[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানী.অর্গ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আমাদেরকে সাক্ষাতকার দেবার জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই আপনার সম্বন্ধে আমাদের একটু বলুন।
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ আমি মালয়েশিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মেটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রফেসর হিসেবে কাজ করছি। আমি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে মেটালারজিক্যাল অ্যান্ড মেটিরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে যথাক্রমে ১৯৯২ এবং ১৯৯৪ সালে বি এস সি এবং এম এস সি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেছি। আমি ২০০১ সালে ইউনিভার্সিটি মালয়া (ইউএম) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ম্যাটেরিয়াল) এর উপর পিএইচডি অর্জন করি। ১৯৯৫ সালে মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদে প্রভাষক পদে শিক্ষকতা শুরু করি। তখন থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মালয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির (এম এম ইউ) সাথে শিক্ষা এবং গবেষণামূলক বিভিন্ন পদে জড়িত ছিলাম। ২০০৯ সালে আমি আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়াতে (আইআইইউএম) যোগদান করি এবং যথারীতি শিক্ষা, গবেষণা, তত্ত্বাবধান, প্রশাসনিক কাজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুদান এবং স্বনামধন্য জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশনার কাজে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছি।
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ আমি মালয়েশিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মেটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রফেসর হিসেবে কাজ করছি। আমি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে মেটালারজিক্যাল অ্যান্ড মেটিরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে যথাক্রমে ১৯৯২ এবং ১৯৯৪ সালে বি এস সি এবং এম এস সি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেছি। আমি ২০০১ সালে ইউনিভার্সিটি মালয়া (ইউএম) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ম্যাটেরিয়াল) এর উপর পিএইচডি অর্জন করি। ১৯৯৫ সালে মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদে প্রভাষক পদে শিক্ষকতা শুরু করি। তখন থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মালয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির (এম এম ইউ) সাথে শিক্ষা এবং গবেষণামূলক বিভিন্ন পদে জড়িত ছিলাম। ২০০৯ সালে আমি আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়াতে (আইআইইউএম) যোগদান করি এবং যথারীতি শিক্ষা, গবেষণা, তত্ত্বাবধান, প্রশাসনিক কাজ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুদান এবং স্বনামধন্য জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশনার কাজে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছি।
গবেষণায় সম্পৃক্ত থেকে আমি ৩৫০টিরও অধিক গবেষণাপত্র, ৩৩০০টিরও বেশি সাইটেশন এবং ৩০টি এইচ-ইনডেক্স সহ বহু আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় জার্নাল ও কনফারেন্সে বুক চ্যাপ্টার, পেটেন্ট, প্রকল্প প্রতিবেদন ইত্যাদি প্রকাশ করেছি।
আমার আরো অর্জনের মধ্যে রয়েছে
- ২০১৪ সালে আই আই ইউ এম থেকে প্রাপ্ত “সর্বোচ্চ সাইটেশন ইনডেক্স এ্যাওয়ার্ড”
- ২০১৩ সালে প্রাপ্ত “আই আই ইউ এম কোয়ালিটি রিসার্চ এ্যাওয়ার্ড”
- ১৯৯৯ সালে মালয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ভাইস চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড”
- ১৯৯৮ সালে মালয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “ডীনস এ্যাওয়ার্ড”
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাপ্ত আরো অসংখ্য পদক
- মালয়েশিয়ার শিল্পের মানোউন্নয়ের লক্ষ্যে আমি ২০০৯ সাল থেকে “ডিপার্টমেন্ট অফ ষ্ট্যাণ্ডার্ড মালয়েশিয়া”র গৃহীত “Alloy Steel Standardization” প্রকল্পে টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
- মালয়েশিয়া মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রকৌশল প্রোগ্রাম চালুকালীন আমি প্রতিষ্ঠাতা হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
- মালায়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু প্রকল্প ও কাজে পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছি। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ কে আপনাকে গবেষক হতে উৎসাহিত করল?
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ আমি সৌভাগ্যশালী যে গবেষণায় প্রথম থেকেই আমি খুবই উদ্বুদ্ধ ছিলাম। গবেষণা থেকে অসাধারণ একটা ফলাফলে উপনীত হওয়া এবং গবেষণা দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে চ্যালেঞ্জিং একটা মনোভাব তখন থেকেই আমার মধ্যে তৈরি হয়েছিল। বুয়েট থেকে বি এস সি এবং এম এস সি ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে “Tribology of Automotive Engine” বিষয়ের উপর আমি পি এইচ ডি ডিগ্রী শুরু করি। পাশাপাশি আমি একজন একাডেমিক স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমি অনুভব করলাম, গবেষণা শুধুই একটা সীমাবদ্ধ গণ্ডির মধ্যে থাকা নয়, প্রশ্ন করার(জানার) এটা একটা সুযোগ। গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে বর্তমান সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতে আমাদের জীবন নৈতিকতা ও আদর্শের সাথে গড়ে তোলা।
এছাড়াও আমার এম এস সি ও পি এইচ ডি অধীক্ষক মহোদয়গণ একজন সফল গবেষক হতে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি দীর্ঘদিন International Islamic University Malaysia এ শিক্ষকতা ও গবেষণার সাথে যুক্ত। কেমন লাগলো এই দীর্ঘ যাত্রাপথ?
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ আমি আগেই বলেছি, আমার একাডেমিক ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৫ সালে, মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, তারপর মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত আছি আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো সাম্প্রতিক দশটা বছর আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। শিক্ষকতা ও গবেষণায় পদার্পণ যদিও ১৯৯৫ সালে তারপরও এখানে যোগদান করার পর আমি আমার ক্যারিয়ারের নকশা দেখতে পেলাম এবং আমি এটি উপভোগ করছি। ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় আমার শিক্ষকতা ও গবেষণাকে এতটা বছর ধরে মূল্যায়ন করে আসছে এবং আমাকে বিভিন্নভাবে সম্মাননা জানিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আমাকে প্রফেসর পদে উন্নীত করা, অসংখ্য প্রশাসনিক দায়িত্ব অর্পণ করা, অসংখ্য অসাধারণ পদকে ভূষিত করা, অসংখ্য পি এইচ ডি এবং মাস্টার্স পর্যায়ের(আরো রয়েছে পোস্ট ডক্টরাল) ছাত্র তৈরিতে আই আই ইউ এম আমাকে সুযোগ করে দেয়।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার করছেন। কি ধরনের গবেষণা করছেন?
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ বর্তমানে আমার গবেষণা চলছে এডভান্সড ম্যাটেরিয়ালের উপর বিশেষ করে টেকসই হালকা ওজনের এবং শক্তি সঞ্চয়কারী ম্যাটেরিয়ালের উপর। আসল লক্ষ্য হচ্ছে স্বয়ংচালিত যন্ত্রাংশের জন্য হালকা ওজনের যৌগিক পদার্থের উন্নয়ন যেন কোনপ্রকার পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি ব্যতিরেকেই ম্যাটেরিয়ালটি দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে। পাশাপাশি, যৌগিক লেপনের(composite coating) জন্য আমি একটি কৌশল আবিষ্কার করেছি। উচ্চ তাপমাত্রা ও প্রতিকূল পরিবেশ বিশিষ্ট যন্ত্রাংশ যেমনঃ গ্যাস-টার্বাইন ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের ধাতব স্তরের উপর যৌগিক লেপনের জন্য এ কৌশল অত্যন্ত সহজ, সুলভ এবং দ্রুত।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ যেহেতু আপনি এই প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ করছেন তাই জানতে চাচ্ছিলাম এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ আপনি কিভাবে দেখেন।
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল বলে আমি মনে করি। হালকা ওজনের যৌগিক পদার্থের উন্নয়নের জন্য আমরা কাঁচামাল হিসেবে বর্জ্য ব্যবহার করছি যা একই সাথে শক্তির নবায়নযোগ্য উৎস। যৌগিক লেপনের (composite coating) জন্য আমরা গতানুগতিক ধারাকেই বেছে নিয়েছি। অতঃপর আমি বলতে চাই এটি নবায়নযোগ্য এবং এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। এ গবেষণা জাতিসংঘের “Sustainable Development Goal (SDG)” প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন এ গবেষণা পেটেন্ট করা হয়েছে।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি বেশ কিছু টেক্সট বই প্রকাশিত করেছেন। সেগুলি সম্বন্ধে বলুন।
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ হ্যাঁ, আমার প্রকাশিত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে দুটি পাঠ্যবই, পঁচিশটি বুক চ্যাপ্টার, আটটি সম্পাদিত বই। এর মধ্যে একটি পাঠ্যবই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় আর অন্যগুলো আমার গবেষণাভিত্তিক যা সারা বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ও গবেষণা খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমার গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে আমি সাতটি পেটেন্ট দাখিল করেছি। আন্তর্জাতিক জার্নালসমূহে আমার তিনশরও অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে আমি বিশটিরও অধিক পণ্য উপস্থাপন করেছি। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ Encyclopedia of Renewable and Sustainable Materials বইটি সম্বন্ধে আমরা খুব আগ্রহী। Renewable and Sustainable Materials বা পদার্থ বলতে কোনগুলিকে বোঝায়?
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ “Encyclopedia of Renewable and Sustainable Materials”- বইটি শিক্ষার্থী থেকে গবেষক পর্যন্ত, পেশাদার যারা শিক্ষার সাথে জড়িত অথবা নবায়নযোগ্য ও টেকসই উপাদান সম্পর্কিত ক্ষেত্রের সাথে জড়িত, প্রত্যেকের জন্যই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স বই। ELSEVIER Ltd. (http:/www.elsevier.com) এ বইয়ের প্রকাশক। আসল উদ্দেশ্য ছিল চিরাচরিত প্রকৌশল গবেষণার ধারণা থেকে বেরিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে বইটিকে পাঠক মহলে পরিচিত করানো। বইটিতে বাড়তি যেসমস্ত সংযোজন রয়েছে তা এজন্য যাতে পাঠককে অন্য কোন উৎস থেকে তথ্য তালাশ করতে না হয়। সর্বোপরি বইটিকে পূর্ণাঙ্গ একটি বই হিসেবে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। বইটিতে “Renewable and Sustainable Materials” সম্পর্কীয় সর্বশেষ কি গবেষণা হচ্ছে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং একবিংশ শতাব্দীতে এসে এর ব্যাপকতা খুবই ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। বইটির গবেষণা মান অত্যন্ত উঁচু।
নবায়নযোগ্য উপাদান() বলতে আমরা কৃষিজ পণ্যকে(আঁশ কিংবা প্রাণীজ) বুঝি যা দশ বছর বা তারও কম সময়ে বৃদ্ধি পায়। এগুলোকে চাষ করা হয় । উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি বাঁশ, খড়, ভুষি,কর্ক, খাঁটি লিনোলিয়াম পণ্য, তুলা,……ইত্যাদি।
অপরদিকে, টেকসই ম্যাটেরিয়াল() হচ্ছে সেসব পণ্য যারা তাদের সম্পূর্ণ জীবনচক্র জুড়েই আমাদেরকে পরিবেশগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশকে নিরাপত্তা দেয়।
“Renewable and Sustainable Materials” এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি দালানকোঠা, যন্ত্রাংশ ও স্থাপনার ক্ষুদ্র কাঠামো যেমন অটোমোটিভ ও এরোস্পেস ইনজিন ইত্যাদি তৈরিতে। এ উপাদান অনবায়নযোগ্য উৎসের কোনপ্রকার ক্ষতি ব্যতিরেকেই তৈরি করা হয়। বায়োগ্যাস, পলিমারস এবং উচ্চ রিসাইকেল ম্যাটেরিয়ালস এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি যদিও অনেক বছর ধরে গবেষণা করে এলেন, তারপরেও পরবর্তীতে কি নিয়ে কাজ করতে চান?
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ ভবিষ্যতে কি নিয়ে কাজ করব তা নির্ভর করছে এখন কি করছি তার উপর। যেভাবে প্রযুক্তির পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে প্রতিদিন এবং সে অনুযায়ী বাজারের চাহিদা কি তা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপাতত ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে ন্যানো উপাদান এবং তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটির কথা বলতে পারি। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ তরুণ শিক্ষার্থী যারা গবেষক হতে চায় তাদের জন্য আপনার কোন উপদেশ বা বক্তব্য কি?
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রথমেই বলব জিজ্ঞাসু মানসিকতা তৈরি করতে। আসলে ভবিষ্যতে তারা কি করতে চায়? যদি একজন ভালো গবেষক হতে চায় এবং গবেষণাকে একটা পেশা হিসেবে বেছে নিতে চায় তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে যেন উচ্চতর ডিগ্রী(পি এইচ ডি) অর্জন করে। গবেষণায় লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য। শিক্ষাজীবন জুড়ে সকল পরীক্ষায় নিজের মেধা ও মননশীলতার পরিচয় যেন তারা দিতে পারে। এজন্য তাদের আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তবেই তারা ব্যক্তিগতভাবে একজন গবেষক হিসেবে কিংবা গবেষক দলের একজন সদস্য হিসেবে ভালো করতে পারবে। আমি নিশ্চিত যে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের চাইতেও ভালো করবে ইনশাআল্লাহ্। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ গবেষকদের মাস্টার্স ও পিএইচডি তে ভর্তি হবার সুযোগ আছে কি? কোথায় যোগাযোগ করবে এবং এর জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে?
প্রফেসর ড. আব্দুল মালেকঃ হ্যাঁ, মাস্টার্স ও পি এইচ ডি করার অনেক সুযোগ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। সারাবছর জুড়ে আবেদনের সুযোগ আছে এবং আগামী সেমিস্টারের জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। আরো তথ্য জানতে চোখ রাখুন “International Student Admission Unit, International Islamic University Malaysia” অথবা ইমেইল করতে পারেন “[email protected]”
উচ্চতর শিক্ষার জন্য ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট কোন একাডেমিক স্টাফকেও যোগাযোগ করা যেতে পারে। [/box]
[divider style=”solid” top=”20″ bottom=”20″]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো নতুন নতুন সংবাদ জানতে সাবস্ক্রাইব করুন।
[mc4wp_form id=”3448″]
Leave a comment