✅ Development of next-gen electronic and telecommunication devices that are more powerful and sustainable.

He says,
“If we can master how these materials behave, we can unlock possibilities we haven’t even imagined yet.”

Challenges That Shaped the Scientist

Enamul’s path hasn’t been easy. The early stages of his research were filled with complexity, self-doubt, and countless hours of deep work.

“When I started working on electron-phonon interactions, it was overwhelming. But I realized I was contributing to something that could change the world,” he recalls.

It was this realization that kept him motivated, even on the hardest days. Every challenge became a stepping stone, every setback an opportunity to grow.

The Qualities That Define a Scientist – As Enamul Sees It

Enamul believes that to thrive in science, it’s not just about intelligence, but about mindset and values.

Here are the qualities he believes every great scientist should nurture:

🧠 Curiosity – The urge to ask “why” and “how” is where every discovery begins.
🧘 Patience – Science rarely yields instant results; it’s a long game.
🔍 Analytical & Problem-Solving Skills – Breaking down complex ideas and solving them creatively is essential.
🤝 Collaboration – Science is a team effort; diverse minds create stronger solutions.
📊 Attention to Detail – Tiny observations often lead to big discoveries.
🧾 Integrity – Trust and truthfulness form the foundation of scientific work.

Message for the Youth of Bangladesh: Passion First, Rewards Will Follow

Enamul’s message to aspiring young scientists in Bangladesh is clear and heartfelt:

🎓 “Research should never begin with money as the goal. It should begin with curiosity and passion to help people and contribute to knowledge.”

He adds:
📌 “Never lose your curiosity. Every ‘why’ you ask will bring you closer to a breakthrough.”
📌 “Be patient—science takes time, and that’s okay.”
📌 “Expect failures, but don’t fear them. They are part of the process.”

He encourages young minds to dream big, reminding them that Bangladeshi researchers are more than capable of contributing to the global stage—if they’re willing to stay focused, patient, and passionate.

Contact Information

📧 Email: [email protected]
🌐 Research Profiles & Website:

• Monash University Profile
  
• ORCID Profile
  🔗 LinkedIn: linkedin.com/in/enamulphy
  📘 Facebook: facebook.com/Ephysicsl
  📷 Profile Picture: Google Drive Link
  

Final Thoughts: Science as a Lifelong Calling

Enamul Haque’s journey proves that you don’t have to come from a privileged background to make a global impact—you need questions, courage, and commitment.

“Science is an ocean of knowledge—the deeper you go, the more light you discover.”

Today, he is not just a researcher—he is a guide, an inspiration, and a reminder that with enough passion and perseverance, even the most complex fields like quantum physics are within reach.

And to every curious soul reading this, he has one final message:
“Stay curious. Keep asking. Keep going. One day, your work might just change the world.” 🌍✨🧪