অতিথি লেখক:
আজিজুল হক
সহকারী অধ্যাপক, ইয়েংনাম বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রায়ই জার্নালে গবেষণাপত্র সাবমিট করার সময় একটি কভার লেটার দিতে হয়। আপনার গবেষণার নতুনত্ব এবং গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য এটি একটি বড় সুযোগ, যাতে জার্নাল সম্পাদক বুঝতে পারেন কেন আপনার কাজটি তাদের জার্নালের জন্য উপযুক্ত। কভার লেটারে আপনাকে ব্যাখ্যা করতে হবে কেন আপনার কাজটি তাদের জার্নালের জন্য সঠিক এবং কেন এটি পাঠকদের কাছে আগ্রহজনক হবে। প্রকাশনার জন্য লেখার সময়, একটি ভালো লেখা কভার লেটার আপনার পেপারকে ম্যানুস্ক্রিপ্ট সাবমিশন প্রক্রিয়ার পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে – অর্থাৎ পিয়ার রিভিউয়ের জন্য পাঠানো। তাই কভার লেটার লেখার সময় চিন্তা করে সময় ব্যয় করা উচিত। লেখা শুরু করার আগে আপনার পছন্দসই জার্নালের লেখকদের জন্য নির্দেশাবলী (IFAs) চেক করুন, কারণ সব জার্নালই কভার লেটার চাইবে না।
কভার লেটারে কী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত?
– সম্পাদকের নাম (সাধারণত এটি অনলাইনে জার্নাল পেজে পাওয়া যায়)।
– আপনার ম্যানুস্ক্রিপ্টের শিরোনাম।
– যে জার্নালে আপনি সাবমিট করছেন তার নাম।
– একটি বিবৃতি যে আপনার পেপারটি পূর্বে প্রকাশিত হয়নি এবং অন্য কোনো জার্নালে বর্তমানে বিবেচিত হচ্ছে না।
– আপনার পেপারে উপস্থাপিত গবেষণার সারসংক্ষেপ, এর গুরুত্ব এবং কেন আপনি মনে করেন যে এটি জার্নালের পাঠকদের কাছে প্রাসঙ্গিক হবে।
– আপনার এবং যে কোনও সহলেখকের যোগাযোগের তথ্য।
– আপনার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা স্বার্থসংঘাত নেই (no conflict of interests) তা নিশ্চিত করা।
কভার লেটারে কী এড়ানো উচিত
– কভার লেটারে আপনার অ্যাবস্ট্র্যাক্ট পুনরায় লেখার বদলে, আপনি যে গবেষণাটি করেছেন তার গুরুত্ব এবং এটি জার্নালের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ তা বিস্তারিতভাবে আপনার ভাষায় উপস্থাপন করুন।
– অতিরিক্ত জটিল শব্দ বা সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, ভাষাকে সহজ ও বোধগম্য রাখুন।
– কভার লেটারে অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে, এক পৃষ্ঠার মধ্যে এটি সীমাবদ্ধ রাখুন, যাতে সহজেই প্রথম দর্শনেই বিষয়টি বোঝা যায়।
– বানান এবং ব্যাকরণ সংক্রান্ত কোনও ত্রুটি এড়িয়ে চলুন এবং সাবমিট করার আগে কভার লেটারটি ভালোভাবে প্রুফরিড করুন।
জার্নালে গবেষণাপত্র সাবমিশনের জন্য কভার লেটার কিভাবে লিখবেন?

বিদ্র: ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত:——–
https://www.facebook.com/share/p/15fa7ccFbC
Leave a comment