বিজ্ঞানী.অর্গ-এর সাক্ষাৎকার সিরিজে আমরা কথা বলেছি ড. পারভেজ সুলতানের সাথে।
ড. পারভেজ সুলতান একজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানী। তিনি বর্তমানে মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে ২৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যেখানে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন, অ্যাক্রেডিটেশন, এবং গবেষণা পরিচালনার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ড. পারভেজ সুলতান এর বিশেষ দক্ষতা রয়েছে নেতৃত্ব, মান ব্যবস্থাপনা, অ্যাক্রেডিটেশন, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশিক্ষণ উন্নয়নে। তিনি মেলবোর্ন ইনস্টিটিউটের ব্যাচেলর অফ বিজনেস প্রোগ্রামের অ্যাক্রেডিটেশন এবং মানোন্নয়নের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রগতি উন্নত করেছেন এবং ঝরে পড়ার হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর গবেষণা ও শিক্ষামূলক কাজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উচ্চ প্রশংসা কুড়িয়েছে, এবং তিনি একাধিক গবেষণা প্রকাশনা ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
তিনি শুধু মেলবোর্ন নয়, BRAC বিশ্ববিদ্যালয় ও সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি এবং ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান ও পরিচালনা করেছেন। বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি, তিনি মানসম্মত শিক্ষার প্রচলন ও গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার মাধ্যমে একাডেমিক নেতৃত্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পার্থক্য
ড. পারভেজ সুলতান আলোচনা করেছেন কিভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং বাংলাদেশের সাথে এর মৌলিক পার্থক্যগুলো কী। উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রতি মনোযোগ।
অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার্থীদের কেবলমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয় না; বরং তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট, গুণগত মানের কাজ, এবং ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারা বিশ্বাস করে, শুধুমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর মেমোরি বা মনে রাখার ক্ষমতা পরিমাপ করা যায়, কিন্তু তার প্রকৃত দক্ষতা ও শেখার পরিমাণ বোঝা যায় না।
বাংলাদেশে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা বাস্তবজ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ
জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের গুরুত্ব: একজন শিক্ষার্থীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া। যত দ্রুতই একজন শিক্ষার্থী নিজের লক্ষ্য খুঁজে পাবে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে, ততই তার জন্য মঙ্গলজনক।
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:
যারা একাডেমিক বা শিক্ষকতা পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদেরকে সংশ্লিষ্ট কোর্স এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
যারা গবেষক হতে চান, তাদেরকে গবেষণা সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং স্নাতক পর্যায় থেকেই এই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে আগ্রহীদের জন্য পরামর্শ
ড. পারভেজ সুলতান উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরকে তৃতীয় বর্ষ থেকেই তিনটি বিষয়ের উপর কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন:
1. একাডেমিক ফলাফল উন্নত করা: জিপিএ বা সিজিপিএ উঁচু রাখার চেষ্টা করতে হবে। উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য সাধারণত সিজিপিএ ৩.৫ বা তার উপরে থাকা বাঞ্ছনীয়।
2. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন: আইইএলটিএস (IELTS) বা টোফেল (TOEFL) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে এবং আইইএলটিএস-এ অন্তত ৬.৫ বা তার বেশি স্কোর করার চেষ্টা করতে হবে। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশের জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫ বা তার উপরে প্রয়োজন হয়।
3. গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ: অন্তত দুটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের চেষ্টা করতে হবে। এটি শিক্ষার্থীর গবেষণার প্রতি আগ্রহ ও দক্ষতা প্রদর্শন করে।
গবেষক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার উপায়
গবেষক হতে চাইলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে:
প্রবন্ধ লেখার দক্ষতা অর্জন: সঠিকভাবে সাইটেশন ব্যবহার করে কিভাবে একটি প্রবন্ধ বা গবেষণাপত্র লিখতে হয় তা শিখতে হবে।
ইংরেজি লেখার অভ্যাস: নিয়মিত ইংরেজিতে লেখার অভ্যাস করতে হবে। এটি হতে পারে নিউজপেপার বা নিউজলেটারে লেখা।
ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা বৃদ্ধি: ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন পরীক্ষাগুলোতে (যেমন, আইইএলটিএস, টোফেল) ভালো স্কোর করতে হবে।
অতিরিক্ত কার্যক্রম ও সার্টিফিকেটের গুরুত্ব
উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের শুধু একাডেমিক ফলাফল নয়, বিভিন্ন প্রকার এভিডেন্স বা সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। যেমন:
প্রকল্পে অংশগ্রহণ: কোনো প্রজেক্টে কাজ করা এবং সেই অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা।
স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম: ভলান্টিয়ারি কাজের মাধ্যমে নেতৃত্ব ও দলগত কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন এবং তার সার্টিফিকেট রাখা।
এগুলি ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশে কৌশল
আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করা অনেক সময় কঠিন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় জার্নালে প্রকাশ করাও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে অনেক স্থানীয় জার্নাল আছে যেখানে প্রকাশনা করা সম্ভব। বিদেশী গবেষকরা অনেক সময় স্থানীয় গবেষণাগুলোর উপর আগ্রহী হন।
গবেষণার টপিক নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সরাসরি একটি প্রবন্ধ প্রকাশ না করে কয়েকটি ধাপে কাজটি সম্পন্ন করা যেতে পারে:
1. সেমিনার আয়োজন: টপিকটি নিয়ে একটি সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট বা বিজ্ঞানী.অর্গ-এর প্ল্যাটফর্মে হতে পারে।
2. কনফারেন্সে উপস্থাপন: সেই টপিকটি কোনো গবেষণা কনফারেন্সে উপস্থাপন করা যেতে পারে। এখানে শুধুমাত্র সারাংশ বা অ্যাবস্ট্রাক্ট শেয়ার করা হয়।
3. বুক চ্যাপ্টার লেখা: টপিকটি নিয়ে একটি বইয়ের অধ্যায় বা অংশ লেখা যেতে পারে।
4. জার্নালে প্রকাশ: সবশেষে পুরো প্রবন্ধটি কোনো জার্নালে প্রকাশ করা যেতে পারে।
ক্রস-ডিসিপ্লিনারি গবেষণার গুরুত্ব
বর্তমানে আন্তঃবিভাগীয় বা ক্রস-ডিসিপ্লিনারি গবেষণার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের সংমিশ্রণে গবেষণা কাজগুলো সহজ হয় এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র নিজের বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রেও দক্ষতা প্রয়োগের চেষ্টা করতে হবে।
ক্রস-ডিসিপ্লিনারি গবেষণার উদাহরণ হিসেবে বায়োইনফরমেটিক্স উল্লেখ করা যায়, যা কম্পিউটার সায়েন্স ও জীববিজ্ঞানের সমন্বয়।
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ
ইদানীং কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। একই ধরণের প্রভাব অস্ট্রেলিয়াতেও দেখা যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অস্ট্রেলিয়ান সরকার প্রতি বছর কত শতাংশ বিদেশী ছাত্রছাত্রী নেবে তা নির্ধারণ করে দেয়। তাই এখনো সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য একটি চমৎকার দেশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ লক্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছিল, যা সমগ্র বিশ্বের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা।
সিজিপিএ কম থাকলে করণীয়
অনেক শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেন, তাদের সিজিপিএ যদি কম হয় (যেমন ৩.৫), তবে তারা উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী হলে কি করবেন?
ড. পারভেজ সুলতান জানান, একাডেমিক ফলাফল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিভিন্ন কারণে ফলাফল কম হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। শিক্ষার্থীরা আইইএলটিএস-এ ভালো স্কোর (কমপক্ষে ৬.৫ এর বেশি) করে এবং একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের গুরুত্ব
গবেষণার বিষয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। কি নিয়ে গবেষণা করতে হবে তা নিয়ে নিজে থেকেই সক্রিয় হতে হবে।
সাক্ষাৎকারের সারমর্ম
ড. পারভেজ সুলতান তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে তার উপদেশগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানী.অর্গ-এর পক্ষ থেকে এই সাক্ষাৎকারটি পরিচালনা করেছেন জিসান এবং ড. মশিউর রহমান।
—
কিছু টেকনিক্যাল টার্মের ব্যাখ্যা
আইইএলটিএস (IELTS): ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম। এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষা বা কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন হয়।
সিজিপিএ (CGPA): কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ। এটি শিক্ষার্থীর মোট একাডেমিক ফলাফলের গড় মান।
ক্রস-ডিসিপ্লিনারি গবেষণা: বিভিন্ন বিষয় বা ক্ষেত্রের সমন্বয়ে যে গবেষণা করা হয়, তাকে ক্রস-ডিসিপ্লিনারি গবেষণা বলে।
আমরা আশা করি ড. পারভেজ সুলতানের এই মূল্যবান পরামর্শগুলি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে।
=====
Interview with Dr Md Parves Sultan
This edition of the Biggani.org interview series features Dr. Parvez Sultan.
Dr. Parves Sultan is a renowned educator and scientist, currently working as an Associate Professor and Program Director at the Melbourne Institute of Technology. With 23 years of experience in education and research, he has led initiatives in institutional development, accreditation, and research management.
Dr. Sultan has expertise in leadership, quality management, accreditation, and institutional training development. He has led the accreditation and quality enhancement of the Melbourne Institute’s Bachelor of Business program, significantly contributing to student progress and reducing dropout rates. His research and educational work have earned international acclaim, and he has been honored with numerous research publications and awards.
He has also served as an educator and administrator at BRAC University, Central Queensland University, and Canberra University. Through his contributions to education and research across various countries, he has established himself as an academic leader in promoting quality education and managing research projects.
Differences Between Universities in Australia and Bangladesh
Dr. Parves Sultan discussed how academic programs are conducted in Australian universities and the fundamental differences compared to Bangladesh. A key difference between universities in developed and developing countries is the approach to student assessment and skill development.
In Australia, students are not evaluated solely through exams. Emphasis is placed on skill development, quality work, and practical knowledge. The belief is that exams can measure memory but not the real skills or depth of learning of a student.
In Bangladesh, on the other hand, most students are evaluated only through exams, which often limits their practical knowledge and skills.
Advice to Students
The Importance of Setting Life Goals: The most crucial step for a student is setting life goals and preparing accordingly. The sooner a student finds their goal and starts working towards it, the better it is for their future.
Steps for Career Development:
- For those interested in an academic or teaching career, focus on relevant courses and skill development.
- For those who want to pursue research, they must start developing research-related skills from the undergraduate level.
Advice for Those Wishing to Study Abroad
Dr. Parves Sultan advises students aspiring to study abroad to focus on three key areas starting in their third year:
- Improving Academic Results: Aim for a high GPA or CGPA. Generally, a CGPA of 3.5 or above is desirable for admission to leading universities.
- English Language Proficiency: Prepare for the IELTS or TOEFL exams, aiming for at least a 6.5 score in IELTS, as most Australian universities require a minimum score of 6.5.
- Publishing Research Papers: Try to publish at least two research papers. This demonstrates the student’s interest and competence in research.
Building a Career as a Researcher
To become a researcher, focus on the following:
- Learning to Write Papers: Master how to write papers with proper citation.
- Practicing English Writing: Regularly practice writing in English, which could be in newspapers or newsletters.
- Improving English Proficiency: Enhance English skills and aim for high scores in international certification exams like IELTS and TOEFL.
Importance of Extracurricular Activities and Certificates
Students aspiring for higher education abroad should not only focus on academic results but also collect various types of certificates, such as:
- Project Participation: Engage in projects and collect certificates of experience.
- Voluntary Activities: Gain leadership and teamwork experience through volunteering and keep records of such certificates.
These will play an essential role in future careers.
Strategies for Publishing Research Papers
Publishing in international journals can be challenging. In such cases, local journals are also valuable. Many international researchers show interest in local research.
When working on a research topic, instead of publishing a complete paper immediately, the work can be divided into several steps:
- Organizing a Seminar: Hold a seminar on the topic, which could be at the university department or on Biggani.org’s platform.
- Presenting at a Conference: Present the topic at a research conference, where only the abstract is shared.
- Writing a Book Chapter: Write a chapter or part of a book on the topic.
- Publishing in a Journal: Finally, publish the complete paper in a journal.
Importance of Cross-Disciplinary Research
The trend of cross-disciplinary research is growing. Combining different fields makes research easier and opens up new opportunities. Students should try to apply skills across fields rather than restricting themselves to their own disciplines.
An example of cross-disciplinary research is bioinformatics, which combines computer science and biology.
Opportunities for Higher Education in Australia
Recently, pursuing higher education in Canada has become a bit more difficult, and a similar trend is seen in Australia. However, opportunities are still available. Each year, the Australian government determines the percentage of international students to admit, and Australia remains an excellent destination for higher education.
According to statistics, in 2021, Australia hosted around 400,000 international students, which is a significant figure in the global context of higher education.
What to Do if CGPA is Low
Many students ask what to do if they have a low CGPA (e.g., 3.5) but still wish to pursue higher education.
Dr. Parves Sultan advises that academic performance is important, but low results can happen for various reasons. In such cases, there is no need for despair. Students can demonstrate their competence by scoring well on the IELTS (at least above 6.5) and by publishing multiple research papers.
The Importance of Connecting with Relevant Professors
In research, proactively connecting with professors is crucial. Students must be proactive in reaching out and discussing potential research topics.
Summary of the Interview
Dr. Parves Sultan has shared valuable advice for students from his extensive experience, particularly in higher education, research, and career development.
Interview by: Jisan and Dr. Mashiur Rahman on behalf of Biggani.org.
Explanation of Some Technical Terms
IELTS (International English Language Testing System): An international standardized test for English language proficiency, often required for higher education or employment abroad.
CGPA (Cumulative Grade Point Average): The average score of a student’s total academic performance.
Cross-Disciplinary Research: Research that combines various fields or disciplines.
We hope Dr. Parves Sultan’s insights will assist students in achieving success in higher education and career development.
Leave a comment