মোহাম্মদ আব্দুল হালিম
সহকারী অধ্যাপক
কেনেসো স্টেট ইউনিভার্সিটি
প্রথমধাপে
সাধারনত স্টেটমেন্ট অব পারপোসে তিনজনের প্রফেসরের গবেষণাকে সামনে রেখে নিজের রিসার্চ ইন্টারেষ্টকে সাজাতে হয় । এই ক্ষেত্রে প্রফেসরের গবেষণা প্রবন্ধ কোন কোন জার্ণালে প্রকাশিত হয়, বছরে প্রফেসর কয়টি আর্টিকেল প্রকাশ করেন, এবং প্রফেসরের গ্রুপে গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট আছে কি না এই বিষয়গুলো সামনে রেখে সুপারভাইজর সিলেক্ট করা উচিৎ । আবার প্রফেসরের গ্রুপে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট আছে কি না তাও দেখা যেতে পারে । অনেক সময় অনেক প্রফেসর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সুপারভিশনে স্বাছন্দ্যবোধ করেন না কারন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের আগ্রহ থাকলেও কমিউনিকেশন এবং আমেরিকার লাইফ স্টাইলের সাথে মিশতে তাদের কিছুটা সময় লাগে ।
কোনো প্রফেসর যদি বছরের একটি আর্টিকেলও প্রকাশ না করেন তবে বুঝতে হবে তিনি গবেষণাতে তেমন আগ্রহী নয় । যদি প্রফেসরের গ্রুপে কোনো গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট না থাকে বা মাত্র একজন বা দুজন স্টুডেন্ট থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে তিনি স্টুডেন্ট সুপারভিশন করতে বেশী আগ্রহী নয় ।
দ্বিতীয় ধাপে
সুপারভাইজর সিলেক্ট করতে হয় আমেরিকায় আসার পরে । স্টেটমেন্ট অব পারপাসে প্রফেসরের নাম উল্লেখ করলেই বা ভর্তির আগেই কোনো প্রফেসরের সাথে ইমেইল আদান প্রদান করলেই সেই প্রফেসরের সাথে কাজ করতে হবে এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই । ভর্তির পরে এবং আমরিকার আসার পরে প্রথম সেমিস্টারে প্রায় সব স্কুলেই নতুন গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টরা বিভিন্ন প্রফেসরের সাথে মিটিং করতে পারে, তাদের গবেষণা সম্পর্কে নতুন ছাত্ররা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারে, তাদের গ্রুপে রোটেসন করতে পারে, ফান্ডিং সম্পর্কে জানতে পারে, অনান্য সিনিয়র গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের সাথে আলাপ করতে পারে এবং ল্যাব ভিজিট করতে পারে ।
আমি মনে করি আমেরিকায় আসার পরে উপরোক্ত কাজগুলো করেই পিএইচডি সুপারভাইজর সিলেক্ট করা উচিৎ ।
বিদ্র: ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত:——–
https://www.facebook.com/share/p/15fa7ccFbC
Leave a comment