গবেষণায় হাতে খড়ি

পাবলিক, প্রাইভেট ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কনট্রোভার্সি!

Share
Share

লেখক- আজিজুল হক

ইয়েংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক।

গবেষণার নতুন প্রজন্ম: সৃজনশীলতা ও জানার নেশার এক অনন্য যাত্রা:

সাম্প্রতিক সময়ে আমি গবেষণায় আগ্রহী নতুন প্রজন্মের গবেষকদের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার মুহূর্তগুলো আমার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ এটি আমাকে নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের উদ্যম সম্পর্কে জানার সুযোগ দেয়। তারা কীভাবে জ্ঞান অর্জনের জন্য চেষ্টা করছে, কীভাবে তাদের চিন্তার জগতে নতুনত্ব আনতে চায়, তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। আমি কখনোই বিচার করি না তারা কে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের। কে ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ের, কে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের, কে পাবলিক, কে প্রাইভেট, কিংবা কে ন্যাশনাল—এসব বিষয় আমার কাছে একেবারেই গৌণ। এগুলো দিয়ে কারো যোগ্যতা পরিমাপ করা যায় না। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের চিন্তা-ধারা, তাদের সৃজনশীলতা, এবং তাদের অদম্য জানার নেশা।

গবেষণার আলোচনায় উন্মুক্ত মন: সংকীর্ণতা বনাম প্রকৃত শিক্ষা:

আমার কাছে যে কেউ গবেষণা নিয়ে কথা বলতে চাইলে আমি কখনো বিরক্ত হই না বরং তাদের জন্য যেভাবে হোক সময় বের করি। তাদের সাথে আলোচনা করতে করতে আমি নিজেও নতুন কিছু শিখি। এখানে কোনো বড় নামের বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ, কিংবা প্রতিষ্ঠানের বিষয় নয়। জ্ঞান অর্জনের প্রবল ইচ্ছাই আসল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনও অনেকেই এই বিষয়গুলো নিয়ে অহংকার করে। তারা এখনও পাবলিক-প্রাইভেট, ন্যাশনাল কিংবা বড়-ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিতে মানুষকে আলাদা করে। এটি শুধু তাদের সংকীর্ণ মানসিকতার প্রমাণ নয়, বরং এটি দেখায় তারা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি। তারা পড়াশোনা করেও প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত হতে পারেনি। শিক্ষার আসল লক্ষ্য হলো মনকে উন্মুক্ত করা।

সফলতার আসল মাপকাঠি: প্রতিষ্ঠান নয়, গুণগত কাজ:

আমাদের চারপাশে এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা গবেষকরা বিশ্বব্যাপী অসাধারণ কাজ করছেন। তারা প্রমাণ করেছেন যে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে কোনো কিছু নির্ধারণ করা যায় না। বরং দক্ষতা, পরিশ্রম, এবং নিজের জ্ঞানের প্রতি আন্তরিকতাই সাফল্যের আসল উপাদান।

শিক্ষাকে নাম, খ্যাতি বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে জ্ঞান অর্জন এবং সৃজনশীলতাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমি প্রতিনিয়ত এই নতুন প্রজন্মকে এই বার্তাটি পৌঁছে দিতে চাই যে, বড় প্রতিষ্ঠানের পরিচয় দিয়ে নয়, বরং কাজ, চিন্তা-ভাবনা, এবং গবেষণার গুণগত মানের মাধ্যমেই আসল পরিচিতি অর্জিত হয়।

সকল রিসার্চারদের জন্য আমার দরজা সব সময় ওপেন!!

বিদ্র: ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত:——–https://www.facebook.com/share/p/1PqKZHo3xA/

Share

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফ্রি ইমেইল নিউজলেটারে সাবক্রাইব করে নিন। আমাদের নতুন লেখাগুলি পৌছে যাবে আপনার ইমেইল বক্সে।

বিভাগসমুহ

Related Articles
গবেষণায় হাতে খড়ি

গবেষণা প্রবন্ধ: প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য ও প্রাসঙ্গিকতা!

লেখক- আজিজুল হক ইয়েংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। গবেষণার উদ্দেশ্য এবং বিষয়বস্তু অনুযায়ী...

গবেষণায় হাতে খড়ি

গবেষণা-বিহীন অধ্যাপনা” একাডেমিক উৎকর্ষতার পথে প্রধান বাধা!

প্রফেসর- ড. মোহা: ইয়ামিন হোসেন ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষার...

গবেষণায় হাতে খড়ি

রিসার্চ আর্টিকেল প্রকাশনার অন্ধকার দিক কেন?

লেখক- আজিজুল হক ইয়েংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক। রিসার্চ আর্টিকেল প্রকাশনার জগতে প্রতিনিয়ত...

গবেষণায় হাতে খড়ি

শিক্ষক: জ্ঞান বিতরণকারী নয়, জ্ঞান সৃষ্টিকারী!

প্রফেসর- ড. মোহা: ইয়ামিন হোসেন ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষককে সাধারণত একটি...

গবেষণায় হাতে খড়ি

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষকের নিজস্ব ল্যাবরেটরী থাকা উচিত!

প্রফেসর- ড. মোহা: ইয়ামিন হোসেন ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের দায়িত্ব...

Three Columns Layout

গবেষণার তথ্য ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, বিজ্ঞানী.অর্গ নবীন প্রজন্মকে গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

Contact

biggani.org❤️gmail.com

Biggani.org connects young audiences with researchers' stories and insights, cultivating a deep interest in scientific exploration.

বিজ্ঞানী অর্গ (biggani.org) বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষণা ও বিজ্ঞান নিয়ে বাংলা ভাষায় তথ্য ও সাক্ষাৎকার প্রচার করে – নবীনদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় প্রেরণা দেয়া হয়।

যোগাযোগ:

biggani.org@জিমেইল.com

biggani.org, a community of Bangladeshi scientists, shares interviews and information about researchers and scientists in Bengali to inspire young people in research and higher education.