মানুষ
ফয়েজ আহমেদ
তিনশত একুশ নাম্বার দল | ছয় জনের একটি দল। ফ্রেবিয়া নামক মহাকাশযানে তারা উঠে বসলো। এই ছয়জন ছাড়াও মহাকাশযানে রয়েছে ক্যাপসুল, কোল্ডরুম, আর্মসরুম, জিনোম ল্যাবরেটরি ইত্যাদি। বিভিন্ন ক্যাপসুলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিম্ন শ্রেণীর প্রাণী এবং আরো প্রায় একুশজন ফ্রেবিয়াস। এছাড়াও জিনোম ল্যাবরেটরিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ক্লোন, কোষ, প্রোফাইল, নমুনা, কঙ্কাল ইত্যাদি।
তাদের গন্থব্য নির্দিষ্ট করা নেই। উদ্দেশ্যহীনভাবেই চলবে মহাশূন্যর শূন্য যাত্রায়। খুঁজে বেড়াবে নতুন গ্রহ। যখনি মহাকাশযানের মূল মনিটরে নতুন কোন গ্রহের সিগনাল ধরা পরবে তখনই তারা ফ্রেবিয়াকে নিয়ে সেই গ্রহে নামবে। কিন্থু তারা এভাবে যে কতকাল চলবে তার কোন নির্দিষ্ট হিসাব নেই। এভাবেই তাদের যাত্রা চলবে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে।
তাদের জগতের নাম গ্রুসাই। অনেকদিনের ব্যবধানে তদের সভ্যতা তৈরী হয়েছে। মিল্কিওয়ে ছায়াপথ থেকে তাদের ছায়াপথের দুরত্ব কয়েক কোটি আলোকবর্ষ। গ্রুসাই গ্রহটা খুব পুরাতন একটা নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। সেই নক্ষত্রটা আর কয়েক বছর পরেই ব্ল্যাকহোলে পরিণত হবে। সেইজন্যই গ্রুসাই গ্রহবাসী গ্রহ খুঁজে বেড়াচ্ছে, এক নক্ষত্র থেকে আরেক নক্ষত্রে, এক ছায়াপথ থেকে আরেক ছায়াপথে।
গ্রুসাই গ্রহবাসীর সভ্যতা খুবই পুরাতন, অনেকদিনের বিনিময়ে তারা এই সভ্যতা গড়ে তুলেছে। তারা সময়কে জয় করেছে। অতি অল্প সময়ে তারা বিরাট দুরত্ব অতিক্রম করতে পারে। বিভিন্ন মাত্রার হাইপার ডাইভের মাধ্যমে অনেক দুরত্ব শুন্য সময়ে পাড়ি দিতে পারে। মহাকাশের এই প্রাণী দেহধারী, আবার দেহধারী না। অর্থাৎ প্রয়োজনে তারা দেহ ধারণ করতে পারে। আবার প্রয়োজনে অদৃশ হয়ে যেতে পারে। ওরা বিরাট আকৃতির |লম্বায় প্রায় চল্লিশ ফুট, চওড়া প্রায় পনের ফুট। এদের সমস্ত শরীর লোমে আবৃত। এই লোম আবার খুব লম্বা লম্বা। এক একটা লোম প্রায় এক থেকে দেড় ফুট লম্বা। এদের চোখ একজোড়া , চোখগুলো চতুর্ভূজ আকৃতির। মনে হয় যেন একটা চোখের ভেতর আরো অনেক চোখ রয়েছে। এরা আয়নিত গ্যাস গ্রহণ করে। গ্রুসাই গ্রহে গাছপালার বদলে বিভিন্ন বিরাট বিরাট ধাতুর পাহাড় রয়েছে। গ্রুসাই গ্রহে নিম্নশ্রেণীর প্রাণী খুব কম। গ্রুসাই বাসীরা নিম্নশ্রেণীর প্রাণীর ভাষা অনায়াসে বুঝতে পারে। তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই উন্নত। যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদনের জন্য তারা ধাতব প্রাণী তৈরী করে। সেগুলো তাদের কায়িক পরিশ্রমের কাজ করে দেয়। গ্রুসাই গ্রহবাসীরা যেসব মহাকাশযান তৈরী করে সেগুলো খুবই উন্নত। এসব মহাকাশযান কোনটা এন্টিম্যাটার, কোনটা আলোকশক্তি,কোনটা জ্বালানীশক্তি আবার কোনটা রিসাইকেল পদ্ধতিতে চালিত হয়। এসকল মহাকাশযানকে ব্ল্যাকহোলের আকর্ষণ শক্তিকে কাটানোর জন্য বিশেষভাবে শক্তি প্রদান করা হয়।
এই সভ্যতার শক্তি যার হাতে তিনি মহা ক্ষমতাধর। কেউ তাকে দেখতে পায়না। অদৃস্য হয়ে থাকেন তিনি , একমাত্র বিশেষ প্রয়োজন হলেই আসেন। তার ক্ষমতাকে সবাই ভয় পায়। তার দেখানো পথই সবাই অনুসরণ করে। কেউ কোন অন্যায় করতে পারেনা। সবার আড়ালে থেকে নিপূনভাবে পরিচালনা করছেন সবকিছুকে। তার বিরুদ্ধে কারো কোন অভিযোগ নেই।
অনুসন্ধানকারী ছয়জনের দলটি নিকষ কালো অন্ধকার মহাশূন্যে ছুটে চলেছে তাদের ফ্রেবিয়া মহাকাশযান নিয়ে অনন্তের উদ্দ্যেশে। লক্ষ্য একটাই, প্রাণের অস্তিত্ত খুঁজে বের করা, বসবাস উপযোগী একটা গ্রহ খুঁজে বের করা । কিণ্তু সেটা কখন খুঁজে পাওয়া যাবে নাকি আদৌ পাওয়া যাবেনা সেই ব্যাপারটা সবার অজানা। তবুও তারা চলছে , অনেকদিন ধরেই চলছে। অন্যান্য দলের মত বিরামহীন তাদের এই যাত্রা। মাঝেমাঝে অন্যান্য দলের সাথে যোগাযোগ হয়, তবে সেটা খুবই সামান্য সময়ের জন্য। তবে সবার মনে শান্তনা গ্রুসাই গ্রহ এবং গ্রুসাই বাসীর জন্য কিছু একটা করতে পারছে।
ফ্রেবিয়া মহাকাশযানটি ইতিমধ্যে নিম্ন মাত্রার দুইটি হাইপার ডাইভ দিয়েছে। অনেক দুরত্ব পাড়ি দেয়া হয়েছে এই হাইপার ডাইভের কারনে। কিণ্তু প্রাণের অস্তিত্ব আছে এমন কোন গ্রহের সিগনাল তাদের মহাকাশযানের মূল মনিটরে ধরা পড়েনি। তবুও তাদের যাত্রা থেমে নেই , চলছে তো চলছেই। তাদের বিশ্বাস একদিন না একদিন তারা পাবেই।
চলতে চলতে হঠাৎ করে একদিন তারা মিল্কিওয়ে ছায়াপথের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল আর তখন তাদের মহাকাশযানের রাডার একটি সিগনাল ধরে ফেলে। রাডারের কন্ট্রোল ইউনিট তৎক্ষনাৎ সিগনালটি মহাকাশযানের মূল কন্ট্রোলরুমে পাঠিয়ে দেয়। সঙ্গেসঙ্গে সম্পূর্ণ মহাকাশযানে একটি মৃদু অ্যালার্ম বেজে ওটে , যার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন ছয় মহাকাশচারী। অনেক প্রত্যাশিত সেই অ্যালার্ম শুনে মহাকাশযানের বিভিন্ন স্তর থেকে সবাই তাড়াতাড়িকরে মূল কন্ট্রোলরুমে উপস্থিত হন। ছয়জনের একজন কন্ট্রোলপ্যানেলের কীবোর্ডে টিপাটিপি করতে শুরু করলেন। অনেক সময় ধরে টিপাটিপির পর বাকিদের উদ্দেশ্যে বললেন-“রাডারে ধারণকৃত সংকেতটি প্রায় এক হাজার বছর পূর্বের। এধরনের সিগনাল কোন বুদ্ধিমান প্রাণী ছাড়া অন্যকেউ তৈরী করতে পারবেনা। সিগনালটা এসেছে প্রায় সাতাত্তর লক্ষ হাজার আলোকবর্ষ দূরথেকে। এটি এসেছে আমরা যে ছায়াপথকে অতিক্রম করছি তার মাঝে কোন নক্ষত্রের অন্থর্গত কোন গ্রহ থেকে। যদি আমরা সেখানে যেতে চাই তাহলে এখনই ফ্রেবিয়ার গতি কমিয়ে দিতে হবে। আপনারা সবাই কি যেতে রাজী আছেন ?”
প্রায় সমস্বরে সবাই বলে উঠলেন -“হাঁআমরা রাজী।”
তাহলে আমি ফ্রেবিয়ার যাত্রাপথ পরিবর্তন করছি। আপনারা একজন হাইপার ডাইভের ব্যবস্থা করুন। আর আমি হাইপার ডাইভের জন্য জ্যামিতিক পথও তৈরী করছি।
নামার প্রস্তুতি হিসেবে মহাকাশযান ফ্রেবিয়া গ্রহটির চারদিকে প্রদক্ষিণ করছে। আর গ্রহটির আবহাওয়া, অবস্থান, তাপমাত্রা, বায়ুস্তর, তেজস্ক্রিয়তা ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য রেকর্ড করছে। সেগুলোকে আবার ভালোভাবে বিশ্লেষণ করছে দলের ছয়জন সদস্য।
“গ্রহটি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হলে আমাদের নামতে হবে কেননা এখানে কোন প্রাণী আছে কিনা এখনো বুঝা যাচ্ছেনা ” কথাটি বললেন একজন সদস্য।
ওর কথায় সম্মতি দিয়ে প্রায় সবাই বলল – নামার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হোক।
সিদ্ধান্ত হলো তিনজন একটি স্কাউটশীপ নিয়ে গ্রহটিতে নামবে। আর অন্য তিনজন মূলমহাকাশযানে থাকবে এবং মূলমহাকাশযান থেকেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে। যে তিনজন নামবে তাদেরকে রূপক নাম দেয়া হলো– ফ্রেবিয়ানো এক , ফ্রেবিয়ানো দুই এবং ফ্রেবিয়ানো তিন।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে স্কাউটশীপটি পরিপূর্ণ করা হলো। ফ্রেবিয়ানো এক, ফ্রেবিয়ানো দুই এবং ফ্রেবিয়ানো তিন স্কাউটশীপে উঠে বসার কিছুক্ষণের মধ্যই ধীরেধীরে মূলমহাকাশযান থেকে স্কাউটশীপটি বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করল আর গ্রহটির কক্ষপথে নির্দিষ্ট বেগে আবর্তন করতে লাগল। আবর্তন করতে করতে যখন স্কাউটশীপটি নিচের দিকে নামছিল ঠিক তখন মূলমহাকাশযানের সাথে স্কাউটশীপের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। মূল মূলমহাকাশযানটি তখন ডপলার শিফট পাচ্ছিল।
ধীরেধীরে স্কাউটশীপটি পূর্বনির্ধারিত একটি সমতল জায়গায় অবতরণ করল।তারপর ফ্রেবিয়ানো এক গ্রহটির বাইরের আবহাওয়া সম্পর্কে অন্যদের অবগত করলেন। তারা তিনজনেই বিশেষ স্পেসস্যুট, দৃষ্টিক্ষেপণ মডিউল এবং মাস্ক পরে নিলেন। নামার পূর্ব মুহুর্তে ফ্রেবিয়ানো এক মূল যানের সাথে যোগাযোগ করলেন । মূল যানের অনন্যদের উদ্দেশ্যে বলা হল– কিছুক্ষণ আগে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার কারন মনে হয় গ্রহটির নিজস্ব ওজনস্তর, কারণ তখন আমরা ওজনস্তরটি অতিক্রম করছিলাম। এখন আমরা গ্রহটিতে নামার প্রস্থুতি নিয়েছি।
স্কাউটশীপের ত্রিকোণাকার আকৃতির দরজা খুলে এক এক করে তিনজন গ্রহটির মাটি স্পর্শ করলেন। নামার পর তারা দেখলেন– সামনে ধূ-ধূ প্রান্তর, অনেক দূরে বড় বড় পাহাড়, রুক্ষ পরিবেশ, প্রাণের অস্তিত্বহীন একটি গ্রহ।
তারপর তারা তিনজন তিন দিকে রওনা হল। প্রায় ঘন্টাখানেক হাটার পর তারা একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে যে জায়গায় উপস্থিত হলেন সেটা একটি পাহাড়ের পাদদেশ। এরকম জায়গা তাদের মূলমহাকাশযানের বা স্কাউটশীপের আলোক সংবেদী যন্ত্রে ধরা পরেনি। জায়গাটা ছিল সবুজ গাছপালায় পরিপূর্ণ। নির্দিষ্ট একটি জায়গা জুড়ে এই সবুজ গাছপালা। দিগন্তে আবার রুক্ষ, নীরব, প্রাণহীন পরিবেশ।
কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তারা আবার হাটা শুরু করল। তবে এবারে তিনজন একসাথে। প্রায় চার ঘন্টা হাটার পর তারা আরো একটি পাহাড়ের ওপর প্রান্তে পৌছালো। সেখানে উপস্তিত হয়ে তারা অবাক হল, কারন সেটা ছিল একটা ধংসস্তূপ। এই ধংসস্তুপ দেখেই বুঝা যাচ্ছে এটি কোন প্রাণীর আবাসস্থল ছিল। তবে ধংসস্তূপটি ছিল অনেক পুরনো। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে অজানা সব জিনিসপত্র| সেখান থেকে কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা আবার স্কাউটশীপের দিকে রওনা হল।
এবারে প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য তারা স্কাউটশীপ নিয়ে সম্পূর্ণ গ্রহের চারদিকে পরপর দুইবার ঘুরল। কিন্তূ কোথাও কোন প্রকার প্রাণীর অস্তিত্ব পেলনা। তবে স্কাউটশীপের ডাটা সংগ্রহের যন্ত্রপাতিগুলো প্রাণীর অস্তিত্বের নির্দেশ করছে। যন্ত্রপাতির নির্দেশ প্রমাণ করার জন্য তারা আরেকটা নতুন জায়গায় অবতরন করল। এক এক করে আবার তারা বেরিয়ে পড়ল। অনেক সময় ধরে হাটার পর তারা তরল পদার্থের সন্ধান পেল। তরল পদার্থের নমুনা সংগ্রহ করার পর তারা কৃত্তিম আলোর ব্যবস্তা করল। কারন ইতিমধ্যে চারদিক প্রায় অন্ধকার হতে শুরু করেছে।
আরো কিছুক্ষণ হাটাহাটির পর যখন তারা স্কাউটশীপে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিল ঠিক তখনই ফ্রেবিয়ানো এক একটা ফসিল পেলেন। ফসিলটা পাওয়ার পর ফ্রেবিয়ানো এক অন্য দুজনকে দেখালেন। তারপর তারা ফসিল সহ স্কাউটশীপে ফিরে আসল।
সংগ্রহ করা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ফসিল, তরল পদার্থ ইত্যাদি সহ তিনজন এখন স্কাউটশীপের ছোট ল্যবরেটরিতে উপস্থিত রয়েছেন । ল্যবরেটরির সাথে সংযুক্ত করা ডকিংবের মনিটর চালু করে মূলমহাকাশযানের সাথে যোগাযোগ করে বলাহল– আমরা কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছি। কিছুক্ষণের মধ্যই আমরা মূলমহাকাশযানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেব। এখন এখানে অন্ধকার হয়ে গেছে তাই অনুসন্ধানে কিছু সমস্যা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আবার আমরা পরে আসব।
মূল মহাকাশযানের মূল কন্ট্রোল উনিটের মনিটরের সামনে বসে আছেন ছয়জন ফ্রেবিয়ানো। তারা আন্তগ্যালাক্টিক বুলেটিন বোর্ডে সংগ্রহকৃত ফসিল সম্পর্কে জানার জন্য কিছু তথ্য পাঠিয়েছেন । তথ্যর উপর ভিত্তি করে বুলেটিন বোর্ড ফসিল সম্পর্কে জানাবে। তাই সবাই উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে কখন বুলেটিন বোর্ড উত্তর পাঠাবে।
অপেক্ষার মুহূর্তগুলোর সমাপ্তি করে শেষ পর্যন্ত বুলেটিন বোর্ড সংক্ষিপ্ত একটা বার্তা প্রেরণ করল ফসিল সম্পর্কে–” ফসিলের নমুনা পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায় যে, এটা কার্বন ভিত্তিক প্রাণীর একটা ফসিল। খুব সম্ববত এরা তেইশ জোড়া ক্রোমোজমের অধিকারী ছিল। এরা দেহধারী ছিল। বাঁচার জন্য এরা খাবার গ্রহণ করত| এদের অবস্থান ছিল মিল্কিওয়ে ছায়াপথের একটি নক্কত্রকে কেন্দ্র করে। যে গ্রহটায় বাস করত তার নাম ছিল পৃথিবী। তাদের সভ্যতা ছিল অনেক পুরনো। অনেকদিনের ব্যবধানে তৈরী হয়েছিল তাদের এই সভ্যতা। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে গিয়ে তারা আন্তগ্যালাক্টিক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তূ বেশীদূর যেতে পারেনি। তাদের নিজেদের মধ্য একটা যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে পারমাণবিক বোমা এবং এন্টিমেটার দিয়ে তৈরিকৃত বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। যার ফলে লক্ষ লক্ষ বছরে গড়ে তোলা সভ্যতা কয়েক ঘন্টায় সম্পূর্ণরূপে ধংস হয়ে যায়। সেইসাথে ধংস হয়ে যায় তারা নিজেও। সভ্যতাটির নামকরণ হয়েছিল মানব সভ্যতা। ”
উপরোক্ত বর্ণনার পর মানুষের একটি ছবি দেয়া হল, যে ছবিটি দেখে ফ্রেবিয়ানো দুই বলল– এত কুত্সিত প্রাণীও কি এই মহাবিশ্বে ছিল ?
পরিশিষ্ট :
অক্সিজেন গ্রহণকারী মানুষের অতি যত্নে গড়ে তোলা এই পৃথিবীতে এখন বাস করছে গ্রুসাইরা আর তাদের ল্যবরেটরিতে সংরক্ষিত রয়েছে ধংস হয়ে যাওয়া মানুষ এবং অনন্য প্রাণীর ফসিল। যেগুলো গ্রুসাই বাসীর কাছে নিম্নশ্রেণীর প্রাণীর ফসিল হিসেবে পরিচিত। কিন্তূ কেউ কখনো জানেনি বা জানবেওনা এই মানব জাতির বুদ্ধিমত্তা ছিল নিনিষ স্কেলে চৌদ্দ মাত্রার উপরে।
নাইস