গবেষণায় হাতে খড়ি

AI দিয়ে লেখা কি বৈজ্ঞানিক চুরি?

Share
Share

অতিথি লেখক- আজিজুল হক
সহকারী অধ্যাপক, ইয়েংনাম বিশ্ববিদ্যালয়।

একাডেমিক জগতে AI ব্যবহারের নৈতিকতা ও বাস্তবতা!

একাডেমিক লেখায় AI ব্যবহার বৈজ্ঞানিক চুরি নয়। বরং এটি প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে দ্রুত ও মানসম্পন্নভাবে কাজ শেষ করার একটি আধুনিক মাধ্যম।

যেমন আপনি যদি Excel ব্যবহার করে হাজারো ডেটা অ্যানালাইসিস করে গ্রাফ তৈরি করেন, বা SPSS, R কিংবা Python দিয়ে স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস করেন, তাহলে সেটি কি চুরি?

না। বরং সেটি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো।

AI-ও একইভাবে একটি সহায়ক প্রযুক্তি। তবে এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক একাডেমিক জগতে কেবল ভালো মানের লেখাই যথেষ্ট নয়। আপনার কাজের মানকে অন্যদের থেকে আলাদা করে উপস্থাপন করাও জরুরি।

আপনি চাইলে AI ব্যবহার করে একাডেমিক কনটেন্ট (থিসিস, গবেষণাপত্র) তৈরি করতে পারেন। তবে শর্ত হলো নৈতিকতার সহিত স্মার্টভাবে ব্যবহার করতে হবে (https://www.facebook.com/share/p/1BEUT2iqTe/)।

প্রথমে নিজে কনটেন্ট লিখে AI-কে বলুন কিভাবে এটি উন্নত করা যায়। অথবা আপনার লেখা টাইটেল দিয়ে AI-কে একটি নতুন ড্রাফট তৈরি করতে বলুন এবং সেটির সঙ্গে নিজের লেখার তুলনা করুন। এতে আপনি নতুন ধারণা, বাক্যগঠন এবং শব্দ শিখতে পারবেন যা আপনার লেখার মান উন্নত করবে।

📊 AI ডিটেক্টর সফটওয়্যারের বাস্তবতা

AI কনটেন্ট শনাক্তকরণ সফটওয়্যার এখনো খুব নির্ভরযোগ্য নয়। কারণ এই সফটওয়্যারগুলো ক্রমাগত পরিবর্তনশীল Large Language Model-এর সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এজন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও জার্নাল ইতিমধ্যেই AI শনাক্তকরণের ওপর নির্ভরশীলতা কমাচ্ছে।

বাস্তবে, অনেক সময় ১০০% মানব-লিখিত টেক্সটকেও AI লেখা বলে শনাক্ত করে।

যেমন: https://www.facebook.com/share/p/1CJdUpKMs9/.

এটি প্রমাণ করে এই প্রযুক্তি এখনো পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয়।

তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি AI-এর লেখা হুবহু কপি-পেস্ট করবেন!

কারণ অভিজ্ঞ রিভিউয়ার লেখার ধরণ দেখে সহজেই বুঝতে পারে এটি AI দ্বারা তৈরি।

📊 AI ব্যবহারের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

১. AI-এর লেখা হুবহু কপি-পেস্ট না করে নিজের ভাষায় পুনরায় লিখুন। কারণ AI কনটেন্টে একটি ইলেকট্রনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকে যা ডিটেক্টরে ধরা পড়তে পারে।

২. AI সাধারণত মডেল টেক্সটের ভিত্তিতে লেখা তৈরি করে। তাই প্রয়োজনে কাঠামো পরিবর্তন করুন, উদাহরণ বদলান, নতুন তথ্য ও রেফারেন্স যোগ করুন।

৩. বাক্যগঠন ও লেখার ফর্ম্যাট পরিবর্তন করুন।

৪. প্রয়োজনে AI Humanizer বা প্যারাফ্রেজিং টুল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: https://www.facebook.com/share/p/1BEkNKjd6h/

৫. একই কনটেন্টের জন্য একাধিক AI টুল ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন ড্রাফট তৈরি করুন। এতে আপনি নতুন নতুন আইডিয়া পাবেন।

AI হোক আপনার গবেষণা ও লেখার সহকারী। আপনার বিকল্প নয়।
অন্ধভাবে নয়। স্মার্টভাবে AI ব্যবহার করুন।


বিদ্র: ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত:

Share

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফ্রি ইমেইল নিউজলেটারে সাবক্রাইব করে নিন। আমাদের নতুন লেখাগুলি পৌছে যাবে আপনার ইমেইল বক্সে।

বিভাগসমুহ

গবেষণার তথ্য ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, বিজ্ঞানী.অর্গ নবীন প্রজন্মকে গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

Contact:

biggani.org@জিমেইল.com

সম্পাদক: ড. মশিউর রহমান

Biggani.org connects young audiences with researchers' stories and insights, cultivating a deep interest in scientific exploration.

Copyright 2024 biggani.org