আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের মাঝে যে যোগাযোগের সেতুবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে এর পিছনে মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে একটি যন্ত্র। সেই যন্ত্রটির নাম টেলিফোন। কিন্তু কিভাবে এই যন্ত্রটি আবিষ্কৃত হলো।
এই টেলিফোন বর্তমানে কত রূপে উপস্থাপিত হচ্ছে। বর্ণিল উপস্থাপন বলা যায়। এর বদৌলতে দূরের মানুষ খুব কাছে চলে এসেছে। ১৮৭০ সালে দু’জন আবিষ্কারক এলিশা গ্রে এবং আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল আলাদাভাবে টেলিফোন যন্ত্র তৈরি করেন। দু’জন তাদের আবিষ্কার বিতর্কে পড়ে যান। শেষ পর্যন্ত আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল প্রথম টেলিফোনের পেটেন্ট লাভে সক্ষম হন। তিনি ১৮৭৫ সালে বিশ্বের প্রথম টেলিফোনের আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। একটি ঘটনা গ্রাহামবেলকে সজাগ করে তোলে। সেটি হচ্ছে ১৮৭৫ সালের দিকে গ্রাহামবেল টেলিগ্রাফে অনেকগুলো বার্তা পাঠানো নিয়ে গবেষণায় মগ্ন ছিলেন। এই কাজ করার সাথে বিদ্যুতের সাহায্যে শব্দ পাঠানো নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। হঠাৎ তারের ভিতর দিয়ে এক সিপ্রংয়ের টংকার ধ্বনি তাকে বিশেষভাবে সচকিত করে তোলে। এই বিষয়ে তিনি বিস্তর গবেষণায় মেতে উঠেন। আর এই গবেষণার ফলে গ্রাহামবেলই প্রথম টেলিফোনীয় সঠিক নীতি ধরতে পেরেছিলেন।
টেলিফোনে প্রথমে তারের মাধ্যমে কথা বলা সম্ভব ছিল। এই প্রক্রিয়াতে যথেষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে। তারবিহীন পদ্ধতিতে এখন কথা বলা অনেক সহজ হয়েছে। তার ব্যতিত মোবাইলে কথা বলা যাচ্ছে। বর্তমানে ল্যান্ডফোনেও কথা বলা যায় তারবিহীন পদ্ধতিতে। এই প্রক্রিয়ায় কাজ করে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি।
টেকনোলজি টুডে প্রকাশনা কর্তৃক প্রকাশিত
এছাড়া নিজস্ব ওয়েবসাইটঃ http://e-learningbd.com
রেডিও আবিস্কারের মত টেলিফোন আবিষ্কার নিয়েও দুজনের বিরোধ!! এটা আগে জানা ছিলো না অবশ্য।