সাক্ষাৎকারঃ ড. মোহাম্মদ রাসেল

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানী.অর্গ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আমাদেরকে সাক্ষাতকার দেবার জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই আপনার সম্বন্ধে আমাদের একটু বলুন।

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ বিজ্ঞানী.অর্গ কে ও আমার পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আমি ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করি। ঢাকার মতিঝিল মডেল হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি এবং তিতুমীর সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই ১৯৯৫ এবং ১৯৯৭ সালে যথাক্রমে। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলোজি ইন্সটিটিউট থেকে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে বি.এস.সি সনদ অর্জন করি কৃতিত্বের সাথে। বি.এস.সি শেষ করার পর একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে যোগদান করি। বছর দেড়েক চাকরি করার পর মনে হল নতুন কিছু শিখতে পারছিনা। চাকরি টা ছিল আমার বি.এস.সি বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মী কাজ, কাজটা খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলি। তাই নতুন কিছু শিখার জন্য একমাত্র উপায় হলো উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা। তখন মনস্থির করলাম বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়তে যাব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শুরু করলাম। সর্বপ্রথম চীন থেকে একটি অফার পেলাম। বৃত্তিটা আবেদন করেছিলাম আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিজ্ঞপ্তি দেখে। সেটা ২০০৬ সালের কথা। তখন ও চায়না খুব একটা জনপ্রিয়  দেশ ছিলনা উচ্চ শিক্ষার জন্য। তখন একটাই চিন্তা ছিল আমার মাথায় যেটা যে দেশেই হোক না কেন আমি সেখানে গিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করব। তাই যখন চায়না থেকে প্রথম বৃত্তির অফার পেলাম নির্দ্বিধায় তা গ্রহণ করলাম এবং চীনে এম এস সি পড়ার জন্য পরিবেশ বিদ্যা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ভর্তি হলাম চায়নার “Chinese University of Geoscience” বিশ্ববিদ্যালয়ে।

 

২০০৯ এর জুলাই এ কৃতিত্বের সাথে এম এস সি ডিগ্রী অর্জন করি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Phd Distingushed Fellowship অর্জন করি। কারণ আমার M.sc Thesis Paper “Outstanding Thesis Award” পেয়েছিল তখন। একই সময় Newzealand এবং Slovenia থেকে ও Phd Research Fellowship পেলাম। আমার Phd এর প্রথম দুই বছর Newzealand এর Waikato University এবং Agrsearch Institute এ গবেষণা করি। গবেষণার পাশাপাশি ২০১০ এ United Nation Head Quarter এ ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাই এবং সফলভাবে U N Headquarter থেকে ইন্টার্নশিপ শেষ করি। ২০১২ এর জুলাই এ চীনের China University of Geoscience থেকে সাফল্যের সাথে Phd ডিগ্রী অর্জন করি। Phd শেষ করার পর একটি আন্তর্জাতিক চীন ভিত্তিক Consulting Firm এ যোগদান করি। সেখানে “Environmental Specialist” হিসেবে দেড় বছর কাজ করি। পাশাপাশি China Academy of Science এর Institute of Hydrobiology তে Visiting School হিসেবে কাজ করি। অভিজ্ঞতার ঝুলি যখন একটু ভারি হলো তখন “Dalian University of Technology” তে Assistant Professor হিসেবে যোগদান করি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। পাঁচ বছর কাজ করার পর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে “Associate Professor” হিসেবে পদন্নোতি লাভ করি। বর্তমানে এখানেই ফুল টাইম পার্মানেন্ট ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসাবে কাজ করছি।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ কে আপনাকে বিজ্ঞানী হতে উদ্বুদ্ধ করল?

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ দেখুন আমি খুব সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করি। অনেক চড়াই উতরাই পার হয়ে এখানে আসতে হয়েছে। আমি মনে করি আমার অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমই আমাকে বিজ্ঞানী হতে উদ্বুদ্ধ করে। আরেকটা ব্যাপার যেটা শেয়ার না করলেই না। ছোটবেলা থেকেই নতুনের প্রতি খুব আগ্রহ ছিল। কোন কিছু নতুন হলে ওটা আমাকে ট্রাই করতে হবে এই ধরনের একটা মনোভাব কাজ করত আমার ভিতরে। আর খুব সহজে প্রযুক্তির যে কোন পরিবর্তন বা প্রভাব আমার জানার আগ্রহ বাড়িয়ে দিত। আমার ছোট বেলার বেড়ে উঠার পরিবেশ, ভাবনা এবং সামাজিক আচরণই/ প্রভাব আমাকে বিজ্ঞানী হতে উদ্বুদ্ধ করে।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি কোথায় ও কি বিষয়ের উপর পিএইচডি করেছেন?

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ আমি জয়েন্ট পিএইচডি প্রোগ্রামে চীন এবং নিউজিল্যান্ড “ Environmental Science & Engineering” বিষয়ে  Phd করি। আমার Phd এর গবেষণার টাইটেল ছিল “Studying the geomicrobial behaviours of Enviromental Pollutants using combine Method”। এর মধ্যে Slovenian “University of Novagonica” থেকে ও এক বছরের জন্য Research Exchange Fellowship পাই।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি বর্তমানে চীনের Dalian University of Technology তে শিক্ষকতা ও গবেষণা করছেন। এই প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে বলুন। এখন আপনি কি গবেষণা করছে?

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ Dalian University of Technology (DUT) একটি স্বনামধন্য  বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সকল বিষয়ে পড়ার জন্য। এটি একটি World Ranking University, যার র‍্যাংকিং QSI ভিত্তিতে ৩৪৬, লোকাল র‍্যাংকিং এ ২২ এবং সাবজেক্ট ভিত্তিক র‍্যাংকিং এ ১২১। DUT তে ৭৭ টি Undergraduate Programe চালু আছে। তার মধ্যে ২৩ টি প্রোগ্রাম  National Special Program। বর্তমানে DUT তে ৪২,০৪১ জন ফুল টাইম স্টুডেন্ট অধ্যয়নরত আছে। যার মধ্যে ৪,৮৩৬ পিএইচডি স্টুডেন্ট, ১০,৮৯৩ জন মাস্টার্স স্টুডেন্ট, ২৫৩৮০ জন আন্ডার গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট এবং ৮৬০ জন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অধ্যয়নরত আছেন। DUT তে বর্তমানে ৪,৩২১ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন তাদের মধ্যে ৭২৬ জন পিএইচডি  সুপারভাইজার, ৮০৮ জন ফুল প্রফেসর এবং ১০৯৮ জন Associate Professor। এখানকার অধিকাংশ শিক্ষক Highly Talented With Outstanding Abroad Experiences।

 

বর্তমানে আমার গবেষণার বিষয় হচ্ছে “Environmental Monitoring”, “Environmental risk assesment” এবং  “Environmental Remediation”। যার অন্যতম দিক হলো, আগাম, অতি দ্রুত, সহজ উপায়ে এবং Robusty Investigating the current environmental Challenges Like Solid & water pollution/ Contamination। আমার গবেষণা পরিবেশ দূষণ রক্ষায় এবং Health safety awarness বৃদ্ধি করে।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি সিগনাল ও ইমেজ প্রোসেসিং এর উপর বেশ কিছু গবেষণা করেছেন। আমাদের অনেকের কাছে এটি নতুন বিষয়। একটু এই বিষয়টি সম্বন্ধে বলুন।

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ হ্যাঁ আমার গবেষণার একটি বিষয় হচ্ছে “Sensor Device Designing & Probe developing to online Monitoring: The environmental cannot challenges”। আমার সদ্য ছাপানো একটি গবেষণা পত্র সম্পর্কে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এটি হলোঃ  পৃথিবীর স্বনামধন্য একটি বৈজ্ঞানিক জার্নাল “Analytical Chemica Acta”। এই গবেষণা মূল বিষয় হচ্ছে কিভাবে সহজ উপায়ে “Pathosenic bacteria detect” করা যায় Using High frequency dielecmic Spectroscopy method. এই কাজটি করার জন্য প্রথমে আমি একটি sensor desigb করি এবং পরে একে prototype probe হিসেবে রূপান্তর করি। যে probe টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সেটি Dielecmic Spectroscopic Signal Produce করতে পারে বিভিন্ন sample এর বিপরীতে। বিভিন্ন Sample এর Dielecmic Spectroscopic Signal ও ভিন্ন। এটা ভিন্ন Signal analysis করে Pathogenic bacterial biophysical Properties নির্ণয় করতে পারি। যা অতি সহজে “Pathogenic Bacteria” উপস্থিতি নির্ণয় করতে সুফল বয়ে আনবে। এটি Traditional Method এর চেয়ে কম সময় বহুল এবং কম ব্যয়বহুল। আমার  এই উদ্ভাবন Drinking Water Safely ও Food Safety বিষয়ে কাজে লাগানো যাবে যাতে জনসাধারণ Health Safety issue তে ব্যবহার করা যাবে।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি বেশ কিছু জার্নাল এর সম্পাদনা পরিষদে রয়েছেন। এই বৈজ্ঞানিক জার্নাল সম্বন্ধে বলুন।

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ এই বৈজ্ঞানিক জার্নাল মূলত পরিবেশ বিজ্ঞান ও পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন বিষয়ের নতুন নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির গবেষণা পত্র ছাপান। আমি মূলত এই বৈজ্ঞানিক জার্নাল এ সম্পাদনা পরিষদে Scientific Reviewer হিসেবে কাজ করি। মূলত জার্নাল গুলোর গুণগত মান বজায় রেখে বিভিন্ন Author এর গবেষণা পত্র পর্যবেক্ষণ করা এবং আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করা যেটা জার্নালে বিভিন্ন গবেষণাপত্র সঠিক সময়ে ছাপাতে সাহায্য করে।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ ভবিষ্যতে কি নিয়ে কাজ করতে চান?

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ ভবিষ্যতে পরিবেশ রক্ষার উপর আরো Innovative & novel approach নিয়ে কাজ করতে চাই। যাতে খুব সহজ উপায়ে, দ্রুত পরিবেশ দূষণ নির্ণয় এবং নিয়ন্ত্রণে সহায়তা হয়, এবং “Bioremediation”  এর উপর ও কাজ করারা ইচ্ছা আছে।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ  বাংলাদেশের অনেক বিজ্ঞানীরা এখন পশ্চিমা দেশ থেকে চীনে প্রচুর পরিমাণে শিক্ষকতা ও গবেষণাতে যুক্ত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের কারণ কি বলে মনে হয়? চীনের গবেষণার পরিবেশ সম্বন্ধে বলুন। চীনে সরকারী না বেসরকারি বিনিয়োগ বেশী। ফান্ড সম্বন্ধে বলুন।

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ জি, আপনি ঠিকই বলেছেন। শুধু বাংলাদেশের নয় বিশ্বের অনেক দেশে/এমনকি পশ্চিমা বিশ্বের Scholar রা ও চীনের দিকে ঝুকছে শিক্ষকতা ও গবেষণার জন্য। এর প্রথম কারণ হলো চীনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং দ্বিতীয় কারণ হলো ফান্ডিং প্রাচুর্যের কারণে। চীনের গবেষণার পরিবেশ অনেক উন্নত। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পশ্চিমা বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমমানের ও তার চেয়ে উন্নত গবেষণা ও শিক্ষা ব্যবস্থা আছে। এখন দেখা যাছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সাথে Research Cooperation করছে। এর একমাত্র কারণ হলো Research Facilities & Resources খুবই উন্নতমানের। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে Advanced equipment, analytical facilities are more better than western world. যেটি উন্নত বিশ্বসহ সমস্ত দেশের গবেষকদের আকর্ষণ করছে তাদের গবেষণা কার্য চীনে করার জন্য।

চীনের সরকারী বিনিয়োগ বেশি National Level, Province level এবং city level পর্যন্ত গবেষণা ফান্ডিং দেয়া হয়। আর ইউনিভার্সিটি গুলোতে Central University এর Basic Funding তো আছেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি ন্যাশনাল লেভেল এর ও কয়েকটা Central University লেভেল এর Principal Investigator হিসেবে কাজ করছি।  বেসরকারি ফান্ডিং ও আছে যা সরকারী ফান্ডিং এর তুলনায় কম। একটি জাতি ও দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করতে চীন সরকারের গবেষণা বিভাগে ফান্ডিং ই এই দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখছে। অতি শীঘ্রই এর ফল চীন সরকার পাবে এবং সারা বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের কাজে চীন মডেল স্বরূপ কাজ করে।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ চীনে যারা গবেষণা কাজে যেতে চায় তাদের জন্য কি উপদেশ দিবেন?

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ চীনে যারা গবেষণা কাজে আসতে চায় অবশ্যই বলবো এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত যেটা তাদের গবেষণায় এবং শিক্ষকতা পেশায় পেশাদারিত্বে সহায়তা করবে। বিশ্বমানের গবেষণার সুযোগ পাবে। নিজের গবেষণা কে সকল জাতির কাজে প্রকাশ করার প্রয়াস পাবে। অবশ্য তাদেরকে এর জন্য কঠোর অধ্যবসায় ও পরিশ্রম করতে হবে নিজেরকে Well Qualified & Prepared হতে হবে চীনের গবেষণা ও শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিতে চাইলে। কারণ এই পেশায় অনেক প্রতিযোগী আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি যোগ্য প্রার্থী with enough advance knowledge & Training। একটা কথা বলে রাখা ভালো এখানকার Native রাই এখন বহির্বিশ্ব থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে দেশে ফিরছে গবেষণা ও শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের জন্য। সুতরাং আপনাকে সত্যি খুব Talented, Highly trained, Innovative & Qualifed হতে হবে চীনে গবেষণা ও শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করতে হলে।

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ তরুণ শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় তাদের জন্য আপনার কোন উপদেশ বা বক্তব্য কি?

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ তরুণরাই আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তরুণরাই বিশ্ব জয় করতে পারবে। তাই তাদের প্রতি একটাই উপদেশ নিজেদের তৈরি করে তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। যদি বলেন বিজ্ঞান বিষয় সম্পর্কে, এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় বিষয় তরুণ জন্য। তবে তাদেরকে কঠোর অধ্যবসায় এবং পরিশ্রম করতে হবে এই বিষয়ে পারদর্শী এবং পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে হলে। সবচেয়ে বড় কথা হলো বিজ্ঞানকে ভালোবাসতে হবে যদি তারা বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে চায়।  

 বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুন গবেষকদের মাস্টার্স ও পিএইচডি তে ভর্তি হবার সুযোগ আছে কি? কোথায় যোগাযোগ করবে এবং এর জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে?

ড. মোহাম্মদ রাসেলঃ অবশ্যই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে তরুণ গবেষকদের মাস্টার্স এবং পিএইচডি তে ভর্তির সুযোগ আছে। এখানে তারা কয়েক ভাবে যোগাযোগ করতে পারে। প্রথমে তারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। এই ক্ষেত্রে প্রথমে DUT বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের  প্রোফাইল ভিজিট করে তাদের গবেষণার বিষয়ে ধারনা নিতে হবে ও তারপর তাদের মাস্টার্স এবং পিএইচডি গবেষণার ইচ্ছে অনুযায়ী সেই সংশ্লিষ্ট প্রফেসরদের সাথে ইমেইল করে যোগাযোগ করা এবং তাদের সম্মতি নেয়া। আরেকটা উপায় হলো CSC (Chinese Scholarship Council) Govt. Scholarship এর জন্য তাদের অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবপেইজ এ সরাসরি মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রাম এর জন্য এপ্লাই করা। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর মাধ্যমে ও চীনে পড়তে আসার জন্য স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব এড্রেসঃ www.diut.ed.cn. তাছাড়া নিজ খরচে ও সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন নেয়া যেতে পারে। মূলত মাস্টার্স এবং পিএইচডি এডমিশন এর রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করতে হবে একটি নির্দিষ্ট বয়স সীমার মধ্যে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ বি.এস.সি, এইচ. এস.সি, এস.এস.সি ভালো জিপিএ এবং ইংলিশ স্কিলড IELTS/Toefl স্কোর এবং বেসিক চীনা ভাষার দক্ষতা থাকলে আরো ভালো। আশা করি এই সব তথ্য তরুণ শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে যদি তারা চীনা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করতে চায়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো নতুন নতুন সংবাদ জানতে সাবস্ক্রাইব করুন।

নিউজডেস্ক

About নিউজডেস্ক

আমরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন খবরাখবর ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাতকার প্রকাশ করি। আপনারা কোন লেখা প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন: editor@biggani.org, biggani.org@gmail.com।

Check Also

সাক্ষাৎকার:  হেলথ ইনফরমেটিকস বিশেষজ্ঞ মো. আমিনুল ইসলাম

বিজ্ঞানী ডট অর্গ এর সাক্ষাতকার সিরিজে আমরা কথা বলেছিলাম হেলথ ইনফরমেটিকস বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ মো. …

ফেসবুক কমেন্ট


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।