Dr. Salim Ahmed joined Memorial University of Newfoundland in February 2012 as an Assistant Professor in the Faculty of Engineering and Applied Science. Dr. Salim Ahmed’s current reserach focus is on the design of early warning systems for process industries. Supported by a Discovery Grant from NSERC and an IgniteR&D grant from Research and Development Corporation of Newfoundland and labrador (RDC), the alarm system design project aims at developing a risk-based alarm system.
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানী.অর্গ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আমাদেরকে সাক্ষাতকার দেবার জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই আপনার সম্বন্ধে আমাদের একটু বলুন।
ড. সেলিম আহমেদঃ বিজ্ঞানী.অর্গ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ, আমার সাথে সাক্ষাৎকারের জন্য। নিজের সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই যা অসাধারণ। দেশের বাইরে যারা আছি তাদের জীবনের গল্পটা মোটামুটি একই রকম। ছোট শহর থেকে স্কুল কলেজ শেষ করে বাড়ি ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে দেশ ছাড়া, উচ্চশিক্ষার জন্য। আর উচ্চশিক্ষা শেষ করে নিজের অতীত কে ছাড়া, নূতন করে শুরু করার জন্য। বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামগুলো ছাড়া বাকি সব কম বেশি একই। আমার পথটাএরকম: রংপুর জিলা স্কুল – কারমাইকেল কলেজ – বুয়েট -University of Alberta – Qatar University – Memorial University. শৈশব ছাড়া পুরো সময়টাই আমার কেটেছে শিক্ষাঙ্গনে। বর্তমানে Memorial University, St. John’s, Newfoundland এ কর্মরত।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ বর্তমানে কি নিয়ে কাজ করছেন?
ড. সেলিম আহমেদঃ আমার বর্তমান গবেষণার বিষয় accident modelling. সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় কিভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি (mechanical fault) এবং কর্মীদের ভুল পদক্ষেপ (human error) ধাপে ধাপে বড় দুর্ঘটনায় পরিণত হয় তা বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার গাণিতিক model তৈরি করা। এই model তৈরির উদ্দেশ্য হচ্ছে এর বিশ্লেষণ থেকে সঠিকভাবে নিরূপণ করা কি কি পদক্ষেপ নিলে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনাটি রোধ করা যাবে। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ পিএইচডি তে আপনি কাজের বিষয় ছিল, identification of continuous-time models from sampled data । বিষয়টি কি আমাদের একটু সহজভাবে বলবেন?
ড. সেলিম আহমেদঃ সহজভাবে বলতে গেলে সংগৃহীত উপাত্ত থেকে দুই বা ততোধিক পরিবর্তনশীল অনুসূচক (variable) এর মধ্যে গাণিতিক সম্পর্ক (mathematical model) নির্ণয় করা। এই model হতে পারে স্থিত (static) অথবা সময় নির্ভর (dynamic). যে বিশেষ রকমের model নিয়ে আমি কাজ করেছি তা হচ্ছে সময় নির্ভর (dynamic) model.
একটু ভিন্ন রকমের একটা উদাহরণ দেয়া যাক। ধরুন এ বছর সরকার সিদ্ধান্ত নিলো যে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ শতভাগ বাড়ানো হবে। এই বরাদ্দের প্রভাব শিক্ষার মানের উপর কি হবে তা বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা যায়। একটু বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে হয়তো প্রথম দু-এক বছর শিক্ষার মানের উপর কোনো প্রভাব থাকবে না। এরপর শিক্ষার মান বাড়তে থাকবে আশা করা যায়। এই মান বৃদ্ধির প্রকৃতি কি রকম হবে? হয়তো প্রথমে ধীরে ধীরে বাড়বে এবং এরপর বৃদ্ধির গতি কিছুটা বাড়বে। এরপর হয়তো বাড়ার গতি কমতে থাকবে এবং এক পর্যায়ে একটা স্থিতি অবস্থায় আসবে। লক্ষ্য করলে বোঝা যায় এই শিক্ষার মান বৃদ্ধির প্রকৃতি সময় নির্ভর। যদি শিক্ষার মানের কোনো সূচক নিয়মিতভাবে সংগ্রহ করা যায় তাহলে সেই সংগৃহীত উপাত্ত থেকে
শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ এবং শিক্ষার মানের মধ্যে একটা গাণিতিক মডেল দাঁড় করানো যাবে।
রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় বিভিন্ন variable এর মধ্যে সম্পর্ক এরূপ সময় নির্ভর। কোনো প্রক্রিয়া কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এই সম্পর্ক গুলো গাণিতিক সমীকরণ এর মাধ্যমে প্রকাশ করা প্রয়োজন। আমার পিএইচডির কাজ ছিল এমন model দাঁড় করানো। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ বর্তমানে আপনি Safety and Risk Engineering এর উপর কাজ করছেন। এটি সম্বন্ধে আমাদের একটু বিস্তারিত বলুন।
ড. সেলিম আহমেদঃ আমার বর্তমান কাজ দুর্ঘটনার গাণিতিক model তৈরী। এটা Safety and Risk Engineering এর একটি শাখা। প্রকৌশল এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকান্ডের সাথে ঝুঁকি (risk) জড়িত। Risk Engineering এর যথাযথ অনুবাদ ঝুঁকি কৌশল হবে কি না জানিনা, তবে Risk Engineering এর কাজই হচ্ছে প্রকৌশল এর সাথে সংশ্লিষ্ট যে কোনো কাজের অনুষঙ্গী ঝুঁকির মাত্রা নিরূপণ এবং এ মাত্রা অগণনযোগ্য হলে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপত্র প্রণয়ন যার মাধ্যমে ঝুঁকি কে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা যায়। অন্যকথায় যে কোনো প্রকৌশল কর্ম কে নিরাপদে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং প্রযুক্তির চর্চা এবং এর প্রয়োগই Safety and Risk Engineering এর অন্তর্নিহিত বিষয়।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি যেসব বিষয় নিয়ে গবেষণার করছেন তা আমাদের কিভাবে উপকৃত করবে?
ড. সেলিম আহমেদঃ ঝুঁকি সম্বন্ধীয় বিশ্বব্যাপী পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে স্বল্পোন্নত এবং অনুন্নত দেশগুলোতে মানুষের ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বেশি।অদূর অতীতের অনেক পরিসংখ্যান থেকে এটাও স্পষ্ট যে ঢাকা বসবাসের জন্য অনিরাপদ মহানগরী গুলোর মধ্যে অন্যতম। এরকম যে কোনো তালিকার অন্য নগরীগুলোর সবই যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিতে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন যুদ্ধ বিগ্রহের অভিশাপ থেকে মুক্ত একটি দেশ এর অধিকাংশ নাগরিক অগণনযোগ্য ঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করছে?
কদিন আগেই ঘটে গিয়েছে চকবাজারের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আমার গবেষণার একটি বিষয় আগুন ও বিস্ফোরণ (fire and explosion) সম্পর্কিত। কিভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে এবং অগ্নিকাণ্ডের পরিণতি কি হতে পারে তা বিশ্লেষণ, অগ্নিকান্ড এবং বিস্ফোরণ এর একটি থেকে অন্যটির সূত্রপাতের সম্ভাবনা এবং যুগপৎ অগ্নিকান্ড এবং বিস্ফোরণ কিভাবে মহা-দুর্যোগ বয়ে আনতে পারে তার গাণিতিক বিশ্লেষণ আমার গবেষণার বিষয়।যদিও এসবের প্রধান আলোচ্য রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার সাথে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনা, একই ধারণা চকবাজারের মতো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য।বস্তুতই আলোচ্য অগ্নিকান্ডটি আবাসিক অগ্নিকাণ্ডের চেয়ে শিল্প-কারখানার অগ্নিকাণ্ডের সাথে অধিকতর সদৃশ। দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি ছাড়া, মৃদুগতির বাতাসে, এমন দ্রুত প্রসারী, ব্যাপক এবং ধংসাত্মক অগ্নিকান্ড সম্ভব নয়।
প্রশ্ন ছিল গবেষণার ফলাফল থেকে আমরা কিভাবে উপকৃত হতে পারি।অবশ্যই আগুন ও বিস্ফোরণ এর প্রকৃতি নির্ধারণ করা গেলেই তা প্রতিরোধের উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রস্তাব করা যায়। তবে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এর প্রস্তাবিত ব্যবস্থা বাস্তবে প্রয়োগ করা না গেলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ University of Alberta সম্বন্ধে আমাদের বলুন। সেখানে আপনার কোন বিশেষ অভিজ্ঞতা কি আমাদের বলবেন।
ড. সেলিম আহমেদঃ University of Alberta একটি উচ্চ মানের বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষতঃ গত দুই দশকে এর প্রকৌশল অনুষদের মানের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। University of Alberta এবং Edmonton শহরের সাথে অনেক ব্যক্তিগত স্মৃতি। ২০০১ সালে ওখানে সর্বমোট ২৬ জন বাংলাদেশী ছাত্র ছিলাম। আমরাই প্রথম ওখানে Bangladesh Students Union প্রতিষ্ঠা করি।শীতকালের মাইনাস ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রা আলবার্টার বিশেষ অভিজ্ঞতা।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ বর্তমানে আপনি Memorial University of Newfoundland তে কাজ করছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে আমাদের বলুন।
ড. সেলিম আহমেদঃ Memorial University of Newfoundland আটলান্টিক কানাডার সর্ববৃহৎ university, ছাত্রসংখ্যায়। এটি St. John’s শহরে অবস্থিত। Newfoundland একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। আকারে বাংলাদেশের প্রায় ৮০%. পুরো দ্বীপটাই ছোট বড় পাহাড়ি এলাকা। সমতল নেই বললেই চলে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে খুব সুন্দর একটি জনপদ।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ছাড়া বাকি সব অনুষদ আছে। প্রকৌশল অনুষদ সবচেয়ে বেশি পরিচিত।বিশেষতঃ এর co-op পদ্ধতির পড়াশোনার জন্য।প্রত্যেক ছাত্র এক semester বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে এবং এক semester চাকরি করে।এভাবে পাশ করার আগেই প্রায় দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা অর্জন করে। প্রকৌশল অনুষদে বর্তমানে আমরা ৫ জন বাংলাদেশী অধ্যাপনা করছি। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ ভবিষ্যতে কি নিয়ে কাজ করতে চান?
ড. সেলিম আহমেদঃ ভবিষ্যতেও Safety and Risk Engineering এর উপরে গবেষণা চালিয়ে যেতে চাই। প্রতি বছর রাসায়নিক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা অনেক। বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সংস্কৃতি (safety culture) গড়ে তোলা এবং এর শিক্ষার প্রসার আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ বাংলাদেশিরা কি আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে পারে? তাদের জন্য কোন তথ্য কি দিতে পারবেন? (ওয়েবসাইট লিংক কিংবা যোগাযোগ)
ড. সেলিম আহমেদঃ আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৪০০-৫০০ বাংলাদেশী ছাত্র অধ্যয়নরত। এর মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রায় ১০০। ভর্তির ব্যাপারে www.mun.ca থেকে সব তথ্য পাওয়া যাবে।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ তরুণ শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় তাদের জন্য আপনার কোন উপদেশ বা বক্তব্য কি?
ড. সেলিম আহমেদঃ বিজ্ঞানে কাজ করার জন্য প্রয়োজন একটি উৎসুক মন। তবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় গবেষণা সংশ্লিষ্ট দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হৰে। তরুণ শিক্ষার্থী দের যারা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করতে আগ্রহী তাদের প্রথমে ঠিক করতে হবে সমসাময়িক বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রবিন্দুগুলো কোথায়। বিজ্ঞানচর্চা তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন নিজের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু আর চর্চিত বিষয়ের কেন্দ্রবিন্দু এক হয়ে যায়। [/box]
[divider style=”solid” top=”20″ bottom=”20″]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো নতুন নতুন সংবাদ জানতে সাবস্ক্রাইব করুন।
[mc4wp_form id=”3448″]
Leave a comment