সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকার: ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিন

Share
সাক্ষাৎকার: ড. গোলাম মেজবাহ উদ্দিন
Share

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিন বর্তমানে কানাডার এলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারে বৈজ্ঞানিক হিসাবে কার্মরত। তিনি বর্তমানে Cardiovascular Energy Metabolism নিয়ে কাজ করছেন। একটু সহজ করে বলা যায় হৃদরোগ ও উচ্চরক্তচাপ সংক্রান্ত অসুখগুলির কারণ ও প্রতিকার নিজে কাজ করছেন। কিছুদিন আগে তিনি বিজ্ঞানী.অর্গ এর সাথে একটি সাক্ষাতকার দেন। নিম্নে তার সাক্ষাতকারটি বিস্তারিত পড়ুন। আমরা তার সাফল্য কামনা করছি। [/box]

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]

বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি ফার্মাসি পড়াশুনা করে এখন বৈজ্ঞানিক হিসেবে কাজ করছেন। কেমন লাগছে?

ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিনঃ আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল লাগছে গবেষণা তে কাজ করতে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমি এই কাজ করে খুব আনন্দ পাই।
অনেকেই এই প্রশ্নটি করে থাকেন, যারা ভাবছেন ফার্মাসি পড়া আর বিজ্ঞানী হওয়া তা এক বিষয় না, তাদের জন্য বলব- আসলে সকল বিষয় থেকে বিজ্ঞানী হওয়া যায়। আমি ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ না করে, সেই শিক্ষাকে ব্যবহার করে মেডিকেল সায়েন্স এ ওষুধ আবিষ্কার নিয়ে কাজ করছি। অনেক খানি পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি এখানে। হয়ত আজ থেকে ১০ বছর আগে ভাবিনি যে, বৈজ্ঞানিক হিসেবে কাজ করব বা সুযোগ পাব। বাংলাদেশে গবেষণার সুযোগ অনেক কম তার ওপর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র হয়ে বৈজ্ঞানিক হবার স্বপ্ন দেখানো অনেকট অবাস্তব। এই সব দিক দিয়ে চিন্তা করলে যখন প্রতিদিন সকালে ট্রেন এ করে গবেষণাগার এ যাই সে অনুভূতিটি খুবই অন্যরকম। [/box]

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]

বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানে কাজ করার জন্য কে বেশী আপনাকে উৎসাহ দিয়েছেন?

ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিনঃ যেটা আগেই বললাম, সত্যি বলতে বাংলাদেশী ছাত্র হয়ে গবেষণার জন্যে ভাবনা তা যেমন একটু দুরহ, তেমনি কেউ উৎসাহ দেবেন সেই পরিস্থিতিটা ও হয়ে ওঠেনি। হ্যাঁ, আমার ৪ বছরের ফার্মেসি এডুকেশন এর শেষে ২০০৯ সালে অনার্স প্রোজেক্ট সুপারভিসর ড. মোকাররম হোসেন (গবেষক-কেল্গেরি বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা) এবং ডা. রাকিব হোসেন (গবেষক- টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র) সাহস যুগিয়েছিলেন স্কলারশিপ গুলোতে চেষ্টা করবার জন্যে। পরবর্তী সময়ে আমার প্রতিটি গবেষণার কাজের অগ্রগতিতে আমার মা- বাবার উৎসাহ দেবার পাশাপাশী কিছু অসাধারণ মানুষের অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তবে আমার এই সংক্ষিপ্ত গবেষণার ৯ বছর সময়ে , ড. মইনুল করিম মুকুল (ফার্মাসিস্ট- ভাঙ্কুভার, কানাডা); ড. ণূরুন্নবী বাতেন (গবেষক- হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র) এবং আমার বন্ধু নাজিয়া মুমতাহানা ও ডা. সাবিহা সুলতানা চৌধুরী (যুক্তরাজ্য) আমাকে প্রতিটি ধাপ পার হয়ে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা, উৎসাহ, সাহস যুগিয়েছেন সবচাইতে বেশি।[/box]

 

সাক্ষাৎকার: ড. গোলাম মেজবাহ উদ্দিন

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]

বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনার গবেষণার বিষয় কি? কি ভাবে এই বিষয়ে গবেষণায় এলেন?

ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিনঃ মাইটকড্রিয়া আমাদের শরীরে পাওয়ার হাউস বলে পরিচিত। আমরা যে খাবার খাই অথবা অন্যান্য ভিটামিন মিনারেলস অথবা শরীরের মাঝে জমে থাকে শক্তির উৎস থেকে শক্তি কে ব্যবহার করে শরীরে সকল কাজ সম্পন্ন করতে মাইটকড্রিয়া কাজ করে যাচ্ছে প্রতিটি মুহূর্তে। ক্যান্সার থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস এর পেছনে ও এই মাইটকড্রিয়া কাজ করে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সকল রোগের কারণ ঘেটে দেখা যায় যে মাইটকড্রিয়া সর্বম্রথম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমার পি এইচ ডির জয়েন্ট সুপারভিসর প্রফেসর ডেভিড সিঙ্কলিয়ার (হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র) দীর্ঘদিন যাবত গবেষণা করছেন, বয়সকালে মাইটকড্রিয়া স্বয়ংক্রিয় রাখবার জন্য তিনি আনিম্যাল মডেল এ দেখিয়েছেন বয়সকালে মাইটোকড্রিয়া স্বয়ংক্রিয় রেখে তাদেরকে বাচিয়ে রাখা সম্ভম আরো লম্বা সময় ধরে। অন্যদিকে আমি কাজ করেছি বাবা মা খাবারের ধরন এবং জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে ডায়াবেটিস, লিভার রোগ এসবের সম্পূর্ণ রূপে উন্নতি করা সম্ভন মাইটকড্রিয়া স্বয়ংক্রিয় রেখে।

হার্ট অ্যাটাক, ব্লাডপ্রেসার হহ যে সকল রোগ সারা বিশ্বে খুব পরিচিত সমস্যা।

হার্ট এমন একটি অর্গান যা প্রতিনিয়ত পাম্প করতে থাকে রক্তকে অক্সিজিনেট করে সারা শরীরে পৌছে দেওয়ার জন্যে। এখানে ও সেই মাইটকড্রিয়া সারাক্ষণ কাজ করে যাচ্ছে হার্টকে শক্তি পৌছে দেওয়ার জন্য। আল্বারটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাস্কুলার বিভাগে আমি বর্তমানে কাজ করছি জেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস এবং বয়সকালে যেন মাইটকড্রিয়া আরো স্বয়ংক্রিয় রেখে হার্ট অ্যাটাক, ব্লাডপ্রেসার এসব রোগ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে মুক্তি পাওয়া যায়।

দক্ষিণ কোরিয়াতে আমার গবেষণাত আমি কোরিয়ান কিছু পরিচিত মেডিসিন গাছ এবং সবজি থেকে ফ্লাভনয়েড জাতীয় কিছু নতুন এন্টিওক্সিডেন্ট আবিষ্কার করতে পেরেছিলাম যা বয়সকালে অন্ধত্ব থেকে বয়সকাল রক্ষা করতে পারবে। গবেষণা কালীন সময়ে আমি এটা খুজে পাই যে, মিতকন্ড্রিয়ন ছিল ফ্লাভনয়েড জাতীয় এন্টিওক্সিডেন্ট এর কাজ করবার মূল মাধ্যম।পরবর্তীতে এই মিতকন্ড্রিয়ন নিয়ে আরো বিশদ আকারে কাজ করবার জন্য আমি অস্ট্রেলিয়া তে যাই যেখানে আমি আমার পি এইচ ডি করি প্রফেসর মার্গারেট মরিস এবং আগেই উল্লেখ করেছি কাজটি ছিল- বাবা মার খাবারের ধরন (চর্বি জাতীয় খাবার) এবং জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে পরবর্তী জেনারেশোন ডায়াবেটিস, লিভার রোগে ভুগে থাকে; আমি কাজ করেছিলাম একটি নভেল ড্রাগ নিয়ে যেটা শুধুমাত্র ৭ দিন ইঞ্জেকশান নিয়ে জেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এসকল রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। কোরিইয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার কাজের আরো এডভান্স লেভেল এ কাজ করে জেনেটিক পরিবর্তন এনে হার্টের রোগ নিয়ে গবেষণা করতেই এবারে কান্ডার এই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আশা।[/box]

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]

বিজ্ঞানী.অর্গঃ এটির ভবিষ্যত কি?

ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিনঃ এই মুহূর্তে আমি কাজ করছি অ্যানিম্যাল মডেল এবং ক্লিনিকাল স্যাম্পল। ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা হসপিটাল এর সাথে আমরক কলানোরেট করে এই নতুন গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত হার্ট অ্যাটাক, ব্লাডপ্রেসার এর রোগিদের উপর সরাসরি এর উপকার দেখার জন্য। আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে খুব সহজে হার্ট অ্যাটাক, ব্লাডপ্রেসার রোগীদের জন্যে বিশেষ করে এর মাঝে যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তাদের জন্যে প্রতিকার আনা সম্ভব হবে।[/box]

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]

বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি বাংলাদেশের তরনদের নিয়ে অনেক কাজ করছেন। আমাদের বিস্তারিত সেই সম্বন্ধে বলবেন? 

ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিনঃ কাজ করে এসেছি বেশ আগেথেকে। হয়ত খুব স্বল্প পরিসরে। যেই স্বল্পতাটি উল্লেক করেছি শুরুতেই যে বাংলাদেশ থেকে গবেষক হওয়া বা দেশের বাইরে এসে নিজ ক্যরিয়ার কে চলমান রাখার ব্যাপারটি আমার কাছে ২০০৯ সালে অবাস্তব ছিল। আমি এখন জানি হয়ত এতটা অস্বাভাবিক ছিলনা। কিন্তু ঠিক এই ভাবনা টি এখন বাংলাদেশের তরুণদের পিছিয়ে দেবার পেছনে একটা অন্যতম কারণ। আমার ধারনা মতে, শুধুমাত্র তথ্যের অভাবে অগনিত মেধাবী ছাত্র হয়ত এই পথে পা বাড়ায় না। আবার অন্য ঘটনাটি ও ঘটে যায় নিমিষেই। যেমন ভুল বাঁ কম তথ্যের কারনে টাকা খরচ করে অনেকেই ভুল পথে পা বাড়ায় অন্য কথায় বিদেশে পাড়ি জমায়। আমার এডুকেশন আমাকে ভালো শিক্ষা দিলে ও শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা তরুন্দের কে সঠিক ভাবে পথ প্রদর্শন করতে পারিনা। জনবহূল দেশ যেমন চীন বা ভারত তাদের জনবলে ব্যবহার করে দেশকে নিয়ে গিয়েছে উন্নতির উচ্চ শিখরে কিন্তু আমাদের সেই জনবল কে আমরা অভিশাপ হিসেবে দেখি। আমরা শিক্ষা ঠিকই অর্জন করছি কিন্তু পরবর্তীতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছিনা। এই সকল চিন্তা ভাবনা থেকে আমি আমার পরিচিত বাংলাদেশী যেসকল বিজ্ঞানী বা দেশের বাইরে এসে উন্নতি করেছেন তাদেরকে নিয়ে একটা ছোট টীম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি গ্রুপ বাঁ পেজ খুলি “Career Planning and Basics- Bangladeshi Student”. যেখানে বাইরে থাকা আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করব নিজ নিজ অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন আইডিয়া, ইউনিভার্সিটি এপ্লিকেশন থেকে শুরু করে খুব সাধারণ কিছু শীক্ষনীয় ভীডীও প্রকাশ করতে, যাতে করে এখনকার তরুন প্রজন্ম উপকৃত হতে পারে। শুধু তাই নয়, গ্রুপে থাকা যে কেউ আমাদের কে সরাসরি প্রশ্ন করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করার ও সুযোগ পাবে। এটি একটি ছোট প্রয়াস মাত্র। তবে আশা করছি অনেকেই বিশেষ করে তরুণরা এতে অনেক উপকৃত হবে। [/box]

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]

বিজ্ঞানী.অর্গঃ বাংলাদেশ- কোরিয়া- অস্ট্রেলিয়া- কানাডাতে বিজ্ঞানীদের সাথে অনেক কাজ করেছেন। এসব দেশে বিজ্ঞানীদের কাজের মধ্যে মৈলিক কোন পার্থক্য দেখেছেন?

ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিনঃ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের গবেষণার সুযোগ স্বল্পতা অনেকটাই কাজের পরিসরকে সংক্ষিপ্ত করে রেখেছে। তবে গত ৮-১০ বছরে সরকারী এবং বেসরকারী উদ্যোগ এখন অনেকটাই পরিবর্তন এনেছে এই ফিল্ডে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে যদি বলি তাহলে বলতে হবে- কোরিয়া এবং কানাডা গবেষণা খাতে সরকারি বিনিয়োগ সূক্ষ হস্তক্ষেপ কম হয়, বরং তারা একটি নির্দিষ্ট সময়ে বড় ধরণের ফলাফল আশা করে থাকেন। অন্যদিকে অস্টড়েলিয়া গবেষণা খাতে সরকারি বিনিয়োগ সূক্ষ ভাবে পরিচালিত হয় যেখানে স্বল্প সময়ে নির্দিষ্ট ফলাফল আশা করে থাকেন। আরেকটি মৌলিক পার্থক্য হলো- অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা মানসিক চিকিৎসা অথবা মানসিক আচার আচরণ, ব্যাবহার অন্য কথায় সামাজিক দিক গুলোর সমস্যা সমাধানে বেশী বিনিয়োগ করে থাকেন। যেখানে কোরিয়া এবং কানাডার গবেষণা মূলত বেসিক সাইন্স ফোকাস করে থাকেন।  [/box]

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]

বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিনঃ বাংলাদেশ- কোরিয়া- অস্ট্রেলিয়া- কানাডা তে কাজ করে আমি বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট এর দক্ষতা, কোরিয়া- অস্ট্রেলিয়া শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং আমার বর্তমান গবেষণার উপর ভিত্তি করে আমার ভবিষ্যত পরিকল্পলনা হলো নিজে একটি মাইটকড্রিয়া মেনিপুলেশন অথবা মাইকড্রিয়া কে কেন্দ্র করে বেড়ে ওঠা রোগের প্রতিকার আবিষ্কারের জন্য ট্রান্সলেশনাল গবেষণাগার প্রতিস্থাপন করা।  [/box]

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]

বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানী.অর্গের তরুন পাঠক/পাঠিকারা যারা আপনার মতন বিজ্ঞানী হতে চায় তাদের জন্য কোন পরামর্শ আছে আপনার?

ড. গোলাম মেজবাহ্‌ উদ্দিনঃ চেষ্টার কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে আমি যেই পথে পা বাড়াই না কেন, আমার পরবর্তী পদক্ষেপ এর আগে আমি সম্ভাব্য ৩-৪ টি পথ জেনে নিজেকে সব পরিস্থিতির জন্য তৈরি করবার চেষ্টা করি। শূরুতেই বলেছিলাম বাংলাদেশে বড় হয়ে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন টা অনেক কঠিন হলে ও অসম্ভব নয়। সুতরাং বিজ্ঞানী বা আমরা যারা গবেষণার কাজ করি প্রথম ধাপ হল প্লান করা- সেই প্লান এর জন্যে আর একটি ব্যাকআপ প্লান রাখা। ধরা যাক, আমি ২০১৮ সাল এর নভেম্বর মাসে পাশ করে বের হব তাহলে জুন মাস থেকে আমি জানা শুরু করব কি কি করা লাগবে আমার জব এর জন্য অথবা দেশের বাইরে যেতে হলে কোন ডকুমেন্ট লাগবে সেগুলো ধীরে ধীরে গুছানো ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে যেতে চাইলেই যাওয়া যাবে তা নয়। 

নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে বেশ কিছু বিষয় এবং পাশ করে বের হবার আগে থেকেই যেন আমরা নিজেকে তৈরি করে নিতে পারি এ সকল ধাপ পার হবার জন্নে। দিন শেষে যেন এতটুকু প্রশান্তি থাকে যে “আমার চেষ্টায় ঘাটতি ছিলনা, যা পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ্‌, সেটাই আমার জন্যে সবচেয়ে উত্তম এবং সেই জায়গাতে আমি আমার সর্বোত্তম চেষ্টা চালিয়ে

যাব উন্নতি করবার জন্যে, দেশের জন্যে কিছু করা কিংবা, যদি সম্ভব হয় তবে পৃথিবীর জন্যে” [/box]

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো নতুন নতুন সংবাদ জানতে সাবস্ক্রাইব করুন।

[mc4wp_form id=”3448″]

Share
Written by
নিউজডেস্ক -

আমরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন খবরাখবর ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাতকার প্রকাশ করি। আপনারা কোন লেখা প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন: [email protected], [email protected]

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফ্রি ইমেইল নিউজলেটারে সাবক্রাইব করে নিন। আমাদের নতুন লেখাগুলি পৌছে যাবে আপনার ইমেইল বক্সে।

বিভাগসমুহ

Related Articles
সাক্ষাৎকার

ড. নওরীন হক: একজন উদ্ভাবনী গবেষক ও শিক্ষিকা!

ড. নওরীন হক গবেষণার পাশাপাশি RIT-এর সাইবার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে কোর্স ইন্সট্রাক্টর হিসেবে...

বিজ্ঞান বিষয়ক খবরসাক্ষাৎকার

মহাবিশ্বের অজানা রহস্য: ড. সৈয়দ আশরাফ উদ্দিনের গবেষণা এবং ভাবনা!

ড. সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন, একজন নিবেদিত শিক্ষক ও গবেষক, বর্তমানে University of...

বিজ্ঞান বিষয়ক খবরসাক্ষাৎকার

রেডিও ওভার ফাইবার: উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সমিশনে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি ও এর সম্ভাবনা!

বর্তমানে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির যুগে, উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সমিশন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে...

চিকিৎসা বিদ্যাসাক্ষাৎকার

ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ড. ইশতিয়াক রশিদের পথচলার গল্প!

ইশতিয়াক রশিদ, একজন প্রক্রিয়া উন্নয়ন বিজ্ঞানী, ক্যান্সার চিকিৎসায় ডিএনএ সংশোধন প্রক্রিয়ার ভূমিকা...

সাক্ষাৎকারসাধারণ বিজ্ঞান

ম্যাটেরিয়ালস এবং রিলায়েবিলিটি এর বিজ্ঞানী ড. রাশেদ ইসলামের সাক্ষাৎকার

আজ আমরা বিজ্ঞানী.অর্গ-এর পক্ষ থেকে কথা বলেছি বাংলাদেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ড. রাশেদ...

Three Columns Layout

গবেষণার তথ্য ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, বিজ্ঞানী.অর্গ নবীন প্রজন্মকে গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

Contact

biggani.org❤️gmail.com

Biggani.org connects young audiences with researchers' stories and insights, cultivating a deep interest in scientific exploration.

বিজ্ঞানী অর্গ (biggani.org) বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষণা ও বিজ্ঞান নিয়ে বাংলা ভাষায় তথ্য ও সাক্ষাৎকার প্রচার করে – নবীনদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় প্রেরণা দেয়া হয়।

যোগাযোগ:

biggani.org@জিমেইল.com

biggani.org, a community of Bangladeshi scientists, shares interviews and information about researchers and scientists in Bengali to inspire young people in research and higher education.