[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]
Dr. Nowshad Amin is currently serving as a Professor at the Dept. of Electrical, Electronic & Systems Engineering of The National University of Malaysia (@ Universiti Kebangsaan Malaysia), where he also leads the Solar Photovoltaic Research Group under the Solar Energy Research Institute (SERI). After the higher secondary education with distinctions from his native country, Bangladesh, he received the Japanese Ministry of Education (MONBUSHO) scholarship in 1990. Accomplishing Japanese Language diploma in 1991, he achieved a diploma in Electrical Engineering (1994) from Gunma National College of Technology, Bachelor (1996) in Electrical & Electronic Engineering from Toyohashi University of Technology, Masters (1998) and PhD (2001) in solar photovoltaic technology (Thin Film Solar Cell) from Tokyo Institute of Technology (Tokyo, Japan).
Later, Professor Dr. Nowshad Amin pursued the Postdoctoral fellowship in the USA and briefly worked at Motorola Japan Ltd. His areas of expertise include Microelectronics, Renewable Energy, Solar Photovoltaic Applications and Thin Film Solar PV Development. Additionally, his research focuses on the commercialization of Solar Photovoltaic Products from his patented entities, as such he has also been serving as the CTO cum director of a University Spin-off company financed by the Malaysian Technology Development Center (MTDC). He has been serving as the project-leader as well as co-researcher of many governments (Malaysia) and international (Saudi National Grant, Qatar Foundation etc.) funded projects. He has authored numerous peer-reviewed publications, a few books, and book chapters. He is actively involved in promoting Renewable Energy to the developing countries in South and South East Asia, working as an enthusiastic promoter for the affordable solar photovoltaic technologies.[/box]
সাক্ষাৎকার: বিজ্ঞানী.অর্গ
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনার সমন্ধে আমাদের পাঠকদের একটু বলুন। (আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচয়)
প্রফেসর নওশাদ আমিনঃ আমার নাম নওশাদ আমিন (সবুজ)| গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা গ্রামে, তবে ছোটবেলা থেকেই চট্টগ্রাম শহরের নন্দনকাননের নানাবাড়িতেই বেড়ে ওঠা| বাবা ডাক্তার নুরুল আমিন চৌধুরী স্বাধীনতা উত্তর কালে কর্ণফুলী পেপার মিলের হাসপাতাল এ প্রধান চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করেছেন, সাথে প্রত্যক্ষ রাজনীতি ও করতেন | যুদ্ধের সময় আগরতলায় মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসক হিসাবে ছিলেন বিধায় মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান | মা দিলারা আমিন আমাদের দুইভাইয়ের লালন পালনেই জীবন কাটিয়েছেন| আমি দুই ভাইয়ের কনিষ্ঠ| অগ্রজ আরশাদ আমিন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ শেষে বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল থেকে ১৯৯২ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে বর্তমানে কর্ণফুলী সার কারখানায় (KAFCO) প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আমার অনুপ্রেরণায় ব্রত | আমি চট্টগ্রামের নন্দনকানন এলাকার পাহাড়িকা কিন্ডার গার্টেন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে বছর দুই চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পড়ি, পরে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ এ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় শেষ করি | বলার মতো হলো মাধ্যমিকে (SSC) তৎকালীন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে ষষ্ঠ (১৯৮৭) এবং উচ্চমাধ্যমিকে (HSC) একই বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম স্থান (১৯৮৯) লাভ করি | এর পরে আমেরিকাতে আংশিক টিউশন ওয়েভার, ভারতে এবং জাপান সরকারের পূর্ণ বৃত্তি লাভ করি | বাবার ইচ্ছাতেই জাপানের মনবুশো (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) বৃত্তি নিয়ে ১৯৯০ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত জাপানেই থাকা হয় ; জাপানী ভাষা শেখার পর তড়িৎ প্রকৌশল এ ডিপ্লোমা, স্নাতক, মাস্টার্স এবং পিএইচডি অর্জন, আর এরপর বছর তিনেক মটোরোলা (MOTOROLA) তে কাজ করে | মাঝে বছর খানেকের জন্য আমেরিকার সাউথ ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটিতে ফেলোশিপ এ ও কাটানো হয় | স্নাতক পর্যায় (১৯৯৬) থেকেই সৌর বিদ্যুতের মূল সৌরকোষ বিষয়ে গবেষণা শুরু করে এখনো এ নিয়েই আছি | ২০০৪ থেকে নিজ সিদ্ধান্তেই মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া ভার্সিটিতে (MULTIMEDIA UNIVERSITY) যোগ দেয়া, তবে গবেষণার কাজ মনমতো না হওয়াতে কিছু নিরাশ ছিলাম | এরপর ২০০৬ এ ওদের সরকারি “ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া” (THE NATIONAL UNIVERSITY OF MALAYSIA @UKM) এ সিনিয়র লেকচারার পদে যোগ দিয়ে ২০০৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১২ থেকে প্রফেসর পদে কর্মরত আছি | পারিবারিক জীবনে স্ত্রী জান্নাতুল ওয়াসুল (তাইরিন) (চট্টগ্রাম ভার্সিটি থেকে আইন এ স্নাতক এবং যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আত্মত্যাগেই আজকের আমি), তিন কন্যা নুসাইবা, যাহরা ও আয়েশা এবং মাকে (বাবা ২০০৭ এ ইন্তেকাল করায়) নিয়েই মালয়েশিয়ার বর্তমান রাজধানী (Administrative capital) পুত্রাজায়ার (Putrajaya) পাশেই বাঙ্গি (Bangi) শহরে বসবাস করছি | সর্বোপরি আমার সোলার বিষয়ের কনিষ্ট এবং একনিষ্ট ভক্ত ভাতুষ্পুত্র আয়ান এর কথা না বললেই নয়, যে ১২ বছর বয়সেই আমার ভার্সিটিতে (CUET, চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে) দেয়া ৩-৪ ঘন্টার লেকচার গুলো ও মন দিয়ে শুনে পরে প্রশ্ন করে, সৌরশক্তির ব্যবহারের অনেক আইডিয়া দেয় | অথচ ওর মায়ের ভাষ্য ওর স্কুলে ওকে স্থির ভাবে বসানো যায় না …হা..হা|[/box]
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ জাপানে দীর্ঘদিন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও গবেষনা করে এখন আপনি মালেশিয়ায় গবেষনা করছেন। কেমন লাগছে মালেশিয়ায় কাজ করতে?
প্রফেসর নওশাদ আমিনঃ জাপানে দীর্ঘ ১৩ বছর শিক্ষা ও শ্রমজীবন, আমেরিকাতে ১ বছর গবেষণা আর বর্তমানে ১৩ বছর মালয়েশিয়াতে শিক্ষক ও গবেষক এর জীবনে কাটাতে যাচ্ছি | আসলে উন্নত দেশগুলোতে বিশেষ করে জাপানে একটু হাপিয়ে উঠেছিলাম | মনে হচ্ছিলো, মোটামুটি মানের বড় এক চৌবাচ্চায় আমার এক বিন্দু জল কি পরিমানই বা অবদান রাখতে পারে ? নিজের মতো করে স্বাধীন গবেষণা করাটা ও সময়ের ব্যাপার, যদিও শেষের দিকে টোকিও ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে যোগ দেবার ডাক এসেছিলো, আমারই MSc ও PHD সুপারভাইসর এর কাছ থেকে | তৎকালীন কর্মস্থল মটোরোলাতে (MOTOROLA Semiconductor) আমাদের জেনারেল ম্যানেজারকে বললাম, “আমি উন্নয়নশীল দেশের একাডেমিয়া/শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেকে দেখতে চাই”, আর পিএইচডি র সুপারভাইসর সেনসেইকে বললাম, “একাডেমিয়াতে যাবো, যা চ্যালেঞ্জিং উন্নয়নশীল দেশে যাতে আমার অনেক কিছু করার থাকবে |” এ বলে দুপক্ষকেই বুঝ দেয়া | অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল মালয়েশিয়াতে আমার প্রাথমিক জীবন, বেতন জাপানের ১/১০ ভাগে নেমে গেলো, কোনো গবেষণাগার ও ছিল না | কিন্তু গত ১০ বছরে, মহানুভব আল্লাহ কে ধন্যবাদ দিয়েই বলবো, শূন্য থেকেই বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি হয়েছে , প্রধান তত্ত্বাবধায়নে (সুপারভিশন) এ ১৫ জন পিএইচডি লাভ করেছে, ২০ জনের উপর স্নাতকোত্তর (গবেষণা) লাভ করেছে, আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে অনেক পাবলিকেশন্স হয়েছে, মালয়েশিয়া এবং আন্তর্জাতিক অনেক ফান্ড পাওয়া হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের গবেষক হিসাবে অনেক দেশেই নিমন্ত্রিত বক্তা ছিলাম | সর্বোপরি, আত্মবিশ্বাস আর পরবর্তী প্রজন্মকে উৎসাহ জোগানোর অনেক মূল্যবান অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়েছে | যে কোনো অবস্থাতেই নির্ভয়ে থেকে অদৃশ্য আল্লাহর উপর আস্থা রাখার সাহসটা আমার জন্য বড়োই প্রয়োজন ছিল | জাপান/আমেরিকার স্বচ্ছল গবেষণার অবস্থা থেকে গবেষণা করা আর নিজে সব তৈরী করে গবেষণা করা – স্বাদ নেয়া হয়েছে এ দুয়েরই | সব হয়েছে “বাংলাদেশী” পরিচয়েই, খুব ভালোলাগার অনুভূতি নিয়েই বলবো|[/box]
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ সোলার সেল নিয়ে অনেক আশাবাদ করলেও আমরা যেভাবে ভেবেছিলাম তেমন ভাবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছেনা। এর কারণটি কি বলে মনে করেন?
প্রফেসর নওশাদ আমিনঃ আসলে এটা নেতিবাচক প্রচার| বিশ্বে এপর্যন্ত ৩৫০ টির ও অধিক এক গিগাওয়াট (1 GW) মানের পারমাণবিক চুল্লিকে প্রতিস্থাপিত করতে সক্ষম সোলার প্যানেল সারা বিশ্বের কোনো না কোনো জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে , যাতে এগিয়ে আছে চীন, জাপান, জার্মানি, স্পেন, আমেরিকা, ইন্ডিয়া এবং আরো অনেক দেশ| গেলো বছর পর্যন্ত বাৎসরিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৪০%, বিশ্বাস হয় ? যদি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে, তবে বলার অনেক কিছু আছে| দুর্বল নীতিমালাই মূল কারণ| ২০২০ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুতের ১০ শতাংশ আসবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে যার মুলে থাকবে সৌর কোষ/প্যানেল, বাংলাদেশ সরকারের সে রকমই পরিকল্পনা। দুর্বল আমদানি ও পরীক্ষণ নীতিমালার কারণে উচ্ছিষ্ট মানের সৌর প্যানেল আমদানি করে ইতিমধ্যেই জনমনে নেতিবাচক ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে| বিশ্ব আর বাংলাদেশকে ভিন্ন ভাবে ভেবে অনুসন্ধান করে দেখবেন, স্ফটিক এর মতো স্বচ্ছ হয়ে আসবে সব|[/box]
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ grid-connected photovoltaic system নিয়ে আপনি বেশ কিছু গবেষনা প্রবন্ধ প্রকাশিত করেছেন যা খুবই আলোচিত হয়েছে। এটি সমন্ধে একটু বিস্তারিত বলুন।
প্রফেসর নওশাদ আমিনঃ ১৯৪৬ সালেই আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে ৬% সূর্যালোক থেকে বিদ্যুৎ এ রূপান্তর ক্ষমতার সৌরকোষ আবিষ্কৃত হবার পরে নানান পদার্থের সৌরকোষ এর গবেষণা চলে আসছে| ৪৫% এর উপরে ও রূপান্তর ক্ষমতার সৌরকোষ আছে যা মহাকাশ যান এ বা স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত হয়| ১৯৭০ এর অয়েল শক অধ্যায়ের পর জাপান উদ্যোগ নেয় সৌরকোষ কে মানুষের বিদ্যুৎ এর কাজে লাগানোর, তাতে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে বাসা বাড়িতে ব্যবহার হয়ে এসেছিলো | উল্লেখ, বাংলাদেশেই ৪০ লক্ষ হোম সিস্টেম (খুবই ছোট আকারের, ৩০-৪০ ওয়াট ক্ষমতার) আছে | সাম্প্রতিক কালে, বিভিন্ন কারিগরি বাধা পেরিয়ে মেগা স্কেল বা মেগা ওয়াট (MWp ) আকারের সোলার ফার্ম একের পর এক স্থাপিত হয়ে চলেছে, যাতে ১ মেগা ওয়াট ক্ষমতা থেকে শুরু করে ৮৫০ মেগা ওয়াট পর্যন্ত সোলার ফার্ম থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রীডে প্রবাহিত হয়ে চলেছে| বাংলাদেশেই ৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার ফার্ম সম্প্রতিকালে গ্রীডে সংযুক্ত হয়েছে , সরিষাবাড়ীর ৮ একর জমির উপর | আমার ব্যক্তিগত মতে, গ্রিড কানেক্টেড সোলার ফার্মকে আরো উৎসাহিত করা যাবে, যদি আমরা “আগ্রো/এগ্রি-ভোল্টাইকস” এর ভাবনা নিয়ে আগাই | কিছুই না, সোলার প্যানেল গুলোকে একটু উঠিয়ে (২-8 মিটার) উপরে স্থাপন করা হলে, নিচের জায়গায় আবাদ/ফলাদি করা কোনো কঠিন ব্যাপার হবে না|[/box]
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ বাংলাদেশে সোলার সেল কি কোন ভূমিকা রাখতে পারে?
প্রফেসর নওশাদ আমিনঃ অবশ্যই | তবে, আগে বিশ্বাস করতে হবে বিশ্বের সব সফল দেশগুলোর উদাহরণ থেকে, যারা দিনে আমাদের চেয়ে অর্ধেক মাত্র সূর্যালোক পায় | তারপরে যেসব দেশ শুধু সোলার কেই তাদের উন্নয়নের রোডম্যাপ এ প্রাধান্য দিয়ে এগোচ্ছে, তাদের অনুসরণ করা যেতে পারে | আগেই বলেছি, আমরা খুবই দুর্বল নীতিমালায় আক্রান্ত, শিক্ষা-গবেষণা ও বাণিজ্যিক প্রসারে| দেশের যে কোম্পানিগুলো সাহস নিয়ে এগিয়ে এসেছিলো, তাদের উৎসাহিত তো করা ই হয় নি, বরঞ্চ দুর্বল অপরীক্ষিত আমদানি নীতিমালার কারণে অধিকাংশই ধ্বসে পড়েছে বিদেশী নামহীন কোম্পানি গুলোর কাছে পরাজিত হয়ে | আমি ২০১১ থেকে সাভার এ অবস্থিত বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি র “এনার্জি ইনস্টিটিউট” এ প্রথম প্রজন্মের সোলার সেল (Crstalline silicon based) এর গবেষণার কাজে যতদূর পেরেছি সহায়তা করে এসেছি, এছাড়া সাইন্স ল্যাবরেটরির জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্রে দ্বিতীয় প্রজন্মের সৌরকোষ (thin film based) গবেষণার উদ্যোগ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করে চলেছি| এছাড়া চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক এর HEQEP প্রজেক্ট এ পূর্ণ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি | দেশে বানিয়ে খরচ কমানোর চিন্তা ত্যাগ করে, প্রচুর গবেষক তৈরী করে আপাতত দেশে বিদেশে এদের মেধাকে পেটেণ্ট (patent), পেপার (journal) এর মাধ্যমে স্বীকৃতি আদায় করে নিতে হবে | গবেষণার জনবল বাড়লে এরাই বাতলে দেবে আমাদের সাফল্য, তা কি কম খরচের সৌরকোষ বানানোয় হবে, না আত্মবিশ্বাস এ সমৃদ্ধ প্রজন্ম তৈরিতে হবে, সময়ই বলে দেবে|[/box]
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ প্রবাসে বসেও বাংলাদেশের তরুনদের নিয়ে আপনি বেশ কিছু কাজ করছেন। প্রজেক্টগুলি সমন্ধে একটু বলুন।
প্রফেসর নওশাদ আমিনঃ প্রশ্নটি গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ আমি নিজে এখনো তরুণ, হা..হা..| ভাবি এখনো ২৫ এ আটকে আছি ..হা..হা..| আমার মালয়েশিয়ার গবেষণাগারে বাংলাদেশী ছাত্র ছাত্রীরা অর্ধেক অংশ জুড়ে থাকে, সংখ্যায় | আমার ভার্সিটি জানে এবং আরো উৎসাহিত করে উচ্চমানের বৃত্তি অফার করে বাংলাদেশীদের | অনেক কিছুই করা হয় , যেমন ওদের আমার ফান্ড দিয়ে এখানে এনে মাস্টার্স বা পিএইচডি করানো, এরপরে পোস্টডক (post-doc) এ জাপান বা অন্য দেশে পাঠানো | যারা দেশে ফিরে যায়, তাদের সাথে যোগাযোগ থাকে এবং ওদের কর্মস্থানে সেমিনার /ওয়ার্কশপ করে অন্তত ওদের আশা যোগানো হয় | আবার যারা অন্য দেশে আছে, তাদের মাধ্যমেই নতুন সম্ভাবনা আসে | যেমন, কাতার ফাউন্ডেশন (Qatar Foundation, QNRF) এর রিসার্চ গ্রান্ট পেয়েছি, আমারই দীক্ষায় দীক্ষিত বাংলাদেশী এক ছাত্রের কাতারের সহযোগীকে পরিচয় করিয়ে দেবার সূচনা থেকে | এরকম আরো আছে, বলে শেষ করা যাবে না | আমি কি প্রজেক্ট করবো, এখন ওরাই করে…এই চির সবুজ তরুনের জন্য …হা..হা ..|[/box]
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ Midori Bangla Foundation সমন্ধে আমাদের একটু বলুন।
প্রফেসর নওশাদ আমিনঃ ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে আছে? আমি জাপানে ছিলাম | বাবার অনুপ্রেরণায় নিজের জমানো ৩৬০০ আমেরিকান ডলার দিয়ে দিয়েছিলাম আমাদের গ্রামের স্কুলের পুনর্নির্মাণ কাজে | সেই থেকে শুরু, ” মিদোরি (জাপানি শব্দ যার বাংলা হলো সবুজ) বাংলা ফাউন্ডেশন” নাম এ | ১৯৯২ সাল থেকে অনেক সমাজ সেবা মূলক কাজ এ অংশ নিতে মহানুভব আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন | দাতব্য চিকিৎসালয়, মহিলাদের পাঠাগার, বছর বছর অনাথ ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি ইত্যাদি ইত্যাদি | মনে পড়ে, ১৯৯৮ এর বন্যা দুর্গতদের জন্য টোকিওতে ১ সপ্তাহে ১৫,০০০ আমেরিকান ডলার সংগ্রহ করে মুন্সীগঞ্জ এলাকার তিন থানায় ২১০ পরিবারকে ঢেউটিন, পোশাক ও টাকা দিয়ে পাশে দাঁড়াতে পেরেছি, সব নিজ হাতে একদিনেই বিতরণ করেছি জাপানি অতিথিকে সাথে নিয়ে | আমার প্রাণশক্তি যেন এতেই বেড়েছে | যখনি জেনেছি কোনো রিক্সাচালকের সন্তান মেডিকেল এ চান্স পেয়েছে, ৫ বছরের বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি | জাপানে ছিলাম বলে অনেক জাপানি মানুষেরা আমায় বিশ্বাস করেছেন, সহায়তা করেছেন, এজন্য ওদের সাথে সাথে আল্লাহকে ধন্যবাদ | এখনো অনেকে এই বৃত্তি পায়, যার যা লাগে তা | আমরা প্রচারণা করিনি, এখনো করিনা | যদি অর্থাভাবে কারো পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটার আশংকা দেখা দেয়, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেই আল্লাহর ইচ্ছায় আমরাই চালিয়ে নেই|[/box]
[box type=”shadow” align=”aligncenter” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ তরুন শিক্ষার্থি যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় তাদের জন্য আপনার কোন উপদেশ বা বক্তব্য কি?
প্রফেসর নওশাদ আমিনঃ বিজ্ঞান সবকিছুতেই আছে, পদার্থে, রসায়নে, অর্থনীতিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ….| বিজ্ঞান হলো আল্লাহর সৃষ্ট জ্ঞান কে আহরণ (discover) করে এ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা/লাভ অর্জন (invent/innovate) করা, তা সৌরকোষ এর গবেষণা দিয়ে কম খরচের সোলার প্যানেল বানানো থেকে শুরু করে, তা দেশের মানুষের কাজে লাগানোর জন্য কি প্রকার নীতিমালা প্রণয়ন করলে বাংলাদেশই সর্বোচ্চ লাভবান হবে তার গবেষণা ও বিজ্ঞান | আমি সবাইকে বলি, ভাব তুমি ১০ বছর পরে নিজেকে কোথায় দেখতে চাও, ২০ বছর পরে ? নিজের মতো করে পরিকল্পনা করো , শ্রম দাও , ধৈর্য ধরো, হাল ছেড়ো না, সবাইকে সন্মান করতে শেখ ….সর্বোপরি স্রষ্টা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখো, “উনি তোমাকে বিনা কারণে পৃথিবীতে পাঠাননি”, কাজেই আশাহত না হয়ে শ্রম দাও | কেউই তোমাদের মেধার শিখাকে আড়াল করে রাখতে পারবে না | একসময় না একসময় তা প্রতিভাত হবেই | পরশ্রীকাতরতা যেমন এড়িয়ে যেয়ে এগোতে হয়, তেমনি কারো মুখপানে তার প্রশংসার অপেক্ষা না করে কাজ করে যাও | যা হতে চেয়েছিলে তা হতে পারবেই, কিন্তু তখন আর ওই প্রাপ্তি ভালো নাও লাগতে পারে | মানুষের জন্য করে যাও, পরশ্রীকাতরতা/প্রশংসার অপেক্ষায় সময় নষ্ট করো না | ইনশাআল্লাহ আমরা পারবোই পারবো, কারণ আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা দেবেন, বিফল করবেন না যদি আমরা মানবতার জন্য কাজ করে যাই |
সবাইকে ধন্যবাদ, ধৈর্য নিয়ে আমার এ লেখা পড়ার জন্য| আল্লাহ সবার ভালো করুন|[/box]
প্রফেসর নওশাদ আমিনের অন্যান্য পরিচিতিঃ
প্রফেসর নওশাদ আমিনের সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুনঃ A Solar Green Earth – My Green Home এবং [email protected]; [email protected] মেইল এ যোগাযোগ করুন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো নতুন নতুন সংবাদ জানতে সাবস্ক্রাইব করুন।
[mc4wp_form id=”3448″]
Leave a comment