বর্তমান সময়ে আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি লেখক ড. আজিজুল হক এর। তিনি পিএইচডি ডিগ্রীধারী একজন সহকারী অধ্যাপক এবং বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার Yeungnam University এর বায়োটেকনোলজি বিভাগে কর্মরত আছেন। তিনি এই সাক্ষাৎকারে তার গবেষনার বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। বিস্তারতি জানার জন্য তার সাক্ষাৎকারটি পড়ুন:
প্রথমেই আপনার সম্বন্ধে আমরা জানতে চাই?
আমি ড. আজিজুল হক, বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়াংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছি।
আমার শিক্ষাজীবনের প্রথম অধ্যায়টি ছিলো ঢাকার ধামরাইয়ে, যেখানে আমি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠক্রম শেষ করি। পরবর্তীতে, সাভারের BPATC স্কুল ও কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করি। উচ্চশিক্ষার প্রতি আমার আগ্রহ আমাকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে Animal Husbandry-তে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর Animal Breeding and Genetics-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করি।
এরপর আমি দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়াংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ে Bioinformatics-এ পিএইচডি করার সুযোগ পাই, যা আমার জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি ছিল। ২০২২ সালে পিএইচডি শেষ করার পর কিছু সময় post-doctoral researcher হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাই, যা আমার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে।
বর্তমানে, আমি গবেষণার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বায়োইনফরমেটিক্স এবং জেনোমিক্সে দক্ষ করে তুলতে কাজ করছি। আমার লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও আগ্রহ গড়ে তুলতে সাহায্য করা, যেন তারা ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
আপনার গবেষনার বিষয় কি?
আমার গবেষণায় বায়োইনফরমেটিক্সের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাণীজগতের ডেটাসেট বিশ্লেষণ করি, যা আমাদের কৃষি, প্রাণী পালন, স্বাস্থ্য এবং জেনেটিক মডেলিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ঘাটন করতে সহায়ক হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমরা গবাদিপশুদের রোগ প্রতিরোধী গুণাবলি চিহ্নিত করি এবং বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে জেনেটিক বৈচিত্র্য পর্যালোচনা করি, যা প্রাণী উৎপাদন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।
প্রাণী জেনোমিক্সের মাধ্যমে আমরা প্রাণীর স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। গবাদিপশুর মাংস, দুধ, এবং অন্যান্য উৎপাদনশীল বৈশিষ্ট্যগুলোর উন্নয়নে আমাদের গবেষণার ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি, আমরা প্রাকৃতিক এবং পরিবেশগত অবস্থার প্রভাবও পর্যালোচনা করি, যা প্রাণীর স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জেনেটিক সিলেকশন পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা সেরা জেনেটিক বৈশিষ্ট্যগুলো চিহ্নিত করি, যার ফলে প্রাণীজগতের উৎপাদনশীলতা ও স্বাস্থ্য আরও উন্নত হচ্ছে।
বর্তমানে, আমি মানবক্যান্সার সম্পর্কিত বায়োইনফরমেটিক্স গবেষণায়ও কাজ করছি, যেখানে ক্যান্সারের জেনেটিক এবং বায়োইনফরমেটিক্স বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এই গবেষণার মাধ্যমে, আমি ক্যান্সারের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য এবং তার চিকিৎসায় বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতির কার্যকারিতা পরীক্ষা করছি।
আপনার গবেষনার কাজগুলি কিভাবে আমাদের উপকৃত করছে কিংবা করবে?
বর্তমান বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বায়োইনফরমেটিক্স এবং জেনোমিক্সের গুরুত্ব ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
বায়োইনফরমেটিক্সের ব্যবহার মানবজাতির জন্য এক বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। গবেষকরা মানুষের জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য খুঁজে বের করছেন, যা ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, এবং অন্যান্য জটিল রোগের নিরাময় সম্ভব করছে। আজকাল, রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র উপসর্গ বা পরীক্ষা নির্ভর নয়, বরং জেনেটিক এবং বায়োইনফরমেটিক্স পদ্ধতির মাধ্যমে রোগের ঝুঁকি পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। ক্যান্সার বা হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং নতুন ধরনের ওষুধের গবেষণাও বায়োইনফরমেটিক্সের মাধ্যমে সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে, “Personalized Medicine” বা ব্যক্তিগত চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও বায়োইনফরমেটিক্স বিপ্লব ঘটাচ্ছে। মানুষের জেনেটিক প্রোফাইল অনুসারে প্রতিটি ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা এখন সম্ভব, যার ফলে চিকিৎসা আরও কার্যকর এবং নিরাপদ হচ্ছে।
এছাড়াও, বায়োইনফরমেটিক্সের মাধ্যমে যে কাজগুলো চলছে তা শুধু মানুষের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নয়, প্রাণীজগতের উৎপাদনশীলতা এবং স্বাস্থ্য উন্নতিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রাণীজগতের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে বর্তমানে কৃষি ও প্রাণী উৎপাদনে এমন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা একদিকে যেমন উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রযুক্তি তৈরি করতে সাহায্য করছে।
উদাহরণস্বরূপ, কৃষি উৎপাদনে উচ্চ ফলনশীল উদ্ভিদ এবং গবাদিপশুর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করছে জেনেটিক মডেলিং এবং সিলেকশনের মাধ্যমে। গবাদিপশুর দুধ উৎপাদন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, এবং দ্রুত বর্ধনশীল প্রজাতি তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। এর মাধ্যমে পৃথিবীজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা হচ্ছে।
আমার গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছি, যা বিশ্বব্যাপী কৃষি এবং প্রাণী উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে সহায়ক হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, বায়োইনফরমেটিক্স এবং প্রাণীজেনোমিক্সের উপর কাজ করা শুধু বৈজ্ঞানিক উন্নতি নয়, বরং এটি আমাদের সমাজে খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
একজন বিজ্ঞানীর কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
একজন বিজ্ঞানীর জন্য কিছু মৌলিক গুণ থাকা অত্যন্ত জরুরি, যেগুলি তাদের গবেষণা, চিন্তাভাবনা এবং সমাজে অবদান রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যেমন: কৌতূহল এবং অনুসন্ধিৎসু মন, ধৈর্য ও অধ্যবসায়, বিশ্লেষণী চিন্তাভাবনা, সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানে দক্ষতা, অধ্যয়ন এবং শেখার আগ্রহ, দলবদ্ধ কাজের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং সামাজিক দায়িত্ব। এই গুণগুলির সম্মিলিত উপস্থিতি একজন বিজ্ঞানীকে তার পেশায় সফল এবং কার্যকরী করে তোলে।
বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় – তাদের জন্য আপনার কোন ম্যাসেজ কিংবা বার্তা কি?
আজকাল তরুণদের মধ্যে গবেষণার প্রতি যে এক গভীর আগ্রহ এবং জানার আকাঙ্ক্ষা, তা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। তাদের সাথে কথা বলে মনে হয়, যদি এই প্রজন্মকে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সহায়তা দেয়া যায়, তবে ভবিষ্যতে তারা অসাধারণ কিছু অর্জন করতে সক্ষম হবে। এ ধরনের তরুণদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদেরকে উৎসাহিত করা আমাদের দায়িত্ব, কারণ তাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আগামী দিনের সম্ভাবনা।
বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য আমার বার্তা হলো, বিজ্ঞান একটি অসীম সম্ভাবনার ক্ষেত্র, যা আপনাদের নিজস্ব চিন্তা, কৌতূহল এবং সৃষ্টিশীলতাকে উন্মোচন করার এক অসাধারণ উপায়। বিজ্ঞান মানে শুধুমাত্র তত্ত্ব নয়, এটি এক ধরনের সৃষ্টি, যেখানে আপনি নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারেন এবং পৃথিবীকে একটি ভালো জায়গা বানাতে সাহায্য করতে পারেন। এটি সমস্যা সমাধানের এক শক্তিশালী মাধ্যম, যা বিশ্বের উন্নতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বিজ্ঞানী হতে গেলে শুধু মেধা নয়, অনেক পরিশ্রম, ধৈর্য এবং অধ্যবসায় দরকার। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে ভাবা, তথ্য অনুসন্ধান এবং অভিজ্ঞদের কাছ থেকে শেখা হচ্ছে বিজ্ঞানী হওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দলবদ্ধভাবে কাজ করার মনোভাব, কারণ অনেক বড় সমস্যা একা সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই দলবদ্ধভাবে কাজ করার মানসিকতা বিজ্ঞানী হওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তবে, মনে রাখবেন, বিজ্ঞান শুধু একাডেমিক বা পরীক্ষার বিষয় নয়, এটি আমাদের প্রতিদিনের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা যদি সত্যিই বিজ্ঞানী হতে চাই, তবে আমাদের নতুন কিছু শিখতে হবে, এবং কখনো ভয় পাবো না আমাদের চিন্তা, ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপ দিতে। আমাদের সেই সাহস এবং উদ্যম থাকা উচিত যা আমাদেরকে আরও নতুন কিছু শিখতে এবং সৃজনশীল হতে সাহায্য করবে।
আপনার ইমেইল : [email protected]
আপনার লিংকডইন : https://www.linkedin.com/in/azizul-haque-phd-740037109/
আপনার ওয়েবসাইট, গবেষনাকাজের লিংক : http://www.haqueazizul.com/
বিজ্ঞানী অর্গের পক্ষ থেকে আমরা ড. আজিজুল হকের ক্রমবর্ধমান সাফল্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। তিনি আমাদের নবীন গবেষকদের জন্য শুধু প্রিয় শিক্ষক নন, বরং এক অনন্য আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর পথচলা আমাদের সবার মাঝে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতেও তিনি আরও বৃহত্তর সাফল্য অর্জন করবেন।
Bangladeshi scientist’s journey to success in South Korea: Dr. Azizul Haque!
Can you introduce yourself?
I am Dr. Azizul Haque, currently working as an Assistant Professor in the Department of Biotechnology at Yeungnam University, South Korea. My educational journey began in Dhamrai, Dhaka, where I completed my primary and secondary education. I then completed my higher secondary studies at BPATC School and College in Savar. My passion for higher studies led me to Bangladesh Agricultural University, where I earned a bachelor’s degree in Animal Husbandry and a master’s degree in Animal Breeding and Genetics. Later, I had the great opportunity to pursue a PhD in Bioinformatics at Yeungnam University, South Korea, which was a major milestone in my life. After completing my PhD in 2022, I gained valuable experience as a post-doctoral researcher. Currently, in addition to my research, I am working to help students develop expertise in bioinformatics and genomics, aiming to foster their skills and interests so they can make significant contributions to these fields in the future.
Could you describe your area of research?
My research focuses on analyzing datasets from the animal kingdom using advanced bioinformatics techniques. This work contributes valuable insights into agriculture, animal husbandry, health, and genetic modeling. For instance, we identify disease-resistant traits in livestock and study genetic diversity among various species, which can play a role in enhancing animal productivity and health. Through animal genomics, we have developed new techniques to improve animal health and productivity. Our research outcomes are vital in improving the quality of meat, milk, and other productive traits in livestock. Additionally, we assess the effects of natural and environmental factors, which can negatively impact animal health and productivity. Using genetic selection methods, we pinpoint the best genetic traits, leading to healthier and more productive animals.
I am also working on bioinformatics research related to human cancer, where I analyze the genetic and bioinformatics aspects of cancer. This research aims to investigate the genetic characteristics of cancer and test the effectiveness of bioinformatics approaches in its treatment.
How do you think your research work benefits or will benefit society?
The importance of bioinformatics and genomics in today’s scientific research is growing rapidly. Bioinformatics has revolutionized healthcare by enabling researchers to analyze human genetic codes, uncovering information that aids in curing complex diseases like cancer, heart disease, and diabetes. In disease diagnosis, we are now moving beyond symptoms or tests to predicting disease risk using genetic and bioinformatics techniques. Bioinformatics has also enabled advanced treatment options and the development of new medicines, especially for severe conditions like cancer or heart disease. Additionally, bioinformatics plays a vital role in “Personalized Medicine,” where treatment methods are tailored to each individual’s genetic profile, making treatments more effective and safe.
Furthermore, bioinformatics is not only enhancing human health but also improving productivity and health in the animal world. By analyzing the genetic traits of animals, bioinformatics has unlocked new possibilities in agriculture and animal production, boosting productivity and helping develop environmentally sustainable technologies. For instance, genetic modeling and selection are increasing crop yields and livestock productivity, such as milk production, disease resistance, and fast-growing species in cattle. This has significant implications for ensuring food security globally.
Through my research, I am striving to innovate new technologies and methods that will bring revolutionary advancements in agriculture and animal production worldwide. I believe that bioinformatics and animal genomics will not only drive scientific progress but will also play a crucial role in food security, health, and environmental sustainability in our society.
What qualities do you think a scientist should have?
A scientist needs several essential qualities to enhance their research, thinking, and contributions to society. These include curiosity and inquisitiveness, patience and perseverance, analytical thinking, creativity, problem-solving skills, a passion for learning, teamwork, confidence, and social responsibility. The combination of these qualities enables a scientist to be successful and impactful in their field.
Do you have a message for young Bangladeshi students who want to pursue science?
I am truly impressed by the deep interest and curiosity for research among today’s young people. When I talk to them, I feel that with proper guidance and support, this generation can achieve remarkable things. It’s our responsibility to stand beside and encourage them because the potential for the future lies within them.
My message to young Bangladeshi students is that science offers boundless possibilities. It’s a unique way to unleash your thoughts, curiosity, and creativity. Science is not just about theories; it is about creation, discovery, and making the world a better place. It’s a powerful tool for problem-solving, essential for the progress of the world. Becoming a scientist requires not only intelligence but also a great deal of hard work, patience, and perseverance. Thinking about new ideas, gathering information, and learning from experienced individuals are vital steps toward becoming a scientist. The most important aspect, however, is the mindset to work in teams, as solving significant problems alone is nearly impossible. Therefore, teamwork is a crucial stepping stone on the path to becoming a scientist.
Remember, science is not just an academic subject; it has a substantial impact on our daily lives. If you truly want to become a scientist, you should be eager to learn something new and never hesitate to bring your ideas and perspectives to life. We should have the courage and passion to continue learning and embrace creativity.
On behalf of Biggani.Org, we extend our heartfelt congratulations to Dr. Azizul Haque for his growing success. He is not only a beloved teacher for our young researchers, but also a unique role model and source of inspiration. His journey is creating new perspectives and enthusiasm among all of us. We hope that he will achieve greater success in the future.
Leave a comment