মোহাম্মদ আব্দুল হালিম
সহকারী অধ্যাপক
কেনেসো স্টেট ইউনিভার্সিটি
রসায়ন বিজ্ঞান শেখানোর জন্য প্রথম যে বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করা প্রয়োজন তা হলো রসায়নের বর্ণমালা (মৌলের নাম) ও শব্দের (রাসয়নিক সংকেত) সাথে আমাদের সম্পর্ক মজবুত করা । বর্ণমালা ও শব্দ ছাড়া যেমন কোনো ভাষা শেখা যায় না ঠিক তেমনি রসায়ন শিখতে হলে প্রথমেই অজৈব ও জৈব রসায়নের বর্ণমালা ও শব্দ শেখা জরুরী । অজৈব রসায়নের ক্ষেত্রে মৌলের নাম ও তাদের চার্জিত অবস্হা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন । আবার জৈব রসায়নের ক্ষেত্রে বেসিক যৌগগুলোর নাম প্রথমেই শিখে নেওয়া জরুরী । যেকোন জ্ঞানের সূচনায় ‘নাম’ জানা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ।
রসায়ন বিজ্ঞান শেখানোর শুরুতেই নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের লেভেল বুঝে অজৈব রসায়নর ক্ষেত্রে মৌলের নাম ও তাদের চার্জিত অবস্হা এবং জৈব রসায়নের ক্ষেত্রে বেসিক (যেমন: মিথানল, ইথানল, প্রোপানল) যৌগের নাম প্রথমেই শিখিয়ে নিতে হবে । শেখানোর ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পর্কে এমন ধারনা করতে হবে যে তারা রসায়ন সম্পর্কে কিছুই জানে না ।
আমি আমার রসায়ন শিক্ষকতার জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম কয়েক সপ্তাহ শুধু মৌলের ছার্জিত অবস্হা ও সংকেত এবং জৈব রসায়নের ক্ষেত্রে বেসিক যৌগের নাম শিখাতাম ও ঐ বিষয়ের উপর একাধিক পরীক্ষা নিতাম । সংকেত ও বেসিক জৈব যৌগের নামের পরীক্ষায় যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল করত তারা রসায়ন বিজ্ঞান শিখতে কখনো ভয় পেত না । সংকেত ও জৈব যৌগের নাম শিখানোর পরে আমি তাদের রাসয়নিক বিক্রিয়া শিখাতাম । সমস্ত অজৈব ও জৈব বিক্রিয়াকে আমি কয়েকটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসি । ঐ নিয়মগুলো ও তার প্রয়োগ শিখানোর পরে রসায়ন তাদের কাছে সহজ হয়ে যায় । আমি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শুধু শিখিয়ে ছেড়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী ছিলাম না, তাই প্রতিটি ক্লাসে তাদের শিখাটুকু আদায় করে নিতাম । বিক্রিয়া শেখানো শেষ হলেই তারপর প্রতি অধ্যায়ের বিষয়গুলো নিয়ে গল্প করতাম ।
রসায়ন শিখনোর এ পদ্ধতির বুনিয়াদ ছিল আমার গুরু সৈয়দ ওয়ালিউর হকের; তার চাইতে ভালো মানের কোনে রসায়ন শিক্ষক আমি বাংলাদেশে দেখিনি ।
বিদ্র: ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত:——–
https://www.facebook.com/share/p/15fa7ccFbC
Leave a comment