লেখক: প্রফেসর ড মোহাঃ ইয়ামিন হোসেন
ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য নতুন একটি অধিদপ্তর চালু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অধিদপ্তরটি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করবে, যার লক্ষ্য থাকবে গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং বিশ্বমানের বিজ্ঞানী তৈরি করা।
প্রস্তাবিত অধিদপ্তরের মূল লক্ষ্য ও কাজগুলো হলো:
১. উচ্চতর গবেষণার প্রসার:
এই অধিদপ্তরটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে গবেষণা কার্যক্রমের উন্নয়ন করবে। উন্নত প্রযুক্তি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানো হবে। এর ফলে দেশের গবেষণার মান বাড়বে, যা সরাসরি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
২. বৃত্তি ও উচ্চশিক্ষার জন্য সুযোগ সৃষ্টি:
উচ্চশিক্ষার জন্য দেশে এবং বিদেশে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে উচ্চতর শিক্ষালাভের সুযোগ পাবে, যা তাদের দক্ষতা ও জ্ঞানের বিকাশে সহায়তা করবে।
৩. বিদেশি গবেষক ও শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা:
উচ্চমানের গবেষণা ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করলে বিভিন্ন দেশ থেকে তরুণ এবং দক্ষ গবেষকরা বাংলাদেশে কাজ করতে আসবে। এর ফলে বৈশ্বিক জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ বাড়বে এবং গবেষণার ক্ষেত্রটি আরও উন্নত হবে।
৪. দক্ষ বিজ্ঞানী তৈরি ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স বাড়ানো:
এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে তৈরি বিজ্ঞানীরা বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ বাড়াবে। এর ফলে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বৈদেশিক নির্ভরতা কমবে এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
৫. শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার:
আধুনিক প্রযুক্তি যেমন, AI, Robotics, Nanotechnology ইত্যাদির ব্যবহার করে গবেষণা কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা হবে। এর ফলে নতুন নতুন উদ্ভাবন সম্ভব হবে এবং দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাবে।
৬. উভয়পক্ষের জন্য সমান সুযোগ:
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে চলে আসবে। এটি শুধুমাত্র দেশকে উন্নত করবে না, বরং বৈশ্বিক গবেষণা কমিউনিটিতেও একটি শক্তিশালী অবদান রাখবে।
পরিশেষে বলা যেতে পারে,
“Department of Research, Scholarship and Higher Studies” চালু করা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে। এটি শুধুমাত্র দেশীয় মেধাবী গবেষকদের জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক গবেষক ও শিক্ষার্থীদেরও আকৃষ্ট করবে। এর ফলে দেশীয় অর্থনীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি মজবুত ভিত্তি স্থাপন করবে।
ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত——-https://www.facebook.com/share/p/1EL4y8LJLD/
Leave a comment