সম্প্রতি আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি জ্বালানি সমাধানের নবজাগরণ: ড. মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের। তেল ও গ্যাস খাতে জ্বালানি এবং শক্তির উন্নয়নে অবিচল আগ্রহ নিয়ে তিনি বুয়েট থেকে ডালহৌসি, ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা এবং টেক্সাস এএন্ডএম কাতার পর্যন্ত পথ পাড়ি দিয়েছেন। বর্তমানে হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটিতে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে গবেষণায় যুক্ত আছেন, যেখানে জ্বালানি ও শক্তির টেকসই সমাধানে কাজ করছেন। বিস্তারতি জানার জন্য তার সাক্ষাৎকারটি পড়ুন:
প্রথমেই আপনার সম্বন্ধে আমরা জানতে চাই?
আমি ২০০০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করি। এরপর ২০২২ সাল পর্যন্ত আমি বুয়েটে শিক্ষক হিসেবে কাজ করি। আমি কানাডার ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৪ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি। এরপর ২০১০ সালে ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করি, যেখানে আমার গবেষণার বিষয় ছিল তেল ও গ্যাসের জন্য মাল্টিফেজ ফ্লো। পিএইচডির পর, ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি মাল্টিফেজ ফ্লোর উপর পোস্টডক্টরাল গবেষণা করি। আমি মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটি অব নিউফাউন্ডল্যান্ডে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করি, এবং এরপর ২০১৬ সালে টেক্সাস এএন্ডএম কাতারে যোগ দিই। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সেখানে কাজ করার পর বর্তমানে আমি হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। আমার গবেষণার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে তেল ও গ্যাসের ক্ষেত্রে জ্বালানি এবং শক্তি সম্পর্কিত গবেষণা।
আপনার গবেষণার বিষয় কি?
“আমার গবেষণা মূলত তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে মাল্টিফেজ ফ্লো-এর উপর কেন্দ্রীভূত। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তেল ও গ্যাস পরিবহন পাইপলাইনে ফ্লো অ্যাসুরেন্স চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা, যেটি হতে পারে ভূগর্ভস্থ বা ভূপৃষ্ঠের অবস্থায়। আমি উন্নত পরীক্ষামূলক কৌশল এবং ডায়াগনস্টিক টুল ব্যবহার করে ফ্লো আচরণ পর্যবেক্ষণ করি। এছাড়াও, আমার গবেষণা কার্বন হ্রাসের কৌশল, হাইড্রোজেন পরিবহন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি সমাধান নিয়ে কাজ করে।
আপনার গবেষণার কাজগুলি কিভাবে আমাদের উপকৃত করছে কিংবা করবে?
মাল্টিফেজ ফ্লো তেল এবং গ্যাস শিল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন শক্তি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাদ্য শিল্প, পানি বিশুদ্ধকরণ, এবং তেল ও গ্যাস কার্যক্রমের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। মাল্টিফেজ ফ্লোর মৌলিক ধারণা বোঝার মাধ্যমে আমরা নতুন প্রযুক্তি উন্নয়ন করতে পারি যা ফ্লো কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ফ্লো আচরণ বোঝা আমাদের নতুন প্রযুক্তি, যেমন মাল্টিফেজ ফ্লো মিটারিং-এর উন্নয়নে সহায়তা করে, যা ফ্লো ট্রান্সপোর্ট সঠিকভাবে পরিমাপ করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
গবেষণা কাজের বিশেষ কোন অভিজ্ঞতা কি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন?
আমার গবেষণার মাধ্যমে আমি এমন বিভিন্ন প্রযুক্তি উন্নয়নে অবদান রেখেছি যা শিল্পের উপকারে আসে। আমি বাংলাদেশে বুয়েট এবং এমআইএসটি-এর মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি। এছাড়াও, জ্ঞান-ভাগাভাগি কর্মশালা এবং সম্মেলন আয়োজন করেছি। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা শুধুমাত্র মানুষকে শিক্ষিত করতেই সাহায্য করে না, বরং বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়োগে সহায়তা করে। এতে আগামী প্রজন্মের প্রকৌশলী তৈরিতে অবদান রাখা সম্ভব হয়েছে।
একজন বিজ্ঞানীর কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
একজন বিজ্ঞানীর মধ্যে পরিশ্রম, অধ্যবসায়, নৈতিকতা এবং দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য কৌতূহলী মনোভাব থাকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে জটিল বিষয় বোঝার ক্ষমতা, অন্যকে সাহায্য করা এবং নতুন প্রকৌশলী তৈরিতে অবদান রাখা উচিত, যা শেষ পর্যন্ত মানব কল্যাণে সাহায্য করে।
বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় – তাদের জন্য আপনার কোন ম্যাসেজ কিংবা বার্তা কি?
“ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানো, একটি শক্তিশালী সিভি তৈরি করা এবং নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সাথে পরিচিত থাকার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
আপনার ইমেইল: [email protected]
আপনার লিংকডইন: https://www.hbku.edu.qa/en
আপনার ওয়েবসাইট, গবেষণা কাজের লিংক: https://www.hbku.edu.qa/en
পরিশেষে, বিজ্ঞানী অর্গ-এর পক্ষ থেকে আমরা ড. মোহাম্মদ আজিজুর রহমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তেল ও গ্যাস খাতে তাঁর অসামান্য অবদান এবং জ্বালানি ও শক্তির টেকসই সমাধানের পথে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। ভবিষ্যৎ গবেষণায় আপনার সাফল্য কামনা করছি এবং আপনার মতো গুণী ব্যক্তির কাছ থেকে আরও অনেক কিছু শেখার আশা রাখি।
Renaissance of Energy Solutions: Dr. Mohammed Azizur Rahman,s Thoughts!
We recently interviewed Dr. Mohammad Azizur Rahman, the renaissance of energy solutions. With a keen interest in energy and energy development in the oil and gas sector, he has worked his way up from BUET to Dalhousie, University of Alberta and Texas A&M Qatar. He is currently an Associate Professor at Hamad Bin Khalifa University, where he is working on sustainable energy and energy solutions. Read his interview to learn more:
First, we want to know about you.
Here’s a paraphrased version:
“I completed my undergraduate studies at Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET) in 2000. I was a faculty member there until 2022. I then earned my master’s degree from a Dalhousie university in Canada in 2004. Subsequently, I completed my PhD at the University of Alberta in 2010, focusing on multiphase flow in oil and gas applications. After my PhD, I conducted postdoctoral research in the field of multiphase flow from 2010 to 2014. I worked as an assistant professor at Memorial University of Newfoundland before joining Texas A&M Qatar in 2016, where I remained until June 2024. Currently, I am an associate professor in the Department of Mechanical Engineering at Hamad Bin Khalifa University, with a research focus on energy with oil and gas applications.”
What is your research topic?
My research primarily focuses on multiphase flow in the context of oil and gas applications. This includes addressing flow assurance challenges in the transportation pipelines of oil and gas, whether in subsurface or surface conditions, and monitoring flow behavior using advanced experimental techniques and diagnostic tools. Additionally, I work on carbon reduction strategies, hydrogen transport, and renewable energy solutions.
How is your research work benefiting us or will it?
Multiphase flow is crucial in the petroleum industry and various energy applications, with uses ranging from the food industry and water purification to oil and gas operations. By gaining a fundamental understanding of multiphase flow, we can develop novel technologies that enhance flow efficiency. Additionally, understanding flow behavior aids in the advancement of new technologies, such as multiphase flow metering, which is essential for accurately quantifying flow transport.
Do you have any special research experiences you would like to share with us?
Through my research, I have contributed to the development of various technologies that benefit the industry. Additionally, I have collaborated extensively with universities in Bangladesh, such as BUET and MIST, and other institutions, alongside the Ministry, to organize knowledge-sharing workshops and conferences. These collaborative efforts not only help educate people but also enable us to recruit graduate students from Bangladesh and around the world, contributing to the preparation of the next generation of engineers.
What qualities do you think a scientist should have?
A scientist should be hardworking, diligent, ethical, and responsible. It requires an inquisitive mind to explore novel technologies, along with the ability to understand complex concepts, help others, and contribute to the development of new engineers, ultimately enhancing human well-being.
What is your message for young students in Bangladesh who want to work in science?
Prospective students should focus on improving their communication skills, building a strong CV, and staying familiar with new technologies and research developments.
Finally, on behalf of Biggani.Org , we extend our warmest greetings and congratulations to Dr. Mohammad Azizur Rahman. His outstanding contribution to the oil and gas sector and his relentless efforts towards sustainable energy and power solutions inspire us. We wish you success in your future research and hope to learn more from a talented person like you.
Leave a comment