[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানী.অর্গ এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আমাদেরকে সাক্ষাৎকার দেবার জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই আপনার সম্বন্ধে আমাদের একটু বলুন।
ড. তানসীর আলিঃ বিজ্ঞানী. অর্গ কাছে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য। আমি বর্তমানে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি – বাংলাদেশ (এ এই ইউ বি) এ কর্মরত আছি। আমি আমার শিক্ষা জীবন এর শুরু থেকে বলি, আমার স্কুল ছিল হারমান মেইনার স্কুল ও কলেজ। আমি S S C পাশ করি ২০০০ সালে। এর পর আমি নটর ডেম কলেজ থেকে ইংলিশ ভার্সন এ H S C পরীক্ষা দেই ২০০২ সালে। এর পর আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই, কিন্তু আমার theoritical পদার্থ বিজ্ঞান থেকে applied physics পছন্দ করি। পরবর্তীতে আমি আমার বাবা মা ও অন্যান্যদের উপদেশ মত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি তে E T E কোর্সে ভর্তি হই এবং ২০০৭ সালে পাশ করে বের হই। পালাক্রমে আমি যুক্তরাজ্যে থেকে M S C এবং PHD শেষ করে ২০১৩ সালে দেশে ফিরে আসি। আমার বাবা, মা ও আমার জীবন সাথীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ আমার শিক্ষা জীবনের সকল সার্থকতার জন্য।
[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ যুক্তরাজ্যে আপনার গবেষণার অভিজ্ঞতা বলুন।
ড. তানসীর আলিঃ আমি আমার ভার্সিটি শেষ করার আগেই উচ্চতর ডিগ্রী পাবার জন্য দেশের বাহিরে পড়তে চাই, সেই জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি তে আবেদন করা শুরু করে দেই। সৌভাগ্য ক্রমে Robert Gordon University, Aberdeen থেকে আমার আংশিক স্কলারশিপ সহ MSC in Communication Engineering এ পড়ার অফার পাই। আমি ২০০৭ সালে আমি যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাই। পড়া শুনার সাথে সাথে আমাকে দুটি job করতে হতো, পড়াশুনার ও থাকা খাওয়ার খরচ চালাতে হয়েছিল। এ জন্য আমাকে কড়া নিয়ম মত চলতে হতো, সকালে ভোর বেলা উঠে পড়তে বসতাম, এর পর আমি প্রথম কাজ এ যেতাম, সেখান থেকে ক্লাস করতে যেতাম, ক্লাস শেষে দ্বিতীয় কাজে যেতাম। তবে কাজের জন্যে আমি পড়া শুনা কম করি নি, বরং রুটিন মত চলার জন্য বেশ ভালোমতো পড়াশুনা চলতে থাকে। এবং এর ফলে আমি MSC থেকে Distinguished First Class পাই। আমার থিসিস ছিল ২০০৯ সালে আমি full scholarship সহ Greenwich University থেকে Phd করার সুযোগ পাই।
[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ পিএইচডি-তে কি নিয়ে গবেষণা করেছেন?
ড. তানসীর আলিঃ আমার গবেষণা ছিল Amplifier Linearisation এর উপর, কিভাবে power Amplifier এর সিগন্যাল কম ত্রুটিপূর্ণ করা যায়। গবেষনার মূল বিষয়ের সাথেই আমার Cmos চীপ তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল। এরজন্য আমাকে কিছু software শিখতে হয়, যা আমাকে নিজে থেকে ইউটিউব ও অন্যান্য অনলাইন গাইড দেখে আয়ত্ত করতে হয়। আমার বিষয়ের উপর অনেক আগে থেকেই গবেষণা হয়ে আসছিল, যে কারণে নতুন পদ্ধতি বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়। আমাকে গড়া থেকে মূল ত্রুটি সম্পর্কে আরো ভালো ভাবে জানতে হয়। শেষমেষ nano electronics ও quantum physics থেকে আমি নতুন কিছু উপায় বের করি এবং negetive resistance ব্যবহার করে আমি আমার ন্যুনতম ত্রুটি সম্পন্ন চীপ তৈরি করতে সক্ষম হই। এরজন্য আমাকে সুদূর china তে ও যেতে হয়। অবশেষে সফল কিছু পাবলিকেশন করার পর আমার PhD এর সমাপ্তি হয় এবং আমি দেশে ফিরে আসি।
[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ Wireless Body Area Network (WBAN) নিয়ে আপনি অনেক গবেষণা করেছেন। এটি সম্বন্ধে আমাদের একটু বলুন। এই প্রযুক্তি কোথায় প্রয়োগ হয় বা হতে পারে?
ড. তানসীর আলিঃ আমি দেশে ফিরে এসে এ আই ইউ বি তে যোগদান করার পর আমি কিছু শিক্ষার্থী নিয়ে নতুন কিছু গবেষণা শুরু করি, তার মধ্যে একটি ছিল Wireless Body Area Network (WBAN) নিয়ে। এটি নিয়ে এখন বেশ কিছু নতুন পদ্ধতি চালু হচ্ছে, যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে antenna design। আমরা লো power কিন্তু high bandwidth নিয়ে একটা ডিজাইন করি এবং publish করি। এই প্রযুক্তি নির্ভর কিছু অ্যাপ্লি্লিকেশন এখনই আমরা ব্যাবহার করছি, ব্লুটুথ হেডফোন বা স্মার্ট হাত ঘড়ি এ সবই একধরনের WBAN। এর মূল বিষয় হল কম দূরত্বে তারবিহীন যোগাযোগ স্থাপন করা আমাদের শরীরের আসে পাশেই, কিন্তু এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে মানুষের শরীরের কত কম ক্ষতি হয়।
[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ মস্তিষ্কে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন নিয়ে কিছু কাজ করেছেন। আপনাদের গবেষণার সারমর্ম কি? (এই গবেষণাতে আপনারা কি জানতে পারলেন?)
ড. তানসীর আলিঃ আমরা আজকাল প্রচুর মোবাইল ফোন ব্যবহার করি,বিশেষ করে কথা বলার সময় মোবাইল ফোন দূরে থাকা base station এর সাথে যোগাযোগ করার জন্যে প্রচুর রেডিয়েশন হয়। আমরা গবেষণা করে দেখতে পারলাম যে কথা বলার সময় আমাদের মস্তিষ্কে রেডিয়েশন র জন্যে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যায় মাত্র এক মিনিট কথা বললে। তাই বেশি সময় ধরে ফোনে কথা বললে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বাড়তে পারে।
[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ Capstone Project প্রোজেক্ট টি সম্বন্ধে আমাদের বলুন।
ড. তানসীর আলিঃ Capstone Project, এটি একটি প্রজেক্ট যার মাধ্যমে আমরা ফাইনাল ইয়ার এর শিক্ষার্থী দের নিয়ে কিছু বিশেষ গবেষণা করে কোনো সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করা হয় যা কিনা সম্পূর্ণ বাজারজাত করার মত মান থাকে। এরকম কিছু প্রজেক্ট এর সাথেই শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের কিছু সমস্যা সমাধান তারা পায়।
[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ বর্তমানে aiub বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি কি নিয়ে গবেষণা করছেন?
ড. তানসীর আলিঃ শিক্ষকতার পাশাপাশি Nanoelectronics, Nuclear Power, High energy electronics, Automation, Internet of Things ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করা হয়।
[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]
বিজ্ঞানী.অর্গঃ তরুণ শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় তাদের জন্য আপনার কোন উপদেশ বা বক্তব্য কি?
ড. তানসীর আলিঃ তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্যে আমি বলবো বিজ্ঞান মানব সভ্যতার উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এরজন্যে প্রয়োজন গবেষণা, এবং engeenering গবেষণা বাস্তব সমস্যার সমাধান বের করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহের মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। জীবন অনেক ছোট, এর মধ্যে মানব সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে জীবন কে তাৎপর্যপূর্ণ করা সম্ভব।
[/box]
[divider style=”solid” top=”20″ bottom=”20″]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো নতুন নতুন সংবাদ জানতে সাবস্ক্রাইব করুন।
[mc4wp_form id=”3448″]
Leave a comment