ইংরেজিতে
মূল প্রবন্ধ
লিখেছেনঃ এড গ্রাবিয়ানোস্কি
এই
প্রবন্ধে ব্যবহৃত পরিভাষাসমূহঃ
air conditioner = তাপানুকুল যন্ত্র; byproduct = উপজাত; chain reaction = শৃঙ্খলিত প্রতিক্রিয়া; combustion = দহন; coral reef = প্রবাল প্রাচীর; cropping season = ফসলী ঋতূ; data = উপাত্ত; desertification = মরুকরণ; |
ecosystem = বাস্তুতন্ত্র; feedback = ফীডব্যাক; glacier = হিমবাহ; global warming = বৈশ্বিক উষ্ণায়ন; greenhouse effect = গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া; infrared radiation = অবলোহিত বিকিরন; landfill = আবর্জনাভূমি, বর্জ্যভূমি |
১.
বৈশ্বিক
উষ্ণায়ন কী
উষ্ণায়ন (Global
Warming) বা
বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি এই
কথাগুলি মোটামুটি নতুন।
কিছুদিন আগেও শুধুমাত্র
গুটিকয়েক বিজ্ঞানী,
যারা
দশকের পর দশক ধরে দীর্ঘমেয়াদী
পরিবেশ দূষনের ফলে আবহাওয়ার
পরিবর্তনের ব্যাপারে ক্রমেই
সচেতন হয়ে উঠছিলেন,
তারাই
এ কথাটির অর্থ বুঝতে পারতেন।
বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের
ব্যাপারটা সকলে খুব ভালভাবে
না বুঝলেও মোটামুটি ভাবে
জানেন। তাই ইদানিং কেউ যদি
গরম দিন বা অদ্ভুদ ঝড় দেখে বলে
“এটা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন”,
তাহলে
সেটাকে আর অস্বাভাবিক কিছু
বলে মনে হয় না।
বটে!
এই
নিবন্ধে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন
কি,
এটার
কারণ এবং এটার প্রভাবে কি হতে
পারে তা জানব। বিশ্বের উষ্ণতা
বৃদ্ধির ব্যাপারটা কিন্তু
সকলে বিশ্বাস করে না,
এমনকি
এটা ঘটছে কি না তাও জানেনা।
আর কারো কারো কাছে এটা দুশ্চিন্তা
করার মত কোন বিষয় বলেই মনে হয়
না।
উষ্ণায়ন বা বিশ্বের তাপমাত্রা
বৃদ্ধির ব্যাপারটা বুঝতে হলে
প্রথমে আমাদেরকে জলবায়ু আর
আবহাওয়ার মধ্যের সম্পর্কটা
বুঝতে হবে।
২.
আবহাওয়া
ও জলবায়ু
হচ্ছে স্থানীয় এবং ক্ষনস্থায়ী।
আগামী মঙ্গলবার আপনি যে শহরে
থাকেন সেখানে বরফ পড়ে তাহলে
সেটাই ঐ শহরের তখনকার আবহাওয়া।
জলবায়ু অনেক দীর্ঘমেয়াদী
বৈশিষ্ট এবং এটা ছোট জায়গার
সাথে সম্পর্কিত না। একটি
অঞ্চলের দীর্ঘ সময়ের গড়
আবহাওয়াকে ঐ অঞ্চলে অবস্থিত
কোন স্থানের জলবায়ু বলে।
বিশ্বের যে জায়গায় আপনি থাকেন
সেখানে যদি শীতকালে খুব ঠান্ডা
হয় আর প্রচুর বরফ পড়ে তাহলে
সেটাকেই ঐ অঞ্চলের জলবায়ুর
বৈশিষ্ট বলা যায়। আর ঐতিহাসিক
ভাবে যদি একটি স্থানে প্রতিবার
শীত কালে খুব ঠান্ডা থাকে আর
বরফ পড়ে,
তাহলে
ভবিষ্যতেও শীতকালে একই রকম
আবহাওয়া থাকবে বলে আশা করা
যায়।
সম্পর্কে বলার সময় দীর্ঘমেয়াদী
বলতে সত্য সত্যই অত্যন্ত দীর্ঘ
সময় বুঝানো হয়। এমনকি কয়েকশ
বছরকেও জলবায়ুর ক্ষেত্রে
যথেষ্ট ছোট সময় ধরা হয়ে থাকে।
সত্যি কথা বলতে কি,
জলবায়ুর
পরিবর্তনের জন্য দশ হাজার
বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়।
এর মানে এই দাড়াচ্ছে যে,
যদি
পর পর এক দুই বা তিন বছর শীতের
সময় ঠান্ডা কম পড়ে তাহলেই
জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে,
এমন
ভাবার কোন কারণ নাই। এটাকে
শুধুই একটা ব্যতিক্রম বলা
যায়,
কারণ
এটা স্বাভাবিক ধরনের চেয়ে
একটু অন্যরকম কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী
কোন পরিবর্তন ইঙ্গিত করে না।
চিত্রঃ যুক্তরাস্ট্রে ১৮৯৫-২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাসের গড় তাপমাত্রা এখানকার জলবায়ু নির্দেশ করছে [ NOAAর সৌজন্যে]
এটাও জানা দরকারী যে,
জলবায়ুর
সামান্য পরিবর্তনের ফলাফল
ব্যাপক হতে পারে। বিজ্ঞানীরা
যখন বরফ যুগের কথা বলেন তখন
চারিদিকে বরফ ঢাকা আর ঠান্ডায়
জমে যাওয়ার মত আবহাওয়ার কথাই
বুঝান। সত্যি কথা বলতে কি,
শেষবার
যখন বরফযুগ ছিল (প্রায়
প্রতি ৫০,০০০
থেকে ১০০,০০০
বছর পরপর একবার করে বরফযুগ
এসেছিল),
তখন
পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা
ছিল মাত্র ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস,
যা
এখনকার গড় তাপমাত্রার চেয়ে
অনেক ঠান্ডা। [তথ্যসূত্র]
উষ্ণায়ন হলো তুলনামূলকভাবে
যথেষ্ট কম সময়ে মানুষের
কার্যক্রমের ফলে পৃথিবীর
জলবায়ুর গড় তাপমাত্রার একটা
লক্ষণীয় বৃদ্ধি। আরো নির্দিষ্ট
করে বলতে গেলে বলা যায়,
একশ
থেকে দুইশ বছরের মধ্যে বিশ্বের
জলবায়ুর উষ্ণতা ১ ডিগ্রী বা
এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেলে
এটাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা
যেতে পারে। একশ বছরের মধ্যে
০.৪
ডিগ্রী তাপমাত্রা বাড়লেও
সেটা উল্ল্যেখযোগ্য।
জলবায়ুর স্বাভাবিক উপায়ে পৃথিবীর মাত্র এক ডিগ্রী ঠান্ডা বা গরম হতে হাজার হাজার বছর লাগে। এটা হওয়াটা স্বাভাবিক। বরফ যুগের পৌনঃপুনিক ফিরে আসা ছাড়াও আরও কিছু কারণে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটতে পারে, যেমন – আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা, এই গ্রহ আবরনকারী উদ্ভিদের বিভিন্নতার পরিবর্তন, সূর্যের বিকিরনের পরিবর্তন এবং আবহাওয়ামণ্ডলের স্বাভাবিক রাসায়নিক পরিবর্তন। |
৩.
গ্রীনহাউজ
প্রতিক্রিয়া
প্রতিক্রিয়া বাড়ার কারণে
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বেড়ে যাচ্ছে।
গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া কিন্তু
খারাপ কোন ঘটনা না,
কারণ
এর ফলে জীবজগতের অস্তিত্ব
টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয়
তাপ পৃথিবীর আবহমণ্ডলে আটকে
থাকে।
প্রতিক্রিয়া কি তা বোঝার জন্য
একটা সহজ উদাহরণ দেয়া যাক।
যদি রোদের মধ্যে থেমে থাকা
একটা গাড়ীর জানালা বন্ধ করে
রাখা হয় তাহলে খেয়াল করবেন
যে,
কিছুক্ষন
পর থেকেই গাড়ীর ভিতরটা সবসময়
বাইরে থেকে বেশি গরম থাকে।
প্রথমে সূর্যরশ্মি গাড়ির
জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ
করে। তারপর গাড়ীর সিট,
মেঝের
ম্যাট,
ড্যাশবোর্ড
এগুলো সেই তাপের কিছু অংশ শোষন
করে গরম হয়ে যায়। এই বস্তুগুলো
যখন তাপ ছেড়ে দেয় তখন সব তাপ
জানালা দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে
না। উল্টা বেরোতে না পেরে
ভিতরেই ফিরে আসে;
কারণ,
সূর্যের
আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য আর সিট
ইত্যাদি থেকে ছড়ানো তাপের
তরঙ্গদৈর্ঘ্যও এক নয়। কাজেই
গাড়ীর ভেতরে যে পরিমান তাপ
শক্তি প্রবেশ করছে,
বেরিয়ে
আসতে পারছে তার চেয়ে কম পরিমানে।
এটার কারণেই ধীরে ধীরে গাড়ীটার
ভিতর প্রচন্ড গরম হয়ে
ওঠে।
চিত্রঃ গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ার সহজ উপস্হাপনা [সৌজন্যেঃ U.S. Global Change Research Program]
রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে
প্রবেশ করার পর এর প্রায় শতকরা
৭০ ভাগ শক্তি ভূমি,
মহাসাগর,
গাছপালা
ও অন্যান্য জিনিস দিয়ে শোষিত
হয়। বাকী শতকরা ত্রিশ ভাগের
মত শক্তি মেঘ,
বরফ
সমতল এবং অন্যান্য প্রতিফলক
পৃষ্ঠ দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে
মহাশূন্যে ফেরৎ যায় [তথ্যসূত্র]।
কিন্তু এই আটকে থাকা ৭০ ভাগ
শক্তিও সারাজীবনের জন্য আটকে
থাকে না (থাকলে
পৃথিবী একটা জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ড
হয়ে যেত)।
পৃথিবীর
যে বস্তুগুলি সূর্যের তাপ
আহরন করে সেগুলো আবার তাপটাকে
বিকিরন করে ছেড়ে দেয়। এই ছেড়ে
দেয়া তাপের কিছু অংশ মহাশূন্যে
চলে যায়,
কিছু
অংশ আবহমণ্ডলের বিভিন্ন
বস্তুতে যেমনঃ কার্বন ডাই-অক্সাইড,
মিথেন
গ্যাস বা জলীয় বাষ্পতে প্রতিফলিত
হয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে।
যে তাপটুকু পৃথিবীর আবহাওয়ামণ্ডল
ছেড়ে মহাশূন্যে যেতে পারে
না,
তা
আমাদের গ্রহটাকে মহাশূন্য
থেকে গরম রাখতে সাহায্য করে,
কারণ
যে পরিমান শক্তি প্রবেশ করছে,
ছেড়ে
যাচ্ছে তার চেয়ে কম শক্তি।
এই পুরা প্রক্রিয়াটাই গ্রীনহাউজ
প্রতিক্রিয়ার অংশ যা আমাদের
পৃথিবীকে উষ্ণ রাখে।
গ্রীনহাউজ
|
৪.
বৈশ্বিক
উষ্ণায়নঃ কী ঘটছে?
উৎপন্ন কিছু বস্তু বা গ্যাসের
কারণে গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়া
ঘটে থাকে। দূর্ভাগ্যজনক ব্যাপার
হলো যে,
শিল্প
বিপ্লবের সময় থেকেই,
মানুষের
কর্মকান্ডে প্রচুর পরিমানে
এই বস্তুগুলো বায়ুতে ছড়াচ্ছে।
ডাই অক্সাইড(CO2)
একটি
বর্ণহীন গ্যাস যা জৈবপদার্থ
দহনের ফলে সৃষ্টি হয়। এটা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের শতকরা
০.০৪
ভাগেরও কম অংশ গঠন করে,
যার
বেশিরভাগই এই গ্রহের আদি সময়ে
আগ্ণেয়গিরির কারণে সৃষ্টি
হয়েছিল। বর্তমানে মানুষের
বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচুর
পরিমানে CO2
বায়ুমণ্ডলে
ছেড়ে দিচ্ছে,
ফলে
বাতাসে এর সার্বিক ঘনমাত্রা
বৃদ্ধি পাচ্ছে [তথ্যসূত্র]।
এই বর্ধিত ঘনমাত্রাকে বৈশ্বিক
উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হিসেবে
বিবেচনা করা হয়,
কারণ
কার্বন ডাই-অক্সাইড
অবলোহিত বিকিরন শোষন করে।
পৃথিবীর আবহমণ্ডল ছেড়ে যাওয়া
বেশিরভাগ শক্তিই এই রূপে থাকে,
কাজেই
অতিরিক্ত CO2
মানে
অতিরিক্ত শক্তি শোষন এবং
গ্রহের সার্বিক তাপমাত্রা
বৃদ্ধি।
Courtesy NASA
চিত্রঃ গ্রীনহাউজ গ্যাস, যথা কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং মিথেনের প্রধান কয়েকটি উৎপাদকের মধ্যে বিদ্যূৎ উৎপাদন কেন্দ্র, গবাদিপশু এবং গাড়ি অন্যতম।
সংস্থা (The
Worldwatch
Institute)
প্রতিবেদন
করেছে যে পৃথিবীজুড়ে কার্বন
নির্গমনের পরিমান ১৯০০ সালের
১ বিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ১৯৯৫
সালে ৭ বিলিয়ন টনে দাড়িয়েছে।
এই সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে
যে,
পৃথিবীপৃষ্ঠের
গড় তাপমাত্রা ১৮৬০ সালের ১৪.৫
ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে বেড়ে
১৯৮০ সালে ১৫.৩
ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়েছে।
চিত্রঃ হাওয়াই-এর মাউনা লোয়াতে পরিমাপকৃত কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনমাত্রা
গুরুত্বপূর্ণ গ্রীনহাউজ
গ্যাস হল নাইট্রাস অক্সাইড
(NO2)।
যদিও মানুষের কার্যকলাপের
ফলে এটার নির্গমণ CO2
এর
তুলনায় খুবই কম,
কিন্তু
এটা CO2
এর
চেয়ে অনেক বেশি শক্তি শোষন
করে (প্রায়
২৭০ গুন বেশি)।
তাই গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমণ
কমানোর উদ্যোগে এই NO2
এর
দিকেও লক্ষ্য রাখা হয় [তথ্যসূত্র]।
ফসল উৎপাদনের জন্য প্রচুর
পরিমানে নাইট্রোজেন সার
ব্যবহার করার ফলে সেখান থেকে
নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন
হয় ও বায়ুমণ্ডলে চলে আসে,
তাছাড়া
দহনের ফলেও এই গ্যাস উপজাত
হিসেবে উৎপন্ন হয়।
একটি দহনযোগ্য গ্যাস এবং
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান
উপাদান। প্রাকৃতিক ভাবে
জৈববস্তুর পচনের ফলে মিথেন
গ্যাস তৈরী হয়, এছাড়া
জলাভুমি থেকেও এই গ্যাস নির্গত হতে পারে। মানুষের
কার্যকলাপে বিভিন্নভাবে এই
গ্যাস উৎপন্ন হতে পারেঃ
-
খনি
হতে উত্তোলন করে -
গবাদিপশুর
দল হতে (পাকস্থলীর
গ্যাস) -
ধানের
ব্যাকটেরিয়া হতে -
আবর্জনাভূমিতে
পচনের ফলে।
গ্যাস,
কার্বন
ডাই-আক্সাইডের
মতই অবলোহিত শক্তি শোষন করে
পৃথিবীকে গরম রাখে। এমনকি
কিছু কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন
যে,
অনেক
পূর্বে এই গ্রহের আবহমণ্ডলে
একটি বড় আকারের মিথেন নিষ্ক্রমনের
ফলে (সাগরতলে
আটকে থাকা জমাট মিথেনের বিরাট
অংশ মুক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে)
স্বল্প
সময়ের জন্য তীব্রমাত্রার
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটিয়েছিল
যা অনেক প্রাণীর বিলুপ্তি
ঘটার জন্য দায়ী ছিল (ডিসকভার
সাময়িকি,
ডিসেম্বর,
২০০৩
সংখ্যা)।
জলীয় বাষ্প সবচেয়ে সহজলভ্য গ্রীনহাউজ গ্যাস, কিন্তু এটা মানুষের কার্যকলাপে যত না উৎপন্ন হয় তার চেয়ে বরং জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বেশি উৎপন্ন হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থিত পানির কণা সূর্যে এবং আশেপাশের উৎস হতে প্রতিফলিত তাপ গ্রহণ করে। যথেষ্ট পরিমান শক্তি শোষনের ফলে কিছু সংখ্যক পানির কণাতে শক্তি এত বেশি হয়ে যায় যে সেগুলো তরল অংশকে পরিত্যাগ করে বাষ্প আকারে আবহমণ্ডলে চলে আসে। বাষ্পকণাগুলো যতই উপরে উঠতে থাকে, চারপাশে বাতাসের তাপমাত্রা ততই কমতে থাকে। ফলশ্রুতিতে, বাষ্পকণা সমস্ত তাপ হারিয়ে ফেলে এবং আবার তরল কণায় পরিবর্তিত হয়। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষনের ফলে এই কণা আবার পৃথিবীর পৃষ্ঠে ফেরৎ আসে এবং পানিচক্র সম্পন্ন করে। এটাকে ধনাত্নক ফীডব্যাক চক্র বলা হয়। অন্যান্য গ্রীনহাউজ গ্যাসের তুলনায় জলীয় বাষ্প পরিমাপ করা বেশি কঠিন, তাছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণায়নে এটার আসলেই কতটুকু ভুমিকা আছে সে বিষয়েও বিজ্ঞানীগণ নিশ্চিত নন। তবে, NOAA এর ওয়েবসাইটে এটা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে:
যখন আবহমণ্ডলে জলীয় বাষ্প বৃদ্ধি পেতে থাকে, তখন এর আরও বেশি অংশ ঘনীভুত হয়ে মেঘে পরিনত হয় যা আরো বেশি পরিমানে সৌরবিকিরন প্রতিফলিত করে ফিরিয়ে দিতে পারে (এভাবে, কম শক্তিকে পৃথিবী পৃষ্ঠে পৌছাতে এবং উষ্ণায়ণ কম হয়)
|
পৃথিবী
আর কয়েক ডিগ্রী গরম হলে আসলে
কি হতে পারে?
জানতে
চাইলে পরের অনুচ্ছেদগুলো
পড়ুন।
৫.
বৈশ্বিক
উষ্ণায়ণের প্রভাবঃ সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চতা বৃদ্ধি
আমরা দেখেছি যে,
হাজার
বছরের ব্যাপ্তিতে মাত্র ৫
ডিগ্রী গড় তাপমাত্রা হ্রাসের
ফলে বরফযুগের সুচনা হতে পারে;
কাজেই
মাত্র কয়েকশ বছরের মধ্যে
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা কয়েক
ডিগ্রী বৃদ্ধি পেলে কি হতে
পারে?
এর
কোন স্পষ্ট জবাব নাই। এমনকি,
স্বল্প
সময়ের আবহাওয়ার পূর্বাভাসও
কখনো পুরোপুরিভাবে সঠিক হয়
না,
কারণ,
আবহাওয়া
একটি জটিল ব্যাপার। আর যখন
দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ুর পূর্বাভাসের
কথা আসে তখন আমাদের জলবায়ুর
ধরনের উপর ইতিহাসলব্ধ জ্ঞান
হতে সতর্ক অনুমান করতে হয়।
চিত্রঃ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কিছু সাম্ভাব্য ফলাফল হতে পারে, কিছু দ্বীপপুঞ্জের নিম্নভুমি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য জলমগ্ণ হয়ে যেতে পারে, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সংখ্যা এবং তীব্রতা বেড়ে যাবে, এবং হিমবাহ ও বরফের আচ্ছাদন বিলীন হয়ে যাবে।
বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত হিমবাহ
এবং বরফাচ্ছাদনগুলো গলতে
শুরু করতে পারে। সত্যি বলতে
কি,
এই
ব্যাপারটা ইতিমধ্যে শুরুহয়ে
গেছে [তথ্যসূত্র]।
বরফে আচ্ছাদিত বড় এলাকা কমে
গেলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ ত্বরান্বিত হতে পারে,
কারণ
সেক্ষেত্রে কম পরিমান সূর্যের
শক্তি পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে
প্রতিফলিত হয়ে ফেরৎ যাবে
(যেমনটি
ব্যাখ্যা
করা হয়েছে এই প্রবন্ধের ৩য়
অনুচ্ছেদে)।
হিমবাহ গলে গেলে তাৎক্ষণিক
প্রতিক্রিয়া হল সমুদ্রপৃষ্ঠের
উচ্চতা বৃদ্ধি ।
শুরুতে অবশ্য এ বৃদ্ধি হবে
মাত্র এক বা দুই ইঞ্চি পরিমানে
(বস্তুত,
যদি
পশ্চিম অ্যান্টার্কটিক বরফ
আচ্ছাদন গলে যায় এবং সাগরে
এসে পড়ে,
তাহলে
এটা সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা
১০ ফুট পর্যন্ত বাড়িয়ে
দিবে[তথ্যসূত্র],
এবং
অনেক উপকূলীয় এলাকা সম্পূর্নভাবে
সমূদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে)।
তাছাড়া,
তাপমাত্রা
বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সমুদ্রের
পানির আয়তনও বেড়ে যাবে,
যা
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়িয়ে
দেবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা
সামান্য একটু বাড়লেও অনেক
উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে বন্যার
সমস্যা দেখা দিবে।
চিত্রঃ গবেষনালব্ধ ভবিষ্যতবাণী সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি নির্দেশ করে
মহাসাগরের
সার্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধির ফলে,
এত
উৎপন্ন ঝড় যথা ট্রপিকাল ঝড়
এবং হারিকেনের
সংখ্যা এবং শক্তি বৃদ্ধি পাবে;
কারণ
এই ঝড়গুলো যে উষ্ণ সাগরের উপর
দিয়ে বয়ে যায় তা থেকে এর প্রচন্ড
ভয়ংকর ও বিধ্বংসী শক্তি যোগাড়
করে।
৬.
বৈশ্বিক
উষ্ণায়নের প্রভাবঃ প্রকৃতি
ও বাস্তুতন্ত্র
গড় তাপমাত্রা বাড়লে বিশ্বের
পরিবর্তনটা হবে ধীরে ধীরে।
চারটি ঋতূ বিশিষ্ট উষ্ণ
অঞ্চলসমূহে,
ফসলী
ঋতূটি অধিক সময় স্থায়ী হবে
এবং বৃষ্টিপাতও বেশি হবে।
এসকল এলাকার জন্য এটা অনেক
দিক দিয়েই লাভজনক হবে। অপরপক্ষে
শীতপ্রধান অঞ্চল সমূহেও
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে
মনে করা হয়। এছাড়া এসকল এলাকায়
বৃষ্টিপাত কমে যাবে অস্বাভাবিক
ভাবে,
যা
দীর্ঘমেয়াদী খরা এবং মরুকরণ
ঘটাবে।
বাস্তুতন্ত্রের১
উপর এর প্রতিক্রিয়া হবে সবচেয়ে
বেশি,
আর
এটা অনুমান করাও সবচেয়ে কঠিন।
বেশ কিছু জায়গার বাস্তুতন্ত্র
অত্যন্ত জটিল ও নাজুক;
সামান্য
একটু পরিবর্তনের ফলে বেশ কিছু
জীব প্রজাতি বিলীন হয়ে যেতে
পারে,
আর
এর ফলে ঐ প্রজাতির উপর নির্ভরশীল
অন্যান্য প্রজাতিও শেষ হয়ে
যাবে। বেশিরভাগ বাস্তুতন্ত্রই
একটা অপরটার সাথে যুক্ত ও
নির্ভরশীল,
তাই
শৃঙ্খলিত প্রতিক্রিয়ার ফলে মোট পরিবর্তন অনুমান করা
প্রায় অসম্ভব। ফলাফল এ ধরনের
হতে পারে যে,
একটা
জঙ্গল ধীরে ধীরে শুকিয়ে গিয়ে
তৃণভূমিতে পরিণত হল অথবা,
সম্পুর্ন
প্রবাল প্রাচীর মারা গেল।
অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণি
জলবায়ুর এই পরিবর্তনে অভিযোজিত
হবে বা অন্য জায়গায় চলে যাবে,
অথবা,
বিলীন
হয়ে যাবে।
উষ্ণায়ণের ফলে মানব জীবনের
ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করা
বেশ কঠিন। প্রতি বছর হাজার
হাজার বয়স্ক এবং অসুস্থ
ব্যক্তিগণ হিট
স্ট্রোক
বা তাপাক্রান্ত হয়ে এবং অন্যান্য
গরম সংক্রান্ত অসুস্থতাতে
আক্রান্ত হওয়ার ফলে মারা যেতে
পারেন। অনুন্নত দেশসমূহের
গরীব ব্যক্তিগণ সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিগ্রস্থ হবেন,
কারণ
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট
সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার
মত যথেষ্ট অর্থনৈতিক শক্তি
তাদের নাই। বৃষ্টিপাত কমার
ফলে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়াতে
অভুক্ত থাকার ফলে এবং উপকূলীয়
অঞ্চলে বন্যার ফলে বিভিন্ন
পানিবাহীত অসুখের ফলে অনেক
লোক মারা যেতে পারেন।
আমরা দেখব,
কিছু
মানুষ কেন বৈশ্বিক উষ্ণায়নের
ব্যাপারে সচেতন নন।
৭.
বৈশ্বিক
উষ্ণায়ন কি আসলেই কোন সমস্যা
কিছু
কিছু লোক আছেন যারা বৈশ্বিক
উষ্ণায়ণ আদৌ ঘটছে বলে মনে করেন
না। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ
আছেঃ
-
তাঁরা
মনে করেন যে বৈশ্বিক তাপমাত্রার
উপাত্ত থেকে পরিমাপযোগ্য
বৃদ্ধির কোন ধরণ দেখা যায় না,
কারণ:
আমাদের
কাছে যথেষ্ট দীর্ঘমেয়াদী
উপাত্ত নেই অথবা,
যে
উপাত্ত আছে তা
যথেষ্ট
বোধগম্য নয়। -
কিছু
বিজ্ঞানী মনে করেন যে,
যে
সকল লোক ইতিমধ্যে বৈশ্বিক
উষ্ণায়ণ নিয়ে চিন্তিত তাঁরা
এ সংক্রান্ত উপাত্তের ভুল
ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করছেন।
অর্থাৎ,
এ
সকল ব্যক্তিগণ নিরপেক্ষ ভাবে
তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করার
বদলে পরিসংখ্যান হতে শুধুমাত্র
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের সপক্ষের
প্রমাণগুলি খুঁজছেন। -
আমরা
বিশ্বের যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি
দেখতে পারছি,
তা
জলবায়ুর
স্বাভাবিক পরিবর্তনের অংশ,
কিংবা
এটা গ্রীনহাউজ গ্যাসের জন্য
নয় বরং অন্য কোন কারণে ঘটছে।
বিজ্ঞানী বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ
ঘটছে বলে স্বীকার করেন,
কিন্তু
এটা দুশ্চিন্তা করার মত কোন
পর্যায়ে আছে বলে একমত নন।
তাঁরা বলেন যে,
এরকম
পর্যায়ের জলবায়ু পরিবর্তন
পৃথিবী প্রাকৃতিক ভাবেই
প্রতিরোধ করবে,
আর
এই বাঁধার পরিমান আমরা যা ভাবছি
তার চেয়ে অনেক বেশি। উদ্ভিদ
ও প্রাণী এই রকম জলবায়ুর
পরিবর্তনে অভিযোজিত হবে,
তাই
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের ফলে বিপর্যয়কর
কিছু ঘটবে না। একটু দীর্ঘায়িত
ফসলী ঋতূ,
বৃষ্টিপাতের
মাত্রা পরিবর্তন এবং শক্তিশালী
আবহাওয়া তাদের মতে,
সাধারণত
বিধ্বংসী নয়। তাদের আরেকটি
যুক্তি হচ্ছে,
গ্রীনহাউজ
গ্যাস নির্গমণ কমানোর উদ্যোগের
ফলে মানুষের উপর যে অর্থনৈতিক
চাপ পড়বে,
তা
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের ফলে সৃষ্ট
অর্থনৈতিক ক্ষতির চেয়ে অনেক
বেশি।
উত্তরটি কী দাঁড়াচ্ছে?
এটা
বের করা সত্যই কঠিন। বেশির
ভাগ বিজ্ঞানীই আপনাকে বলবে
যে,
বৈশ্বিক
উষ্ণায়ণ একটি বাস্তব ঘটনা,
এর
ফলে আমাদের কোন না কোন একটা
ক্ষতি হচ্ছে,
কিন্তু
সেই সমস্যার বিস্তার এবং এর
ফলে যে বিপদগুলো ঘটতে পারে
সে বিষয়ে এখনও প্রচুর বিতর্কিত
বিষয় রয়ে গেছে।
অনুচ্ছেদে আমরা দেখব,
বৈশ্বিক
উষ্ণায়ণ রোধ করার জন্য আমাদের
কী করতে পারি।
৮.
আমরা
কি বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ থামাতে
পারব?
উষ্ণায়ণ থামানোর জন্য আমরা
বেশ কিছু কাজ করতে পারি। মূলত
সবকিছুর অর্থ যা দাড়ায় তা
হচ্ছে:
যেসকল
বস্তু গ্রীনহাউজ গ্যাস উৎপন্ন
করে তার ব্যবহার কমাতে হবে।
স্থানীয় পর্যায়ে,
আপনি
কম শক্তি ব্যবহার করে এ ব্যাপারে
সহায়তা পারেন। আমাদের ঘরের
বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বিদ্যূতে
চলে,
আর
এই বিদ্যূৎ যে
বিদ্যূৎ
উৎপাদন কেন্দ্রে
উৎপন্ন হয় তার বেশিরভাগই
জীবাশ্ম জ্বালানী দহন করে
শক্তি উৎপন্ন করে। ব্যবহার
শেষে বাতি নিভিয়ে দিন। গোছলখানায়
কম পরিমান গরম পানির ব্যবহার
করুন বা আপনার গোছলের দৈর্ঘ্য
কমিয়ে দিন। গরমের দিনে তাপানুকুল
যন্ত্র
ব্যবহার না করে (বৈদ্যূতিক)
পাখা
ব্যবহার করুন।
চিত্রঃ হাইড্রোজেন-শক্তি চালিত গাড়ী, সৌরকোষের বর্ধিত ব্যবহার, এবং জল-বিদ্যূৎ প্রকল্প গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমণ কমানোর জন্য সম্ভাব্য উপায়
কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি বলা
হল,
যা
আপনাকে গ্রীনহাউজ গ্যাস
নির্গমণ কমাতে সাহায্য করবেঃ
-
আপনার
গাড়ীর ইঞ্জিনটি ঠিকমত টিউন
করা হয়েছে তা
নিশ্চিত
করুন। এটা গাড়ীকে আরও কার্যকরভাবে
চলতে সাহায্য করবে এবং কম
পরিমানে ক্ষতিকর গ্যাস উৎপন্ন
করবে। -
যখনই
সম্ভব হবে হাটুন অথবা সাইকেল
বা মটরসাইকেল ব্যবহার করুন।
মোটরগাড়ী যে কোন কিছুর চেয়ে
বেশি গ্রীনহাউজ গ্যাস উৎপন্ন
করে। -
অব্যবহৃত
বাতি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি
বন্ধ করুন। যদিও বৈদ্যূতিক
বাতি কোন
গ্রীনহাউজ গ্যাস উৎপন্ন করে
না,
কিন্তু
এতে ব্যবহৃত শক্তি যে
বিদ্যূৎকেন্দ্রে উৎপন্ন হয়
সেটা করে। -
পূণর্ব্যবহার
বা রিসাইকেল করুন। যে সকল
আবর্জনা পূণর্ব্যবহার করা
হয় না সেগুলো বর্জ্যভূমিতে
যায় আর এখান থেকে মিথেন গ্যাস
উৎপন্ন হয়;
এছাড়া,
রিসাইকেল
করা বস্তুসমূহকে পূণরায়
ব্যবহারোপযোগি করতে কাঁচামাল
থেকে নতুন ভাবে উৎপাদন করার
চেয়ে কম শক্তি খরচ হয়। -
যেখানেই
পারুন গাছ লাগান। গাছপালা
বাতাস থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড
নেয় এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। -
ময়লা
পুড়াবেন না। এর ফলে কার্বন
ডাই-অক্সাইড
ও অন্যান্য হাইড্রোকার্বন
বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
মোটরগাড়ী
জীবাশ্ম-জ্বালানী
দহন করে,
তাই
ছোট এবং আরো জ্বালানী সাশ্রয়ী
গাড়ী কম CO2
ছড়ায়,
বিশেষত
হাইব্রীড গাড়ী। কাজে যাওয়ার
সময় সম্ভব হলে হাটুন অথবা
সাইকেল /
মোটরসাইকেল
ব্যবহার করুন,
কিংবা
অন্যকেও আপনার গাড়ীতে নিয়ে
যান।
গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন
বন্ধ করার জন্য আমাদেরকে
জীবাশ্ম-জ্বালানীর
বিকল্প জ্বালানী উৎস উন্নয়ন
করতে হবে। জল–বিদ্যূৎ
শক্তি,
সৌরশক্তি,
হাইড্রোজেন
ইঞ্জিন এবং
জ্বালানী
কোষ এগুলির
সার্বজনিন ব্যবহার গ্রীনহাউজ
গ্যাস কমানোতে বিরাট ভূমিকা
রাখতে পারে।
পর্যায়ে,
সারা
বিশ্বে CO2
এবং
অন্যান্য গ্রীনহাউজ গাস নিঃসরণ
কমানোর জন্য কিয়োটো
চুক্তি
লেখা হয়েছিল। পয়ত্রিশটি
শিল্পোন্নত দেশ বিভিন্ন
মাত্রায় তাদের নিঃসরিত গ্রীনহাউজ
গ্যাস কমানোর ব্যাপারে
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। আমাদের
দূর্ভাগ্য যে,
পৃথিবীর
গ্রীনহাউজ গ্যাস উৎপন্নকারী
অন্যতম দেশ,
যুক্তরাষ্ট্র
এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
উষ্ণায়ণ এবং এ সম্পর্কিত আরও
বিষয়ে জানার জন্য পরবর্তিতে
দেয়া যোগসূত্রগুলো দেখতে
পারেন।
৯.
আরও
অনেক তথ্য
HowStuffWorks
এর
প্রাসঙ্গিক প্রবন্ধসমূহ
- ক্যাটালাইটিক
কনভার্টার কিভাবে কাজ করে - Ecolodges
কিভাবে
কাজ করে - Eden
Project কিভাবে
কাজ করে - বৈদ্যূতিক
গড়ী কিভাবে কাজ করে - হাইব্রীড
গাড়ী কিভাবে কাজ করে - হাইড্রোজেন
অর্থনীতি কিভাবে কাজ করে - ওজোন
দূষণ কিভাবে কাজ করে - অতিবৃষ্টি
অরণ্য কিভাবে কাজ করে - বিশ্ব
বন্যপ্রাণী তহবিল কিভাবে
কাজ করে
আরও
দারুন সব যোগসূত্র
- New
Scientist: Climate Change - NPR:
Three Views on Global Warming - The
EPA Global Warming Kids Page - NOAA:
Global Warming - National
Academy of Sciences: Global Warming Facts & Our Future - Washington
Post.com: Kyoto Treaty Takes Effect Today
– February 16, 2005
- ইংরেজি উইকিপিডিয়া:
অতিবৃষ্টি
অরণ্য - ইংরেজি উইকিপিডিয়া: কিয়োটো প্রোটোকল
তথ্যসূত্রসমূহ
- Flavin,
Christopher and Tunali, Odil. Climate of Hope: New Strategies for
Stabilizing the World’s Atmosphere. Worldwatch Institute, 1996.
1-878071-32-7.
- Jones,
Laura, editor. Global Warming: The Science and the Politics. The
Fraser Institute, 1997. 0-88975-184-6.
- Singer,
S. Fred. Hot Talk, Cold Science: Global Warming’s Unfinished Debate.
The Independent Institute, 1998. 0-945999-78-x.
- Tesar,
Jenny. Global Warming. Facts On File, 1991. 0-8160-2490-1.
- The
EPA Global Warming Kids Page - Earth
Observatory: Global Warming - NOAA:
Global Warming
বাস্তুতন্ত্র (Ecosystem):
প্রকৃতিতে
জীবজগত ও তার চারপাশের জড়
জগতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক
ও মিথষ্ক্রিয়া
শামীম ভাই যে অনেক কষ্ট ও সময় ব্যয় করে এই প্রবন্ধটি লিখেছে তা পড়েই বুঝা যাচ্ছে। এই ধরনের মৌলিক লেখার জন্য শামীম ভাই কে ধন্যবাদ।
ধ্রুব,
এটা অনুবাদ; মৌলিক লেখা, তবে আমার নয়। অন্য আরেকজনের মৌলিক লেখা। মূল লেখার যোগসূত্র একেবারে প্রথমেই উল্লেখ করেছি (পি.ডি.এফ. হিসেবে দেখুন এর ঠিক নিচেই; ক্লিক করে দেখুন)।
একথা সত্য যে প্রবন্ধটি করতে অনেক সময় ব্যয় হয়েছে, কিন্তু যখনই ভেবেছি বাংলায় থাকার ফলে অনেকে এটা পড়ে উপকৃত হবেন তখনই মনটা আনন্দে ভরে গেছে, নতুন উদ্যমে শুরু করেছি। আর করেছি ওপেন অফিস রাইটার ব্যবহার আর অভ্র কি-বোর্ড ব্যবহার করে (দুটিই ফ্রী-ওয়্যার)। ওপেন অফিস বেশিদিন ধরে ব্যবহার করছি না, তাই ফরম্যাটিংটায় স্বাভাবিকের চেয়ে সময় বেশি লেগেছে। কিন্তু এর পর থেকে ফরম্যাটিং করতে সময় লাগবে না… হাত পাকায় ফেললাম। পরিভাষা জ্ঞানের অভাবটা বেশ অনুভব করেছি।
দেশে গেলেও এটার প্রিন্ট কপি (পি.ডি.এফ. থেকে) কিছু লোককে দেব; বিশেষত গ্রামে থেকে যারা অত্যন্ত আগ্রহের সাথে নিউজপেপার পড়েন; আর এসকল ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। আর দেব পরিচিত কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষককে – কারণ সচেতনতা বৃদ্ধি খুব জরুরী।
পরিশেষে, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মিয়া মোহাম্মদ হুসাইনুজ্জামান লিখেছেন এটা তাঁর মৌলিক রচনা নয়, অনুবাদ যেহেতু বিষয়টি বিশ্বউষ্ণায়ন তাই লেখাটিতে কেবল সে দিকটিই দেখা হয়েছে, আশেপাশের কিছু বিবেচনা করা হয়নি বিশ্বউষ্ণায়ন ঠেকাতে গাছ লাগাতে বলা হয়েছে, কিন্থু গাছ লাগাবার জমি থাকলে তো? মানুষ নাকি অদূর ভবিষ্যতে কেবল হাঁটবার মতো জায়গা পাবে, তখন খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা ইত্যাদির কী হবে? সিডারের সাড়ে পাঁচ মাস পরে নার্গিস হয়েছে, এর পর তো সপ্তাহে সপ্তাহে তা হবে, তখন কী করা যাবে? সবচেয়ে সহজ পথ হল, বিশ্বের জনসংখ্যা কমাতে হবে, এবং তৎপ্রতিক্রিয়ায় শিল্পোৎপাদনও কমবে, নইলে বিপদ কমতে পারে না বিশ্বউষ্ণায়ন নিয়ে বিপরীত কথা বলার সূত্রটি সম্ভবত এই যে, “গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমণ কমানোর উদ্যোগের ফলে মানুষের উপর যে অর্থনৈতিক চাপ পড়বে, তা বৈশ্বিক উষ্ণায়ণের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি।” অর্থাৎ দৃষ্টিটা অর্থনৈতিক কোণ থেকে নিয়ন্ত্রিত মানুষ বাঁচলে তো “অর্থনৈতিক ক্ষতির” কথা উঠতে পারে মায়ানমারে দশ হাজার মৃত(৬মে-২০০৮) আরও ভয়াবহ খবর তো অপেক্ষা করছে
মনোজকুমার দ. গিরিশ ০৬/০৫/২০০৮ কোলকাতা
I want title of global warming,thankful of global warming, object of global warming, meaning of global warming and decision of global warming in Bengali language.