হেলিয়াম প্রযুক্তি আর আইওটি যন্ত্রকে হ্যাক করতে দিবেনা।

 

আইওটি (IoT, Internet Of Things) এখন একটি জনপ্রিয় একটি বিষয়। আমাদের চারপাশের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও সেন্সর এর মাধ্যেমে এই প্রযুক্তি অনেক মজার মজার কাজ করে থাকে। এই বিষয়ে সবার আগ্রহ যেমন প্রচুর, তেমনি প্রযুক্তিগত অনেক উন্নয়ন ঘটছে এই বিষয়ে। তবে সবথেকে সমস্যা যার কারনে আইওটি প্রয়োগ বেশ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায় তা হল নিরাপত্তা। যেহেতু এটি ছোট-খাট সেন্সর নিয়ে কাজ করে তাই খুব জটিল সিকিউরিটি এতে প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে আইওটি যন্ত্রাংশ খুব সহজেই হ্যাক করা যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকেই সমাধান নিয়ে আসছে তবে সবথেকে সবার নজর কাড়ছে হেলিয়াম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত আইওটি যন্ত্র। তাদের তৈরী করা যন্ত্রে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।ডিজিটাল অর্থ বা বিটকয়েন এ এই ব্লকচেইন প্রযুক্তির প্রয়োগ হয়েছে এবং সারা বিশ্বের একটি বিশাল অর্থনীতি এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে। আইওটি তে এর প্রয়োগ এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। আর হেলিয়াম সামনে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে বলে প্রযুক্তিবিদরা মনের করেন।

হেলিয়াম প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম উদ্দ্যোক্তা হল শন ফ্যানিং, যিনি ন্যাপস্টার তৈরী করে প্রথম ব্যপক আলোচনায় এসেছিলেন ১৯৯৯ এর দিকে। ন্যাপস্টার দিয়ে সহজেই ‌p2p নেটওয়ার্কে গান ও ফাইল শেয়ার করা যেত। সেরকম কিছু পদ্ধতি এই হেলিয়ামে ব্যবহৃত হচ্ছে বলেই সবাই আশাবাদি ফ্যানিং এর কাজের জন্য। আর এজন্যই হেলিয়াম প্রতিষ্ঠানের জন্য বেগ পেতে হয়নি উদ্দ্যাক্তাদের।

তথ্যসূত্রঃ https://www.helium.com/
https://www.technologyreview.com/s/611108/this-company-hopes-its-cryptocurrency-can-help-the-internet-of-things-reach-its-true/
https://en.wikipedia.org/wiki/Helium_Systems

ড. মশিউর রহমান

About ড. মশিউর রহমান

ড. মশিউর রহমান বিজ্ঞানী.অর্গ এর cofounder যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সনে। পেশাগত জীবনে কাজ করেছেন প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী ও শিক্ষক হিসাবে আমেরিকা, জাপান, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন ডিজিটাল হেল্থকেয়ারে যেখানে তার টিম তথ্যকে ব্যবহার করছেন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার জন্য। বিস্তারিত এর জন্য দেখুন: DrMashiur.com

ফেসবুক কমেন্ট


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।