Share

(আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ তারিখ

যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরী করাটা তেমন কঠিন কিছু নয়, তারপরেও ২০০৬ সনের এই লেখাটি অনেকেই পড়তে আসেন, তাই আর্কাইভে রাখলাম। ফরম্যাটটি একটু আপডেট করলাম )

অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম কীভাবে সহজে বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় তার একটা টিউটোরিয়াল লিখব। কিন্তু পেশাগত ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। লিবিয়া থেকে মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা আজকে তেমনি একটা অনুরোধ জানালেন। আর আলসেমি না করে এই টিউটোরিয়ালটি লিখলাম। আশা করি পাঠকরা বাংলায় তাদের ওয়েবসাইট তৈরিতে উৎসাহিত হবেন।

কিভাবে আপনার ওয়েবপেজ তৈরি করবেন?

ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি সাইট আছে যেখানে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ২০০৬ সনে গুগল সহজে ওয়েবপেজ তৈরির সিস্টেম চালু করেছে যা গুগল সাইটস নামে পরিচিত। এছাড়া আরো অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু  যেসব ফ্রি সাইট গুলিতে প্রচুর বিজ্ঞাপন থাকে, এবং সেগুলি এত রঙবেরঙের হয়ে থাকে যে পড়তে বেশ অসুবিধা হয়। গুগলের ক্ষেত্রে কোন বিজ্ঞাপন নেই। গুগল সাইটস এর সিস্টেমটি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করে দেখেছি, এবং এর ফিচারগুলি ব্যবহা করে চমৎকৃত হয়েছি। তাই জকে গুগল এর মাধ্যমে সহজে ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি লিখব।

গুগল সাইটস সমন্ধে

গুগল সাইটস (Google Sites) একটি ফ্রি টুল যা গুগল প্রদান করে এবং এর মাধ্যমে আপনি সহজেই ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারেন। এটি গুগলের অন্যান্য সেবার সাথে ইন্টিগ্রেটেড থাকে, যেমন গুগল ড্রাইভ, গুগল ডকস, এবং গুগল ক্যালেন্ডার, ফলে আপনি সহজেই বিভিন্ন কন্টেন্ট ও ফিচার যোগ করতে পারেন।

গুগল সাইটস ব্যবহারের কিছু প্রধান সুবিধা:

  1. সহজ ব্যবহার: গুগল সাইটসের ইন্টারফেস সহজ ও ব্যবহারকারী বান্ধব, ফলে নন-প্রোগ্রামাররাও সহজে ওয়েবপেজ তৈরি করতে পারেন।
  2. কোস্টমাইজেশন: বিভিন্ন টেমপ্লেট ও লেআউট দিয়ে আপনি আপনার ওয়েবপেজকে পছন্দমতো সাজাতে পারেন।
  3. ইন্টিগ্রেশন: গুগলের অন্যান্য টুল ও সেবার সাথে সহজেই ইন্টিগ্রেট করা যায়।
  4. ক্লাউড স্টোরেজ: গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে আপনার ফাইল ও ডকুমেন্টগুলি সংরক্ষণ করা যায়।
  5. ফ্রি: গুগল সাইটস ব্যবহারের জন্য কোন খরচ নেই, শুধু একটি গুগল অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন।

তবে, গুগল সাইটসের ফ্রি ভার্সনে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, যেমন স্টোরেজ স্পেস ও কাস্টম ডোমেইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কিন্তু সাধারণ ওয়েবসাইট বা প্রজেক্ট সাইট তৈরির জন্য এটি একটি চমৎকার ও কার্যকরী টুল।

ওয়েবপেজ

আমাদের ওয়াবসাইটগুলি html নামে একটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটারের ভাষায় বা কোডে লিখতে হয়, কিন্তু গুগল এর ক্ষেত্রে html সমন্ধে কোন জ্ঞান না থাকলেও খুব সহজেই আপনার ওয়েবপেজ তৈরী করতে পারবেন। তবে যারা আগ্রহী তাদের এটি শিখবার পরামর্শ দিব কেননা খুটি নাটি পরিবর্তনের সময় বেশ সাহায্য করে।

এইচটিএমএল (HTML) সম্পর্কে

এইচটিএমএল (HTML) বা হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ একটি মূল ওয়েব প্রোগ্রামিং ভাষা যা ওয়েব পৃষ্ঠাগুলির গঠন নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ট্যাগভিত্তিক ভাষা যেখানে বিভিন্ন ট্যাগের মাধ্যমে পাঠ্য, ছবি, লিঙ্ক ইত্যাদি উপাদান সংযোজন করা হয়। প্রতিটি ট্যাগের নিজস্ব কাজ আছে যা ওয়েব ব্রাউজারকে জানায় কিভাবে পৃষ্ঠাটির উপাদানগুলি প্রদর্শিত হবে। এইচটিএমএল ব্যবহার করে সহজে ওয়েব পৃষ্ঠা তৈরি করা যায় এবং এটি অন্যান্য ওয়েব প্রযুক্তি যেমন সিএসএস (CSS) এবং জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript) এর সাথে মিলে কাজ করে ওয়েবসাইটগুলির উন্নত গঠন ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।

কিভাবে ওয়েবসাইট বানাবেন?

প্রথমে আপনার ওয়েব ব্রাউজারে নিম্নের পেজটি খুলুন https://sites.google.com/ ও আপনার জিমেইলের অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। উল্লেখ্য যে গুগলের এই সিস্টেমটি এত বেশী জনপ্রিয় যে অনেক সময় নতুন ব্যবহারকারীদের লগইন করবার সুবিধা দেয়না। আমিও প্রথমে চেষ্টা করে বিফল হয়ে মনটা খারাপ হয়েছিল। ৪/৫ মিনিট পরে আবার চেষ্টা করে দেখলাম তখন লগইন করতে পেরেছি। তাই আপনারাও মন খারাপ না করে কিছুক্ষণ পরে চেষ্টা করে দেখুন।

লগিন করার পরে বেশ কিছু টেম্পলেট দেখতে পাবেন যেটা দিয়ে আপনি কেমন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তা নির্ধারণ করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট টেমপ্লেট (Website Template) কি?

ওয়েবসাইট টেমপ্লেট হল একটি পূর্বনির্ধারিত ওয়েব পৃষ্ঠার ডিজাইন ও বিন্যাস যা ওয়েবসাইট নির্মাণের প্রক্রিয়াকে সহজ ও দ্রুত করে তোলে। এটি একটি ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো হিসেবে কাজ করে যেখানে নির্দিষ্ট HTML, CSS এবং JavaScript কোড থাকে। ব্যবহারকারীরা এই টেমপ্লেটগুলির সাহায্যে দ্রুত ওয়েব পৃষ্ঠা তৈরি করতে পারেন, কেবলমাত্র তাদের নিজস্ব কন্টেন্ট (যেমনঃ লেখা, ছবি, ভিডিও) যোগ করে।

ওয়েবসাইট টেমপ্লেটের প্রধান সুবিধাগুলি হল:

  1. সময় বাঁচানো: টেমপ্লেট ব্যবহার করে নতুন করে ডিজাইন করার প্রয়োজন হয় না, ফলে ওয়েবসাইট তৈরির সময় কমে যায়।
  2. সহজ ব্যবহার: নন-প্রোগ্রামাররাও সহজেই টেমপ্লেট ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
  3. প্রফেশনাল লুক: টেমপ্লেটগুলি সাধারণত পেশাদার ডিজাইনার দ্বারা তৈরি হয়, ফলে ওয়েবসাইট দেখতে আকর্ষণীয় ও প্রফেশনাল হয়।
  4. কাস্টমাইজেশন: টেমপ্লেটগুলি সাধারণত কাস্টমাইজ করা যায়, ফলে ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইন পরিবর্তন করতে পারেন।

এভাবে, ওয়েবসাইট টেমপ্লেট ওয়েবসাইট নির্মাণের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর ও সহজ করে তোলে।

এরপরে কনটেন্ট বা সাইটের টেক্টট লিখুন। গুগলের এই সিস্টেমে আপনি সরাসরি টাইপ করে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যা লিখতে চান তা লিখতে পারবেন।

ওয়েবসাইট কন্টেন্ট (Website Content) কি?

ওয়েবসাইট কন্টেন্ট হল সেই সমস্ত তথ্য ও উপাদান যা একটি ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হয়। এটি বিভিন্ন ফর্মে থাকতে পারে, যেমন লেখা, ছবি, ভিডিও, অডিও, গ্রাফিক্স, এবং ডকুমেন্ট। ওয়েবসাইট কন্টেন্ট একটি ওয়েবসাইটের মূল আকর্ষণ এবং এটি ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্য সরবরাহ করে।

ওয়েবসাইট কন্টেন্টের প্রধান উপাদানগুলি হল:

  1. লেখা: আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট, নিউজ, প্রোডাক্ট বর্ণনা, এবং অন্যান্য লেখা যা ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য ও তথ্য প্রদান করে।
  2. ছবি: ছবি ও গ্রাফিক্স যা ওয়েবসাইটকে আরও আকর্ষণীয় ও প্রাণবন্ত করে তোলে।
  3. ভিডিও: ভিডিও কন্টেন্ট যেমন টিউটোরিয়াল, প্রমোশনাল ভিডিও, ওয়েবিনার ইত্যাদি যা ভিজ্যুয়াল এবং অডিও ফর্মে তথ্য সরবরাহ করে।
  4. অডিও: পডকাস্ট, মিউজিক, এবং অন্যান্য অডিও ফাইল যা ব্যবহারকারীদের শোনার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
  5. ডকুমেন্ট: পিডিএফ, ওয়ার্ড ফাইল, এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট যা ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারেন।

পাবলিশ করুন:

কনটেন্ট সংযুক্ত হয়ে গেলে “publish” বোতামটি ক্লিক দিলে মুহুর্তের মধ্যেই আপনার ওয়েবসাইটটি চালু হয়ে যাবে। ওয়েবপেজটির ঠিকানা বা ইউআরএল URL ঠিকানাটি আপনি পাবেন।

ইউআরএল (URL) কি?

ইউআরএল (URL) বা ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটর হল একটি ওয়েব ঠিকানা যা ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট বা ওয়েব পৃষ্ঠার অবস্থান নির্দেশ করে। এটি একটি স্ট্রিং বা টেক্সট ফরম্যাটে থাকে এবং ইন্টারনেট ব্রাউজারে টাইপ করে ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট ওয়েব পৃষ্ঠায় পৌঁছাতে পারেন।

ইউআরএল-এর গঠন:

  1. প্রোটোকল (Protocol): ইউআরএল-এর প্রথম অংশটি হল প্রোটোকল, যেমন HTTP বা HTTPS, যা ওয়েব ব্রাউজারকে জানায় কিভাবে সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, http:// বা https://
  2. ডোমেইন নাম (Domain Name): প্রোটোকলের পরে থাকে ডোমেইন নাম যা ওয়েবসাইটের মূল ঠিকানা নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, www.example.com

গুগলের এই সিস্টেমে আপনি সাধারণ https://sites.google.com/view/(পরে আপনার দেয়া নাম) এর ওয়েবসাইট ঠিকানা পবেন।

প্রথমে যে পেজটি দিয়ে ওয়েবসাইট শুরু হয় তাকে frontpage বা index পেজ বলি। প্রথম পাতায় এইভাবে খুব সহজেই আপনি যা লিখতে চান তা সরাসরি টাইপ করে লিখতে পারবেন। যদি publish না করে শুধু সংরক্ষণ করে রাখতে চান তবে শুধু save now বোতামটি ক্লিক করুন। আপনার এই নতুন ঠিকানাটি আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিন।

কতটুকু স্টোর করতে পারবেন?

বর্তমানে গুগল এর এই সিস্টেমের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করলে তা আপনার গুগল ড্রাইভের জায়গা নেবে। সাধারণত গুগল ব্যবহারকরিদের ১৫ গিগাবাইট এর ফ্রি ড্রাইভ দেয়। শুধু যদি গল্প কিংবা ডাইরি এবং কিছু ছবি সংযুক্ত করেন তবে ১০-১৫ বছর অনেক লিখালিখি করেও এটি শেষ করতে পারবেন না।

বাংলায় কিভাবে লিখবেন?

গুগলে এইভাবে ওয়েব পেজ তৈরীতে সরাসরি বাংলায় লিখে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। বাংলা টাইপের জন্য ইউনিকোড ব্যবহার করুন। বাংলা টাইপের জন্য শাব্দিক, অভ্র কিংবা একুশে স্বাধীনতা ব্যবহার করতে পারেন। বিস্তারিত বিজ্ঞানী ডট অর্গে প্রকাশিত ইউনিকোডে বাংলা কিভাবে লিখবেন প্রবন্ধটি পড়ুন।

ডিজাইন পরিবর্তনঃ

কোন পেজ তৈরি করে প্রকাশিত করার সময় আপনি যে টেম্পলেটটি ব্যবহার করেছেন তা যদি পরবর্তীতে পরিবর্তন করতে চান তবে খুব সহজেই নতুন টেম্পলেট দিয়ে সেটির লেআউট ও রং পরিবর্তন করতে পারবেন। গুগল সাইটের সিস্টেম অনেকগুলি টেম্পলেট রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দমতো টেম্পলেট বেছে নিতে পারবেন। গুগলের সুবিধা হল একবার আপনি ওয়েবপেজ তৈরী করলে এর মাধ্যমে খুব সহজেই রং ও লেআউট পরিবর্তন করতে পারেন। এছাড়া বামে কিংবা ডানে আপনি ফন্টের রং ও সাইজ পরিবর্তন করবার বোতাম পাবেন। সেগুলি দিয়ে মনের মত ফন্টের রং পরিবর্তন করুন।

ফাইল আপলোড

যদি আপনার কোন ফাইল (যেমন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কিংবা PDF ফাইল) আপনার ওয়েবসাইটে রাখতে চান তবে “upload” বোতামটি ক্লিক করে আপনার সেই ফাইলটি আপনার কম্পিউটার থেকে গুগলের ওয়েবসাইটে আপলোড করুন। যদি ফাইলটির
লিংক দিতে চান তবে সেই পাতাটি থেকে লিংক বোতামটি ক্লিক করে লিংক দিতে পারেন।

গুগলে ওয়েবপেজ তৈরীর বিস্তারিত এর জন্য গুগলের হেল্প অংশটি পড়তে পারেন, যা খুব সহজ ভাষায় লিখা আছে https://support.google.com/sites/#topic=7184580 

ব্লগ ও ওয়েবপেজের মধ্যে পার্থক্য

ব্লগ মূলত অনলাইন ডাইরি বা জার্নাল এর মত, সেখানে আপনি নিয়মিত আপনার কথা লিখতে পারেন। আর ওয়েবপেজ হল সাধারণ তথ্য সমৃদ্ধ অংশ। যদি আপনি নিয়মিত পাঠকদের আপনার কথা পৌছাতে চান তবে ব্লগ ব্যবহার করুন। আর যদি বিশেষ কিছু সমন্ধে লিখতে চান তবে ওয়েবপেজ তৈরী করুন। ব্লগ তৈরীর জন্য www.blogger.com ব্যবহার করতে পারেন যা গুগলের তৈরি আরেকটি সিস্টেম। ব্লগার এর ক্ষেত্রেও একই ভাবে বাংলায় সরাসরি টাইপ করে বাংলা লিখতে পারেন।

পরিশেষ

অনলাইনে ইংরেজি ভাষাতে অনেক কনটেন্ট থাকলেও আমাদের গর্বের বাংলা ভাষায় কনটেন্ট খুবই কম। তাই অনলাইনে বাংলা ভাষার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। আর ইউনিকোড বাংলা ব্যবহার করলে তা একটি স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে আপনার ওয়েবপেজটি তৈরী হবে। আপনার ওয়েবসাইটটি Google, Yahoo কিংবা অন্য কোন সার্চ ইঞ্চিন দিয়েই খোঁজা যাবে। মনে করা যাক আপনি আম উৎপাদন নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা আপনার ওয়েবসাইটে লিখলেন, তখন যারা আম উৎপাদন নিয়ে কাজ করতে চায়, তারা খুব সহজে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আপনার সাইটটি খুঁজে পাবে এবং আপনার লেখা থেকে উপকৃত হবে।

শুধু মাত্র আমাদের জন্যই নয় আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য হলেও কম্পিউটারে বাংলাকে সমৃদ্ধ করতে হবে, বাংলায় তথ্য ভান্ডার বাড়াতে হবে। আমাদের সবার জীবনেই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে বা থাকে যা উচিত সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।

সুতরাং সবাই যদি আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা বাংলায় লিখে রাখি এবং নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরি করি তবে নিঃসন্দেহে তা কারো না কারো উপকারে আসবে।

Share
Written by
ড. মশিউর রহমান -

ড. মশিউর রহমান বিজ্ঞানী.অর্গ এর cofounder যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সনে। পেশাগত জীবনে কাজ করেছেন প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী ও শিক্ষক হিসাবে আমেরিকা, জাপান, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন ডিজিটাল হেল্থকেয়ারে যেখানে তার টিম তথ্যকে ব্যবহার করছেন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার জন্য। বিস্তারিত এর জন্য দেখুন: DrMashiur.com

15 Comments

  • স্যার, আপনি হেডিং-এ লিখেছেন, বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরী করা। কিন্তু আপনি ফন্ট এমবেড করার ব্যপারটা একদমই বাদ দিয়ে গেলেন। আমার মনে হয় এই ব্যাপারটা অনেকটা গুরুত্যপূর্ণ ছিল। তাই পরবর্তিতে এই বিষয়টা নিয়ে লিখলে আমি কৃতজ্ঞ হবো। ধন্যবাদ।

  • ধন্যবাদ সবুজ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। ওয়েবসাইটে ফন্ট কিভাবে সংযুক্ত করবেন তার উপর আমার একটি প্রবন্ধ পড়বার জন্য অনুরোধ করছি।

    http://biggani.com/content/view/44/119/
    এছাড়া EOT তৈরীর উপর রুবনের একটি সুন্দর টিউটোরিয়ালও সেখানে পাবেন।

  • Thanks for your comment. Please note that Boishakhi is not a Unicode font. It is a ANSII font and in future it will not be supported anymore. Rather I will suggest you to use Unicode. With Avro (free) or other Unicode enabled software you can type Bangla and build your website in Bangla. Please read my articles on Bangla-computing related topics and you will find how easy it is and best thing you can do it without any cost.

    I should note that Boishakhi is a commercial software. If you really want to built the website with Boishakhi, please contact with them.

    Thanks again to visit biggani.com

  • hi, actually i want to make bangla website.using unicode in the html or using embeding font we can build the webpage.do u tell me how to make it vividly. if i choose unicode to implement it , how can i able to convert bangla text(say using bijoy software) to unicode. Here is a question is there any way to store date in db, in the form of unicode, that i can retrieve and able to show in html dynamically.Now if i go for embeding font method to show bangla font , then what i have to do,it will be great if u clearly explain me how .eot font files are used and how they are used using css. im little bit confused. need solution badly.plz give me rly in my email. thanks

  • বিজ্ঞানী.org সাইটটি জুমলা (Joomla) এর বাংলা সংস্করণ ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে। যার বিস্তারিত পাবেন http://www.joomla.org.bd/

    ফন্ট পরিবর্তন করার জন্য অনলাইন ও অফলাইন সফট ব্যবহার করতে পারবেন। বিস্তারিত দেখুন: http://biggani.com/content/view/26/119/
    http://biggani.com/content/category/4/17/119/
    http://biggani.com/content/view/44/119/
    http://biggani.com/content/view/33/119/
    http://biggani.com/content/view/413/119/

  • সাইট-সংক্রান্ত সমস্যার জন্য helpdesk এ মেইল করতে outliik express ব্যবহার করাটা অসুবিধাজনক ।

  • For helpdesk, need another mail number to send mail from anywhere. Pls develop this helpdesk like ubuntu helpline for bangla computing. Thanks.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফ্রি ইমেইল নিউজলেটারে সাবক্রাইব করে নিন। আমাদের নতুন লেখাগুলি পৌছে যাবে আপনার ইমেইল বক্সে।

বিভাগসমুহ

Related Articles
তথ্যপ্রযুক্তি

নতুন ফিচার গ্রহণের পূর্বে ব্যবসার লাভ ক্ষতির বিশ্লেষণ

এই প্রবন্ধে নতুন ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লাভ ও ক্ষতির বিশ্লেষণ করা...

তথ্যপ্রযুক্তিপণ্য পরিচিতিপ্রযুক্তি বিষয়ক খবর

ইন্টেল বনাম আর্ম: পরবর্তী প্রজন্মের পিসি কোন প্রোসেসরে চলবে?

গত কয়েক বছরে কম্পিউটার প্রসেসর মার্কেটে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। ইন্টেল প্রসেসর দীর্ঘদিন...

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেটের আস্থা সংকট: তথ্যের যুগে বিভ্রান্তি

ইন্টারনেট যখন প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল নব্বইয়ের দশকে, তখন আমাদের সবাইকে এক...

ওয়েবসাইট সংক্রান্ত খবরকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

সার্চজিপিটি: ভবিষ্যতের সার্চ প্রযুক্তির অগ্রদূত

বর্তমানে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) দ্রুত পরিবর্তন আনছে আমাদের অনলাইন তথ্য অনুসন্ধানের উপায়ে।...

Three Columns Layout

গবেষণার তথ্য ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, বিজ্ঞানী.অর্গ নবীন প্রজন্মকে গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

Contact

biggani.org❤️gmail.com

Biggani.org connects young audiences with researchers' stories and insights, cultivating a deep interest in scientific exploration.

বিজ্ঞানী অর্গ (biggani.org) বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষণা ও বিজ্ঞান নিয়ে বাংলা ভাষায় তথ্য ও সাক্ষাৎকার প্রচার করে – নবীনদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় প্রেরণা দেয়া হয়।

যোগাযোগ:

biggani.org@জিমেইল.com

biggani.org, a community of Bangladeshi scientists, shares interviews and information about researchers and scientists in Bengali to inspire young people in research and higher education.