কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাতথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক খবর

বিদায় সার্চ ইঞ্জিন, এখন এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্চ ইঞ্জিন

Share
Share

আদিবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এবং সে তার পড়াশোনার জন্য কোন কিছু নিয়ে রিসার্চ করার প্রয়োজন হলে সে সব সময়ই গুগল, ইয়াহু সহ বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে। প্রথমদিকে সে তেমন অভ্যস্ত না থাকায়, গুগল ব্যবহার করে অনলাইনে কিছু খুঁজতে আদবা’র বেশ সময় লাগতে। পরে সে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ভাইয়া, মাহির, এর কাছে এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের কৌশলটি শিখে নিয়েছিল। মাহির তাকে শিখিয়েছিল কীভাবে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে, যে জিনিসটা খুঁজছি তা সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। সময়ের সাথে সাথে সে মাহির এর কাছ থেকে সে সব শিখে খোঁজাখুঁজিতে মোটামুটি দক্ষই হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে যে সমস্ত ওয়েব সার্চ আদিবা ব্যবহার করে তার মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হলো গুগল। পাশাপাশি সে ইয়াহু, ডাকডাকগো, মাইক্রোসফট এর বিংগ ইত্যাদি ব্যবহার করে। তার দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও ইদানীং এইসব সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে কোন কিছু খুঁজে বের করতে এখন বেশ সময় লাগছে। 

সার্চ ইঞ্জিন কী?

সার্চ ইঞ্জিন বিশেষ ধরনের প্লাটফর্ম বা অনলাইনের একটি সিস্টেম যেটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ধরনের তথ্য সহজে খুঁজে পেতে পারে। এই প্লাটফর্মগুলিতে মূলত “সার্চ ইঞ্জিন” প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা হয়, যা ইন্টারনেটে বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ওয়েবসাইট, ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য কন্টেন্ট এর একটি তালিকা তৈরি করে প্রদর্শন করে এবং সেই ওয়েবসাইটের প্রথম কিছু লাইন অথবা সারাংশ প্রদর্শন করে। এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সহজেই সেই তালিকার ওয়েবসাইট থেকে তার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটি খুঁজে নিতে পারে। তবে এই কাজটি করা কিন্তু সহজ নয়। সেটির জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে (যার অপর নাম সার্চ বট) ইন্টারনেটে বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ওয়েবসাইটগুলিতে ঘুরে ঘুরে, সেই সাইটগুলিতে কি রয়েছে, সেগুলিকে সম্ভাব্য প্রযোজ্য ট্যাগ বা কিওয়ার্ড দিয়ে সংযুক্ত করতে হয়, যেন সেটি সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। প্রযুক্তিবিদরা এই কাজটিকে ইনডেক্সিং করা বলে। 

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে শুরু হল?

১৯৯০ এর দশকে যখন ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়, সেই সময়েই অনলাইনে অসংখ্য ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্যগুলি আসা শুরু করলে, সেখানে নিজের প্রয়োজনমতো তথ্যকে খুঁজে পাওয়ার পদ্ধতির প্রয়োজন দেখা দিল। সেই সময়ে প্রথম যাত্রা শুরু করে আর্চি (Archie) ১৯৯০ সনে, এরপরে ভেরোনিকা (Veronica) শুরু হয় ১৯৯২ সনের দিকে। ছাত্রদের হাতে তৈরি এই দুটিই ছিল সেই সময়ে কোন কিছু খোঁজার একমাত্র উপায় বা সার্চ ইঞ্জিন। 

পরবর্তীতে ইয়াহু (Yahoo!) বাণিজ্যিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে আনে ১৯৯৫ সনে এবং গুগল নিয়ে আনে ১৯৯৮ সনে। ইয়াহু মূলত অনলাইনের সাইটগুলিকে বিভিন্ন বিষয়ের ডিরেকক্টরি তৈরি করে বাজার দখল করে রেখেছিল। এতে কোনো বিষয়ের ওয়েবসাইট খুঁজতে গেলে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট সহজেই পাওয়া যেত। কিন্তু এটি প্রথমদিকে কর্মীরা ম্যানুয়ালি ভিজিট করে করে সেই ওয়েবসাইটগুলিকে সংশ্লিষ্ট ডিরেক্টরিতে রাখত।  কিন্তু মানুষ দিয়ে কাজগুলি করাটা বেশ শ্রমসাধ্য ছিল, কেননা প্রতিদিনই অসংখ্য ওয়েবসাইট অনলাইনে আসতে রাখলো যা মানুষের পক্ষে করাটা কঠিন হয়ে গেল। 

সেই সমস্যা সমাধানের জন্য আর্চি প্রথম সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম তৈরি করে যেন ব্যাপারটা সহজ হয়। পাশাপাশি ওয়েবক্রাউলার (WebCrawler) ১৯৯৪ সনে এই প্রযুক্তি আরো উন্নয়ন সাধন করে।  কিন্তু গুগল এর ল্যারি এবং সার্গে তাদের PageRank অ্যালগরিদম দিয়েই অটোমেটিকভাবে এই কাজটি দ্রুততার সাথে করতে পারল এবং এরপর থেকে সেটিই এখনকার বিশ্বে সব থেকে বেশী ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন। 

– “তুমি জানো কি, গুগলে প্রতিদিন কতগুলি সার্চ করার রিকুয়েস্ট বা অনুরোধ আসে?” – আদিবা-কে জিজ্ঞেস করলো মাহির।

– জানি না, কত হবে আবার? 

– দেখি একটু ধারণা কর – মাহির বলল।

– হুম.. কয়েক মিলিয়ন হতে পারে!

– না হলো না। তুমি শুনলে অবাক হবে, প্রতিদিন এটিতে আসে প্রায় ৮.৫ বিলিয়ন ৮৫০ কোটি সার্চ অনুরোধ। কিংবা বলা যায় প্রতি সেকেন্ডে ১০০ হাজারটি সার্চ অনুরোধ আসে। ভাবা যায়! কি বিশাল দক্ষযজ্ঞ!” – মাহির বলল।   (তথ্যসূত্র: https://seo.ai/blog/how-many-people-use-google) । 

গুগলের পাশাপাশি আরো কিছু সার্চ ইঞ্জিন এর তালিকা নিম্নরূপ:

  • ইয়াহু (Yahoo): ১৯৯৪ সালে চালু হওয়া একটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন।
  • লাইকস (Lycos) ১৯৯৪ সনে কর্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের যা বিশাল ইনডেক্স তৈরি করে।
  • ১৯৯৫ সনে যাত্রা শুরু করে সমসাময়িক কিছু ওয়েব সার্চ: Excite , AltaVista, Inktomi
  • বাইডু (Baidu): চীনে প্রাধান্য পাওয়া সার্চ ইঞ্জিন, ২০০০ সালে চালু হয়।
  • বিং (Bing): মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিন, যা ২০০৯ সালে চালু হয়।
  • ডাকডাকগো (DuckDuckGo): ২০০৮ সনে যাত্রা শুরু করে। মূলত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেয় বলে বেশ পরিচিত। 
  • এছাড়া আরো কিছু ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন হল: AOL, Naver, Ask.com, Ecosia, Yandex সহ আরো বেশ কিছু। 

সার্চ ইঞ্জিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ

আমাদের গল্পের আদিবা লক্ষ্য করল বর্তমানে আর সাধারণ সার্চ ইজ্ঞিনগুলি ভালো কাজ করছে না। অনেক সময়ই পড়াশুনার জন্য তাকে অনেক কিছু খুঁজতে হয় এবং একটু বেশী সময় লাগালে বাবার বকুনি খেতে হয়। সেই সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য সে ফোন করলো মাহিরকে। 

– “ভাইয়া, অনলাইনে সার্চ করতে অনেক সময় লাগছে। আমার কিছুকিছু জিনিস দ্রুত বোঝার জন্য কি করা যায়, বলতো?”- আদিবা জিজ্ঞেস করলো মাহিরকে। 

– মাহির: “কেমন সমস্যা?”

– মনে করো, আমি জানতে চাই উভচর প্রাণী কি এবং তার কিছু উদাহরণ। এখন এই তথ্যটি অনলাইনে সার্চ করলে গুগল আমাকে একগাদা লিস্ট দেয়। এই লিস্ট ধরে ধরে একটি একটি করে চেক করে দেখতে হয় সেখানে আমি যেই তথ্যটা খুঁজছি তা আছে কিনা? অনেকগুলি ট্যাব খুলে রেখে এত ঝামেলা। যদিও গুগল যে লিস্ট দেয় তা থেকেই মোটামুটি খুঁজে পাওয়া যায়, কিন্তু তারপরেও তো খুঁজতে হয়, তাই না!- আদিবা বললো 

– তুমি কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেছো? – মাহির জিজ্ঞেস করলো।

– আদিবা: সেটা আবার কি? 

– সেটা হল সার্চ ইঞ্জিনের সাথেই নতুন প্রযুক্তির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যালগরিদম কাজ করবে। সেই তোমার হয়ে বিভিন্ন সাইটটি দেখে তোমাকে সারাংশটা বলে দেবে। 

এর পরে আদিবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কিছু সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সত্যিই অবাক হল। এটি তাকে দ্রুত তার কাঙ্খিত উত্তরটি খুঁজে দিতে পারছে। আর আব্বুর কাছে বকা খেতে হয়না এই বলে যে, পড়াশুনা বাদ দিয়ে সে শুধু অনলাইনেই সময় নষ্ট করছে। 

সে এই বিষয়ে আরেকটু পড়াশুনা করে বুঝতে পারলো যে, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিনগুলি ব্যবহারকারী কি খোঁজ করছে তা বুঝতে পারে। আর তাই এটি আরো বিস্তারিতভাবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য দিতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পক্ষে এই কাজটি সম্ভব হয়েছে এন.এল.পি. (NLP, Natural language processing) নামে একটি প্রযুক্তির কল্যাণে। 

কম্পিউটারের ভাষা বোঝার ক্ষমতা: এন.এল.পি.

কম্পিউটারকে কোন ইন্সট্রাকশন বা কমান্ড দেবার জন্য কম্পিউটারের ভাষা, যাকে আমরা পোগ্রামিং ভাষা বলি, সেই ভাষাতে কোড করে কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিতে হয়। এন.এল.পি. বা ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং হল ভাষা সংক্রান্ত একটি প্রযুক্তি যার ফলে কম্পিউটার এর পক্ষে মানুষের ব্যবহৃত ভাষাটি সহজে বুঝতে পারে। অর্থাৎ কোডিং নয়, কম্পিউটার সরাসরি আমাদের ভাষাটি বুঝতে পারবে। আমরা মোবাইলে গুগল ভয়েস কিংবা এ্যপল এর সিরি ব্যবহার করে যখন সেগুলিকে কোন ইন্সট্রাকশন দিই তখন এই এন.এল.পি প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার আমাদের ইন্সট্রাকশনগুলি বুঝতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সরাসরি বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রয়োগ যদিও কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে তবে এই এন.এল.পি. প্রযুক্তি কিন্তু অনেক পুরোনো। সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই এটি নিয়ে কাজ হচ্ছে। তবে সব থেকে অগ্রগামী দুজন গবেষক হল Noam Chomsky এবং John McCarthy যারা ১৯৫৭ এর দিকে এটি নিয়ে কাজ করেন। তবে আমাদের মাতৃভাষা কিন্তু বসে নেই। অনেক উদ্যোগী প্রযুক্তিবিদরা এটি নিয়ে কাজ করছেন। 

  • BNLP: A natural language processing toolkit specifically designed for the Bengali language.
  • BanglaBERT: A pre-trained language model for Bangla, similar to BERT.
  • BanglaT5: A model for natural language generation tasks in Bangla.
  • Bangla Word2Vec: Implementations using skip-gram approach for word embeddings.

এনএলপি কিভাবে কাজ করে? 

আমরা যখন কোন কিছু লিখি বা বলি তখন একই কথা অনেক ভাবেই আমরা বলি কিংবা লিখি। সম্ভাব্য যত ভাবেই বলি না কেন কম্পিউটার সেটিকে বুঝতে পারে এই এনএলপি প্রযুক্তির মাধ্যমে। এনএলপি প্রযুক্তি এর মাধ্যমে কম্পিউটার সরাসরি মানুষের ভাষা বুঝতে সক্ষম হয়। এবং আমাদের ব্যবহৃত ভাষায় যে বিভিন্ন শব্দার্থ, অর্থ, সিনট্যাক্স বা কাঠামো, এবং প্রসঙ্গ থাকে সেটিও বুঝতে পারে। 

এটি কম্পিউটারকে মানুষের ভাষা ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। ফলে ইনপুট পার্সিং, অর্থ নির্ধারণ এবং অন্য ফরম্যাট বা ভাষায় অনুবাদ করতে পারে। এনএলপি দিয়ে যে কম্পিউটার মানুষের ভাষা বুঝতে পারে, তাই নয়, এই প্রযুক্তির ফলে কম্পিউটার মানুষের মতন লিখে প্রকাশ বা টেক্সট জেনারেশন করতে পারে।

  • ভয়েস-চালিত জিপিএস সিস্টেম
  • ডিজিটাল সহকারী
  • স্পিচ-টু-টেক্সট ডিক্টেশন
  • ভার্চুয়াল সহকারী যেমন আলেক্সা, সিরি ইত্যাদি

বর্তমানে এনএলপি-এর অধিকাংশ কাজ মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিগুলি বৃহৎ পরিমাণ ভাষা’র ডাটা (টেক্সট, ভয়েস বা লেখা) বিশ্লেষণ করে মেশিনকে মানুষের মতো ভাষা-জ্ঞান প্রদান করে।

নিম্নে কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিনের তালিকা দেয়া হল:

  • বিং: মাইক্রোসফটের বিং সার্চ ইঞ্জিন গুগলের প্রতিযোগী হিসেবে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি মাল্টিমিডিয়া সার্চ এবং ভিজ্যুয়াল ফলাফল প্রদানে বিশেষভাবে পারদর্শী। এটি ওপেনএআই এর ChatGPT প্রযুক্তি ব্যবহার করে।  
  • বাইডু: চীনে সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন বাইডু যেটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি চীনা ভাষায় অনুসন্ধান এবং চীনা ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষায়িত ফলাফল প্রদানে দক্ষ।
  • Perplexity AI: ২০২২ সনে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই সার্চ ইঞ্জিনটি যাত্রা শুরু করে এবং বহুল আলোচিত হয়। বর্তমানে এর বাজার মূল্য এক বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সম্ভবত এটিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সব থেকে ভালো সার্চ ইঞ্জিন।  
  • জেমিনি: আমাদের সবার পরিচিত গুগল-ও বসে নেই। তারাও এই নতুন ধরনের সার্চ ইঞ্জিনে পিছিয়ে পড়তে নারাজ। গুগল নিয়ে এনেছে নতুন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিন। 
  • এছাড়া আরো কিছু নতুন এই ধরনের সার্চ ইঞ্জিন হল: https://komo.ai/, https://yep.com/, https://www.phind.com/ , https://you.com/ 

চিত্র: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিন পারপ্লেক্সিটি তে খোঁজা হয়েছে মোবাইল ফোন কীভাবে কাজ করে। শুধু মাত্র “মোবাইল কীভাবে কাজ করে” লিখলেও এটি বুঝতে পারছে যে ব্যবহারকারী মূলত ফোন সম্বন্ধে জানতে চেয়েছে। উপরে বেশ কিছু রেফারেন্স সংযুক্ত করেছে এবং এরপরে এটি সম্বন্ধে সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছে। একদম শেষে এই সংশ্লিষ্ট আরো কি কি প্রশ্ন হতে পারে তার একটি তালিকা দিয়েছে, ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই পরের সার্চগুলিতে যেতে পারে। এইভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারীকে একটি সুন্দর ব্যবহারের ভ্রমণ উপহার দেয়। 

মাহির আদিবাকে এই নতুন ধরনের সার্চ ইঞ্জিনগুলি ব্যবহার করতে বললো। আদিবা এই সার্চ ইঞ্জিনগুলি ব্যবহার করা শুরু করলো এবং তার কাছে বিশেষ করে পারপ্লেক্সিটি বেশ ভালো লাগলো। এটি ব্যবহার করে খুব সহজেই তার তথ্যগুলিকে খোঁজে পেয়েছে। এর বিশেষ যে গুণটি ভালো লাগলো তা হলো সে যেটি খুঁজছে সেটির একটি সুন্দর সারমর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা করে দেয়, এবং সেই সাথে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের লিংকগুলি দেয়। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করছে, এবং সার্চ ইঞ্জিন এর ব্যতিক্রম নয়। প্রথাগত সার্চ ইঞ্জিন, যা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের অনলাইনে তথ্য অনুসন্ধানের প্রধান উপায় ছিল, এখন এই উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিস্টেমের প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। এই নতুন প্রযুক্তিগুলি শুধুমাত্র আরও নির্ভুল ফলাফল নয়, তথ্যের সাথে মিথস্ক্রিয়ার একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতির ফলাফল আমাদেরকে দিতে সক্ষম হচ্ছে। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথ্য অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ব্যবহারকারী ইনপুটের উপর নির্ভর করার পরিবর্তে, এআই ব্যবহারকারীর আচরণ, পছন্দ এবং পূর্ববর্তী অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো অনুমান করতে পারে। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সুবিধা সমূহ:

নতুন এই ধরনের সার্চ ইঞ্জিনে বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়।

  • ব্যক্তিগত ফলাফল: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারীদের আগের অনুসন্ধান ও ব্যবহারের তথ্যের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত ফলাফল প্রদান করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীর আচরণ বুঝে সেই অনুযায়ী সার্চের উত্তরগুলিকে কাস্টমাইজ করতে পারে, যা এটিকে আরও প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকর করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি প্রায় রান্নার রেসিপি অনুসন্ধান করেন তবে তারা এমন ফলাফল পাবে যা কেউ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে প্রযুক্তিগত তথ্য খুঁজছেন তার থেকে আলাদা।
  • ভাষাগত বৈচিত্র্য: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেহেতু বিভিন্ন ভাষা বুঝতে পারে তাই ইংরেজির পাশাপাশি এটি যে কোন ভাষায় তার জন্য তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন ভাষার তথ্য বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনে সক্ষম, যা সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
  • নির্ভুলতা এবং দক্ষতা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইঞ্জিনগুলি তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় নির্ভুলতা এবং দক্ষতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে ব্যবহারকারীদের সময় এবং পরিশ্রম বাঁচায়।
  • ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সার্চ: প্রেডিকটিভ বা ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সার্চ বলতে বোঝায় যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি প্রশ্ন সম্পূর্ণ টাইপ করার আগেও সে আপনাকে পরামর্শ দিতে পারে। এই পরামর্শগুলি ব্যবহারকারীর সার্চ ইতিহাস, প্রবণতা বিষয় এবং এমনকি দিনের সময়ের উপর ভিত্তি করে। এই বৈশিষ্ট্যটি শুধু মাত্র সময় বাঁচায় না, এটি ব্যবহারকারীদের এমন তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে যা সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। 
  • ভয়েস সার্চ: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেহেতু এনএলপি প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের কথ্য ভাষাকে বুঝতে পারে, তাই ভয়েস সার্চ ক্রমবর্ধমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সিরি, এবং আলেক্সার মতো  নতুন সিস্টেমগুলি ব্যবহারকারীদের মুখের ভাষা ব্যবহার করে অনুসন্ধান করতে দেয়, ফলে যারা প্রযুক্তি সম্পর্কে খুব একটা জানেনা না কিংবা যাদের  টাইপ করতে সমস্যা হয় তাদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। 
  • দক্ষতা এবং গতি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চালিত সার্চ ইঞ্জিনগুলি সনাতন সার্চ ইঞ্জিনের থেকে অনেক দ্রুত। তারা রিয়েল-টাইম বা তাৎক্ষণিকভাবে আরো দ্রুততার সাথে অনুসন্ধান করতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট ফলাফল দিতে পারে। এর ফলে আজকের এই মুহূর্তের খবর সংক্রান্ত তথ্যগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরো দ্রুত আমাদেরকে দিতে পারে। 

এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত জানতো আদিবা মাহিরকে ফোন করলো।

– ভাইয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্বন্ধে অনেক কিছুই তো জানলাম। কিন্তু এর ভবিষ্যতটা কি? 

– “তুমি কি ভবিষ্যতে এটা আর কীভাবে ব্যবহৃত হতে পারে তা জানতে চাও?” – মাহির প্রতিউত্তরে জানতে চাইলো

– “হ্যাঁ, সেটাই”।

– মাহির বলল, “আসলে তা বলা কঠিন। তবে একটি কথা বলা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এটি নতুন নতুন তথ্য থেকে দ্রুত সে শিখতে পারে। ফলে তার দেয়া সার্চের উত্তর ধীরে ধীরে আরো তথ্যের সংযুক্তিতে আরো বেশি স্মার্ট হয়ে উঠে।” 

– তাহলে তো বেশ হবে – আদিবা বলল।

– সেটা সময়ই বলবে, ভালো না মন্দ হবে। তবে এটা ঠিক যে আমাদের সামনের বিশ্বকে ভীষণভাবে পরিবর্তন করবে। আদিবা, কোন একদিন আসবে যে আমি ফোনে কথা বলবো না, কথা বলবে আমার মস্তিষ্ক দিয়ে গড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

– এই ভাইয়া, যাহ। তুমি আমাকে খুব ভয় পাইয়ে দিলে। আমি সত্যিই তো মাহির ভাইয়ার সাথে কথা বলছি?

– কি জানি! – বলে মাহির ফোনটি রেখে দিল।

আদিবা অবাক হয়ে তা নিয়ে ভাবতে বসলো। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যালেঞ্জগুলি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের এতসব সুবিধা থাকলেও এর বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন,

  • গোপনীয়তা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই অনুযায়ী ফলাফল প্রদান করে, যা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার জন্য হুমকি হতে পারে।
  • স্বচ্ছতা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সবসময় স্বচ্ছ নয়, যা ব্যবহারকারীদের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি করতে পারে।
  • প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা: যেহেতু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এখন ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই প্রযুক্তির উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতার ঝুঁকি রয়েছে। ব্যবহারকারীরা স্বাধীনভাবে তথ্য খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে কম দক্ষ হতে পারে, যার ফলে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এর দক্ষতা আমরা হারাতে পারে।
  • ভুল তথ্য: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে সব তথ্যগুলি থেকে এটি প্রশিক্ষিত হয়, সেই সব তথ্যে অনেক ভুল থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রশিক্ষণের জন্য বেশী ব্যবহৃত হয় উইকিপিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের তথ্য। এটি অনস্বীকার্য যে এইগুলিতে অসংখ্য তথ্যগত ভুল এবং তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। একজন বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন যে উইকিপিডিয়ায় প্রায় ৩% তথ্য ভুল রয়েছে। সোসাল মিডিয়ার তথ্যের ক্ষেত্রে এই পরিমাণটি ২৫% এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যগুলিতে ভুলের পরিমাণ আরো বেশি, ৪১%। (সুত্র: https://www.manageengine.com/analytics-plus/it-analytics-blogs/human-errors-in-analytics.html) । এই ভুল তথ্যগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বারবার ব্যবহার করে এবং ক্রমান্বয়ে এই ভুলের সংখ্যা আরো বাড়তে থাকে। সম্ভবত ভবিষ্যতে একটি সময়ে দেখা যাবে যে এই তথ্যগুলি এমনভাবে বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ছড়িয়ে গেছে যে সেগুলি আর সঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না। 
  • পক্ষপাতিত্ব তথ্য: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেহেতু ইংরেজি তথ্যভান্ডার এবং ওয়েবসাইট এর কনটেন্ট উপর নির্ভরশীল তাই এটিতে অনেক পক্ষপাতিত্বমূলক তথ্য রয়েছে। সেটিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিনের একটি দুর্বলতা। 
  • নৈতিক তথ্য: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যেহেতু নৈতিক জ্ঞান নেই, তাই যাকে যে তথ্যটি দেয়া উচিত নয় সেটি সে সঠিকভাবে করতে পারে না। উদাহরণ সরূপ বলা যায়, কম বয়সী ছেলেমেয়েদের যৌন তথ্যগুলি সহজেই তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, কিংবা অপরাধীদের কাছে পৌঁছে ধংসাত্মক অস্ত্র তৈরি করার তথ্য। এটি সামাজিক অবক্ষয় এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। 

এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ

ভবিষ্যতে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সাথে আরো নতুন প্রযুক্তি যেমন  অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) সংযুক্ত হতে পারে। ফলে যারা নতুন বাড়ি খুঁজছেন তারা সরাসরি ভার্চুয়াল ট্যুর সেরে নিতে সক্ষম হবেন। অনলাইনে যে সমস্ত ভাষার তথ্যভান্ডার কম, সেই ভাষাগুলিতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অন্যান্য ভাষার তথ্যগুলি অনুবাদ করে সেই ভাষাভাষীদের আরো সেবা দিতে পারে। ভবিষ্যতে ভাষা কারো জন্য কোনো দেয়ালের মতন বাধা হবে না। এর হবে না। 

পরিশেষ

আদিবা শুধু নয় তার মতন অসংখ্য ব্যবহারকারী এখন সাধারন ওয়েবসার্চ এর পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত ওয়েব সার্চ এর দিকে ঝুকছে। সার্চ ইঞ্জিনের নতুন এই অগ্রযাত্রা আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠছে। ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য নতুন প্রযুক্তির সংযোজন সার্চ ইঞ্জিনকে আরও উন্নত ও কার্যকর করে তুলবে।

তথ্যসুত্র:

১. https://testbook.com/question-answer/bn/natural-language-processing-nlp-is-a-branch-of-a–642ecd78287ded9f7204594d 

২.  https://bn.martech.zone/acronym/nlp/ 

৩. https://bn.shaip.com/blog/difference-between-nlp-nlu-and-nlg/

৪. https://www.linkedin.com/pulse/nlp-tanveer-shawn-cht-mnlp 

৫. https://howtoresearch.gitbook.io/home/fields/nlp 

Share
Written by
ড. মশিউর রহমান -

ড. মশিউর রহমান বিজ্ঞানী.অর্গ এর cofounder যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সনে। পেশাগত জীবনে কাজ করেছেন প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী ও শিক্ষক হিসাবে আমেরিকা, জাপান, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন ডিজিটাল হেল্থকেয়ারে যেখানে তার টিম তথ্যকে ব্যবহার করছেন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার জন্য। বিস্তারিত এর জন্য দেখুন: DrMashiur.com

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফ্রি ইমেইল নিউজলেটারে সাবক্রাইব করে নিন। আমাদের নতুন লেখাগুলি পৌছে যাবে আপনার ইমেইল বক্সে।

বিভাগসমুহ

Related Articles
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসাক্ষাৎকার

মোঃ ফাহিম-উল-ইসলাম

সম্প্রতি আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি মোঃ ফাহিম-উল-ইসলাম এর। তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স...

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

REMspace-এর যুগান্তকারী সাফল্য: প্রথমবারের মতো স্বপ্নের মধ্যে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ

REMspace-এর যুগান্তকারী সাফল্য: প্রথমবারের মতো স্বপ্নের মধ্যে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ: প্রবন্ধটি পড়ুন: লিওনার্দো ডি...

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসাক্ষাৎকার

ফয়সাল আহাম্মদ খান

নবীন প্রজন্মদের সাক্ষাৎকার সিরিজে এবার আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি ফয়সাল আহাম্মদ খান এর।...

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচিকিৎসা বিদ্যা

এবার সার্জারি করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা !

মনে করো তুমি তোমার মা কিংবা কাউকে নিয়ে গেছ অপারেশন থিয়েটারে কোন...

Three Columns Layout

গবেষণার তথ্য ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, বিজ্ঞানী.অর্গ নবীন প্রজন্মকে গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

Contact

biggani.org❤️gmail.com

Biggani.org connects young audiences with researchers' stories and insights, cultivating a deep interest in scientific exploration.

বিজ্ঞানী অর্গ (biggani.org) বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষণা ও বিজ্ঞান নিয়ে বাংলা ভাষায় তথ্য ও সাক্ষাৎকার প্রচার করে – নবীনদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় প্রেরণা দেয়া হয়।

যোগাযোগ:

biggani.org@জিমেইল.com

biggani.org, a community of Bangladeshi scientists, shares interviews and information about researchers and scientists in Bengali to inspire young people in research and higher education.