কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলছে। গুগলের বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি আমাদের সতর্ক করেছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাস্তবতাকে কিংবা সত্যকে বিকৃত করতে পারে এবং এর ব্যবহারে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। গুগলের গবেষণা দল বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যহীন কিছু তৈরি করতে পারে, যা মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং তথ্যের গুণগত মান কমাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা তৈরি করা ছবি এবং ভিডিওগুলি সহজেই বাস্তব বলে মনে হতে পারে, যা ভুল তথ্য প্রচারের ঝুঁকি বাড়ায়।
একটি উদাহরণ হল ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষের মুখমণ্ডল এবং কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করতে পারে। এটি ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
গুগলের গবেষণায় দেখা গেছে যে মোবাইল ব্যবহারকারীরা মনে করছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং বিশ্লেষণগুলিকে কম বিশ্বাসযোগ্য। মোবাইল ব্যবহারকারীরা সাধারণত দ্রুত এবং নির্ভুল তথ্যের সন্ধানে থাকেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ওভারভিউগুলি যদি সঠিক না হয় এবং রেফারেন্স না থাকে, তাহলে ব্যবহারকারীরা তা বিশ্বাস করতে পারেন না।
গুগলের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এর ঝুঁকির দিকগুলি সম্পর্কে আমাদের ব্যবহারকারিদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তারা উপদেশ দিয়েছেন যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের সময় নৈতিকতা এবং স্বচ্ছতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন [CNET এর নিবন্ধ](https://www.cnet.com/tech/computing/google-experts-warn-that-ai-may-distort-reality-while-ai-overviews-repel-mobile-users/)।
Leave a comment