গবেষণার উদ্দেশ্য এবং বিষয়বস্তু অনুযায়ী রিসার্চ আর্টিকেলের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। নতুন গবেষকদের জন্য প্রতিটি ধরণের আর্টিকেল সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের গবেষণার ফলাফল কীভাবে উপস্থাপন করতে হবে এবং কোন ধরণের আর্টিকেল তাদের কাজের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হবে তা নির্ধারণে সহায়তা করে।
1. Article
রিসার্চ আর্টিকেল হলো একটি বৈজ্ঞানিক লেখনী, যেখানে নতুন গবেষণার ফলাফল বা তথ্য বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করা হয়। এই আর্টিকেলে গবেষণার উদ্দেশ্য, পদ্ধতি, ফলাফল এবং বিশ্লেষণ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়। রিসার্চ আর্টিকেলে সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট অংশ থাকে, যেমন Abstract, Keywords, Introduction, Materials and Methods, Results, Discussion, এবং Conclusion (ঐচ্ছিক)। প্রতিটি অংশে গবেষণার প্রক্রিয়া এবং ফলাফল সম্পর্কে পরিষ্কার এবং বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এই আর্টিকেলে উপস্থাপিত তথ্য অবশ্যই নতুন এবং পূর্বে কোথাও প্রকাশিত না হওয়া উচিত। এটি এমনভাবে লেখা উচিত, যাতে অন্য গবেষকরা সহজেই তা বুঝতে পারেন এবং তাদের গবেষণার কাজে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
2. Review
রিভিউ আর্টিকেল একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিদ্যমান গবেষণার সারাংশ, বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন প্রদান করে। এটি নতুন ডেটা বা মৌলিক গবেষণা অন্তর্ভুক্ত না করে, বরং পূর্ববর্তী গবেষণাগুলির উপর ভিত্তি করে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা এবং ফলাফল তুলে ধরে। এই ধরনের আর্টিকেলে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন করা হয় এবং গবেষণার শূন্যস্থান বা গ্যাপগুলো চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে গবেষণার নতুন দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়, যা পরবর্তী গবেষকদের জন্য একটি দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করতে পারে। রিভিউ আর্টিকেলের কাঠামো সাধারণত Abstract, Keywords, Introduction, Relevant Sections, Conclusions, এবং Future Directions নিয়ে গঠিত থাকে। এই ধরনের আর্টিকেল লেখকের গবেষণা ক্ষেত্রের গভীর জ্ঞান এবং সমসাময়িক গবেষণার প্রতি গভীর দক্ষতা প্রদর্শন করে।
3. Systematic Review
Systematic review একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর পূর্ববর্তী গবেষণার বিস্তারিত পর্যালোচনা, যা নির্দিষ্ট পদ্ধতি ও অনুসন্ধান প্যারামিটার ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ, শ্রেণীবদ্ধ, বিশ্লেষণ এবং প্রমাণ উপস্থাপন করে। এটি Review article-এর মতো হলেও, এতে একটি Methods অংশ অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং PRISMA (Preferred Reporting Items for Systematic Reviews and Meta-Analyses) চেকলিস্ট অনুসরণ করতে হয়। PRISMA flow diagram এবং প্রোটোকল রেজিস্ট্রেশন (যেমন PROSPERO) বাধ্যতামূলক। Systematic review-এ গবেষণার পদ্ধতি স্পষ্ট এবং কাঠামোবদ্ধ, যেখানে Review article সাধারণত সারাংশ বা আলোচনার উপর ভিত্তি করে হয় এবং এতে পদ্ধতিগত বিশ্লেষণ থাকে না। Systematic review-এ সকল প্রাসঙ্গিক গবেষণার বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও তুলনা করা হয়। Systematic review-তে প্রমাণের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যা অন্যান্য গবেষকদের জন্য যাচাইযোগ্য।
4. Brief Report
ব্রিফ রিপোর্ট হলো সংক্ষিপ্ত পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা, যা প্রাথমিক ফলাফল বা একটি সম্পূর্ণ ছোট গবেষণা বা প্রোটোকল উপস্থাপন করে। ব্রিফ রিপোর্টে সাধারণত দুটি চিত্র এবং/অথবা একটি টেবিল থাকে; তবে, উপস্থাপিত কাজের পুনরাবৃত্তি নিশ্চিত করতে Materials এবং Methods সেকশনগুলো বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে। এর গঠন একটি সাধারণ নিবন্ধের মতো, তবে সংক্ষিপ্ত এবং সুসংগঠিত।
5. Communication
কমিউনিকেশন হলো সংক্ষিপ্ত রিসার্চ আর্টিকেল যা একটি বড় গবেষণার অংশ হিসেবে বহু বছরের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল বা গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান উপস্থাপন করে। এতে আধুনিক পদ্ধতি বা পরীক্ষা, নতুন প্রযুক্তি বা উপকরণের উন্নয়নও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এর গঠন একটি সাধারণ আর্টিকেলের মতো হয়।
6. Case Report
কেস রিপোর্ট একটি নির্দিষ্ট কেস বা ঘটনা সম্পর্কিত বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রদান করে। এটি বিশেষত চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয় এবং সাধারণত বিরল বা বিশেষ ধরনের রোগ, তাদের উপসর্গ, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়। কেস রিপোর্টে সাধারণত কয়েকটি মূল অংশ থাকে: Abstract, Keywords, Introduction, Detailed Case Description, Discussion এবং Conclusions। এই ধরনের রিপোর্ট চিকিৎসক এবং গবেষকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নির্দিষ্ট রোগ বা সমস্যা সম্পর্কে নতুন ধারণা প্রদান করে। কেস রিপোর্টগুলোর মাধ্যমে গবেষকরা নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়াও, কেস স্টাডি চিকিৎসক এবং গবেষকদের ভবিষ্যতে অনুরূপ পরিস্থিতিতে সহায়তার জন্য গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে।
7. Hypothesis
হাইপোথিসিস আর্টিকেলে একটি নতুন হাইপোথিসিস বা তত্ত্ব উপস্থাপন করা হয়, অথবা পূর্ববর্তী তত্ত্বের একটি নতুন ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়। এই ধরনের আর্টিকেলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে: (1) একটি নির্দিষ্ট গবেষণামূলক অঞ্চলের সাম্প্রতিক তথ্য বা ফলাফলগুলোর নতুন ব্যাখ্যা; (2) পূর্বে উপস্থাপিত হাইপোথিসিস বা তত্ত্বগুলির সঠিক উপস্থাপনা; (3) যে হাইপোথিসিসটি উপস্থাপন করা হয়েছে তা বর্তমান জ্ঞানের পরিসরে পরীক্ষা করা যেতে পারে এমন হতে হবে; এবং (4) মৌলিক তথ্য ও ব্যক্তিগত অন্তর্দৃষ্টি এবং মতামত অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা। যদি নতুন তথ্য উপস্থাপিত হয়, তবে গঠনটি একটি সাধারণ নিবন্ধের মতো হবে। যদি নতুন তথ্য না দেওয়া হয়, তবে গঠনটি আরও নমনীয় হতে পারে, তবে তাও একটি Abstract, Keywords, Introduction, সংশ্লিষ্ট সেকশন এবং Concluding Remarks অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
8. Protocol
প্রোটোকল হলো একটি পদ্ধতির বিস্তারিত পদক্ষেপ-ভিত্তিক বর্ণনা। এটি এমনভাবে প্রমাণিত হতে হবে যে এটি শক্তিশালী এবং পুনরাবৃত্তিযোগ্য। প্রোটোকলটি পূর্বে প্রকাশিত কোনও আর্টিকেলের সাথে এটি যুক্ত থাকতে হবে, যেখানে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে। প্রোটোকলে ব্যবহৃত সব উপকরণ এবং যন্ত্রপাতি স্পষ্টভাবে তালিকাভুক্ত করা উচিত। শর্ত, পরিমাণ, ঘনত্ব ইত্যাদি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচী এবং পদক্ষেপগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা উচিত, এবং সতর্কতা মূলক দিকগুলোও বর্ণনা করা উচিত। প্রোটোকলে নিম্নলিখিত অংশগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে: Abstract, Keywords, Introduction, Experimental Design, Materials and Equipment, Detailed Procedure, এবং Expected Results.
9. Project Report
প্রকল্প রিপোর্ট সাধারণত সংক্ষিপ্ত এবং/অথবা দ্রুত প্রকল্পের ফলাফল এবং তার implications-এর ঘোষণা। এতে একটি গবেষণা কৌশল বা পদ্ধতি, প্রকল্পের কার্যক্রম, প্রযুক্তি এবং সম্পন্ন করা কাজের বিস্তারিত, উপসংহার এবং ভবিষ্যতে কাজের দিকনির্দেশনার জন্য সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এর গঠন একটি আর্টিকেলের মতো হলেও এটি অনেক বেশি নমনীয়।
10. Registered Report
রেজিস্টারড রিপোর্ট হলো একটি বিশেষ ধরনের সায়েন্টিফিক আর্টিকেল যা গবেষণা শুরু হওয়ার আগে এবং ডেটা সংগ্রহের পূর্বেই পিয়ার রিভিউ করা হয়। এর মাধ্যমে গবেষণার আইডিয়া এবং পরিকল্পনা পূর্বেই যাচাই করা হয়, যাতে তা বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড অনুযায়ী সঠিক এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, গবেষণার ফলাফল প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয় এবং ডেটা সংগ্রহ শুরু করার আগে গবেষণার কাঠামো পরিষ্কারভাবে নির্ধারিত থাকে। রেজিস্টারড রিপোর্টের মূল উদ্দেশ্য হল, গবেষণা শুরু করার আগেই তার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব এবং পদ্ধতির উপযুক্ততা নিশ্চিত করা।
11. Technical Note
টেকনিক্যাল নোট হলো সংক্ষিপ্ত আর্টিকেল যা কোনো নতুন কৌশল, পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে। এতে বর্ণিত পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বা বিশেষ ব্যবহারসমূহ তুলে ধরা উচিত। টেকনিক্যাল নোটগুলি নতুন সফটওয়্যার টুল বা কম্পিউটেশনাল পদ্ধতি বর্ণনা করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের নোটের গঠন সাধারণত Abstract, Keywords, Introduction, Materials and Methods, Results, Discussion, এবং Conclusions অংশ নিয়ে হয়।
12. Essay
এ্যাসে সাধারণত মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান শাখায় ব্যবহৃত একটি আর্টিকেলের ধরন, যা পাঠকদের কিছু বিষয় পুনরায় চিন্তা করতে উৎসাহিত করার জন্য প্ররোচিত যুক্তি উপস্থাপন করে। এর গঠন রিভিউ আর্টিকেলের মতো হলেও, যুক্তিগুলিকে সমর্থন করতে প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি এবং গবেষণার তথ্য ব্যবহার করা উচিত।
13. Opinion
এই সংক্ষিপ্ত আর্টিকেলে লেখক একটি নির্দিষ্ট বিষয়, কৌশল বা সাম্প্রতিক গবেষণা নিয়ে ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। এতে উল্লিখিত বিষয়টির strengths ও weaknesses সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। এর গঠন রিভিউয়ের মতো হলেও, এটি অনেক সংক্ষিপ্ত হয় এবং মূলত লেখকের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের জন্য লেখা হয়, যেখানে পূর্ণাঙ্গ সমালোচনামূলক রিভিউ উপস্থাপন করা হয় না।
14. Perspective
পার্সপেকটিভ সাধারণত ইনভাইটেড টাইপ আর্টিকেল, যা একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের বর্তমান উন্নয়ন তুলে ধরে। এতে ক্ষেত্রটির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনার ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়, পাশাপাশি লেখকের ব্যক্তিগত মূল্যায়নও অন্তর্ভুক্ত থাকে। মন্তব্যগুলো অবশ্যই পূর্ববর্তী তিন বছরের মধ্যে প্রকাশিত সাহিত্যকে কেন্দ্র করে উপস্থাপন করা উচিত। এর গঠন সাধারণত রিভিউয়ের মতো হলেও, এটি বেশি ব্যক্তিগত এবং ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গির দিকে মনোযোগ দেয়।
15. Book Review
বই পর্যালোচনা একটি সংক্ষিপ্ত সাহিত্য সমালোচনা, যা সম্প্রতি প্রকাশিত কোনো বইয়ের বিষয়বস্তু, শৈলী এবং গুণগত মান বিশ্লেষণ করে। এই ধরনের আর্টিকেলের শুরুতে বইটির সম্পূর্ণ বিবরণ প্রদান করা উচিত। এর গঠন শুধুমাত্র একটি Introduction অংশ এবং সমালোচনামূলক পয়েন্টগুলোর আলোচনা নিয়ে হওয়া উচিত, যেখানে অন্য কোন আলাদা সেকশন বা উপসংহার থাকবে না।
16. Editorial
এডিটোরিয়াল হলো এমন ধরনের লেখা যা পিয়ার-রিভিউড নয় এবং এটি নতুন জার্নাল, নতুন সেকশন, নতুন এডিটর-ইন-চিফ, বিশেষ ইস্যু, বা আমন্ত্রিত এডিটোরিয়াল ঘোষণা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে সাধারণত লেখাটির উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা হয়—যেমন নতুন জার্নাল পরিচয় করানো, বিশেষ ইস্যু শেষ করা বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। এডিটোরিয়ালে নতুন বা অবাঞ্ছিত তথ্য থাকলে চলবে না, তবে এখানে একটি কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট স্টেটমেন্ট থাকতে হবে। নতুন জার্নাল শুরু হলে, এডিটোরিয়ালে এডিটর-ইন-চিফ এর সংক্ষিপ্ত জীবনীও দেওয়া যেতে পারে।
17. Interesting Images
এই ধরনের আর্টিকেলে শিক্ষামূলক, Diagnostic, illustrative বা Aesthetic উদ্দেশ্যে নির্বাচিত আকর্ষণীয় ছবি উপস্থাপন করা হয়। ছবির সংখ্যা লেখকের ইচ্ছাধীন এবং রঙ বা ছবির আকার ব্যবহারের ওপর কোনও সীমাবদ্ধতা নেই; তবে, উচ্চ-রেজোলিউশনের স্পষ্ট ছবি প্রদান করা উচিত। ছবির গঠন সাধারণত একটি অবিন্যস্ত অ্যাবস্ট্রাক্ট এবং কিওয়ার্ডস দিয়ে শুরু হয়, এবং এতে নিয়মিত আর্টিকেলের মতো কোনো টেক্সট থাকে না। প্রতিটি ছবির সাথে বিস্তারিত ক্যাপশন থাকা উচিত, যা ছবির বৈশিষ্ট্য এবং তাদের প্রাসঙ্গিকতার ওপর ফোকাস করবে। ক্যাপশনে রেফারেন্স সাইটেশন প্রদান করতে হবে। ক্যাপশনের দৈর্ঘ্য নিয়ে কোনও সীমাবদ্ধতা নেই।
18. Abstract and Proceeding Paper
এই ধরনের আর্টিকেলগুলি সাধারণত কনফারেন্সে উপস্থাপিত গবেষণার ফলাফল বা আউটপুট নিয়ে তৈরি হয়। অ্যাবস্ট্রাক্ট হলো একটি সংক্ষিপ্ত একক প্যারাগ্রাফ যা কনফারেন্সে উপস্থাপিত মূল বিষয় এবং ফলাফলগুলো সংক্ষেপে উপস্থাপন করে। এটি সাধারণত একটি সাধারণ অ্যাবস্ট্রাক্টের তুলনায় একটু বিস্তৃত হতে পারে, যেখানে কাজের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়। এই অ্যাবস্ট্রাক্টটি কনফারেন্সে উপস্থাপনের আগে জমা দিতে হয়। মূল টেক্সটে সাধারণত কোনো সেকশন থাকে না, তবে টেবিল, চিত্র এবং রেফারেন্স অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। সাধারণত এর দৈর্ঘ্য চার পৃষ্ঠা ছাড়ানো উচিত নয়। প্রোসিডিং পেপার হলো কনফারেন্সে উপস্থাপিত কাজের একটি বিস্তৃত সংস্করণ, যা নতুন প্রমাণ বা সিদ্ধান্ত তুলে ধরে। কনফারেন্স প্রোসিডিং সাধারণত অসম্পূর্ণ ফলাফল নিয়ে থাকে এবং একটি ধারণা, কৌশল বা গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলকে রিপোর্ট করে। এটি পাঠকদের সেই গবেষণার বা প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত ধারণা প্রদান করে, যা বিশেষ আগ্রহের হতে পারে। প্রোসিডিং পেপারের গঠন সাধারণ গবেষণা নিবন্ধের মতো এবং এতে সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট সেকশন থাকে যেমন: Introduction, Methods, Results, Conclusions ইত্যাদি। এর দৈর্ঘ্য আট পৃষ্ঠার বেশি হওয়া উচিত নয়।
19. Conference Report
কনফারেন্স রিপোর্ট হলো কোনো কনফারেন্স, সেমিনার বা মিটিংয়ের ঘটনা এবং আলোচনার একটি বিস্তারিত বিবরণ। এটি পাঠকদের জন্য মিটিং বা সেশনের সার্বিক চিত্র এবং প্রাসঙ্গিক পটভূমির তথ্য প্রদান করে। এর গঠন সাধারণত Abstract, Keywords, Introduction, Conference Sections, এবং Concluding Remarks অন্তর্ভুক্ত থাকে। এছাড়াও, এতে সকল গ্রহণকৃত মিটিং অ্যাবস্ট্র্যাক্ট অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। প্রকাশিত প্রতিটি কনফারেন্স রিপোর্টে একটি Digital Object Identifier (DOI) প্রদান করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে cite করার জন্য ব্যবহার করা যায়। Supplementary Materials হিসেবে পোস্টার, ভিডিও বা PPT প্রেজেন্টেশনও প্রকাশ করা যেতে পারে।
Leave a comment