কলেরা এবং ডায়রিয়ার খাবার স্যালাইন যেটি প্রতি বছর হাজার হাজার জীবন বাঁচায় তার আবিস্কারক একজন বাঙালী । নাম হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী ।কিন্তু বিশ্বজুড়ে সবা্ই জানে ওরাল স্যালাইনের আবিস্কারক দুজন পশ্চিমা বিজ্ঞানী , ডেভিড নেলিন এবং ক্যাশ । ১৯১৩ সালে কলেরার উপশম ও শরীরে খাদ্যউপাদানের ঘাটতি কমানোর জন্য ইনজেকশনের মাধ্যমে স্যালাইন আবিষ্কার করা হয় । তার পর এই হেমেন্দ্র কলকাতায় কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখে স্যালাইন সরাসরিমুখে গ্রহণ করার পরীক্ষা করেন এবং সফল হন । ১৯৫৩ সালে হেমেন্দ্র গবেষনা লব্ধ ওরাল স্যালাইনের একটি ফর্মুলা ল্যানসেট জার্ণালে প্রকাশ করেন ।
সুদীর্ঘ ১৩ বছর পর ১৯৬৮ সালে চাঁদপুরের মতলবে আইসিডিডিআরবি নেলিন এবংক্যাশের নেতৃত্বাধীন একটি টীম খাবার স্যালাইনের ফিল্ড ট্রায়াল দেন ।আইসিডিডিআরবি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান বিধায় রীতিমত পুকুরচুরির মত এইট্রায়ালটিকেই সব জায়গায় খাবার স্যালাইনের যুগান্তকারী আবিস্কারের ঘটনাহিসেবে ব্যাপক প্রচার চালায়। স্যালাইনের যে ফর্মুলা আইসিডিডিআরবি প্র্চারকরেছে তা হুবুহু হেমেন্দ্রের সঙ্গে মিলে যায় । দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যরহস্যজনক ভাবে কোথাও একটি লাইনের জন্যও হেমেন্দ্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।কয়েক বছর আগে আইসিডিডিআরবিতে কর্মরত এক চিকিত্সাবিজ্ঞানী সরওয়ার হোসেনএই তথ্যের সত্যতা জানতে চেয়ে উর্ধমহলের কাছে যোগাযোগ করলে তারা ভীষনক্ষুব্ধ হয়ে এড়িয়ে যান ।
কলেরা এবং ডায়রিয়ার খাবার স্যালাইন যেটি প্রতি বছর হাজার হাজার জীবনবাঁচায় তার আবিস্কারক একজন বাঙালী । নাম হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী ।কিন্তু বিশ্বজুড়ে সবা্ই জানে ওরাল স্যালাইনের আবিস্কারক দুজন পশ্চিমাবিজ্ঞানী , ডেভিড নেলিন এবং ক্যাশ । ১৯১৩ সালে কলেরার উপশম ও শরীরে খাদ্যউপাদানের ঘাটতি কমানোর জন্য ইনজেকশনের মাধ্যমে স্যালাইন আবিষ্কার করা হয়। তার পর এই হেমেন্দ্র কলকাতায় কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখে স্যালাইন সরাসরিমুখে গ্রহণ করার পরীক্ষা করেন এবং সফল হন । ১৯৫৩ সালে হেমেন্দ্র গবেষনালব্ধ ওরাল স্যালাইনের একটি ফর্মুলা ল্যানসেট জার্ণালে প্রকাশ করেন ।
সুদীর্ঘ ১৩ বছর পর ১৯৬৮ সালে চাঁদপুরের মতলবে আইসিডিডিআরবি নেলিন এবংক্যাশের নেতৃত্বাধীন একটি টীম খাবার স্যালাইনের ফিল্ড ট্রায়াল দেন ।আইসিডিডিআরবি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান বিধায় রীতিমত পুকুরচুরির মত এইট্রায়ালটিকেই সব জায়গায় খাবার স্যালাইনের যুগান্তকারী আবিস্কারের ঘটনাহিসেবে ব্যাপক প্রচার চালায়। স্যালাইনের যে ফর্মুলা আইসিডিডিআরবি প্র্চারকরেছে তা হুবুহু হেমেন্দ্রের সঙ্গে মিলে যায় । দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যরহস্যজনক ভাবে কোথাও একটি লাইনের জন্যও হেমেন্দ্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।কয়েক বছর আগে আইসিডিডিআরবিতে কর্মরত এক চিকিত্সাবিজ্ঞানী সরওয়ার হোসেনএই তথ্যের সত্যতা জানতে চেয়ে উর্ধমহলের কাছে যোগাযোগ করলে তারা ভীষনক্ষুব্ধ হয়ে এড়িয়ে যান ।
চিকিত্সাবিজ্ঞানের ইতিহাসে এমন মহান আবিস্কারকের অবদান সম্পুর্ণ চাপাপড়ে যায় ॥ অন্যদিকে এই স্যালাইনের আবিস্কার কে পুঁজি করে আইসিডিডিআরবিঅর্জন করেছে বিল গেটস এওয়ার্ড ২০০২, পলিন এওয়া্র্ড ২০০১, কিন্তু আশ্চর্যহলেও সত্যি প্রকৃত আবিস্কারকের নাম তারা একটি বারের জন্য উচ্চারণ করে নি ।উইকিপিডিয়াতে খাবার খাবার স্যালাইনের ইতিহাসে হেমেন্দ্রর নাম নেই ।শুধুমেডিক্যাল হিস্টরী জার্নাল, ১৯৯৪, ৩৮: ৩৬৩-৩৯৭ তে একটি লাইনে তাকেঅর্ধস্বীকৃতি দেয়া হয়েছে । “It is generally agreed that racism or thelack of a “scientific” rationale prevented the widespread adoption ofhis (hemendra’s) work”
এখানে হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জীর প্রকাশিত গবেষনা পত্রের এবস্ট্রাকটের লিংক দেয়া হল যাতে এই বিষয়ে কারো সন্দেহ না থাকে।
আবিস্কারকদের অধিকাংশই পশ্চিমাদেশের ॥ এর একটি প্রধান কারন হল পশ্চিমাবিজ্ঞানীরা ভাল করে জানেন কী করে আবিস্কারকের থাতায় নাম প্রতিষ্ঠা করতেহয় ॥ কোন কোন ক্ষেত্রে কাগজ কলমে প্রমাণ থাকা সত্বেও বিশাল প্রচারেরবদৌলতে তারা তাদের নাম প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছেন ॥ আবার অনুন্নত দেশেরআবিস্কারকদের কোনঠাসা করে রাখার পিছনে ব্যবসায়িক স্বার্থ একটি অন্যতমকারণ । একশ’ বছরের বেশী সময় ধরে মার্কনী রেডিও আবিস্কারের কৃতিত্বপাচ্ছিল । এখন ইন্টারনেটের বদৌলতে সত্য উন্মোচিত হচ্ছে স্যার জগদীশ চন্দ্রবসু রেডিও প্রকৃত আবিস্কর্তা । উইকিপিডিয়াতে রেডিও আবিস্কারকের প্রথমনামটি স্যার জগদীশ বসুর কিন্তু তাকে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেনরেডিও নিয়ে ব্যবসাবাণিজ্য না করাটা তার ব্যর্থতা ।
এই লেখার উদ্দেশ্য আইসিডিডিআরবির ভুমিকাকে ছোট করা নয় বরং হেমেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জীরর কে যথাযথ স্বীকৃতি দিয়ে জাতি হিসেবে বিবেকের কাছেস্বচ্ছ থাকা ॥
হেমেন্দ্রনাথের আবিস্কারের তথ্যটি দিয়েছেন সিঙ্গাপুরে অবস্হানরতবাংলাদেশ গবেষক সরওয়ার হোসেন যিনি এক বছর আইসিডিডিআরবিতে কর্মরত ছিলেন ।আর এখনকার লেখাটির কিছু অংশ http://fresnel-lens.blogspot.com ব্লগ থেকে অনুমতিক্রমে প্রকাশ করা হল ।
এই পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানটির কাছে বাংলাদেশের মানুষ কি গিনিপিগ ছাড়া আর কিছু না ? তাদের ডায়েরিয়ার ভ্যাকসিনের কাহিনী তো প্রায় সবাই জানে । বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের উপর ট্রায়াল দিয়ে এখন এটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইরাকে আমেরিকান আর্মীদের সুরক্ষার জন্য । এরা এসেছে কলেরা ল্যাবরেটরী নামে । পরে সাম্রাজ্যবাদী দাতা গোষ্ঠির সুবিধার্তে এরা নাম পালটেছে আইসিডিডিআরবি ।যাতে আরও নানান রোগের তথাকথিত গবেষনার সুযোগ পায় । এখন তাতেও চলছে না । নাম পাল্টে এরা হচ্ছে সেন্টার ফর পপুলেশন এন্ড হেলথ ।
http://biggani.com/content/view/1082/
I don’t see it without password. Please make it published.
একটা সাইট বানালাম ভিজিট করার জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ করা হচ্ছে::
http://www.computerbd.blogspot.com : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত লেখার সংগ্রহ! এতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন তথ্য, ইন্টারনেট বিষয়ক তথ্য, ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক তথ্য, উইন্ডোজ বিষয়ক তথ্য, ওয়েব ডিজাইন বিষয়ক তথ্য, ঘরে বসেই উপার্জনের তথ্য, সিকিউরিটি/হ্যাকিং এর বিভিন্ন তথ্য, রোবট বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য এবং আরও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রয়োজনীয় তথ্যবহুল প্রবন্ধ প্রকাশ করা হচ্ছে। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা: http://www.computerbd.blogspot.com
মিস্টার জাকারিয়া!
আপনি এক পোস্ট এতবার না দিলেও পারতেন। এটা খুব ভাল দেখায় না। আমাদের প্রযুক্তিতেও একই কাজ করেছেন। সেখানেতো আপনাকে স্পামার আখ্যায়িত করা হয়েছে। একটু ভেবে চিন্তে কাজ করবেন।