আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি মোঃ ঈশান আরেফিন হোসেন এর।মোঃ ঈশান আরেফিন হোসেন, তিনি হাইয়েস্ট ডিসটিঙ্কশনসহ ব্রাক ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলে ব্যাচেলর্স সম্পন্ন করে ২০১৮ সালে। এরপর মর্যাদাপূর্ণ “ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেইট স্কলারশিপ” অর্জন এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের টিসাইড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে আমার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন ২০২২ সালে। পেশাগতভাবে ২০১৯ সাল থেকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন শিক্ষকতা শুরু করেন। বিস্তারিত জানার জন্য তার সাক্ষাৎকারটি পড়ুন:
প্রথমেই আপনার সম্বন্ধে আমরা জানতে চাই?
আমি হাইয়েস্ট ডিসটিঙ্কশনসহ ব্রাক ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলে ব্যাচেলর্স সম্পন্ন করি ২০১৮ সালে। এরপর মর্যাদাপূর্ণ “ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেইট স্কলারশিপ” অর্জন এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের টিসাইড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে আমার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করি ২০২২ সালে। পেশাগতভাবে ২০১৯ সাল থেকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন শিক্ষকতা শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি আমি নিবিড়ভাবে গবেষণায় যুক্ত। সম্প্রতি গবেষণার জন্য প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর হিসেবে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কনফারেন্স ট্র্যাভেল এন্ড রিসার্চ গ্রান্ট থেকে গবেষণা অনুদান লাভ করি। এছাড়াও কিছু জার্নাল, কনফারেন্স এর রিভিউয়ার এবং জাতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভূমিকা পালন করেছি।
আপনার গবেষনার বিষয় কি?
আমার গবেষণার বিষয় মুলত “এজ ইন্টেলিজেন্স”। সহজভাবে বলতে গেলে,আমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ কিংবা এধরনের ছোট কম্পিউটেশনাল যন্ত্রের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন রোগ নির্ণয়, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ কিংবা প্রতিবন্ধিদের রাস্তায় চলাচল ইত্যাদি বিষয়ে অপেক্ষাকৃত কম জটিল এবং হালকা ধরনের মেশিন বা ডিপ লার্নিং মডেল এর প্রয়োগ সংক্রান্ত গবেষণা করি।
আপনার গবেষনার কাজগুলি কিভাবে আমাদের উপকৃত করছে কিংবা করবে?
আমার দলের সাম্প্রতিক গবেষণায় আমরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই ঢাকা শহরের ফুটপাথে অন্ধদের চলাচলের জন্য তাৎক্ষনিক নিরবিচ্ছিন্ন সহায়তা এবং নির্দেশনা প্রদানের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করি। ইতিপূর্বে শিক্ষার্থীদের সাথে একটি গবেষণায় স্মার্টফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে চোখের ছানি নির্ণয় সংক্রান্ত একটি সফল কাজ করেছি। এধরণের গবেষণাগুলো যদি প্রায়োগিক পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা যায় তবে সমাজ উপকৃত হবে বলে আশা রাখি। আমার গবেষণাগুলো এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং কনফারেন্সে প্রকাশিত এবং উপস্থাপিত হয়েছে।
গবেষনা কাজের বিশেষ কোন অভিজ্ঞতা কি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন?
স্মার্টফোনে চোখের ছানি নির্ণয় সংক্রান্ত গবেষণা প্রকাশের পর একদিন খুব অবাক হয়ে আমার ইমেইলে আবিস্কার করি সেই সুদূর আফ্রিকার দেশ ঘানার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র শিক্ষক এই বিষয়ে তাদের দেশে গবেষণা করার জন্য বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন। তখন মনে হয়েছে একটি গবেষণা আপাতদৃষ্টতে খুব সামান্য মনে হলেও এর প্রভাব দেশের সীমানা পেরিয়ে অনেকদূর ছড়িয়ে যেতে পারে। এর ফলশ্রুতিতে আমি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধাতার জায়গা থেকে গবেষণা করার প্রতি আরও উদ্বুদ্ধ হই।
একজন বিজ্ঞানীর কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বিজ্ঞানীদের গুণাবলী সম্বন্ধে সঠিকভাবে মন্তব্য করতে পারবো না। তবে হ্যাঁ, নির্ভেজাল জানার কৌতূহল একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে পরিপূর্ণ করে তুলে। এর সাথে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্পৃহা যুক্ত হলে নিরলসভাবে গবেষণা করার পথ সুগম হয়।
বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় – তাদের জন্য আপনার কোন ম্যাসেজ কিংবা বার্তা কি?
প্রতিনিয়ত শিখবার স্বদিচ্ছা থাকতে হবে। গবেষণা করা নির্দ্বিধায় একটি কঠিন কাজ, এতে ধৈর্য এবং সমালোচনার প্রতি সহনশীলতার অত্যধিক প্রয়োজন রয়েছে। শুধু সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গবেষণাপত্র প্রকাশে মনোযোগী হলে হবে না, গবেষণার সত্যিকারের সার্থকতা দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিহিত…
আপনার ইমেইল: [email protected]
আপনার লিংকডইন: https://www.linkedin.com/in/mdishanarefinhossain/
আপনার ওয়েবসাইট, গবেষনাকাজের লিংক: https://sites.google.com/view/ishanarefin/
বিজ্ঞানী অর্গের পক্ষ থেকে আমরা মোঃ ঈশান আরেফিন হোসেনের অসামান্য সাফল্যের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং গবেষণার মাধ্যমে আমাদের নবীন বিজ্ঞানীদের জন্য এক আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছেন। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা এবং গবেষণার গুণগত মান ভবিষ্যতে আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর এই সাফল্য আগামী দিনে আরও বড় কৃতিত্বের দিকে এগিয়ে যাবে এবং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে নতুন দিশা দেখাবে।
Artificial Intelligence and Edge Intelligence: Research and innovation on the path to change society!
Can you tell us briefly about yourself?
I am Md. Ishan Arefin Hossain. I completed my Bachelor’s degree in Computer Science and Engineering from BRAC University in 2018, graduating with the highest distinction. Later, I earned the prestigious “British Council GREAT Scholarship” and pursued my Master’s in Computer Science from Teesside University, England, which I completed in 2022.
Since 2019, I have been working as a full-time university faculty member while being actively involved in research. Recently, I received the North South University Conference Travel and Research Grant as a Principal Investigator. Additionally, I have served as a reviewer for several journals and conferences and acted as a judge in national-level AI-related competitions.
What is your research area?
My primary research focus is on “Edge Intelligence.” To put it simply, I work on using artificial intelligence to solve real-life problems through small computational devices like smartphones, smartwatches, or similar gadgets.
The goal is to develop lightweight and less complex machine or deep learning models that can be applied to areas like health monitoring, disease diagnosis, and assisting individuals with disabilities in navigating their surroundings.
How does your research benefit or potentially benefit society?
In one of my recent projects, we developed a method to provide instant and uninterrupted guidance for visually impaired individuals to navigate footpaths in Dhaka city using smartphones without internet connectivity.
Previously, in collaboration with students, I successfully worked on a project that enabled smartphones to detect cataracts in real-time using their cameras.
If these research outcomes can be made ready for practical implementation, they have the potential to bring significant benefits to society. So far, my research findings have been published and presented at several renowned international journals and conferences.
Could you share any special experience related to your research?
After publishing my research on using smartphones to detect cataracts, I was surprised to receive an email from a university in Ghana. A group of students and faculty members there were interested in conducting similar research in their country and wanted to learn more about my work.
This made me realize how far-reaching the impact of a seemingly small piece of research can be. This experience further motivated me to take on more socially responsible research projects.
What qualities do you think a scientist should possess?
In my opinion, a genuine curiosity to learn is one of the most essential qualities of a scientist. Additionally, the desire to contribute to societal progress paves the way for relentless and meaningful research.
Do you have any message for young students aspiring to work in science?
You must cultivate a constant desire to learn. Research is undoubtedly a challenging field that demands patience and a high level of tolerance toward criticism.
Focusing on the quality of research papers rather than just the quantity is crucial. The true success of research lies in its ability to serve the nation and humanity.
On behalf of the Biggani.Org we extend our heartfelt congratulations to Md. Ishan Arefin Hossain for his outstanding success. He has become a beacon for our young scientists through his hard work and research. His relentless efforts and the quality of his research will inspire many more in the future. We believe that his success will lead to greater achievements in the coming days and will show a new direction in the development of science and technology in the country.
Leave a comment