সাক্ষাৎকার

পল্লব ভট্টাচার্য্য

Share
Share

নবীন প্রজন্মদের সাক্ষাৎকার সিরিজে এবার আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি পল্লব ভট্টাচার্য্য এর। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, প্রজন্ম রিসার্চ ফাউন্ডেশনে সিনিয়র রিসার্চ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার সাক্ষাৎকারটি পড়ুন:

প্রথমেই আপনার সম্বন্ধে আমরা জানতে চাই

আমি পল্লব ভট্টাচার্য্য, বর্তমানে আমি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, প্রজন্ম রিসার্চ ফাউন্ডেশনে সিনিয়র রিসার্চ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছি (যা যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বে পরিচালিত) ।
ছোটবেলা থেকেই একজন ভালো বিজ্ঞানী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং জীববিজ্ঞানের প্রতি গভীর আগ্রহ থেকে ২০১১ সালে আমি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসএইউ) ভর্তি হই এবং ২০১৪ সালে কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করি। এসএইউ-তে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকবৃন্দ এবং জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত পাঠ্যক্রম আমার জীববিজ্ঞানের ভিত্তি মজবুত করতে সহায়ক হয়েছে।
আমি ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএইউ) বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে বায়োটেকনোলজিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি। এরপর ২০১৮ সালে GSCAAS স্কলার হিসেবে চীনের বেইজিংয়ে যাই এবং বেইজিংয়ের চায়নিজ অ্যাকাডেমি অফ এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের (সিএএএস) প্ল্যান্ট প্রোটেকশন ইনস্টিটিউটের মাইকোভাইরাস গবেষণাগারে ২০২১ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করি।

আপনার গবেষনার বিষয় কি?

আমার গবেষণার ক্ষেত্রটি কিছুটা বহুমুখী বলা চলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএইউ) বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আমার মাস্টার্সের সময়, আমি বাংলাদেশে গমের ব্লাস্ট (Megnaporthy oryzae নামক ছত্রাক দ্বারা সংঘটিত রোগ) এর জিনগত পরিচয় ও উৎস নির্ধারণে কাজ করেছি। আমাদের গবেষণা দলটি ফিল্ড প্যাথোজেনোমিক্স এবং ওপেন ডেটা শেয়ারিং পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিল (www.wheatblast.net)। উল্লেখ্য, এ ধরনের ওপেন ডেটা শেয়ারিং পদ্ধতি এর আগে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে জিকা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়াও, আমি বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অর্থায়িত কয়েকটি প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেছি।
আমার পিএইচডি গবেষণায়, আমি চীনের National Key R&D প্রোগ্রামের আওতায় “Sequence Analysis of Mycoviruses Infecting Fusarium sibiricum Strain AH32” প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। আমার প্রধান গবেষণা বিষয় ছিল জৈব দমন (Biological control) পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ভাইরাস ব্যবহার করে Fusarium sibiricum নামক ছত্রাকজনিত জীবাণু, যা গমের Fusarium head blight রোগের জন্য দায়ী, তা নিয়ন্ত্রণ করা। এটি একটি চমকপ্রদ গবেষণা, যা বাংলাদেশে খুব একটা পরিচিত নয়। উদ্ভিদের ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের প্রচলিত জৈব দমন পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার, যা প্রোবায়োটিক্স নামে পরিচিত। তবে, মাইকোভাইরাসও (যে সকল ভাইরাস ছত্রাক কে আক্রম করতে সক্ষম) ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার পিএইচডি গবেষণায় আমি Fusarium sibiricum স্ট্রেন AH32 থেকে একটি নতুন RNA মাইকোভাইরাস (FsCV1) এবং একাধিক উপাদান বিশিষ্ট একক-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ ভাইরাস (FsGMTV1) আবিষ্কার করি। উল্লেখযোগ্যভাবে, Fusarium sibiricum এর মাধ্যমে গমে Fusarium head blight রোগের প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদনটি আমার গবেষণার ফলাফল, যা আমেরিকান ফাইটোপ্যাথোলজিক্যাল সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বর্তমানে, প্রজন্ম রিসার্চ ফাউন্ডেশনে সিনিয়র রিসার্চ অফিসার হিসেবে আমি Moderna এবং GSK-এর সাথে দুটি FDA নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কাজ করছি। পাশাপাশি, আমি AMANHI Biobank পরিচালনায় সহায়তা করছি, যা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা সমন্বিত। এই গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে, আমি একটি গবেষণা দলের সঙ্গে কাজ করছি, যারা মাল্টি-ওমিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে বায়োমার্কার উন্নয়নে নিয়োজিত এবং মানুষের গাট মাইক্রোবায়োমের 16S মেটাজেনোমিক্স নিয়ে গবেষণা করছে। গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে আমি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যের সিনসিনাটি চিলড্রেন’স হসপিটাল মেডিকেল সেন্টারের হিউম্যান জেনেটিক্স বিভাগ থেকে বায়োইনফরমেটিক্স ও জেনোমিক বিশ্লেষণে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়েছি।
এপর্যন্ত আমি বেশ কয়েকটি গবেষণা ও পর্যালোচনা প্রকাশনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছি, যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাইটেশন লাভ করেছে (Google Scholar- অনুযায়ী মোট সাইটেশন ৭০০ এর কাছাকাছি)। এছাড়াও, আমার কিছু গবেষণা প্রবন্ধ শীঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

আপনার গবেষনার কাজগুলি কিভাবে আমাদের উপকৃত করছে কিংবা করবে?

আমার গবেষণা কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা এবং বায়োটেকনোলজির ক্ষেত্রে সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে সমাজের জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে। ছত্রাক হলো বৃহৎ ও বৈচিত্র্যময় একটি মাইক্রোঅর্গানিজমের গ্রুপ, যা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উদ্ভিদের সংক্রামক রোগের সাথে জড়িত। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছত্রাকের প্রায় সব প্রজাতিই কমবেশি ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে, যা উদ্ভিদের রোগ নিয়ন্ত্রণে মাইকোভাইরাসের ভূমিকা নিয়ে গবেষণার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে
তোলে। উদ্ভিদের রোগ নিয়ন্ত্রণে মাইকোভাইরাসের ব্যবহার পরিবেশবান্ধব একটি পদ্ধতি হিসেবে রাসায়নিক কীটনাশকের বিকল্প হতে পারে, যা কৃষিক্ষেত্রে টেকসই উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক। এর ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, কৃষকের খরচ কমবে এবং পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাবও হ্রাস হবে। গম ব্লাস্টের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে আমার গবেষণা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে, যা বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্তভাবে, আমি বর্তমানে একটি গবেষণা দলের সদস্য হিসেবে কাজ করছি, যেখানে আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, মানুষের গাট মাইক্রোবায়োম নিয়ে গবেষণা এবং বায়োমার্কার উন্নয়নের উপর কাজ করছি। এই অভিজ্ঞতা আমাকে বিভিন্ন গবেষণা পদ্ধতি ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ প্রদান করেছে, যা ভবিষ্যতে আমার কাজকে সমৃদ্ধ করবে।

একজন বিজ্ঞানীর কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন? 

আমি মনে করি, একজন বিজ্ঞানীর মধ্যে এমন কিছু গুণ থাকা অপরিহার্য, যা তাকে কেবল সফল হতে সাহায্য করে না, বরং তাকে বিজ্ঞানকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রেরণা দেয়।
প্রথমত, জিজ্ঞাসু মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন বিজ্ঞানীর সবসময় প্রশ্ন করার প্রবণতা থাকা উচিত। কেন এবং কীভাবে পৃথিবী বা প্রকৃতির কোনো বিশেষ ঘটনা ঘটে, এই অনুসন্ধিৎসা তাকে নতুন জ্ঞানের সন্ধানে চালিত করে।
দ্বিতীয়ত, বিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্ত ও বিশ্লেষণে বস্তুনিষ্ঠতা ও যুক্তি থাকতে হবে। তাদের অবশ্যই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে হবে এবং সম্ভাব্য বিভিন্ন ব্যাখ্যা গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা জরুরি, যাতে গবেষণা প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগিয়ে যায়।
তৃতীয়ত, গবেষণা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যা অসীম ধৈর্য ও নিরলস প্রচেষ্টা দাবি করে। একজন বিজ্ঞানীকে বারবার ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হলেও, তাকে নিরুৎসাহিত না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সফলতার পথ ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই তৈরি হয়।
এছাড়াও, গবেষণায় সততা ও নৈতিকতার প্রতি অঙ্গীকার অপরিহার্য। গবেষণার প্রতিটি ধাপে সঠিকতা বজায় রাখা এবং ফলাফলগুলোতে বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করা জরুরি।
অবশেষে, বিজ্ঞান প্রায়শই দলগত প্রচেষ্টার ফলাফল। তাই, অন্যদের সাথে সহযোগিতার ক্ষমতা এবং নিজের ধারণা স্পষ্ট ও কার্যকরভাবে প্রকাশ করার দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানীদের মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা ও সহযোগিতা থাকতে হবে, কারণ বড় বড় সমস্যার সমাধান সাধারণত দলগত কাজের মাধ্যমেই সম্ভব হয়।
এই গুণগুলো একজন বিজ্ঞানীকে কেবল গবেষণায় সফল করে তোলে না, বরং তাকে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করে।

গবেষনা কাজের বিশেষ কোন অভিজ্ঞতা কি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন? 

আমি আমার গবেষণা শুরুর দিকের কিছু বিশেষ অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই, যা আমার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই, আমি বিএসএমআরএইউতে অধ্যাপক ড. ইসলামের প্রখ্যাত গবেষণা গ্রুপ “ড্রিম টিম”-এ যোগদান করি। অধ্যাপক ইসলামের তত্ত্বাবধানে আমার মাস্টার্স গবেষণায় প্রবেশের পর, আমি বিভিন্ন মৌলিক গবেষণায় যুক্ত হই, যা আমার গবেষণার জগতে একটি সমৃদ্ধ যাত্রার সূচনা করে।
২০১৬ সালের ২ মার্চ, আমার একাডেমিক যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে। আমি এবং আমার বন্ধু শাহিদ হোসেন সম্ভাব্য গবেষণার বিষয় নিয়ে অধ্যাপক ইসলামের অফিসে যাই। সেদিন সকালে, অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম আমাদের জানান যে আটটি জেলার গম ক্ষেত একটি অজানা রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তিনি জানান, এশিয়াতে এ ধরনের রোগ আগে কখনও নথিভুক্ত হয়নি এবং তাঁর ও তাঁর সহকর্মীদের এটির অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো পূর্ব ধারণা ছিল না। অধ্যাপক ইসলাম বলেন, “এটি একটি PLANT HEALTH EMERGENCY এবং জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।”
বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে, অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম আমাদের একটি গবেষণা পরিকল্পনা দেন যাতে আমরা রোগটির কারণ চিহ্নিত করতে পারি। তিনি আমাদের কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা এবং যশোরে নমুনা সংগ্রহের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রস্তুতির জন্য আমাদের মাত্র ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়, এবং এভাবে আমাদের অজানা রোগের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের সূচনা হয়। ফেরার পর, অধ্যাপক ইসলাম শীঘ্রই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার আন্তর্জাতিক কোলাবরেটর অধ্যাপক সোফিয়েন কামুনের কাছে ইউকেতে The Sainsbury Laboratory-তে নমুনা পাঠানোর ব্যবস্থা করেন যেখানে আমরা জীবাণুটির ট্রান্সক্রিপটমিক্স বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হই।
গবেষণাগারে ফিরে, তিনি আমাদের রোগ শনাক্ত করতে প্যাথোজেন আইসলেশন এবং Koch’s postulates সম্পাদনে নির্দেশনা দেন। যখন আমরা এই জটিল প্রক্রিয়া অতিক্রম করছিলাম, তখন পর্যন্ত প্রাপ্ত জেনোম সিকোয়েন্স ডেটা সীমিত ছিল এবং যথেষ্ট তথ্য ছিল না। এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে, অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম এবং অধ্যাপক সোফিয়েন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন—”ওপেন হুইট ব্লাস্ট” ওয়েবসাইট তৈরি করে, যেখানে সমস্ত সিকোয়েন্স করা তথ্য প্রকাশ করা হয়।
তাদের প্রচেষ্টার ফলে একটি বিশ্বব্যাপী প্রেস রিলিজ প্রকাশিত হয়, যা ব্যাপক দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই ডেটা শেয়ারিং এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মডেল উদ্ভিদ PLANT HEALTH EMERGENCY অবস্থাগুলি দ্রুত মোকাবেলার জন্য নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। আমি গর্বিত যে আমি আমার এমএস থিসিস এই ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছি, যা পরবর্তীতে BMC Biology-তে প্রকাশিত অন্যতম বেশি উদ্ধৃত গবেষণাপত্রে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় – তাদের জন্য আপনার কোন ম্যাসেজ কিংবা বার্তা কি?

বিজ্ঞান কৌতূহল ও অধ্যবসায়ের মিশ্রণ। সবসময় প্রশ্ন করুন, চ্যালেঞ্জ নিন, ব্যর্থতা থেকে শিখুন, এবং কখনো চেষ্টা থামাবেন না। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিজেকে উন্নত করুন সেই সাথে বাংলাদেশকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এগিয়ে নিতে আপনার ভূমিকায় অবিচল থাকুন।

আপনার ইমেইল ঠিকানা : [email protected]

আপনার লিংকডইন সাইটের ওয়েবএড্রেস : https://www.linkedin.com/feed/

আমরা বিজ্ঞানী অর্গ এর পক্ষ থেকে পল্লব ভট্টাচার্য্য এর উত্তোরত্তর সাফল্য কামনা করি। তিনি আমাদের নবীন গবেষকদের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

Share

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফ্রি ইমেইল নিউজলেটারে সাবক্রাইব করে নিন। আমাদের নতুন লেখাগুলি পৌছে যাবে আপনার ইমেইল বক্সে।

বিভাগসমুহ

Related Articles
অন্যান্যসাক্ষাৎকার

মোঃ মাহমুদুর রহমান

নবীন প্রজন্মদের সাক্ষাৎকার সিরিজে এবার আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি মোঃ মাহমুদুর রহমান এর।...

সাক্ষাৎকার

 ড. অজয় কান্তি মন্ডল

নবীন প্রজন্মদের সাক্ষাৎকার সিরিজে এবার আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি বিজ্ঞানী ড. অজয় কান্তি...

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসাক্ষাৎকার

ফয়সাল আহাম্মদ খান

নবীন প্রজন্মদের সাক্ষাৎকার সিরিজে এবার আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি ফয়সাল আহাম্মদ খান এর।...

সাক্ষাৎকার

আমাদের গর্ব আমেরিকা প্রবাসী বিজ্ঞানী ড. মুহাম্মদ মুস্তাফা

নবীন প্রজন্মদের সাক্ষাৎকার সিরিজে এবার আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি ড. মুহাম্মদ মুস্তাফা হোসেন...

চিকিৎসা বিদ্যাসাক্ষাৎকার

এপিডেমিওলজি গবেষক আমেরিকা প্রবাসী ডা. রজত দাশগুপ্ত

নবীন প্রজন্মদের সাক্ষাৎকার সিরিজে এবার আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি রজত দাশগুপ্ত এর। তিনি...

Three Columns Layout

বাংলাদেশি গবেষকদের কমিউনিটি বিজ্ঞানী অর্গ (biggani.org), যা বাংলা ভাষায় গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য ও সাক্ষাৎকার শেয়ার করে নতুনদের গবেষণায় প্রেরণা দেয়।

যোগাযোগ

[email protected]

biggani.org, a community of Bangladeshi scientists, shares interviews and information about researchers and scientists in Bengali to inspire young people in research and higher education.

বিজ্ঞানী অর্গ (biggani.org) বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে গবেষণা ও বিজ্ঞান নিয়ে বাংলা ভাষায় তথ্য ও সাক্ষাৎকার প্রচার করে – নবীনদের গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় প্রেরণা দেয়া হয়।

যোগাযোগ:

biggani.org@জিমেইল.com

biggani.org, a community of Bangladeshi scientists, shares interviews and information about researchers and scientists in Bengali to inspire young people in research and higher education.

Copyright © biggani.org