অধ্যায় – ৫ (স্পেস-টাইম)
পদার্থবিদ্যার বহু শাখা যেমন “ক্লাসিকাল মেকানিক্স”, “স্পেশাল থিয়োরি অফ রিলেটিভিটি”, “জেনারেল থিয়োরি অফ রিলেটিভিটি”-র ভিৎ হলো “স্পেস-টাইম”। কখনও ভেবে দেখেছ যে কেন মানুষের বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি শুধু দূরত্ব ও সময় মাত্রার বেড়াজালে আবদ্ধ ? কেন আমাদের উপলব্ধি “স্পেস-টাইম” প্রেক্ষাপট (ব্যাকগ্রাউন্ড) ছেড়ে বেরোতে পারে না ? এই প্রশ্নের উত্তর খুব সম্ভবত লুকিয়ে আছে “গামা তরঙ্গে”। বস্তুত স্লো ওয়েভ স্লিপ, রাপিড আই মুভমেন্ট ফেজ ও জাগ্রত অবস্থায় অন্যান্য তরঙ্গের পাশাপাশি ৪০ হার্ৎজ্ কম্পাঙ্কের গামা তরঙ্গও আমাদের মস্তিষ্কে উপস্থিত থাকে । সেরিব্রাল কর্টেক্স ও থ্যালামাস সংযোগকারী যে নিউরাল লুপগুলিতে গামা তরঙ্গ বয়ে চলে, তারা আমাদের মস্তিষ্কে “স্পেস” বা “স্থান”-র অনুভূতি জাগায় এবং গামা তরঙ্গ বহনকারী অন্যান্য নিউরাল লুপগুলি যারা সেরিব্রাল কর্টেক্স-র সাথে মিডব্রেইন ও অন্যান্য অংশকে সংযুক্ত করে তারা মস্তিষ্কে “টাইম” বা “সময়”-র উপলব্ধির জন্ম দেয়। ৪০ হার্ৎজ্ কম্পাঙ্কের এই গামা তরঙ্গ এই সকল নিউরাল লুপগুলির মধ্যে রেজোনেন্স ঘটিয়ে আমাদের মস্তিষ্কে তৈরি করে “স্পেস-টাইম”-র ধারণা।
Leave a comment