বাংলাতে সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলি সহজ ভাবে উপস্থাপন করার মতন এক দুঃসাধ্য করেছেন আমাদেরই বিজ্ঞান লেখক আবদুল গাফফার রনি
তিনি ৩ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাঁটাপােল গ্রামে, মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ভালােবাসেন বই পড়তে, গান গাইতে।পড়া, লেখা আর ভ্রমণের পাশাপাশি দেশের জনপ্রিয়তম বিজ্ঞান ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তার সহসম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩৫টি। বোস-আইনস্টাইন কন্ডেসসেট বইয়ের জন্য ২০২৩ সালে পেয়েছেন বাংলা একডেমির হালিমা শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার। শিশুতােষ গল্পের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড। উল্লেযোগ্য বই : থিওরি অব রিলেটিভিটি, কোয়ান্টাম ফিজিক্স, নিউক্লিয়ার ফিজিকস, ব্ল্যাকহোল, শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল, দ্য গড পার্টিকেল, কোয়ান্টাম কোয়েস্ট, বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট : বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আবদান, প্যারাডক্স ইত্যাদি।
২০২৫ এর বইমেলায় তার নতুন ৪টি বইয়ের সাথে আজকে আপনাদেরকে পরিচয় করে দেব।
১. হোয়াট ইজ টাইম
আবদুল গাফফার রনি
প্রকাশক: পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.
পৃষ্ঠা: ১৬০
দাম: ৪৫০ টাকা
বিবরণ:
পৃথিবী, মহাবিশ্ব থেকে আমাদের শরীরের জৈবিক ক্রিয়া- সবই চলে ঘড়ি ধরে, সময় মেনে। কিন্তু সময় আসলে কী? তার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানও ঠিকঠাক দিতে পারেনি আজ পর্যন্ত। অবশ্য প্রশ্নের শুরুটা হয়েছিল গ্রিক যুগেই। বড়ো দার্শনিকেরা প্রশ্নটার উত্তর দিয়েছিলেন নিজেদের মতো করেই। তাতে ব্যাখ্যা-যুক্তি ছিল, তর্ক ছিল- ছিল না বিজ্ঞান। এভাবেই মধ্যযুগ পর্যন্ত চলেছিল সময়রহস্য সমাধানের চেষ্টা। দার্শনিকদের সঙ্গে ধর্মতত্ত্ববিদেরাও যোগ দেন সময়রহস্যের চুলচেরা বিশ্লেষণে, তবুও সময়ের স্বরূপ ঠিকঠাক কাঠামোবদ্ধ করা যায়নি। সপ্তদশ শতাব্দীতে এসে নিউটন ও লিবনিজের মতো বিজ্ঞানীরা সময়ের ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছেন বিজ্ঞানের কাঠামোর ভেতর থেকেই। কিন্তু সময়কে আর দশটা প্রাকৃতিক সূত্রের মতো পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারেননি তাঁরা। শেষমেশ বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই আলবার্ট আইনস্টাইন সময়ের স্বরূপ উন্মোচন করেন গণিত ও বিজ্ঞানের সুরে। সেই সুর পরবর্তী সময়ে আরও পোক্ত হয়। নিউটনীয় বলবিদ্যা, আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা হয়ে সময়ের ব্যাখ্যায় মজেছে হালের স্ট্রিং থিওরিও। সময়ের দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার সাত-সতেরো নিয়েই রচিত হয়েছে হোয়াট ইজ টাইম।
২. পঞ্চাশটি বিস্ময়কর আবিষ্কারের গল্প
আবদুল গাফফার রনি
প্রকাশক : বাতিঘর
পৃষ্ঠা : ১২৮
দাম: ৩৫০ টাকা
বিবরণ:
বইটি ইতিহাসের এমন ৫০টি বিস্ময়কর ও অপ্রত্যাশিত আবিষ্কারের গল্প তুলে ধরেছে, যা বিশ্ব পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিভিন্ন যুগের বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং সাংস্কৃতিক আবিষ্কারের আকর্ষণীয় বিবরণসহ বইটি পাঠকদের জানার কৌতূহল মেটাবে। প্রতিটি আবিষ্কারের পেছনের গল্প, তাৎপর্য এবং এর প্রভাব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা ইতিহাসপ্রেমী ও জ্ঞানপিপাসুদের জন্য দারুণ এক পাঠ্যসঙ্গী হতে পারে।
৩. ডার্ক ইউনিভার্স
আবদুল গাফফার রনি
প্রকাশক: ছায়াবীথী
পৃষ্ঠা : ২০৮
দাম: ৫২০ টাকা
বিবরণ:
ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি নিজেদের লুকিয়ে রেখেছে ধোঁয়াশার আড়ালে। সেই আড়াল সরিয়ে গুপ্ত বস্তু আর শক্তিগুলোর দিনের আলোর মতো আলোকিত হওয়ার আশু সম্ভাবনা নেই। তাই বলে কি বসে থাকবেন বিজ্ঞানীরা? তাঁরা চেষ্টা করছেন মহাবিশ্বকে বোঝার, মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য পুরোপুরি উন্মোচন করার। সে কাজে সফল হতে হলে গুপ্ত ভরশক্তির প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেতে হবে। না হলে অজানা থেকে যাবে মহাবিশ্বের ৯৬ শতাংশ রহস্যই। তাই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন: ডার্ক ম্যাটারের খোঁজে ফাঁদ পেতেছেন মাটির বহু গভীরে, গুপ্ত শক্তির খোঁজে মহাকাশে ছিপ ফেলেছেন নভোটেলিস্কোপের সাহায্যে। কিন্তু ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জি রহস্যই রয়ে গেছে। ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জি কী এমন জিনিস যে নিজেদের এরা এতটা রহস্যাবৃত করে রেখেছে, বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করেও কেন সেই অবগুণ্ঠন সরাতে পারছেন না-এসবের বিস্তারিত বিবরণ আছে এ বইয়ে।
Leave a comment