বেশিরভাগ সময় আমরা প্রচলিত ধারনা নিয়ে আমাদের জ্ঞানের পরিসর বিস্তৃত রাখি। আসলে আমরা যেভাবে বিষয়গুলি ধারনা করি সেভাবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নাও হতে পারে। তবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে খুব সহজে আয়ত্বে রাখা যায় না। তেমনি বজ্রপাত নিয়ে আমাদের ধারনা হচ্ছে, মেঘে মেঘে সংঘর্ষের কারণে বজ্রপাত হয়। এটা আমাদের এক ধরনের প্রচলিত ধারনা যা নিরসন হওয়া প্রয়োজন।
ছবি: উইকিপিডিয়া’র সৌজন্যে
বজ্রপাত কি? প্রথমে আলোর (বিদ্যুৎ) ঝলকানি, তারপর প্রচন্ড শব্দ। এটাকে বলা হয় বজ্রপাত। এই শব্দে কান ফেটে যাওয়ার উপক্রম এবং দুরুত্ব কাছাকাছি হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে। তাহলে বজ্রপাত কিভাবে ঘটে? আসলে মেঘে থাকে ছোট ছোট পানির কনা। আর উপরে উঠতে উঠতে পানির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এই পানির পরিমাণ যখন ৫ মিঃ মিঃ এর বেশি হয়, তখন আর পানির অনুগুলো পারস্পারিক বন্ধন ধরে রাখতে সক্ষম হয় না। ফলে এরা ক্রমশ পরস্পরের নিকট হতে আলাদা হয়ে যায় এবং এতে করে সেখানে বৈদ্যুতিক আধানের সৃষ্টি হয়। এই আধানের মান উপরের অংশে নিচের অংশের তুলনায় বেশি হয়। উল্লেখ্য, এর উপরের অংশ পজেটিভ এবং নিচের অংশ নেগেটিভ চার্জে চার্জিত থাকে। আর এ কারণে উপর হতে নিচের দিকে বৈদ্যুতিক আধানের নির্গমন হয়্। ফলে প্রথমে আমরা আলোর ঝলকানি দেখতে সক্ষম হই। এ সময় বাতাসের প্রসারন ও সংকোচেনে আমরা বিকট শব্দ শুনতে পাই।
বজ্রপাতে করণীয়ঃ
ক. কোনো গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়া কারণ, গাছের উপর বজ্রপাত বেশি হয়।
খ. পানির কাছে না থাকা।
গ. রাস্তায় সাইকেল কিংবা মোটর সাইকেলে না থাকা।
ঘ. বরং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়াটা বুদ্ধিমানের।
ঙ. বজ্রপাতের সময় সকল ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা এবং সেই সঙ্গে বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন রাখা ভাল।
চ. বজ্রাহত ব্যক্তিকে খালি হাতে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
Leave a comment