একটি বস্তু খন্ড তা সে বরফের চাঁই হোক আর পাথরের খন্ড হোক ভেঙে টুকরো টুকরো করা সম্ভব। আর এই সহজ সত্যতার ওপর ভিত্তি করে আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর আগে গ্রীক একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে, টুকরো করতে করতে এমন একটা সময় নিশ্চয়ই আসবে যখন পদার্থকে ভেঙে আর টুকরো করা সম্ভব হবে না। তারা ক্ষুদ্রতম অংশের নাম দিলেন atom. কিন্তু পরবর্তীতে জানা গেল এই atom জড়ের ক্ষুদ্রতম অংশ বা প্রাথমিক কণা (Fundamental Particles) নয়; পরমাণুর ভিতরেও থাকে আরও কিছু কণা। প্রোটন আর নিউট্রনের সমন্বয়ে গঠিত নিউক্লিয়াস আর তার চারিদিকে পরিভ্রমণরত ইলেক্ট্রন নিয়েই পরমাণু গঠিত।
এরপর বহুদিন পর্যন্ত এই প্রোটন, নিউট্রন আর ইলেক্ট্রনকে Fundamental Particles ভাবা হত; কিন্তু ১৯৬৪ সালে California Institute of Technology -এর তাত্ত্বিক পদার্থবিদ Murray Gell-Mann এবং ১৯৬৮ সালে Stanford Linear Accelerator Center এর বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয়- প্রোটন আর নিউট্রন আরো ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত। Murray Gell-Mann এই কণার নাম দিলেন Quark. কোয়ার্ক নামটির পেছেও একটি ছোট্ট ইতিহাস আছে। এই নামটি এসেছে James Joyce এর ‘Finnegan’s Wake’ বইয়ের একটি কোটেশন থেকে- ‘Three quarks for Muster Mark’.
অবশ্য বর্তমানে প্রাথমিক কণিকা কেবল কোয়ার্ক আর ইলেক্ট্রনই নয়, এ তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে আরও অনেক কণা। এ তালিকায় আছে মিউওন (muon) এবং টাওন (taon) নামক দু’টি কণিকা, যারা Big Bang পরবর্তীকালীন মহাবিশ্বে প্রচুর পরিমাণে ছিল বলে ধারণা করা হয়। তাছাড়া নিউট্রিনো (neutrino) নামক একটি কণা আছে , যা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইল পুরু সীসার আস্তরণকে অবলীলায় ভেদ করার ক্ষমতা রাখে । যাইহোক আমাদের এই প্রবন্ধের আলোচনার মুল বিষয় কোয়ার্ক; তবে পাশাপাশি কোয়ার্কের জাতভাই লেপ্টনও থাকবে আলোচনায়!
ভালো