মিনহাজ ফাহিম জীবরান, আইডাহো স্টেট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক। বাংলাদেশ থেকে উঠে আসা এই প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর গল্প শুধুমাত্র সফলতার গল্প নয়, এটি কৌতূহল, অধ্যবসায় এবং অনুপ্রেরণার এক অনন্য উদাহরণ।
পাবনার মাটিতে শিকড়
পাবনা ক্যাডেট কলেজে ছাত্রজীবন শুরু করেন জীবরান। সেই সময় থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি তার আগ্রহের বীজ রোপিত হয়। নিজের কৌতূহল আর অদম্য ইচ্ছার কারণে তিনি একসময় বাংলাদেশে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ভর্তি হন এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
কানাডার পথে পথচলা
বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমান কানাডায়। ইউনিভার্সিটি অব লেদব্রিজে মাস্টার্স করার সময় তিনি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গভীর আগ্রহ খুঁজে পান। এরপর ইউনিভার্সিটি অব সাস্কাচুয়ান থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। সফটওয়্যার সিকিউরিটি এবং কোড অ্যানালাইসিসে তার গবেষণা ছিল তখনকার সময়ের তুলনায় খুবই অগ্রণী।
কোডের জগতে একটি যুদ্ধ
জীবরানের গবেষণার মূল লক্ষ্য সফটওয়্যার বাগ এবং নিরাপত্তা ত্রুটি দূর করা। “প্রতিটি সফটওয়্যার বাগ শুধু একটি টেকনিক্যাল সমস্যাই নয়,” তিনি বলেন, “এটি একটি মানবিক সমস্যা। কারণ কোড লিখছেন মানুষ, এবং তার অনুভূতিগুলোও কোডের গুণগত মানে প্রভাব ফেলে।”
তার গবেষণায় তিনি স্ট্যাটিক এবং ডায়নামিক প্রোগ্রাম অ্যানালাইসিস, সোর্স কোড ম্যানিপুলেশন, মেশিন লার্নিং, এবং সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসি এর মতো অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তার কাজ শুধু প্রযুক্তিগত নয়, মানবিক সমস্যাগুলোকেও গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে চলে।
বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করা
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাদানের পাশাপাশি জীবরান গবেষণা করছেন সফটওয়্যার সিকিউরিটি, প্রোগ্রাম কম্প্রিহেনশন, এবং এফেকটিভ কম্পিউটিং নিয়ে। “আমার গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য সফটওয়্যারকে আরও নিরাপদ ও ব্যবহারযোগ্য করে তোলা,” তিনি ব্যাখ্যা করেন। তার কাজ বৈশ্বিক গবেষণা ক্ষেত্রের অনেক উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
তরুণদের জন্য একটি বার্তা
জীবরান বিশ্বাস করেন, সফল গবেষণার মূলে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়। “কোনো শর্টকাট নেই,” তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন। “না জানা অপরাধ নয়, তবে না জানার ইচ্ছাও না থাকা অপরাধের সামিল।”
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনার কৌতূহলকে জীবিত রাখুন। বিজ্ঞানের মূল চালিকাশক্তি হল এই কৌতূহল। বিশ্বকে দেখুন একটি গবেষকের চোখ দিয়ে এবং আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করুন।”
গবেষণার আনন্দ
জীবরান মনে করেন, গবেষণা একটি যাত্রা। “এই যাত্রায় প্রতিটি প্রশ্ন, প্রতিটি পরীক্ষা, প্রতিটি ছোট অর্জন আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এটি শুধুমাত্র সমস্যার সমাধান নয়, এটি একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচনের মতো।”
অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে
মিনহাজ ফাহিম জীবরানের গল্প আমাদের দেখায়, কীভাবে একটি ছোট শহর থেকে উঠে এসে বৈশ্বিক পর্যায়ে কাজ করা যায়। তার গবেষণা শুধু প্রযুক্তির উন্নয়ন নয়, এটি মানবিক উন্নয়নের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তরুণদের জন্য তার বার্তা: “আপনার কাজের প্রতি ভালবাসা এবং কঠোর পরিশ্রমই আপনাকে আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে নিয়ে যাবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নিজের কৌতূহলকে কখনো হারাতে দেবেন না।”
লিংকডইন প্রোফাইল: Minhaz Fahim Zibran
ওয়েবসাইট: গবেষণা কাজ ও বিস্তারিত
এই অনুপ্রেরণাদায়ী বিজ্ঞানীর গল্প আমাদের দেখায় যে বাংলাদেশ থেকে উঠে এসে বৈশ্বিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব। বিজ্ঞানের প্রতি তার ভালোবাসা এবং সৃষ্টিশীল কাজ আমাদের সবার জন্যই একটি অনুপ্রেরণার উৎস।
The Story Behind the Code: Minhaz Fahim Zibran’s Journey to Success!
Minhaz Fahim Zibran, an Associate Professor in the Department of Computer Science at Idaho State University, is not just a name in academia—his story is a remarkable journey of curiosity, perseverance, and inspiration. Born and raised in Bangladesh, Zibran’s life is a testament to the power of determination and a relentless passion for knowledge.
Roots in Pabna
Zibran’s journey began in Pabna, where he attended Pabna Cadet College. It was during these formative years that his curiosity for science started to take root. With an unyielding thirst for knowledge, he pursued a bachelor’s degree in Computer Science at the Islamic University of Technology (IUT) in Bangladesh.
The Canadian Chapter
From Bangladesh, Zibran set his sights on Canada, where he earned his Master’s degree at the University of Lethbridge. It was during this time that he discovered a deep passion for software engineering. Later, he completed his PhD at the University of Saskatchewan, focusing on software security and code analysis—fields where his research was ahead of its time.
A Battle in the World of Code
Zibran’s research primarily aims to eliminate software bugs and security vulnerabilities. “Every software bug is more than just a technical issue,” he explains. “It’s a human problem because code is written by people, and their emotions impact the quality of the software.”
His innovative approach combines static and dynamic program analysis, source code manipulation, machine learning, and sentiment analysis. This blend of technical precision and attention to human factors distinguishes his work, making it both groundbreaking and deeply impactful.
Elevating Bangladesh on the Global Stage
In addition to teaching, Zibran’s research spans software security, program comprehension, and affective computing. “My goal is to make software more secure and user-friendly,” he shares. His work has significantly contributed to advancements in global research and technology.
A Message for the Youth
Zibran firmly believes that the foundation of successful research lies in hard work and perseverance. “There are no shortcuts,” he emphasizes. “Not knowing something is not a crime, but lacking the curiosity to learn is.”
He encourages young minds to nurture their curiosity, as it is the driving force behind science. “View the world through the eyes of a researcher, and seek answers to every question you encounter,” he advises.
The Joy of Research
For Zibran, research is a journey. “Every question, every experiment, every small breakthrough takes us forward,” he says. “It’s not just about solving problems—it’s about uncovering new horizons.”
From Past to Future
Minhaz Fahim Zibran’s story illustrates how one can rise from a small town to make a global impact. His research not only advances technology but also addresses human challenges, demonstrating his commitment to a better future.
Words of Inspiration
To the next generation, Zibran says: “Love your work and stay committed. Hard work will lead you to your dreams. Most importantly, never lose your sense of curiosity.”
LinkedIn Profile: Minhaz Fahim Zibran
Website: Research and Details
This inspiring story of a brilliant Bangladeshi scientist shows us that it is indeed possible to lead on the global stage. Zibran’s love for science and innovative work continues to be a beacon of inspiration for all.
Leave a comment