যিনি ছোটবেলায় বিজ্ঞান নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আজ তিনি সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। আমরা কথা বলছি ড. আশিকুর রহমানের সঙ্গে—একজন জৈববিজ্ঞানী, যার কাজের প্রতিটি পদক্ষেপ মানুষের জীবনমান উন্নত করার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। তাঁর গল্পে আছে বিশ্বমানের গবেষণা, ব্যর্থতাকে জয় করার শক্তি, এবং নতুন প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
শুরুটা কেমন ছিল?
নটর ডেম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে যাত্রা শুরু। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তবে এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। জাপানের কুমামতো বিশ্ববিদ্যালয়ে cardiovascular biology এবং angiogenesis নিয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
এই পথচলায় তিনি Harvard Medical School-এ একজন postdoctoral গবেষক হিসেবে কাজ করেন, যেখানে cardiovascular disease এবং oncology নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণা কাজের এই অভিজ্ঞতাগুলো তাঁকে বিশ্বমানের ওষুধ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে অনুপ্রাণিত করেছে।
এই অনুপ্রেরণার ফলস্বরূপ, তিনি Takeda Pharmaceutical Company-এ একজন Scientist হিসেবে যোগ দেন, যেখানে তিনি rare diseases-এর জন্য cell এবং gene therapy drug development-এ অংশগ্রহণ করেন। এরপরে Novo Nordisk-এ Team Lead হিসেবে কাজ করেন এবং বর্তমানে Astellas-এ Senior Scientist হিসেবে autoimmune এবং oncology ভিত্তিক cell therapy projects পরিচালনা করছেন।
গবেষণায় তাঁর ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই সময়কালে তিনি cell এবং molecular biology, preclinical project development, এবং large-scale drug development-এ দক্ষতা অর্জন করেছেন। তবে গবেষণাকে তিনি শুধু পেশা নয়, বরং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখেন।
গবেষণার মূল লক্ষ্য:
ড. আশিকুরের গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র হলো cell এবং gene therapy। এটি এমন একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যা কোষ এবং জিন ব্যবহার করে জটিল রোগের মূল কারণ নির্মূল করতে পারে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “যেমন কেউ যদি রক্ত তৈরি করতে না পারে, আমরা এমন থেরাপি তৈরি করি যা কোষকে সক্রিয় করে রক্ত তৈরির ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে।”
তাঁর গবেষণা oncology-তে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কোষকে শক্তিশালী করার থেরাপি এবং autoimmune রোগে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা মেরামত করার পদ্ধতি তৈরির ওপরও কেন্দ্রীভূত।
কীভাবে কাজ করা হয়?
প্রধান লক্ষ্য হলো এমন চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি করা, যা শরীরের কোষকে মেরামত করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। গবেষণাটি বিশেষত এমন রোগের জন্য কার্যকর, যেগুলোর প্রচলিত চিকিৎসা নেই বা সীমিত।
Cell therapy:
এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে রোগী বা দাতার শরীর থেকে বিশেষ ধরনের কোষ সংগ্রহ করা হয়। ল্যাবের মাধ্যমে সেগুলোকে আরও কার্যকরী করে শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, যেন সেগুলো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
Gene therapy:
এখানে জিনের ভেতরে থাকা সমস্যা মেরামত করা হয়। যেমন, যদি কোনো রোগ ভুল জিনের কারণে হয়, সেই জিনটি সঠিকভাবে পরিবর্তন বা ঠিক করার মাধ্যমে রোগ নিরাময় সম্ভব।
উদাহরণ:
যেমন, একজন রোগীর শরীর যদি পর্যাপ্ত রক্ত তৈরি করতে না পারে, আমি এমন থেরাপি তৈরি করি যা কোষ বা জিন ব্যবহার করে রক্ত তৈরির ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে পারে।
এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ভবিষ্যতের চিকিৎসা পদ্ধতিকে আরও উন্নত এবং কার্যকর করে তোলা। এটি শুধু রোগের লক্ষণ কমাবে না, বরং রোগের মূল কারণকেই নির্মূল করতে সাহায্য করবে।
গবেষণার অভিজ্ঞতা: ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা:
গবেষণায় সাফল্য যেমন আসে, তেমন ব্যর্থতাও থাকে। Harvard Medical School-এ কাজ করার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে তাঁকে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
“প্রাথমিক ফলাফল আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করছিল না। কিন্তু আমি শিখেছি, প্রতিটি ব্যর্থতা আসলে নতুন দিক খুঁজে বের করার সুযোগ। ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে গেলে অবশেষে আমরা এমন একটি মেকানিজম আবিষ্কার করতে পেরেছি, যা ভবিষ্যতে ওষুধ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে,” বলেন তিনি।
গবেষণার সম্ভাব্য প্রভাব:
ড. আশিকুরের গবেষণা জটিল রোগের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। তাঁর কাজ এমন রোগের জন্য নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির পথ তৈরি করছে, যেগুলোর প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যকর নয় বা সীমিত। এই গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
১. জটিল রোগের চিকিৎসা:
Cell এবং gene therapy-এর মাধ্যমে autoimmune disease, ক্যান্সার, এবং বিরল রোগের চিকিৎসার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন তিনি। উদাহরণস্বরূপ, ডায়াবেটিস বা ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের ক্ষেত্রে এমন থেরাপি তৈরি হচ্ছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারে এবং রোগের মূল কারণ মেরামত করতে সক্ষম।
২. ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা (Personalized Medicine):
ড. আশিকুরের গবেষণায় এমন চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি হচ্ছে, যা নির্দিষ্ট রোগীর শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রণয়ন করা যায়। এটি চিকিৎসাকে আরও কার্যকর এবং নিরাপদ করবে।
৩. জিনগত রোগের সমাধান:
যেসব রোগ জিনগত ত্রুটির কারণে হয়, যেমন থ্যালাসেমিয়া বা মস্তিষ্কের কিছু রোগ, তাঁর গবেষণা সেই ত্রুটিগুলো মেরামতের জন্য নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
৪. পরবর্তী প্রজন্মের উন্নত চিকিৎসা:
তাঁর কাজ ভবিষ্যতে এমন এক পৃথিবী গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, যেখানে রোগীরা শুধু ওষুধের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করবে না; বরং সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে।
৫. বাংলাদেশের চিকিৎসার উন্নয়ন:
বিশ্বের উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি বাংলাদেশেও আনার সুযোগ তৈরি হবে। উদাহরণস্বরূপ, cell এবং gene therapy-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিরল রোগের রোগীদের চিকিৎসা সহজ এবং সাশ্রয়ী হতে পারে।
ড. আশিকুর বিশ্বাস করেন, তাঁর গবেষণা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করতে সহায়ক হবে।
একজন বিজ্ঞানীর গুণাবলি: সাফল্যের সোপান:
ড. আশিকুর রহমানের মতে, একজন সফল বিজ্ঞানী হতে হলে শুধু মেধা বা দক্ষতা নয়, প্রয়োজন কিছু বিশেষ গুণাবলি, যা একজন বিজ্ঞানীকে সৃষ্টিশীল এবং মানবকল্যাণে নিবেদিত করে তোলে।
১. জিজ্ঞাসু মন
একজন বিজ্ঞানীর মূল শক্তি হলো তাঁর কৌতূহল। “কেন”, “কীভাবে”, এবং “কেন নয়”—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার আগ্রহ একজন বিজ্ঞানীকে নতুন কিছু আবিষ্কারের পথে নিয়ে যায়।
২. ধৈর্য ও অধ্যবসায়
গবেষণার পথ কখনো সহজ নয়। চ্যালেঞ্জ আসবে, ব্যর্থতাও হবে। তবে ড. আশিকুর মনে করেন, ধৈর্য ধরে বারবার চেষ্টা করার মানসিকতা একজন বিজ্ঞানীকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়।
৩. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
জটিল সমস্যার কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষমতা একজন বিজ্ঞানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গুণ। critical thinking এবং analytical skills এই দক্ষতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি।
৪. সৃজনশীলতা
নতুন চিন্তা এবং অপ্রচলিত উপায় খুঁজে বের করার ক্ষমতা একজন বিজ্ঞানীকে ব্যতিক্রমী করে তোলে। সৃজনশীলতার মাধ্যমেই গবেষণার নতুন দিক উন্মোচিত হয়।
৫. সহযোগিতা ও সমন্বয়
বিজ্ঞানের উন্নতি দলগত প্রচেষ্টার ফল। ড. আশিকুর বিশ্বাস করেন, ভালো যোগাযোগ দক্ষতা এবং দলগত মানসিকতা একজন বিজ্ঞানীর কাজের পরিধি আরও প্রসারিত করে।
৬. সততা ও নৈতিকতা
গবেষণায় সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা অপরিহার্য। সঠিক তথ্য উপস্থাপন এবং নৈতিক নীতিমালা মেনে চলা একজন বিজ্ঞানীর প্রাথমিক দায়িত্ব।
৭. জ্ঞানার্জনের প্রতি আগ্রহ
একজন বিজ্ঞানী সবসময় নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী। বিজ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে আপডেট থাকা এবং নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কারের চেষ্টা করা সফল গবেষণার পূর্বশর্ত।
৮. নিজেকে পরিচালিত করার দক্ষতা
গবেষণার জগতে কখনো একক প্রচেষ্টা, আবার কখনো দলগত কাজের প্রয়োজন হয়। তাই self-motivation এবং time management একজন বিজ্ঞানীর কাজের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ড. আশিকুর নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ব্যর্থতাকে ভয় নয়, বরং তা থেকে শেখার মানসিকতা গড়ে তুলুন। নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখুন এবং বিজ্ঞানকে মানবকল্যাণে কাজে লাগানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলুন।”
এই গুণাবলি শুধু একজন বিজ্ঞানীর ব্যক্তিগত উৎকর্ষের জন্য নয়, বরং বৃহত্তর মানবসমাজের উন্নতির জন্যও অপরিহার্য।
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য বার্তা
ড. আশিকুর বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের তরুণরা বিজ্ঞানকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন:
“স্বপ্ন দেখুন এবং সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করুন।
প্রশ্ন করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
বিজ্ঞানকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোর মানসিকতা রাখুন।”
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও আশা
ড. আশিকুর রহমানের স্বপ্ন কেবল বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি নয়, বরং বিশ্বের উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, “Cell এবং gene therapy-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বিরল রোগের রোগীদের জন্য সাশ্রয়ী ও কার্যকর চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচন সম্ভব।”
তাঁর মতে, তরুণদের মেধা এবং শক্তিকে সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের একটি স্থান অর্জন করতে পারবে। তবে, এজন্য গবেষণা সংস্কৃতির উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।
তরুণদের জন্য প্রস্তাবনা
ড. আশিকুর মনে করেন, বাংলাদেশে বিজ্ঞান এবং গবেষণায় অগ্রগতির জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা তরুণদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়ক হবে:
গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি:
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও আধুনিক গবেষণা ল্যাব তৈরি করা এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান। Research grants এবং funding বাড়ানো উচিত।
হাতে-কলমে শেখার সুযোগ:
বিজ্ঞান শুধুমাত্র বইয়ে সীমাবদ্ধ নয়। স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে hands-on training এবং practical experiments বাড়ানো দরকার।
উদ্ভাবনী এবং উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে তোলা:
তরুণদের এমন মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা তাদের জ্ঞান দিয়ে নতুন পণ্য বা সেবা উদ্ভাবন করতে পারে।
আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং মেন্টরশিপ:
Scholarship programs, আন্তর্জাতিক সম্মেলন, এবং মেন্টরশিপ সুযোগ বাড়াতে হবে, যাতে তরুণ বিজ্ঞানীরা আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারেন।
বিজ্ঞান সচেতনতা:
সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন, যাতে তারা বুঝতে পারে গবেষণায় বিনিয়োগের গুরুত্ব এবং তা কিভাবে জীবনমান উন্নত করতে পারে।
বিজ্ঞান এবং তরুণদের প্রতি ড. আশিকুরের বার্তা:
“আমাদের তরুণরা মেধাবী এবং সম্ভাবনাময়। সঠিক দিকনির্দেশনা, সুযোগ এবং সহযোগিতা পেলে তারা শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে বিজ্ঞানচর্চায় নেতৃত্ব দিতে পারবে।”
ড. আশিকুরের মতে, গবেষণার মাধ্যমে একটি সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। তাঁর প্রস্তাবনার মাধ্যমে তিনি একটি উন্নত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক ভবিষ্যতের আশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বিজ্ঞানকে ভালোবাসুন, স্বপ্ন দেখুন, এবং সাহসের সাথে এগিয়ে চলুন। কারণ, আপনার হাত ধরেই একদিন বদলে যাবে পৃথিবী।”
ড. আশিকুরের প্রোফাইল
LinkedIn:
http://www.linkedin.com/in/hnashiqurrahman
তাঁর এই গল্প কেবল একজন বিজ্ঞানীর সাফল্যের কাহিনি নয়; এটি এমন একটি যাত্রা, যা নতুন প্রজন্মকে পথ দেখাবে। তাঁর মতো বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশ এবং বিশ্বের জন্য একটি অনন্য উদাহরণ।
Transforming Lives Through Research: The Inspiring Journey of Dr. Ashiqur Rahman!
What begins as a dream in childhood often shapes the legacy of a lifetime. This is the story of Dr. Ashiqur Rahman, a visionary biologist whose work in cell and gene therapy is revolutionizing the way we approach complex diseases. His journey is a testament to the power of perseverance, innovation, and the relentless pursuit of a better future.
The Beginnings of a Remarkable Journey:
Dr. Rahman’s academic pursuit started at Notre Dame College, where his passion for science took root. He later completed his postgraduate studies in Microbiology at the University of Dhaka, setting the foundation for his global scientific endeavors.
Refusing to rest on his laurels, he pursued a Ph.D. in Cardiovascular Biology and Angiogenesis at Kumamoto University, Japan. This journey of excellence led him to Harvard Medical School, where he worked as a postdoctoral researcher, focusing on groundbreaking studies in cardiovascular disease and oncology.
His illustrious career includes impactful roles at global pharmaceutical giants. As a Scientist at Takeda Pharmaceutical Company, he contributed to developing cell and gene therapies for rare diseases. Later, at Novo Nordisk, he led teams to advance novel treatments, and now, as a Senior Scientist at Astellas, he spearheads projects in autoimmune and oncology-based cell therapy.
With over 15 years of experience, Dr. Rahman excels in cell and molecular biology, preclinical project development, and large-scale drug development. For him, science is more than a profession; it’s a mission to improve human lives.
The Core Focus of His Research:
At the heart of Dr. Rahman’s work lies the transformative potential of cell and gene therapy—a field poised to redefine modern medicine.
“Imagine a patient unable to produce enough blood,” he explains. “We develop therapies that activate cells to restore this ability, effectively tackling the root cause of the problem.”
His research also focuses on developing therapies to enhance immune responses in autoimmune diseases like diabetes and arthritis, as well as strengthening cellular mechanisms to fight cancer effectively.
How It Works
Cell Therapy:
Special cells are collected from the patient or a donor, enhanced in laboratories, and reintroduced to the body to fight diseases more effectively.
Gene Therapy:
Genetic anomalies are corrected by modifying faulty genes, providing a permanent solution to underlying conditions.
For example, gene therapy can repair genetic defects causing conditions like thalassemia or neurological disorders, ensuring a patient’s body functions normally.
This cutting-edge research aims not only to treat symptoms but to eradicate the root causes of diseases, bringing new hope to countless lives.
Learning from Challenges: Turning Failures into Opportunities:
Dr. Rahman emphasizes that research often involves navigating failures. While working on a challenging project at Harvard Medical School, the initial results fell short of expectations.
“Every failure is an opportunity to explore new perspectives,” he shares. By revisiting their approach and fostering collaboration, his team uncovered a mechanism with the potential to revolutionize future drug development.
The Impact of His Research:
Dr. Rahman’s groundbreaking work addresses some of the most pressing medical challenges:
Treating Complex Diseases:
His cell and gene therapy research has paved the way for advanced treatments of autoimmune diseases, cancer, and rare conditions.
Personalized Medicine:
Developing tailored therapies specific to an individual’s needs ensures safer and more effective treatments.
Solving Genetic Disorders:
His innovations in correcting genetic defects hold promise for curing conditions like thalassemia and other hereditary diseases.
A Brighter Future:
Dr. Rahman envisions a world where patients recover fully rather than merely managing their conditions.
Advancing Healthcare in Bangladesh:
By introducing cutting-edge therapies like cell and gene therapy, his work aims to make high-quality healthcare accessible and affordable in Bangladesh.
The Traits of a Successful Scientist:
Dr. Rahman believes that becoming a successful scientist requires more than intellect. It demands a unique set of qualities:
Curiosity: The drive to ask “why” and seek answers:
Patience and Perseverance: Overcoming failures and continuing to push boundaries.
Problem-Solving Skills: Using critical and analytical thinking to find innovative solutions.
Creativity: Thinking outside the box to open new avenues in research.
Collaboration: Science thrives on teamwork and effective communication.
Integrity: Upholding ethical standards in every step of research.
Lifelong Learning: Staying updated with the latest advancements and continuously seeking knowledge.
Message for Aspiring Scientists:
Dr. Rahman encourages young scientists, particularly in Bangladesh, to embrace challenges and pursue their dreams with determination:
“Dream big and work tirelessly to achieve your goals.”
“Cultivate curiosity—ask questions and seek answers.”
“Science is not just a career; it’s a way to make meaningful contributions to humanity.”
Vision for the Future:
Dr. Rahman’s aspirations go beyond personal achievement. He envisions a future where advanced therapies are accessible to all, including underserved communities in Bangladesh.
“I firmly believe that cell and gene therapy can open affordable and effective treatment options for rare diseases in Bangladesh,” he says.
He stresses the importance of nurturing research culture in Bangladesh through initiatives like:
Expanding research opportunities and funding.
Encouraging hands-on training in schools and universities.
Promoting innovation and entrepreneurship.
Building international collaborations and mentorship programs.
Raising awareness about the importance of science and research.
Inspiration for Generations:
Dr. Rahman’s story is not just about his success—it’s a beacon of hope for future scientists. He stands as a testament to what is possible with passion, persistence, and a vision to create meaningful change.
As he puts it, “Science has the power to transform lives and societies. Dream big, work hard, and let your efforts shape a better world for all.”
Connect with Dr. Rahman:
LinkedIn Profile
http://www.linkedin.com/in/hnashiqurrahman
His journey inspires us to believe in the power of science to create a brighter, healthier, and more equitable future for all.
Leave a comment