Citation হলো অন্য গবেষকের কাজকে আপনার গবেষণায় উল্লেখ বা রেফারেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া। এটি মূলত সেই তথ্যসূত্র যা আপনি আপনার গবেষণায় ব্যবহার করেছেন, যেমন: গবেষণা প্রবন্ধ, বই, ডেটাসেট বা তত্ত্ব। Citation-এর মাধ্যমে আপনি বোঝাতে পারেন যে, আপনি পূর্ববর্তী কোন গবেষণার উপর ভিত্তি করে নিজের কাজ করেছেন।
Citation কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি মূল উৎসের স্বীকৃতি প্রদান করে।প্লেজারিজম (চুরি করা) থেকে রক্ষা করে।পূর্ববর্তী গবেষণার সাথে সংযুক্তি স্থাপন করে।পাঠককে উৎস সম্পর্কে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দেয়।গবেষণার বিশ্বস্ততা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।
Citation কিভাবে জালিয়াতি করে বৃদ্ধি করা যায়?
Self-citation-এর অপব্যবহার,নিজের আগের কাজগুলো বারবার উল্লেখ করে কৃত্রিমভাবে সাইটেশন বাড়ানো।
Citation cartel, একদল গবেষক একে অপরের গবেষণায় ইচ্ছাকৃতভাবে সাইটেশন দিয়ে মিথ্যা প্রভাব তৈরি করে।
Ghost citations,এমন উৎসের Citation দেওয়া, যা আসলে পড়া হয়নি বা গবেষণায় ব্যবহারই করা হয়নি।
Predatory journals এর মাধ্যমে Citation বাড়ানোর চেষ্টা।
Citation এর জন্য কী কী সুবিধা পাওয়া যায় গবেষণায়?
Citation গবেষণার মান ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়।আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও খ্যাতি।গবেষণা তহবিল/গ্র্যান্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।ক্যারিয়ার অগ্রগতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ, প্রমোশন।H-index ও Impact Score বাড়ে।ভবিষ্যৎ গবেষণায় রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়
Citation বেশি থাকলে একজন গবেষক কী কী সুবিধা পেতে পারেন?
বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে পুরস্কার/সম্মাননা পেতে পারেন।পোস্টডক বা আন্তর্জাতিক স্কলারশিপে অগ্রাধিকার পান।রিসার্চ গ্র্যান্ট এবং প্রজেক্টে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পান।গবেষণা নেটওয়ার্কে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেন।বিশ্বের বিভিন্ন কনফারেন্সে বক্তা হওয়ার সুযোগ পান।
Citation গবেষণায় কি শুধু পরিমাণ নাকি গুণগত মানও বিবেচ্য?
Citation শুধু সংখ্যায় বেশি হলেই যথেষ্ট নয়। Citation-এর গুণগত মান গুরুত্বপূর্ণ।একটি গবেষণা যদি উল্লেখযোগ্য তত্ত্ব, মেথড বা ফলাফল দেয়, তবে তার Citation হবে অর্থবহ।নিম্নমানের বা সন্দেহজনক জার্নালে Citation কোনো গুণগত সুবিধা দেয় না।উল্লেখযোগ্য সমস্যার সমাধান বা নতুন জ্ঞান প্রদানকারী গবেষণায় পাওয়া Citation সবচেয়ে মূল্যবান।
অতএব, Citation-এর পাশাপাশি গবেষণার originality, novelty, and impact অর্থাৎ মৌলিকতা, নতুনত্ব ও প্রভাব বিবেচ্য।
একজন গবেষকের Citation কিভাবে চেক করব?
1. Google Scholar (সবার জন্য উন্মুক্ত ও সহজ)
লিংক: https://scholar.google.com
★Google Scholar ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
★সার্চ বক্সে গবেষকের নাম লিখুন (যথাসম্ভব পূর্ণনাম ও ইনস্টিটিউশনের নাম সহ)।
★গবেষকের প্রোফাইল পেলে সেখানে ক্লিক করুন।
★ দেখবেন,
Total Citations
h-index
i10-index
আলাদা করে Since 2020 বা সাম্প্রতিক Citation-ও দেখাবে।Google Scholar Profile থাকলে আরও নির্ভুলভাবে Citation দেখা যায়।
2.Scopus (Elsevier-এর একটি প্রফেশনাল Citation Database)
লিংক: https://www.scopus.com
করণীয়,
★Scopus ওয়েবসাইটে গিয়ে Author Search অপশন বেছে নিন।
★গবেষকের নাম ও ইনস্টিটিউশন দিয়ে সার্চ করুন।
★প্রোফাইল ওপেন করলে দেখা যাবে,
Citation Count
h-index
Document by author
Co-author Network ইত্যাদি
Scopus অ্যাক্সেস অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি বা সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে লাগে।
3.Web of Science (Clarivate-এর Citation Database)
লিংক: https://www.webofscience.com
করণীয়,
★Author Search অপশনে গবেষকের নাম লিখুন।
★Institution বা Country ব্যবহার করে নির্দিষ্ট গবেষক খুঁজুন।
★Citation, h-index, Highly Cited Papers ইত্যাদি তথ্য দেখা যাবে।
এটি অনেক সময় সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর Digital Library দিয়ে অ্যাক্সেস পাওয়া যায়।
4.Publons (Web of Science Author Profiles)
লিংক: https://publons.com
Publons Web of Science-এর অংশ, যেখানে গবেষকরা তাদের প্রোফাইলে Citation, Peer Review, এবং Journal Editor হিসাবে কাজের তথ্য যুক্ত রাখতে পারেন।
5.ORCID (Supplementary ID System)
লিংক: https://orcid.org
ORCID নিজে Citation Count সরাসরি দেখায় না, তবে গবেষকের প্রকাশনা তথ্য দেখতে সাহায্য করে। অনেকে ORCID, Scopus, Google Scholar একসাথে যুক্ত করে রাখেন।
গবেষকের নামের বানান মিলিয়ে নিতে হবে, অনেকের নাম এক বা একাধিক রকম লেখা হয়।
Affiliation বা Institution উল্লেখ করলে খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।একজন গবেষক চাইলে নিজেই Google Scholar Profile তৈরি করে সব Citation ট্র্যাক রাখতে পারেন।
তথ্যসংগ্রহ : Aayan Rahman
Leave a comment