[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনার সমন্ধে আমাদের একটু সংক্ষিপ্ত বলুন।
ড. গোলজার হোসেনঃ প্রথমে বিজ্ঞানী.অর্গ কে ধন্যবাদ আমার সাক্ষাতকার গ্রহন করার জন্য।
আমার জন্ম কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের একটি কৃষক পরিবারে এবং আমার বাবা একজন কৃষক ও মা গৃহিণী । এই পরিচয়টি দিতে আমি সবসময়ই স্বাচ্ছন্দ্য এবং গর্ববোধ করি ।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক পাস করেছি ২০০৩ সনে এবং ভুরুগামারী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছি ২০০৫ সনে । উচ্চ মাধ্যমিকে ২০০৫ সালে ভুরুগামারী উপজেলায় আমি এ+ সহ সর্বচ্চো জিপিএ পেয়েছিলাম।
এরপর ২০০৬ সনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদে ভর্তি হই এবং ২০১০ সনে প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে “ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন” (ডিভিএম) ডিগ্রী অর্জন করি। ২০১২ সালের জুন মাসে একই অনুষদের মাইক্রোবায়োলজী এবং হাইজিন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে “মাস্টার্স অফ সায়েন্স ইন মাইক্রোবায়োলজী” তে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করি । এই সাফল্যর জন্য পরবর্তিতে রাষ্ট্রপতি গোল্ড মেডেল পেয়েছিলাম। একই বিভাগে ঐ বছরেই প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। যাইহোক, এরপর ২০১৪ সালে শিক্ষা ছুটিতে জাপান সরকার কর্তৃক MEXT বৃত্তি নিয়ে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলে পিএইচডিতে ভর্তি হই এবং ২০১৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রী (পিএইচডি ইন মেডিকেল সায়েন্স) অর্জন করি। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপান এজেন্সি ফর মেডিকেল রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর অর্থায়নে পোষ্ট ডক্টরাল রিসার্চার হিসেবে গবেষণা করছি।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ বর্তমানে আপনি কি নিয়ে গবেষনা করছেন?
ড. গোলজার হোসেনঃ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছি। এই ভাইরাস লিভার ক্যান্সারের কারণ। কিভাবে এই ভাইরাস দ্বারা লিভার ক্যান্সার হয়, তা এখনো অস্পষ্ট । বিজ্ঞানীরা এর মেকানিজম সম্পুর্নভাবে খুঁজে বের করার চেষ্ঠা করে যাচ্ছে। অপরপক্ষে, এই ভাইরাস দ্বারা একবার আক্রান্ত হয়ে গেলে আর কোনভাবেই চিকিৎসা করে রোগীর লিভার থেকে ভাইরাসের ডিএনএ কে সম্পুর্নভাবে সরানো সম্ভব হয় না। উপরন্তু অনেক সময়, এন্টিভাইরাল ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করার কারনে, ঔষধ রেজিস্ট্যান্ট হেপাটাইটিস বি ভাইরাস তৈরি হয় যা খুবই ভয়ংকর । বিধায় নতুন হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করার জন্য নতুন নতুন ঔষধ আবিস্কারের চেষ্ঠা চলছে। এই ভাইরাসের থেকে বাঁচার জন্য ভ্যাক্সিন আছে এবং ভ্যাক্সিন ব্যবহার করলে হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না। কিন্তু অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমুহে অনেকাংশে ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে প্রাকৃতিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে নতুন মিউটেটেড হেপাটাইটিস বি ভাইরাস তৈরি হচ্ছে যার ফলে পুরাতন ভ্যাক্সিন নতুন ভাইরাস কে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হচ্ছে না। এই নতুন মিউটেটেড হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা কেউ আক্রান্ত হলে বাজারে প্রচলিত ডায়াগনস্টিক কিট (ELISA) দিয়ে হেপাটাইটিস বি নির্নয় করা অনেকসময় সম্ভব হয় না। কারণ, এই ভাইরাসের মিউটেশন হলে এন্টিজেনিক চরিত্র পরিবর্তন হয়ে যায় এবং নতুন কাউকে আক্রান্ত করলে বাজারে প্রচলিত পুরাতন ডায়াগনস্টিক কিটকে ফাঁকি দেয়। একে ডায়াগনস্টিক ফেইলর বলে। এর মানে হলো, রোগী হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কিন্তু ভাইরাসকে প্রচলিত পুরাতন ডায়াগনস্টিক কিট (ELISA) দ্বারা নির্নয় যায় না।
যাইহোক, আমি বিশ্বে হেপাটাইটিস বি গবেষণার একজন সহযোদ্ধা হিসেবে, ভাইরাসের প্যাথফিজিওলজি, বংশবিস্তার, এবং হিউম্যান কোষের বিভিন্ন প্রোটিনের সাথে এই ভাইরাসের ইন্টারএকশন খুঁজে বের করছি যা পুরাতন বা নতুন মিউটেটেড হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ডায়াগনস্টিক কিট, ভ্যাক্সিন এবং ঔষধ প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনার গবেষনা ভবিষ্যত কোন কোন ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে?
ড. গোলজার হোসেনঃ আগেই বলেছি, আমি যে বিষয়ে কাজ করছি তাতে ভবিষ্যতে পুরাতন বা নতুন মিউটেটেড হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ডায়াগনস্টিক কিট, ভ্যাক্সিন এবং ঔষধ প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, বাংলাদেশে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস নিয়ে খুব বেশি ভালো গবেষণা এখনো হয়নি। আমি দেশে ফিরে সরকারি বা বেসরকারি গবেষণা বরাদ্দ পেলে এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করে, স্থানীয় ভাইরাস আইসোলেট থেকে ভ্যাক্সিন বা ডায়াগনস্টিক কিট প্রস্তুত করতে পারবো বলে আশা করছি যা বাংলাদেশের মানুষের উপকারে আসবে বলে মনে করি।
এছাড়াও আমি ক্যাপোসি’স সারকোমা এসোসিয়েটেড হারপেস ভাইরাস নিয়ে কাজ করেছি যা মানুষের ব্লাড ক্যান্সার করে। আমি এই ক্যান্সার ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করে যে দক্ষতা অর্জন করছি তা ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্যান্সার ভাইরাসের এন্টিভাইরাল ঔষধ আবিষ্কারে সহায়তা করবে। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ ভাইরাস ও জীবানুর কোন দিকটি সবথেকে আপনাকে আশ্চর্য করে?
ড. গোলজার হোসেনঃ ভাইরাস একটি অতিক্ষুদ্র, আলট্রা মাইক্রোস্কোপিক জীবাণু এবং মাত্র ডিএনএ ও প্রোটিন নিয়ে এটি গঠিত। অথচ এই ভাইরাসই এর নিজের তুলনায় আমাদের দেহের বিশাল আকৃতির কোষে প্রবেশ করে, দেহ কোষের নিজস্ব ক্রিয়া-বিক্রিয়া, গঠন এবং কাজের ধরণ পরিবর্তন করে দেয়। ফলে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করছে। এটি আমাকে যেমন সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যান্বিত করে তেমনি, বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে রিকম্বিনেন্ট ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া প্রস্তুত করে মানব কল্যাণে ব্যবহার করছে (যেমন ইসুলিন, বিয়ার, হরমোন ইত্যাদি) এটিও আশ্চর্যের বিষয়। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আমরা শুনেছি যে রোগ-জীবানু সময়ের সাথে সাথে আরো বেশী স্মার্ট হয়ে গেছে। এর কারণ কি?
ড. গোলজার হোসেনঃ হাহাহাহা…।ঠিকই শুনেছেন। বেশী স্মার্ট বলতে এরা আসলে বেশি ক্ষতিকারক হয়েছে। আগেই বললাম প্রাকৃতিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে নতুন মিউটেটেড ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হচ্ছে যা মানব দেহের জন্য অতি ভয়ঙ্কর। অন্যদিকে আমরা প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক বা এন্টিভাইরাল মেডিসিন ব্যবহার করছি যার ফলে জীবাণু নিজস্ব প্রয়োজনে মিউটেশন ঘটিয়ে ঐ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার জন্য রেজিস্ট্যান্স ডেভেলপ করছে। এইজন্যেই এসব মিউটেটেড ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করার জন্য নতুন এন্টিবায়োটিক বা এন্টিভাইরাল মেডিসিন প্রস্তুত করা প্রয়োজন যা এখন বিশ্বে বড় চ্যালেঞ্জ। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানে কাজ করার জন্য কে বেশী আপনাকে উৎসাহ দিয়েছেন?
ড. গোলজার হোসেনঃ আমি কৃষকের ছেলে। বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা করবো এরকমটি কখনো মাথায় ছিল না। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন মাস্টার্স করি তখন অনেক শিক্ষককে দেখেছি অতি সুনামের সাথে বাংলাদেশের প্রাণীরোগ বিষয়ে গবেষণা করতে। সেখান থেকেই আমার গবেষণার ইচ্ছা এবং হাতেখড়ি। বাংলাদেশের গবেষণা উন্নত বিশ্বের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, এই সেক্টরে কাজ করলে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে দেশকে সহজেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এই চিন্তা করেই গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় মনোনিবেশ করেছি। যদি উৎসাহ দানে কারো নাম উল্লেখ করতেই হয় তাহলে আমার শিক্ষাগুরু বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ সুকুমার সাহা এবং প্রফেসর ডঃ মোঃ আলিমুল ইসলাম আমার গবেষণার আদর্শ।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনি বাংলাদেশেও তরুনদের নিয়ে কিছু কাজ করছেন। আমাদের বিস্তারিত সেই সমন্ধে বলবেন?
ড. গোলজার হোসেনঃ বাংলাদেশী তরুণদের সাথে গবেষণা করার অভিজ্ঞতা আমার সীমিত। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের আমার সহকর্মী এবং কিছু তরুণের সাথে বর্তমানে কোলাবোরেসনে গবেষণা শুরু করেছি মাত্র। আমার অনেক ভালো লেগেছে যে ওরা ব্যাচেলর ৩য় বর্ষ থেকেই গবেষণায় মনোযোগ দিয়েছে। এছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে আমেরিকার মার্ক অ্যানিম্যাল হেলথ এর সাথে যোগাযোগ করায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ছাত্রছাত্রীরা রিসার্স বৃত্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পায়। এর পর থেকে প্রতি বছরই ৪-৫ জন করে সৃজনশীল ছাত্রছাত্রী গবেষণা এবং অ্যানিম্যাল ফেয়ারওয়েল এর উপর ৫০০০.০০$ করে বৃত্তি পাচ্ছে। এতেকরে, তরুণদের মধ্যে গবেষণায় অনুপ্রেরণা বাড়ছে।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ বাংলাদেশ ও জাপানে বিজ্ঞানীদের সাথে অনেক কাজ করেছেন। এসব দেশে বিজ্ঞানীদের কাজের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য দেখেছেন?
ড. গোলজার হোসেনঃ পার্থক্য আছে এবং অনেক। বাংলাদেশে মৌলিক গবেষণা খুবই কম হয়। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়বস্তুর নির্দিষ্টতা খুবই কম। একজন বিজ্ঞানী অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। এই জন্যই গবেষণার বিষয়বস্তুর উপর দক্ষতা আধুনিক মাপের নয়। এর জন্য বিজ্ঞানীরা নিজে এবং রাষ্ট্র উভয়ই সমান ভাবে দায়ী। রাষ্ট্র যেমন উপযুক্ত গবেষণা অনুদান এবং পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। ঠিক তেমনি আমাদের বিজ্ঞানীরা নিজেদেরকের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে থাকেন। জাপানে বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়বস্তু খুবই নির্দিষ্ট এবং এই বিষয়বস্তুর উপর জ্ঞান ও দক্ষতা অত্যাধুনিক মাপের। ফলে তাঁরা আজ নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করছে এবং সেগুলো রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। [/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
ড. গোলজার হোসেনঃ পোষ্ট-ডক্টরেট শেষ করে বাংলাদেশ ফিরে যাবো এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় ও গবেষণায় মনোনিবেশ করবো। বর্তমানে অনকোজেনিক ভাইরাস বিষয়ে যে অত্যাধুনিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করে যাচ্ছি সেগুলো কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গবেষণা করবো। সেক্ষেত্রে, আমি ইতিমধ্যেই ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পিএইচডি সুপারভাইজরের সাথে কথা বলেছি। আমি বাংলাদেশে ফিরলে আমার সাথে গবেষণায় কোলাবোরেসন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আশা করছি বাংলাদেশে সরকারি বা বেসরকারি গবেষণা বরাদ্দ পেলে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসসহ অন্যান্য অনকোজেনিক ভাইরাসের উপর মৌলিক গবেষণা করতে পারবো।[/box]
[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বিজ্ঞানী.অর্গঃ বিজ্ঞানী.অর্গের তরুন পাঠক/পাঠিকারা যারা আপনার মতন বিজ্ঞানী হতে চায় তাদের জন্য কোন পরামর্শ আছে আপনার?
ড. গোলজার হোসেনঃ যারা সৃষ্টির রহস্য জানতে আগ্রহী এবং নিজেদের জ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে চান তাঁদের প্রতি আমার দুটি পরামর্শ। এক, যে বিষয়ে পড়াশুনা করছেন সেটি খুব গুরুত্বের সাথে করা। দুই, যে বিষয়ে গবেষণা করতে ইচ্ছুক সেই বিষয়ের উপর নেচার, সায়েন্স, সেল ইত্যাদির নিউজ অ্যান্ড ভিউজ সহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ম্যগাজিন পড়া। [/box]
[divider style=”solid” top=”20″ bottom=”20″]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে আরো নতুন নতুন সংবাদ জানতে সাবস্ক্রাইব করুন।
[mc4wp_form id=”3448″]
Leave a comment