নবীন প্রজন্মদের সাক্ষাৎকার সিরিজে এবার আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি ড. মুহাম্মদ মুস্তাফা হোসেন এর। তিনি বর্তমানে আমেরিকার পার্ডু (Purdue) ইউনিভার্সিটির এলমোর ফ্যামিলি স্কুল অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত আছেন। এর আগে তিনি ইউসি বার্কলে-তে এবং কাউস্টএ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক ছিলেন। তিনি সেমাটেকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টসের ২২ ন্যানোমিটার নোড ফিনফেট ট্রান্সিস্টর তৈরির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বুয়েট থেকে ব্যাচেলর্স করেন ২০০০ সনে। তাঁর গবেষণা ভবিষ্যত প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্সের উপর ভিত্তি করে এবং তিনি ৪৫০+ গবেষণা প্রবন্ধ ও পেটেন্টের লেখক উদ্ভাবক। ড. হোসেন আইইইই (IEEE), আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি (APS), এবং ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স (যুক্তরাজ্য)-এর ফেলো। তাঁর কাজ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে এবং তিনি ৪৭টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে সিইএস ২০২০-এর বেস্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২০ সালের এডিসন অ্যাওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত। তিনি ১৯ জন ছাত্র ছাত্রীর পিএইচডি গবেষণা তদারকি করেছেন।
তার প্রধান গবেষণা অবস্থান হলো ‘ইন্টারনেট অফ এভ্রিথিং’ এর জন্য নতুন ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লিকেশন উদ্ভাবন। এটি স্বাস্থ্যসেবা থেকে রোবটিক্স, কৃষি থেকে সমুদ্র পরিবেশ, রক্ষা থেকে মহাকাশে পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত ব্যাপক। তিনি নতুন ধারণা বিকশন এবং মাইক্রো এবং ন্যানোফ্যাব্রিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অত্যন্ত ছোট আকৃতির এবং বহু-কার্যক্ষম ইলেকট্রনিক্স তৈরি করেন।
বিজ্ঞানী অর্গ টিম যখন সাক্ষাৎকার নেবার জন্য তার গুগল স্কলারের প্রোফাইলটি দেখছিল, তখন তার গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন দেখে হতবাক হবার যোগাড়। গবেষণাপত্রের সাইটেশন বা উদ্ধৃতি হলো এমন একটি সংখ্যা যার মাধ্যমে বোঝায় সেই বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বা পেপারটি কতবার অন্যান্য গবেষকরা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করেছেন। অর্থাৎ যে পেপারে এই সাইটেশন সংখ্যাটি বেশি, তার অর্থ হল সেই পেপারটি গবেষকদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তার সকল পেপারগুলির সাইটেশনের সংখ্যা দশ হাজার এর বেশি। একজন বাংলাদেশি গবেষক বিশ্বের গবেষনাক্ষেত্রে কিরকম ভূমিকা রাখছে তা এই সংখ্যাটি প্রকাশ করে।
নিম্নে তার সাক্ষাৎকারটির ভিডিওটি দেখুন।
ভিডিও লিঙ্ক: https://youtu.be/t6EDqV7bCWE
উক্ত সাক্ষাৎকারে কি ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছিল তার কিছু নমুনা:
- আপনার গবেষনার বিষয় কি? আপনার মূল গবেষনার বিষয়টি আমাদের জন্য একটু সহজভাবে একটু বলেন।
- আপনার গবেষনার কাজগুলি কিভাবে আমাদের উপকৃত করছে কিংবা করবে?
- গবেষনা কাজের বিশেষ কোন অভিজ্ঞতা কি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন?এমন কোন অভিজ্ঞতা যা আপনার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
- একজন বিজ্ঞানীর কি কি গুণ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন? বিজ্ঞানী ডট অর্গ এর মূল পাঠক শিক্ষার্থী, নবীন বিজ্ঞানী ও গবেষক। তাদেরকে গাইড দেবার জন্য।
- বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞানে কাজ করতে চায় – তাদের জন্য আপনার কোন ম্যাসেজ কিংবা বার্তা কি?
- ইন্টারনেট অফ এভরিথিং (IoE) কী এবং এটি কীভাবে বিভিন্ন খাতে (যেমন স্বাস্থ্যসেবা, রোবোটিক্স, কৃষি) প্রভাব ফেলে?ইন্টারনেট অফ এভরিথিং (IoE) এর মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কী কী চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে?
- রোবোটিক্স বা মহাকাশ গবেষণায় ন্যানোফ্যাব্রিকেশন প্রযুক্তির প্রয়োগ কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ?ন্যানো ও মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি কীভাবে সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেমকে উন্নত করতে পারে?
- ডিফেন্স সেক্টরে IoE প্রযুক্তির প্রয়োগে নিরাপত্তা কিভাবে বজায় রাখা যায়? আমার মনে হয় ,লেবাননে দুটি আলাদা ঘটনায় হাজার হাজার পেজার এবং রেডিও ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়েছে।তারা কীভাবে পেজারে প্রবেশ করে? এর সাথে কি IoE এর কোন সম্পর্ক রয়েছে।
- একটি ভার্চুয়াল ক্লাসরুম কীভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং এর সুবিধাগুলি কী?
- ইন্টারনেট অফ এভরিথিং (IoE) প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে যদি বলতেন। ইত্যাদি
ড. মুহাম্মদ মুস্তাফা হোসেন স্যার এর সাথে যোগাযোগের তথ্য:
ইমেইল : [email protected]
লিংকডইন : Linkedin
Google scholar : google scholar
উক্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মোঃ জামিল খান। তিনি সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের একজন ছাত্র। Email : [email protected]
Excellent interview, lots of useful information shared!