ইবনে সিনার ‘আল-কানুন ফিত-তিব’ গ্রন্থ সর্ম্পকে A.C. Crombie বলেন, “It say many Latin editions, fifteen during the last thirty years of the fifteenth century and farther twenty during the sixteenth century. Several more were printed in seventeenth century.” কানুনকে বলা হয় মেডিকেলের বাইবেল। এক্ষেত্রে কথা প্রণিধাতনযোগ্য, “Canon remained a Medical Bible for a longer period than any other work.”
ইবনে সিনা গ্রিক, রোমান, ভারত ও চীনা চিকিৎসা পদ্ধতির মূল নির্যাস সংগ্রহ করে চিকিৎসা শাস্ত্রের এই বিখ্যাত গ্রন্থের দ্বিতীয় খন্ডে ৭৫০টি গুল্ম, প্রাণীজ ও খনিজ ঔষুধের বর্ণনা দেন। এর মধ্যে অনেকগুলো ঔষুধ এখনও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পঞ্চম খন্ডের ৮০০ পরিচ্ছেদে প্রত্যেকটি ঔষুধের পরিচিতি, ব্যবহারের পরিমাণ, কার্যকারিতা, কোন্ কোন্ রোগে কোনটি ব্যবহার্য, বিকল্প ঔষুধ ইত্যাদির বিষদ বিবরণ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, প্রথম খন্ডে Physiology এবং Hygiene এর মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তৃতীয় খন্ডে প্রত্যেক অঙ্গ-প্রতঙ্গের রোগ, সেগুলোর Symptop, Diagnosis, Prognosis, Etilogy সহ চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করেছেন। চতুর্থ খন্ডে জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, খাদ্যের অনিয়ম, ক্রোধ, ভয়, বেদনা, প্রদাহ, পচন, শারীরিক রসের গোলমাল, মহামারী, বসন্ত, যক্ষ্মা, ফোঁড়া, কুষ্ঠ, ঘা, হাড়ভাঙ্গা, আলসার, চুল, নখ, চর্ম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মোটকথা, এ গ্রন্থে সকল রোগ-ব্যাধী সম্পর্কে বিষদ আলোচনা স্থান পেয়েছে।
ইউরোপে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইবনে সিনার প্রভাব অসামান্য। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটেনিয়াতে টমাস ক্লিফোর্ড বলেন, ইবনে সিনার ‘কানুন’ হিপোক্রাটস ও গ্যালেনের কৃতিত্বকে অতিক্রম করেছে। কয়েক শতাব্দী ধরে ইউরোপের চিকিৎসা শাস্ত্রের এই গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
অন্যতম অবদানসমূহঃ
১. তাঁর বিখ্যাত চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ ‘আল-কানুন ফিল-তিব’;
২. শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাঁর কালজয়ী অবদান।
জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানী ইবনে সিনা ইস্পাহানে কাটিয়ে দিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৪৫০টি গবেষণা গ্রন্থ লিখেছিলেন। ইবনে সিনা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক অবদান রাখলেও তাঁর সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে। আরবরা তাঁকে অভিহিত করেছিলেন আল-শায়খ আল-রাঈস তথা জ্ঞানীকুল শিরোমণি হিসেবে। সমসাময়িককালে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও রাজনীতিজ্ঞ।
বইটির অফিসিয়াল পেজ এর
লিংক–
বইটিতে যেসব তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়েছেঃ
১। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০ মনীষির জীবনী, মূলঃ মাইকেল এইচ.হার্ট, মেমরি পাবলিকেশন্স।
২। বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান, মুহাম্মদ নূরুল আমীন
৮। অনলাইন ডিকশনারি এবং এনসাইক্লোপিডিয়ার সাইট –
৯। বেস্ট গেøাবাল এডুকেশন তথ্যভিত্তিক পোর্টাল –
Leave a comment