(স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা তাদের গ্রাজুয়েশন কোর্সের অংশ হিসেবে করা হয়। যেহেতু আমাদের বিজ্ঞানী অর্গ এর পাঠকগণ এবং ভলেন্টিয়ারগণ মূলত এই নবীন গবেষক, তাই তাদের জন্য গবেষণা কী এবং কেন করা উচিত, এই বিষয়গুলো নিয়ে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গবেষণার বই সিরিজটি লিখতে শুরু করেছি। আমি আশা করি, নবীন গবেষকরা এই বইগুলো পড়লে উপকৃত হবে।)
একটি গল্প দিয়ে শুরু করি। তানভীর, বাংলাদেশের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তার তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। তার স্বপ্ন একদিন একজন নামকরা বিজ্ঞানী হওয়া। কিন্তু তার মনে প্রশ্ন, “কীভাবে আমি বিজ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করব? কীভাবে আমি জানব, নতুন আবিষ্কার কীভাবে পুরোনো ধারণাকে বদলে দেয়?” তার এই জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে আমি তাকে পরামর্শ দিলাম একটি বই পড়ার জন্য – “The Structure of Scientific Revolutions”।
এই বইটি পড়ার পর তানভীর বলল, “আমার দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলে গেছে। আমি এখন বুঝি, কীভাবে বিজ্ঞান কাজ করে এবং কেন গবেষণার দর্শন জানা আমাদের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ।”
আজ আমি আপনাদের সামনে এই বইটি নিয়ে বিস্তারিত বলব। এটি শুধু তানভীরের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের প্রতিটি আগ্রহী শিক্ষার্থীর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বই।
বইটির পটভূমি ও পরিচিতি
বইয়ের নাম: The Structure of Scientific Revolutions
লেখক: Thomas S. Kuhn
প্রথম প্রকাশ: ১৯৬২
প্রকাশনা: University of Chicago Press
ISBN: 978-0-226-45808-3
বইটির লিংক: https://archive.org/details/thomas-s.-kuhn-the-structure-of-scientific-revolutions
লেখক পরিচিতি
টমাস এস. কুন (Thomas Samuel Kuhn) একজন মার্কিন দার্শনিক এবং বিজ্ঞান ইতিহাসবিদ। তার জন্ম ১৯২২ সালের ১৮ জুলাই, এবং তিনি ১৯৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বিজ্ঞানের ইতিহাস এবং দর্শনে এক যুগান্তকারী চিন্তাভাবনার পথিকৃৎ। “The Structure of Scientific Revolutions” তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ, যা বিজ্ঞানীদের কাছে আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
বইটির মূল ধারণা
এই বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হলো “প্যারাডাইম শিফট”। কুন দেখিয়েছেন, বিজ্ঞান একটি ক্রমাগত প্রগতিশীল প্রক্রিয়া নয়। বরং, এটি প্যারাডাইম নামক একটি বিশেষ কাঠামোর ভেতর কাজ করে। যখন একটি প্যারাডাইম সমস্যার সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়, তখন এটি নতুন একটি প্যারাডাইম দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, পুরোনো যুগে আরিস্টটলীয় পদার্থবিজ্ঞান আধিপত্য বিস্তার করেছিল। কিন্তু নিউটনীয় পদার্থবিজ্ঞান এসে সেই প্যারাডাইম বদলে দেয়।
কুনের মতে, বিজ্ঞান এই “নরমাল সায়েন্স” এবং “রেভল্যুশনারি সায়েন্স”-এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। এই বই আমাদের শিখায়, কীভাবে বিজ্ঞানীরা পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন দিক তৈরি করেন।
বইটি কেন পড়া উচিত?
বইটি আপনাকে শেখাবে, গবেষণার পেছনের দর্শন কী এবং বিজ্ঞান কীভাবে কাজ করে। এটি আপনাকে শেখাবে, কীভাবে পুরোনো পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন চিন্তাধারা গড়ে ওঠে। কুনের তত্ত্ব আপনাকে গবেষণায় সমালোচনামূলক চিন্তাধারার অনুশীলন করতে সহায়তা করবে। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে আপনার কাজের দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত হবে।
২০০০ সনের দিকে আমি যখন জাপানে স্নাতক গবেষণার জন্য কাজ শুরু করলাম, প্রথম গবেষণা জগতে প্রবেশ করলাম, তখন এই বইটি আমার জন্য দিকনির্দেশক ছিল। সেই সময়ের গবেষণার বিস্তারিত পড়তে পাবেন এই লেখাটিতে। এটি আমাকে শিখিয়েছে, কীভাবে বিজ্ঞান শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহ নয়, বরং একটি চিন্তাধারার ক্রমাগত পরিবর্তন। বাংলাদেশে যারা গবেষণার প্রতি আগ্রহী, তাদের জন্য এই বইটি একটি দিকনির্দেশনা হতে পারে। এটি আপনার মনের জানালা খুলে দেবে এবং আপনাকে দেখাবে, গবেষণার জগৎ কতটা বিস্তৃত।
Research is an important aspect for undergraduate students as part of their graduation course. Since the primary audience of our Science Org consists of young researchers and volunteers, I started writing this “Research Books” series to provide them with a basic understanding of what research is and why it is important. I hope that new researchers will benefit from reading these books.
Let me start with a story. Tanveer is a university student from Bangladesh, in his third year. His dream is to become a renowned scientist one day. But he had a question, “How do I dive deeper into science? How do I understand how new discoveries change old ideas?” To help him find an answer, I suggested he read a book — The Structure of Scientific Revolutions.
After reading the book, Tanveer said, “My perspective has completely changed. I now understand how science works and why understanding the philosophy of research is so important for us.”
Today, I want to talk in detail about this book. It’s not just for Tanveer, but an important book for every interested student in Bangladesh.
Background and Introduction of the Book
Book Title: The Structure of Scientific Revolutions
Author: Thomas S. Kuhn
First Published: 1962
Publisher: University of Chicago Press
ISBN: 978-0-226-45808-3
Link to the book: The Structure of Scientific Revolutions – Archive
About the Author
Thomas Samuel Kuhn was an American philosopher and historian of science. Born on July 18, 1922, he passed away in 1996. He was a pioneer in the field of scientific history and philosophy, with revolutionary thoughts. The Structure of Scientific Revolutions is his most famous work, which remains highly relevant to scientists today.
Main Idea of the Book
The most important concept in this book is the idea of the “paradigm shift.” Kuhn shows that science is not a continually progressive process. Instead, it operates within a specific structure known as a paradigm. When a paradigm fails to solve problems, it is replaced by a new one. For example, in ancient times, Aristotelian physics dominated, but Newtonian physics eventually replaced that paradigm.
According to Kuhn, science advances through “normal science” and “revolutionary science.” This book teaches us how scientists challenge old ideas and create new directions.
Why You Should Read This Book
This book will teach you the philosophy behind research and how science actually works. It will show you how old methods are challenged and new ideas are formed. Kuhn’s theory will help you practice critical thinking in research. It will expand your perspective as a scientist.
When I started my graduate research in Japan around the year 2000, entering the world of research for the first time, this book was a guiding light for me. You will find more detailed reflections of that time in this article. It taught me how science is not just about gathering information, but about the continual evolution of thought. For those in Bangladesh who are interested in research, this book can be a guiding direction. It will open your mind and show you just how vast the world of research is.
Leave a comment