মানব সভ্যতার অগ্রগতি সবসময়ই জ্ঞানচর্চা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে গভীরভাবে যুক্ত। সমাজের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এবং উন্নয়ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবিষ্কার এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। যদিও অনেকেই বিজ্ঞান বলতে শুধুমাত্র প্রকৌশল বা ইলেকট্রনিক্স বুঝে থাকেন, এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে বিজ্ঞান এই সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিজ্ঞান সামাজিক কাঠামো, মনোবিজ্ঞান, এবং মানব সম্পর্ক সহ বিস্তৃত ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা সবই বৈজ্ঞানিক নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই বৈজ্ঞানিক জ্ঞান কেবলমাত্র দৃশ্যমান বিষয়গুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি বিমূর্ত এবং অদৃশ্য বিষয়বস্তুর অনুসন্ধানও অন্তর্ভুক্ত করে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যা একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, সেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে ৫ আগষ্ট ২০২৪ এ স্বৈরশাসককে তাড়িয়ে দিয়ে নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ আমরা নতুন করে উপলব্ধি করছি এবং নতুন করে নিজেদের ভবিষ্যত কর্মপন্থাকে মূল্যায়ন করছি। রাষ্টীয় কাঠামো থেকে শুরু করে সমাজের সকল ক্ষেত্রে আমরা এখন সংস্কার করার কথা ভাবছি। এই সন্ধিক্ষণে আমাদেরকে নতুন করে বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তিতে জোর দেবার আহবান জানাচ্ছি এই প্রবন্ধের মাধ্যমে।
উন্নত দেশগুলির সাথে ব্যবধান কমাতে, বাংলাদেশকে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেখানে উন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যেই শক্তিশালী অবকাঠামো গড়ে তুলেছে, সেখানে বাংলাদেশের জন্য এই পথটি আরো চ্যালেঞ্জিং। তবে ইতিবাচক দিক হলো যে আমাদের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে না। অন্যান্য দেশের সফল মডেল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং সেই জ্ঞানকে আমাদের প্রেক্ষাপটে মানিয়ে নিয়ে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারি।
বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তার গুরুত্ব
বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা এবং মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫ই আগস্টের পরিবর্তন আমাদের জন্য একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। এই সময়ে, আমাদের চিন্তাভাবনা এবং অগ্রাধিকারগুলি পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। উদ্ভাবনী চিন্তা এবং প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ আমাদের সমাজে যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করতে সহায়ক হবে।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো অত্যন্ত জরুরি, যেখানে মুখস্থবিদ্যার পরিবর্তে উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা শেখানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এটি কেবলমাত্র আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করবে না, বরং একটি বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গড়তে সহায়তা করবে।
শিক্ষক ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের মান উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রয়োজন পুনর্মূল্যায়ন এবং দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ। দুর্নীতির কারণে অযোগ্য শিক্ষকরা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন, যা শিক্ষার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শিক্ষকদের যোগ্যতা এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে নিয়োগ নিশ্চিত করা হলে শিক্ষার্থীরা একটি উচ্চমানের শিক্ষা পাবে যা তাদের ভবিষ্যতে দক্ষ বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদ হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো গবেষণা ও উন্নয়নে (R&D) বিনিয়োগ বাড়ানো। বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা উচিত। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং মানবসম্পদ তৈরি করতে এই বিনিয়োগ অপরিহার্য।
অত্যাধুনিক গবেষণা কেন্দ্র এবং উদ্ভাবনী কেন্দ্রগুলি স্থাপন করা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করে, আমরা নতুন প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারি।
প্রবাসী মেধার সঠিক ব্যবহার
প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের দেশকে উন্নত করতে আগ্রহী। তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে, আমরা দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারি। তাদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক প্রকল্প তৈরি এবং দেশের উন্নয়নে তাদের ভূমিকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারি।
উদ্ভাবন ও উন্নয়নের সংস্কৃতি গড়ে তোলা
বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সাফল্যের জন্য আমাদের উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। উদ্ভাবনমূলক চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশীল সমস্যা সমাধান আমাদের সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সরকারী নীতি, বেসরকারি খাতের সহযোগিতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টা একটি উদ্ভাবনী পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
আমাদের স্কুল এবং কলেজের শিক্ষকদের এমন বেতন দিতে হবে যাতে তারা অন্য অনেক পেশার মধ্যে সেরা বেতন পান, ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশায় যোগ দিতে আগ্রহী হয়। আজ যারা অন্য পেশায় ভালো বেতন পান না, তারা স্কুল ও কলেজের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে গড়ে উঠছে না। প্রকৃতপক্ষে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই সঠিকভাবে পড়াতে পারেন না।
বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের মতামত
এই প্রসঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম বাংলাদেশি বেশ কিছু বিজ্ঞানীদের সাথে যারা এই বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দেন। নিম্নে তাদের কিছু উদ্ধৃতি দেয়া হল,
প্রোফেসর মাহমুদুল কবির: আকিতা বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান
জাপানের প্রযুক্তি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। তবে তাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এমন কিছু ব্যতিক্রমী দিক রয়েছে, যা হয়তো জাপানের উন্নত প্রযুক্তির অন্যতম কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রীষ্মের ছুটিতে “জিইউ কেনকেউ” নামে এক ধরনের বাড়ির কাজ করে। বাংলায় একে বলা যেতে পারে “নিজের ইচ্ছামত গবেষণা।” এই কাজের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের পছন্দের বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা, সহজ ডাটা সংগ্রহ করা এবং নিজেদের মত করে তার বিশ্লেষণ করা।
এই গবেষণা কাজে বাবা-মা বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সহায়তা করলেও, মূল দায়িত্ব থাকে শিক্ষার্থীর উপর। কেউ হয়তো ফুলের গাছের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করছে, কেউ বাতাসের বেগ মাপছে, আবার কেউ গাছপালার বৃদ্ধি ও তাপমাত্রার সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা করছে। অনেক শিক্ষার্থী ছোট ছোট মডেল বানাচ্ছে—মাটি দিয়ে প্রতিকৃতি তৈরি করা, কাঠ দিয়ে কিছু গড়া, এমনকি কেউ কেউ মশা-মাছি নিয়ে গবেষণা করছে।
মূল উদ্দেশ্য হলো গবেষণার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নতুন কিছু জানার আগ্রহ তৈরি করা। এই ধরনের বাড়ির কাজ হয়তো ভবিষ্যতে জাপানের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে আরও সমৃদ্ধ করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রফেসর মোহাম্মদ নাসিমুল ইসলাম: মালয়েশিয়া
বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে অভূতপূর্ব ভুমিকা রেখে দেশের ছাত্রজনতা শুধু বিজয় ছিনিয়ে আনে নি, দেশটিও রক্ষা করেছে. এখন এ দেশকে গড়তে হবে. এই দেশ গড়তে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে করছি.
১. প্রতিটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে যথা সম্ভব নির্দলীয় এবং যোগ্য লোককে যোগ্য স্থানে বসাতে হবে.
২. প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা সেলকে সক্রিয় করতে হবে.
৩. কর্মকর্তাদের কর্মপরিধি জ্ঞাত করত, প্রতিপালন বাধ্যতামূলক করতে হবে
৪. অতি বিপ্লবী এবং কর্মবিমুখদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় দিতে হবে.
৫. বৈষম্য দূর করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে.
৬. নতুন বোতলে পুরানো আবর্জনাকে পরিহার করতে হবে.
৭. সর্বক্ষেত্রের দোষ ত্রুটি, ভালমন্দ বৈজ্ঞানিক উপায়ে সনাক্ত করতে হবে এবং তা করতে ফরেনসিক বিজ্ঞানের গুরুত্ব আরোপ করতে হবে.
৮. মিথ্যা মামলা দিয়ে অযথা হয়রানি পরিহার করতে হবে.
৯. সর্বশেষ যে উপদেশ, দুর্নীতি দমনে তিন স্তরের চেক এন্ড ব্যালেন্স চালু করতে হবে যার তৃতীয় স্তর হবে গোপনীয়.
ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন: অধ্যাপক, বাংলাদেশের ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
১. প্রজন্ম জেডকে কঠোর পরিশ্রমী এবং ব্যক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিরিয়াস হতে হবে, যাতে তারা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২. স্বেচ্ছাসেবামূলক দৃষ্টিভঙ্গি যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের সহায়তায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের প্রজন্ম জেড ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং বন্যার সময় মানুষের সহায়তা করার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করেছে। তাই সমাজ এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার মনোভাব গড়ে তোলার জন্য স্বেচ্ছাসেবামূলক সংস্কৃতিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে, যা স্বার্থপরতা, দুর্নীতি এবং দুর্ব্যবহারের মতো বিষয়গুলো হ্রাস করতে সহায়ক হবে।
৩. আমি প্রজন্ম জেডের জন্য সমস্যার সমাধান এবং দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আমার শিক্ষা ও উন্নয়ন দর্শনকে প্রচার করতে চাই, যার তিনটি ধাপ রয়েছে: ১. বুঝতে হবে, ২. বিশ্বাস করতে হবে এবং ৩. বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, জীবনে আমরা যে কোনো কিছু করার আগে—হোক সেটা শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন বা পেশাগত জীবন—প্রথমে আমাদের পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে আমরা কী করছি এবং কেন করছি। এরপর সেটিতে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে এবং অবশেষে ধৈর্য এবং দৃঢ়তার সাথে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের প্রজন্ম জেডকে নিজেদের সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং দেশের সামাজিক ও শিল্পগত সমস্যার সমাধানে গবেষণা, উদ্ভাবন, উদ্ভব এবং বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে অবদান রাখতে হবে। এর ফলে আমরা বিদেশি প্রযুক্তি ও বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারব, যা আমাদের আমদানি হ্রাস করবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থানকে আরও উন্নত করবে। সম্মিলিতভাবে, আমাদের বাংলাদেশকে আমদানিকারক দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করতে হবে, যেমনটি জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া করেছে।
ডঃ ফারুক সাত্তার – একাডেমিক গবেষক, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা
দেশের সার্বিক উন্নয়নে জেনারেল-জেডকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত, এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে, আমরা ন্যূনতম অগ্রগতির জন্য কম বিনিয়োগ করেছি। তাদের প্রযুক্তিগত এবং বৈজ্ঞানিক দক্ষতা বিকাশের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখানে আমার কিছু মন্তব্য রয়েছে:
প্রথমত, আমাদের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল সুবিধা উন্নত করতে হবে। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও গবেষণা ল্যাব, বিজ্ঞান কেন্দ্র খুলতে হবে।
দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক/হ্যান্ডস-অন প্রজেক্টের সাথে জড়িত করার আরও সুযোগ তৈরি করতে হবে, যেমন AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) চ্যালেঞ্জ, অলাভজনক সংস্থাগুলি দ্বারা সংগঠিত হবে।
তৃতীয়ত, আমাদের বাংলাদেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞ/বিজ্ঞানীদের সাথে গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন যারা বিভিন্ন গবেষণার জন্য বহিরাগত গবেষণা উপদেষ্টা/তদন্তকারী হিসেবে জড়িত হতে পারেন।
চতুর্থত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক/গবেষক এবং বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে স্টার্টআপ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ধারণা জমা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষে, অসংখ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা নিবন্ধ, জার্নাল, ডেটাবেস ইত্যাদি দিয়ে সমৃদ্ধ আরও বৈজ্ঞানিক গ্রন্থাগার থাকা অত্যাবশ্যক।
উপসংহার: ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি
বাংলাদেশের উন্নয়নের যাত্রায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিহার্য। শিক্ষায় অগ্রাধিকার প্রদান, গবেষণায় বিনিয়োগ, প্রবাসী মেধার সঠিক ব্যবহার এবং উদ্ভাবনী চিন্তার প্রচলন করে আমরা একটি শক্তিশালী ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো। এই যাত্রার শুরু একটি প্রতিশ্রুতির সাথে: একটি বিজ্ঞানমনস্ক এবং উদ্ভাবনী সমাজ গড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবো।
Leave a comment