বর্তমান কর্মস্থল বা প্রতিষ্ঠান:
Nara Institute of Science and Technology (NAIST), Japan
প্রথমেই উনার সম্বন্ধে আমরা জানতে চাই
উনি বর্তমানে জাপানের টোকিওতে Hiperdyne Corp. নামে একটি এআই স্টার্টআপ কোম্পানিতে লিড এআই ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন। চাকুরির পাশাপাশি উনি পিএইচডি গবেষক হিসেবে জাপানের নারাতে অবস্থিত নারা ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (NAIST) এর ইনফরমেশন সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে যুক্ত আছেন।
উনি বাংলাদেশের বুয়েট (BUET) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ২০১৭ সালে। এরপর ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের মাধ্যমে বর্তমান কোম্পানিতে কাজের সুযোগ পেয়ে জাপানে পাড়ি জমান এবং কর্মজীবন শুরু করেন।
আন্ডারগ্রাড এ অধ্যয়নরত অবস্থায় উনার রোবটিক্সে আগ্রহ ছিল এবং কতিপয় ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে উনি ভারতের কানপুরে অবস্থিত আইআইটি (IIT Kanpur) তে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অটোনোমাস রোবোটিক্স চ্যালেঞ্জ (IARC) এ চ্যাম্পিয়ন হন।
উনি বুয়েট রোবোটিক্স সোসাইটির একজন কো-ফাউন্ডার এবং দেশের সবচেয়ে বড় রোবোটিক্স কম্পেটিশনের আয়োজন করেন। ভার্সিটি থেকেই রোবোটিক্স, এআই এসবের প্রতি আগ্রহ থাকায় উনি মেকানিক্যাল থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে কাজ ও গবেষণা শুরু করেন।
গবেষণার বিষয়
উনার গবেষণার লক্ষ্য হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে মেডিক্যাল ইমেজ (প্যাথলজিক্যাল ইমেজ যেমন এন্ডোস্কোপি) এর কোয়ালিটি বৃদ্ধি করে কার্যকরভাবে রোগ নির্ণয় করা।
গবেষণার উপকারিতা
উনার গবেষণার কাজগুলো ভবিষ্যতে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করবে। যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে, তার মধ্যে কয়েকটি হলো:
- মেডিক্যাল ইমেজের কোয়ালিটি বৃদ্ধি: প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা চিকিৎসা ও সঠিক রোগ শনাক্তকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কিন্তু এসব পরীক্ষা খুব ক্রিটিকাল এবং নিরীক্ষকের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। অনেক সময় ভালো কোয়ালিটির ইমেজ বা ভিডিও ধারণ সম্ভব হয় না, যা রোগ নির্ণয়ে বাধা দেয়। AI ব্যবহার করে এই ধরনের ইমেজের কোয়ালিটি বৃদ্ধি করা যায়, যেমন সুপার রেজুলেশন।
- সঠিক রোগ নির্ণয়: অনেক সময় হিউম্যান এররের জন্য সঠিক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না, যা পরবর্তীতে ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি বা অন্যান্য রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু AI এর মাধ্যমে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
একজন বিজ্ঞানীর গুণাবলী
উনার মতে একজন বিজ্ঞানীর কিছু আবশ্যক গুণ হলো:
- অধ্যবসায়: গবেষণায় সফলতা সব সময় সহজে আসে না, এর জন্য প্রয়োজন অধ্যবসায়।
- আগ্রহ: নতুন বিষয় জানতে চাওয়ার ও কিভাবে হলো এসবের কৌতূহল থাকা জরুরি।
- টেকনোলজির সাথে তাল মিলানো: প্রযুক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
- সঠিক ডকুমেন্টেশন ও উপস্থাপনার দক্ষতা: গবেষণার ফলাফল সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ ও উপস্থাপন করার ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য উনার বার্তা
- এখন বাংলাদেশে স্নাতক পর্যায়ে অনেক ভার্সিটিতে গবেষণা হচ্ছে — এইসব গবেষণায় নিজেকে যুক্ত করতে হবে।
- বাংলাদেশি অনেক গবেষক বিদেশ থেকেই নিজেদের উদ্যোগে গ্রুপ রিসার্চ করছেন যেখানে যুক্ত হয়ে পাবলিকেশন এবং নেটওয়ার্কিং দুটোই সম্ভব।
- নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে আগ্রহ থাকা দরকার।
- যেকোনো একটি প্রোগ্রামিং ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
যোগাযোগ:
Email: [email protected]
Website: shakhaout.com
LinkedIn: linkedin.com/in/md-shakhaout-hossain
Leave a comment