ড. মাহফুজুল ইসলাম ২০০১ সনে সিলেট ক্যাডেট কলেজে এইচএসসি পাশ করে বুয়েটে কম্পিউটার সাইন্স বিভাগে ভর্তি হোন। ২০০৩ সনে তিনি জাপানের মনবুশো বৃত্তি পেয়ে, টোকিও তে জাপানিজ ভাষা শিখে, ওইতা কলেজ অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হোন। এরপরে তিনি কিওতো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স শেষ করে সেখানেই ২০১১ সনে মাস্টার্স ও ২০১৪ সনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপরে টকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসাবে যোগ দেন এবং ২০১৮ সনে কিওতো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। তার ৩০ টির উপর বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ রয়েছে এবং সার্কিটের উপর তার দুটি প্যাটেন্ট রয়েছে।
বিজ্ঞানী.অর্গ এর পক্ষ থেকে ড. মশিউর রহমান উনার একটি সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
ড. মশিউর: জাপানে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য যায়, তাদের একটি সংগঠন আছে যার একটি অদ্ভুত নাম আছে, শশি। সেই সংগঠনের এই সদস্য মাহফুজের সাথে আমার সম্পর্ক অনেকটা ছোট ভাইয়ের মতন। কিওতো – তে একটি প্রোজেক্টের কাজে সেখানে যাবার পরে আবারও মাহফুজের সাথে দেখা হল। একদিন এক সকালে হটাৎ মাহফুজ ফোন করে বলল, “চলেন কিওতো বিশ্ববিদ্যালয়টি আপনাকে দেখাই”। এমন সুযোগ লুফে নিলাম। মূল ক্যাম্পাসের একটু দূরে পাহাড়ে কোলে রয়েছে কাৎসুরা ক্যাম্পাস। এই শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে কাৎসুরা নামে একটি নদী। সেই নদীর নাম দিয়েই শহরটির নাম। মাহফুজ তার ল্যাব ও অন্যান্য গবেষণাগারগুলো দেখাল। পাহাড়ের উপরে অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্যে সত্যিই বিহ্বল হয়ে গেলাম। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এমন একটি জায়গাতে গবেষকদের জন্য সরকারের এই উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়। আর এই সমস্ত সুযোগ সুবিধার কারণেই মনে হয় কিওতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো মানের গবেষণার কাজের ফলাফল আমরা পেয়ে থাকি। কিওতো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটে (https://www.kyoto-u.ac.jp/en/about/honors/international_awards/nobel-laureates.html) দেখলাম মোট ১৮ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
মাহফুজের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করছিলাম। এর মধ্যেই ক্যামেরাটা নিয়ে কিছু কথাগুলি রেকর্ড করে নিলাম, যা আপনার সাথে শেয়ার করলাম। খুবই ক্যাজুয়াল ভাবে গল্প করতে করতেই সাক্ষাৎকারটি নেয়া। মাহফুজ এর ওয়েবসাইট হল: http://lowpower.iis.u-tokyo.ac.jp/~mahfuzul/
এছাড়াও আরো তথ্য পাবেন নিম্নের সাইটগুলো থেকে,
https://www.linkedin.com/in/akmmahfuzulislam/
https://www.researchgate.net/profile/Mahfuzul_Islam3
বাংলা বিজ্ঞান পোস্টের জন্য এই সাইটটিতে বারবার আসি। অনেক ভালো লাগা একটি সাইট। ধন্যবাদ এডমিনকে।
good article