প্রযুক্তি এবার বিশ্বের প্রকাশনা শিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে যাচ্ছে। এই শিল্পে সংযুক্ত হচ্ছে নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি। এই প্রযু্ক্িত সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক বুক রিডার বা ই-রিডার এর প্রমাণ বহন করে। এই সব ইলেকট্রনিক পণ্য প্রযুক্তি বিশ্বকে মাতাবে। এ বিষয়ে প্রযুক্তি মনস্ক মানুষের মাঝে যথেষ্ট আগ্রহের সৃষ্টি হবে। আধুনিক জীবন যাত্রায় এই ডিজিটাল প্রকাশনাসমূহ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
ই-রিডার কি
ইলেকট্রনিক রিডার সংক্ষেপে ই-রিডার নামে পরিচিত। ই-বুক রিডারকে বলা ই-বুক ডিভাইস। যেসব ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ডিজিটাল বই পড়া যায় তা হচ্ছে ই-রিডার। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে ই ইনক্ প্রযুক্তি যাতে লেখাসমূহ প্রদর্শিত হয় এবং ব্যবহারকারী সহজে তা পড়তে পারে। সামনের দিনগুলোতে এই ই-রিডার ব্যাপকভাবে পঠিত হবে। মুদ্রণ বা প্রকাশনা জগতে ই-রিডার সামগ্রিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
ই-রিডারের সুবিধাসমূহ
প্রধান সুবিধা হচ্ছে ই-রিডারসমূহ সহজে বহনযোগ্য, হালকা, সহজে ব্যবহারযোগ্য, ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী এবং এমনকি উজ্জ্বল সূর্যরশ্মিতে পড়া যাবে। নতুন বৎসরের শুরুতে প্রযুক্তি বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের ই-রিডার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েকটি আলোচিত ই-বুক রিডার নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
১. আমাজন কিনডল টু ই-রিডার
আমাজানের কিনডল টু একটি ডিজিটাল বুক রিডার হিসেবে কাজ করে। এতে ৬ ইঞ্চি স্ক্রিন প্রদর্শন করে। ১৬ লেভেল গ্রে স্কেল সাপোর্ট করে। এতে রয়েছে ২ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ ক্ষমতা। এটি ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে কম্পিউটারের সহিত সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম। এতে রয়েছে ওয়ারলেস কানেক্টিভিটি কোনো ক্যাবল ছাড়াই অনলাইনে বই পড়া যাবে অনায়াসে। এর মূল্য আনুমানিক ২৯৯ ডলার থেকে ৩৫৯ ডলার।
<!–[if !vml]–>
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
২. বার্নেস এন্ড নোবেল নুক
নুক একটি ইলেকট্রনিক বুক রিডার। এটি কিনডলে টু ই-রিডারের অনুরূপ। উভয় মডেল একই প্রকৃতির এবং প্রায় একই মূল্যের। এতে গ্রে স্কেল ই ইনক স্ক্রিন এবং ব্যাক ও ফরওয়ার্ড বাটনসহ কালো রঙের রর্ডার রয়েছে। এতে ওয়্যাইফাই (৮০২.১১বি/জি) কানেক্টিভিটির মাধ্যমে সরাসরি ইন্টারনেট থেকে বই পড়া যাবে। নুকে অনবোর্ড ২ গিগাবাইট স্টোরেজ ছাড়াও মাইক্রো এসডি স্লটে ১৬ গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানো যাবে। নুক এর একটি উল্লেখযোগ্য ডিজাইনে রয়েছে টাচ স্ক্রিন সুবিধা, এটি ৬.৫ ইঞ্চির নীচে ইলেকট্রনিক পেপার প্রদর্শন করবে। এতে পিডিএফ ভিউয়ার কাজ করে এবং মিউজিক প্লেয়ার রয়েছে। নতুন অধিকাংশ নুক ই-রিডারে এটিএন্ডটি নির্ভর থ্রিজি ফ্রি সার্ভিস প্রদান করছে। আশা করা যাচ্ছে বার্নেস এন্ড নোবেল নুক মার্কেটে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে। এর মূল্য আনুমানিক ২৫৯ ডলার।
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
৩. সনি রিডার টাচ এডিশন (PRS-600)
সনির একটি নতুন ই-বুক রিডার। এতে রয়েছে টাচস্ক্রিন সুবিধা। এতে ৬ ইঞ্চি ৮-গ্রে স্কেল ই ইনক্ স্ক্রিন রয়েছে। এর ফ্রেম মেটালিক কেস দ্বারা (সিলভার, কালো এবং লাল রঙের) আবদ্ধ। এতে ড্রয়িং সহ নোট লেখা সুবিধা থাকছে। এটি আকারে ছোট এবং হালকা। এটি ইউএসবি ক্যাবলের দ্বারা কম্পিউটারের সহিত সংযুক্ত হয়। ই-বুক লাইব্রেরি সফট্ওয়্যার ইনস্টল করার পর প্রয়োজনীয় কনটেন্ট বা বই সনি ই-বুক রিডারে ক্যাবল দ্বারা ট্রান্সফার করা যায়। এতে অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন অডিও প্লেয়ার দ্বারা MP3 অথবা AAC মিউজিক শোনা যাবে, বিভিন্ন ধরনের ছবি .jpg, .png, .gif অথবা .bmp ফরমেটে প্রদর্শন করা যাবে। এর মূল্য আনুমানিক ৩০০ ডলার।
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
৪. সনি রিডার পকেট এডিশন
অনেকের পছন্দ হবে সনি রিডার পকেট এডিশন। এটি কিনডলে ডিএক্স সংস্করণের অনুরূপ। এতে রয়েছে প্রদর্শিত ৫ ইঞ্জি ক্ষুদ্র স্ক্রিন। এর ওজন ৭.৮ আউন্স। এটি সহজে বহনযোগ্য, পকেটে রাখা যায় ¯^vQ‡›`| জ্যাকেট পকেট কিংবা ব্যাক পকেটে রাখতে পারেন। এতে বিভিন্ন ই-রিডার ফরমেট সাপোর্ট করে। যেমন পিডিএফ, টেক্সট, ই-পাব, আরটিএফ এবং ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ইত্যাদি। এর মূল্য আনুমানিক ২০০ ডলার।
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
৫. ফুজিৎসু ফ্লিপিয়া ই-রিডার
ফুজিৎসু ফ্লিপিয়া একটি ফ্লেক্সিবল ই পেপার রিডার। এটিকে কিনডলে বা নুক এর সহিত তুলনা করা যায়। এতে রয়েছে ইউএসবি ২.০ পোর্ট, এসডি কার্ড স্লট এবং ইন্টারনেট এক্সেসের জন্য ব্লুটথ বা ওয়াইফাই প্রযুক্তি। ৪ গিগাবাইট পর্যন্ত মেমরি বাড়ানো যাবে। এতে কালার এলসিডি টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়েছে যাতে ২৬০,০০০ (৩ স্ক্যান) অথবা ৪০৯৬ (২ স্ক্যান) অথবা ৬৪ (১ স্ক্যান) পর্যন্ত কালার প্রদর্শন করা যাবে। ফ্লিপিয়া ই-রিডারে ৮ ইঞ্চি স্ক্রিনে টাচ স্ক্রিন সুবিধা থাকছে। এর মূল্য আনুমানিক ১০০০ ডলার।
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
৬. ইনটুরেজ ইডজে (eDge) ঃ টেক্সটবুক ইভার
এবার ইনটুরেজ সিস্টেম ইন কর্পোরেশন বাজারে আনছে ইনটুরেজ ইডজে। এতে রয়েছে ডুয়াল স্ক্রিন যার লক্ষ্য এডুকেশন মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করা। এদের McGraw-Hill এর মতো প্রকাশনা কোম্পানীসমূহের সহিত চুক্তি রয়েছে। এতে একটি স্ক্রিন ৯.৭ ইঞ্চি এবং অন্য স্ক্রিনে ১০.১ ইঞ্চি এলসিডি। এলসিডি সাইটে ইনড্রয়েড সফট্ওয়্যারসমূহ নির্বাহ হবে। এতে রয়েছে টাচ স্ক্রিন ওভারলে। এটি একইসঙ্গে নেটবুক, নোটপ্যাড, ই-রিডার, ভিডিও প্লেয়ার এবং অডিও রেকর্ডার হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ এতে ব্যবহারকারীর ডিজিটাল চাহিদা পূর্ণ হবে। ভার্চুয়ালি এতে যেকোনো স্থান হতে ওয়েব ব্রাউজ করা যাবে এবং কাজ করা যাবে। এটি বাজারে নতুন।
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
৭. আসুস ডিআর-৯০০ ই-বুক
আসুস বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে আসুস ডিআর-৯০০ ই-বুক রিডার। এতে রয়েছে ৯ ইঞ্চি প্রদর্শিত স্ক্রিন এবং প্রদর্শিত রেজুলেশন 1024×768 পিক্সেল। এতে ওয়াইফাই প্রযুক্তি বিল্ট ইন রয়েছে। তাছাড়া এতে রয়েছে একটি অপশনাল থ্রি ফাংশন। এটি বিভিন্ন ফাইল ফরমেট যেমন পিডিএফ, টেক্সট, ই-পাব এবং এইচটিএমএল সাপোর্ট করে। এতে হেডফোন সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে গান শোনা যাবে। এটি ৪ গিগাবাইট ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন।
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
৮. সনি পিআরএস-৭০০ ই-বুক রিডার
যেখানে আমাজনের কিনডলে ই-বুক রিডার বাজার দখল করতে সচেষ্ট ছিল সেখানে সনি কর্পোরশেন সনি পিআরএস-৭০০ এর মাধ্যমে সেই বাজার দখল করতে সচেষ্ট। সনির এই ই-বুক রিডার স্টাইলিশ এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য। এর রয়েছে ৬ ইঞ্চি প্রদর্শিত স্ক্রিন এবং ওজন ১০ আউন্স। এতে ভার্চুয়াল কীবোর্ড ব্যবহার করা যায়।
<!–[if !vml]–><!–[endif]–>
ডিজিটাল প্রকাশনায় সামপ্রতিক তৎপরতা লক্ষ্যনীয়। প্রযুক্তি মানুষের জীবন যাত্রায় অভাবনীয় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আগামী দিনে আসবে আরো পরিবর্তন। ইলেকট্রনিক বুক রিডারসমূহ মানুষের প্রতিদিনের জীবন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা এই ই-রিডারসমূহ সহজে যে কোনো অবস্থানে বহনযোগ্য। ভ্রমণে কিংবা অবসরে এমনকি সমুদ্রে ভ্রমণে এসে অনেক ¯^v”Q›`¨fv‡e পছন্দমত বই পড়তে পারবেন। সময় কেটে যাবে উপভোগ্য মুহূর্তের অবসরে।
<!–[endif]–>
akta song a ki kore photo add korte hoy kew ki jano?