কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

আমরা পছন্দ না করলেও চ্যাটবট আমাদের মোবাইলে চলে আসবে

Share
Share

আমাদের অনেকেরই চ্যাটবোট নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে এবং এটির ফলে ব্যাক্তিগত তথ্যের নিপাপত্তা নিয়ে আমরা বেশ শঙ্কিত। এই শঙ্কার কারনেই অনেকে এটা ব্যবহার করেন না। আমরা চ্যাটবটগুলি ব্যবহার না করলেও, কিংবা পছন্দ না করলেও আমাদের ফোনগুলিতে চ্যাট বট চলে আসছে এবং ভবিষ্যতের ফোনগুলি আরো আসবে।

চ্যাটবট কি?

চ্যাটবট হলো একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা মানুষের সাথে কথোপকথন করতে পারে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেয় এবং যোগাযোগ করে। চ্যাটবটের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সাথে স্বাভাবিক ভাষায় কথোপকথন করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য বা সহায়তা প্রদান করা।

চ্যাটবটগুলি মোবাইলে কেন আসছে?

মোবাইল প্রস্তুতকারন প্রতিষ্ঠানগুলি চ্যাটবটগুলি গ্রহণ করার একটি কারণ হলো, বিনিয়োগ। মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এর উন্নয়নের জন্য এবং এটি প্রযুক্তি গ্রহণ করবার জন্য এর পিছনে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগের সেই টাকা ফিরে পাওয়ার একটি ভালো একটা উপায় হল চ্যাট জাতীয় সার্ভিস নিয়ে আনা। গত দুই বছরে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রচুর শুনেছি এবং এটির ভালো-মন্দ নিয়ে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত এবং কিছুটা অনিশ্চিত। এর মধ্যেই বিশ্বের প্রথম সারির মোবাইল প্রতিষ্ঠানগুলি যেমন অ্যাপল google এবং স্যামসাং তাদের মোবাইলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন চ্যাটবট নিয়ে এনেছে।

এর মধ্যে সবার অগ্রগামী সম্ভবত স্যামসাং এবং কিছুদিন আগে অ্যাপেল তার আইফোনে চ্যাটজিপিটি নিয়ে এনেছে। যদিও অ্যাপল ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য খুব প্রসিদ্ধ কিন্তু এই চ্যাটজিপিটি গ্রহণ করার কারণে তা ভীষনভাবে সমালোচিত হয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলির মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন কিংবা ইমেইল অ্যাপগুলিতে প্রয়োগ বেশি আলোচিত। তবে ব্যবহারকারীরা এই সকল ক্ষেত্রগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমতার প্রয়োগ কতটুকু গ্রহণ করবে কিংবা আদ্য তা সার্ভিস হিসেবে লাভজনক হবে কিনা, তা সময়ই বলে দিবে।

উদ্বিগ্নতার কারণ কি?

মোবাইল ফোনে এই চ্যাটবট গুলি গ্রহণ করার বিষয়ে সবাই তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলি এটা নিয়ে বেশ সচেতন এবং বেশ কিছু রেগুলেশন তারা তৈরি করেছে যেন ব্যবহারকারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। চ্যাটবট বর্তমানে ক্লাউডের বিভিন্ন সার্ভিস ব্যবহার করে তার উত্তর গুলি দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী তথ্যটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউডের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিস্টেমে যায়। এই কাজটিতে ঠিক কোন জায়গাগুলিতে তথ্য ব্যবহৃত হচ্ছে এবং সেই তথ্যের অ্যাক্সেসটি অস্পষ্ট। আর এই কারণেই সবার ভয়টা বেশি।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য মোবাইল ফোনগুলি ভবিষ্যতে যে চ্যাটচটগুলি নিয়ে আসবে তা সম্ভবত অফলাইনে কাজ করবে। অর্থাৎ কোন ইন্টারনেট ছাড়াই বা ক্লাউডে ব্যবহারকারী তথ্য পাঠানো ছাড়াই এটি উত্তর দিতে পারবে।

পরিশেষে আমাদের ফোনগুলিতে এই চ্যাটবট চলে আসছে এবং সামনে অন্যান্য মোবাইল ফোনগুলি ডিভাইস এটি চলে আসবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। 

Share
Written by
নিউজডেস্ক

আমরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন খবরাখবর ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাতকার প্রকাশ করি। আপনারা কোন লেখা প্রকাশিত করতে চাইলে যোগাযোগ করুন: [email protected], [email protected]

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফ্রি ইমেইল নিউজলেটারে সাবক্রাইব করে নিন। আমাদের নতুন লেখাগুলি পৌছে যাবে আপনার ইমেইল বক্সে।

বিভাগসমুহ

গবেষণার তথ্য ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, বিজ্ঞানী.অর্গ নবীন প্রজন্মকে গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

Contact:

biggani.org@জিমেইল.com

সম্পাদক: ড. মশিউর রহমান

Biggani.org connects young audiences with researchers' stories and insights, cultivating a deep interest in scientific exploration.

Copyright 2024 biggani.org