ব্রাউন ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম একটি নতুন অপিওয়েড পরীক্ষা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এই প্রযুক্তির নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের ড. রামিসা ফারিহা, যিনি বর্তমানে ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে পোস্টডক্টরাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর নেতৃত্বে এই নতুন প্রযুক্তি বিপজ্জনক অপিওয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে দ্রুত এবং সঠিক পরীক্ষার জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
বর্তমানে অপিওয়েড ব্যবহারের শনাক্তকরণের জন্য অনেক সময় প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হয়, যা অনেক রোগীর জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ড. রামিসা ফারিহা এবং তাঁর দলের উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি মাত্র ২০ মাইক্রোলিটার রক্ত দিয়ে এই পরীক্ষা করতে সক্ষম। এর মাধ্যমে শুধু বড় শহরেই নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও রোগীদের জন্য এই পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
এই প্রযুক্তি শুধু তরল রক্তের নমুনা নয়, বরং শুকনো রক্তের দাগ থেকেও অপিওয়েড শনাক্ত করতে সক্ষম, যা নবজাতকদের মধ্যে অপিওয়েডের প্রভাব নির্ণয়ে বিশেষভাবে কার্যকর হবে। এটির মাধ্যমে চিকিৎসকরা সঠিকভাবে জানতে পারবেন শিশুর শরীরে অপিওয়েডের পরিমাণ, যা তাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।
ড. ফারিহা জানিয়েছেন,
“আমরা চাই না যে রোগীকে বেশি বেশি পরীক্ষার মুখোমুখি করতে, বরং এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে চাই যা রোগীদের জন্য আরও সহজ, দ্রুত এবং সাশ্রয়ী হবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করা যা বিশ্বব্যাপী রোগীদের কাছে সহজে পৌঁছানো যাবে।”
এটি শুধুমাত্র অপিওয়েড ব্যবহারকারী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই নয়, বরং নবজাতক ও মাতৃস্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির এই গবেষণা নিশ্চিতভাবে চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সহায়ক হবে এবং এর প্রভাব বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করতে ভূমিকা রাখবে।
Source: https://www.brown.edu/news/2025-06-16/opioids
ড. ফারিহার
এই সফল উদ্ভাবন নিশ্চিতভাবেই চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।
Leave a comment