[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানী.অর্গ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আমাদেরকে সাক্ষাতকার দেবার জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই আপনার সমন্ধে আমাদের একটু বলুন।
ডা. আরিফ হোসেনঃ আপনাকে ও শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক। বিজ্ঞানী.অর্গ কে ধন্যবাদ আমার সাক্ষাতকার নেয়ার জন্য। আমি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়াতে খুব সাধারণ পরিবারে জন্মেছি। আমরা ১১ জন ভাই বোন ছিলাম। আমি সবার ছোট। দশম শ্রেণি পর্যন্ত গ্রামের স্কুলে পড়াশুনা করেছি, তারপর ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হই। সেখান থেকে প্রথমে এম বি বি এস ও পরে শিশুতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেছি। জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছি। শিশু নিউরো-মেটাবলিক রোগে ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপও করেছি সেখান থেকেই। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ বর্তমানে কি নিয়ে কাজ করছেন?
ডা. আরিফ হোসেনঃ বর্তমানে আমি iPS cell নিয়ে কাজ করছি। আমার উদ্দেশ্য হল iPS cell থেকে নিউরন সেল(ব্রেন কোষ)আলাদা করা, যেটা দিয়ে নিউরো-মেটাবলিক রোগের চিকিৎসা করা হবে। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আইপিএস (iPS) সেল কি? ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি কিভাবে ভূমিকা রাখবে?
ডা. আরিফ হোসেনঃ iPS cell হল induced pluripotent stem cell. iPS cell উদ্ভাবনের কারণে ২০১২ সালে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন জাপানের কিয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিনিয়া ইয়ামানাকা। আপনি তো জানেন মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, ব্রেন, লিভার, রক্ত সবকিছুই সৃষ্টি হয় Embryonic cell থেকে। Embryonic cell হল বাবার শুক্রাণু ও মায়ের ডিম্বাণু মিলনের ফলে যে কোষ তৈরি হয়, সেটা কয়েকধাপে ভেঙ্গে তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই Embryonic cell থেকে একবার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হলে তো আর সেখানে ফিরে যাওয়া সম্ভব না। ধরুন কোন রুগির লিভার সিরোসিস হল বা স্পাইনাল কর্ড ড্যামেজ হল, নতুন কোষ কোথায় পাবেন?
সেই উদ্দেশ্য কে সামনে রেখেই আসলে iPS cell এর জন্ম। চামড়া বা রক্তের কোষ কে নির্দিষ্ট ভাইরাস দিয়ে ইনফেকটেড করে iPS cell তৈরি করা হয়। মৌলিকভাবে iPS cell এবং Embryonic cell একই। পরবর্তীতে iPS cell থেকে প্রয়োজনীয় কোষ বা অঙ্গ তৈরি করা হয়। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি সৌদি আরবে Neuro-Metabolic Specialist হিসাবে কাজ করেছেন? এটি আমাদের জন্য একটি নতুন বিষয়। এটি কি একটু বিস্তারিত জানতে চাই।
ডা. আরিফ হোসেনঃ আমি তো প্রথমেই বলছিলাম আমি নিউরো-মেটাবলিক রোগের উপর উচ্চতর ডিগ্রী নিয়েছি। সেজন্যই ঐ রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেখানে কাজ করেছি।
নিউরো-মেটাবলিক রোগ সাধারণত জেনেটিক কারণে হয়। তার মানে হল, মায়ের পেট থেকে বাচ্চা জিন Defect নিয়ে বের হয়, পরবর্তীতে ব্রেন, লিভার, কিডনি, হার্ট সহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এই রুগীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়, কিন্তু এদের চিকিৎসা এবং গবেষণা খুব কম হয়েছে। তাই আমি সেটা নিয়ে কাজ করে আনন্দবোধ করি। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি একজন চিকিৎসক হলেও বর্তমানে গবেষনা পেশায় যুক্ত। কোন পেশাটি আপনার ভালো লাগছে?
ডা. আরিফ হোসেনঃ উন্নত বিশ্বে প্রায় প্রত্যেক চিকিৎসকেরই নিজস্ব গবেষণা থাকে, বলতে পারেন ফিজিশিয়ান কাম রিসার্চার। আমি আসলে একজন ফিজিশিয়ান কাম রিসার্চার। দুটোই আমি সমান ভাবে এনজয় করছি। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ ভবিষ্যতে কি নিয়ে কাজ করতে চান?
ডা. আরিফ হোসেনঃ আমি আসলে আমার নিউরো-মেটাবলিক রোগের গবেষণার কারণে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছি। এখন আমি এটাকে কে আরও প্রসারিত করতে চাই। আমার বর্তমান Institute এ আমরা এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথে Collaborative কাজ করি, তাদেরকে নিউরো-মেটাবলিক রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে সাহায্য করে থাকি। আমার এই সুযোগ কাজে লাগাতে আমি দেশের নামকরা কয়েকজন অধ্যাপকের সাথে যোগাযোগ করেছি, বিশেষ করে বিএসএমএমইউ এবং শিশু হাসপাতালে। দু:খের বিষয় কারো রেসপন্স সেভাবে আমি পাইনি। আমার প্রচেষ্টা আমার দেশে কাজে লাগাতে পারলে খুব ভালো লাগবে। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ গবেষনার পাশাপাশি কি নিয়ে কাজ করেন? (শখ)
ডা. আরিফ হোসেনঃ সত্যিকার অর্থে আমার অবসর বলে বিশেষ কিছু নাই হা হা হা। আমার তিনটি বাচ্চা, যখন আমি বাসায় ফিরি তাদের আনন্দ-চিৎকার আমাকে মুখরিত করে রাখে। ওদেরকে বুকে জড়িয়ে, চুমু খেয়ে পরের দিনের কাজের জন্য Recharged হই। তবে আমি দেশ-বিদেশ ঘুরতে ভালবাসি। আর ভালবাসি Varieties টাইপের বই পড়তে। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ তরুন শিক্ষার্থি যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় তাদের জন্য আপনার কোন উপদেশ বা বক্তব্য?
ডা. আরিফ হোসেনঃ আমি শুধু তরুণদের উদ্দেশ্যে বলবো না। আমি আসলে বাংলাদেশের সমস্ত প্রফেশনালদের উদ্দেশ্যেই বলবো গবেষণার কোন বিকল্প নেই। একটা দেশে যখন গবেষণা থাকেনা তখন সেদেশের ভবিষ্যত থাকে না। সেটা মেডিকেল লাইনে হোক অথবা প্রকৌশল লাইনে হোক। যেকোন ক্ষেত্রে যদি গবেষণা না থাকে সে জ্ঞানের কোন ভবিষ্যত নেই। যেমন একজন ডাক্তার যখন গবেষণায় যুক্ত থাকবেনা তখন তার জন্য বোঝা একটু কঠিন সে যে চিকিৎসা দিচ্ছে, রোগী আসছে, প্রেসক্রিপশন দিচ্ছে, রোগ ভালো হচ্ছে অথবা ভালো হচ্ছে না। কারণ কি? তাঁদের কাছে জ্বর নিয়ে কেউ আসলে তাদেরকে জ্বরের ওষুধ দিচ্ছেন, কেন জ্বর হচ্ছে সে কারণটা কিন্তু খুঁজছেন না বা Mechanism কিন্তু জানছেন না। সারাজীবনই কি অন্যের গবেষণার ওপর নির্ভর করবেন ? আসুন আমাদের স্বল্প পরিসরে হলে ও একটু একটু করে আগাই। আমার কাছে কেউ যদি কোন সহযোগিতা চান ইনশাআল্লাহ্ আমাকে পাশে পাবেন।[/box]
HONORS AND AWARDS
- Kunihiko Suzuki Award 2017
Japan Society of Lysosomal Diseases, Japan - Young Scientist Award 2017
Journal of Human Genetics, Nature Publications - Young Investigator Award 2014
Asian Symposium of Inherited Metabolic Diseases, Sendai, Japan - Young Scientist Travel Award 2012
Society for the Study of Inborn Error of Metabolism (SSIEM), Birmingham, UK - Young Investigator Award, 2011
Asian Congress for Inherited Metabolic Diseases, Tokyo, Japan - Japanese Government Scholarship
October 2009- March 2014
PROFESSIONAL AFFILIATION
- Specialist Pediatric Doctor by Saudi Health Commissions for Health Specialties (Saudi Arabia): October 2015 (Permanent Medical License)
- Specialist Pediatric Doctor by Bangladesh Medical and Dental Council (Bangladesh): Since 2004 (Permanent Medical License)
- Pediatric Fellow Physician by Ministry of Health (Japan): April 2012 (Temporary Medical License)
Professional link:
- https://www.linkedin.com/in/m-arif-hossain-md-phd-09694820/
- https://www.researchgate.net/profile/Mohammad_Hossain51
[divider style=”solid” top=”20″ bottom=”20″]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো নতুন নতুন সংবাদ জানতে সাবস্ক্রাইব করুন।
[mc4wp_form id=”3448″]
Leave a comment