যারা বিজ্ঞানী.com এর নিয়মিত পড়েন ও সাক্ষাৎকারগুলি শোনেন তাঁরা লক্ষ্য করেছেন আমরা নিয়মিত বিভিন্ন বাঙালী বিজ্ঞানীদের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই, যারা শুধু মাত্র বিজ্ঞানের বিভিন্ন জগতে পদচারণা করছেন তাই নয়, প্রবাসে থেকেও দেশের জন্য গঠনমূলক কিছু করছেন। আজকে তেমন এক বিজ্ঞানীর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব যিনি পুষ্টি বিজ্ঞানী হিসাবে আমেরিকাতে সুনামের সাথে কাজ করছেন এবং পাশাপাশি বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশেও এই বিষয়ে প্রচুর কাজ করছেন। আমাদের আজকের বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ আবু খালেদ।
ড. খালেদ তার কর্মজীবন শুরু করেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে রসায়ন বিভাগের
শিক্ষক হিসাবে। তিনি সেখানে সর্বপ্রথম রসায়ন ল্যাবরেটরি স্থাপন করেন। ড.
খালেদ পরবর্তিতে ইংল্যান্ডের স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
১৭৭৫ সনে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর তিনি আমেরিকার আলাবামা
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করেন। ১৯৭৮ সনে সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই
শিক্ষকতার কাজ শুরু করেন এবং বর্তমানে প্রোফেসর হিসাবে কর্মরত।
তিনি আমেরিকার
বেশ কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ও বেশ কিছু বাণিজ্যিক পণ্যের
উদ্ভাবক। ড. খালেদের উদ্ভাবিত DFBIA যন্ত্র ডায়রিয়া রোগের মাত্রা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এই DFBIA যন্ত্রটির অন্যান্য ব্যবহারও আবিষ্কৃত হচ্ছে যার বিস্তারিত সাক্ষাতকারে জানতে পারবেন। এছাড়া ডায়াবেটিকের জন্য Diabrex, ক্যান্সারের জন্য Extend,
বাত রোগ (arthritis) এর জন্য Rheumadol, মাইগ্রেনের জন্য Cephpax and ব্যাথা নিরাময়ের জন্য অন্যান্য ঔষধ উদ্ভাবনের জন্য কাজ
করেছেন। তাঁর রয়েছে অসংখ্য পেটেন্ট ও গবেষনা প্রবন্ধ যারা বিস্তারিত বিবরণ
তাঁর বায়োডাটাতে পাবেন।
কর্মজীবনে ব্যস্ততার পাশাপাশি যখনই সুযোগ পেয়েছেন
দেশের টানে ছুটে গেছেন বাংলাদেশে। কাজ করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সাথে
এবং তা সাধারণ জনসাধারণের কাছে পৌছে দেবার জন্য কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি
ভারতেও কাজ করছেন।
আজকের সাক্ষাৎকারে শুনুন ড. খালেদ কিভাবে বিজ্ঞান
ক্ষেত্রে কাজ শুরু করলেন। জানুন পুষ্টি বিজ্ঞান বিষয়টি সমন্ধে। এছাড়া তিনি
যে সমস্ত গবেষনা প্রকল্পের সাথে জড়িত সেগুলির সংক্ষীপ্ত বিবরণও তিনি এই
সাক্ষাতকারে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য
তিনি কাজ করতে চান। আগ্রহীগণ তাঁর সাথে যোগাযোগ করুন।
সাক্ষাৎকার শুনবার জন্য প্লে ক্লিক করুন। মূল অডিও ফাইল mp3।
ছবি: ঢাকাতে অবস্থিত ICDDRB এ একজন রোগীকে DFBIA ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ডাক্তারের হাতে একটি DFBIA মেশিন দেখা যাচ্ছে যিনি একজন ডায়রিয়া রোগীর (শয়ন্ত অবস্থায়) হাইড্রেশন মাত্রা পরিমাপ করছেন। দুটি জেল ইলেক্ট্রড রোগীর দুই হাতে ও দুই পায়ে সংলগ্ন করা আছে। DFBIA যন্ত্রটি ৮টি A সাইজের ব্যাটারি দিয়ে চলছে যার কারনে যন্ত্রটি একটু বড় দেখাচ্ছে তবে ভবিষ্যেতে এর আকার ছোট করে আরো বহনযোগ্য করা হবে।
সংযুক্ত ফাইল:
কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
এমন এক গুণী বিজ্ঞানীর সাথে বিজ্ঞানী.com এর পরিচয় করে দেবার জন্য ড.
হাবিব সিদ্দিকীকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Leave a comment