বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি সেল
Carbon-zinc cell: সর্বাধিক ব্যবহৃত ব্যাটারি যা ড্রাইসেল নামে ও পরিচিত। লাইট, খেলনা, রেডিও, ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়।
উপাদান: জিংক বা দস্তার সিলিন্ডার আকারের টিউব যা ক্যাথোড বা নেগেটিভ টার্মিনাল, এতে ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইড ও কার্বন পাউডারের মিশ্রনে আবৃত একটি কার্বন রড থাকে এনোড বা পজিটিভ টার্মিনাল হিসেবে। পানিতে দ্রবিভুত জিংক ক্লোরাইড ও এমোনিয়াম ক্লোরাইডের পেস্ট ইলেকট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার হয়।
Alkaline cell: জিংক কারবন ব্যাটারির চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি, দামি ও দীর্ঘস্থায়ি। ঘড়ি, পকেট ক্যালকুলেটর, খেলনা, ক্যামেরা ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়।
উপাদান: এনেড হিসেবে জিংক পাউডার ও ক্যাথোড হল ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইড পাউডার এবং ইলেকট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার হয় পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড।
Nickel-cadmium cell: নিকেল ক্যাডমিয়াম ব্যাটারি সাধারন পেনসিল ব্যাটারির মতই তবে সেকেন্ডারি ব্যাটারি এগুলো চার্জ করা যায় ও বার বার ব্যবহার হয়। কর্ডলেস ফোন, খেলনা, ইমার্জেনসি লাইটি ইত্যাদিতে বেশি ব্যবহার হয়। এগুলো ১.২ ভোল্টের তাই প্রাইমারি ব্যটারির তুলনায় কম শক্তি যুগিয়ে থাকে।
উপাদান: ক্যাথোড হিসেবে নিকেল অক্সাইড হাইড্রক্সাইড ও এনোড হিসেবে মেটালিক ক্যাডমিয়াম এর একুয়াস পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড ইলেকট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার হয়।
Nickel metal hydride battery: NiMH, নিকেল মেটাল হাইড্রাইড ব্যাটারি, নিক্যাড থেকে উন্নত এতে ক্যাডমিয়ামের বদলে হাইড্রোজেন এলয়কে শোষনকারি ইলেকট্রোড হিসেবে নেগেটিভ প্রান্তের জন্য ব্যবহার করা হয়। NiCd থেকে NiMH ব্যাটারিতে ২-৩ গুন বেশি এমপিয়ার থাকতে পারে যা দীর্ঘক্ষন বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে সক্ষম। NiCd এ যেখানে ৬০০-৭০০ মিলিএমপহাওয়ার থাকে NiMH ব্যাটারিতে থাকে ১১০০-২৯০০ মিলিএমপহাওয়ার। ইলেকট্রিক গাড়ি, খেলনা সহ অনেক কিছুতেই এর ব্যবহার হয়।
উপাদান: NiMH ব্যাটারিতে নেগেটিভ ইলেকট্রোড এর Rare-earth বা nickel alloys [ল্যানথেনাম, সিরিয়াম, নিওডিনিয়াম, প্রাসোডাইমিয়াম এর মিশ্রন হাইড্রোজেন এলয়] হিসেবে ব্যবহার হয় ও নিকেল হাইড্রক্সাইড ব্যবহার হয় ক্যাথোড হিসেবে। এর ইলেক্ট্রোলাইট হল পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড।
Lithium-ion battery: বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, মোবাইল, ডিজিটাল ক্যামেরা, ল্যাপটপ, পামটপ, ব্যাটারিচালিত গাড়ি ইত্যাদিতে ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।
উপাদান: ক্যাথোড হিসেবে লিখিয়াম অক্সাইড ও এনোড হিসেবে কার্বন কমপাউন্ড ও গ্রাফাইট ব্যবহার হয়।
Button/Coin Cell: ঘড়ি, পকেট ক্যালকুলেটর, হিয়ারিং এইড, সিপিইউ, বিভিন্ন মিনি খেলনা ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়। ১.৫ -৩ ভোল্ট এর হয়ে থাকে।
বাটন সেলস
বাটন সেল ইনসাইড
উপাদান: জিংক, লিথিয়াম ব্যবহার হয় ক্যাথোড হিসেবে আর ম্যাংগানিজ ডাই অক্সাইড, সিলভার অক্সাইড, কার্বন মনোফ্লুরাইড, কিউপ্রিক অক্সাইড/ মারকিউরিক অক্সাইড ব্যবহার হয় অ্যানোড হিসেবে।
Fuel cell: এই ধরনের সেল এখনো পরীক্ষাধিন, এর ইলেকট্রোলাইট এ ফুয়েল [এনোড] ও অক্সিডেন্ট [ক্যাথোড] রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিদ্যুত উতপাদন হয়। এটি ফুয়েল [সাধারনত হাইড্রোজন] থাকা কালিন পর্যন্ত অনবরত চলতে পারে, সাধারনত মহাকাশযান, গাড়ি, আবহাওয়া অফিস ও দুর্গম এলাকায় ব্যবহারের জন্য এর গবেষনা চলছে। খুব সীমিত আকারে এটি ব্যবহার হচ্ছে।
উপাদান: বিভিন্ন ধরনের হাইড্রোজেন যৌগ [ হাইড্রোকার্বন, এলকোহল] এনোড বা ফুয়েল ও ক্যাথোড [ক্লোরিন, ক্লোরিন ডাইক্সাইড] হিসেবে ব্যবহার করা হয় যেমন হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল এ হাইড্রোজেন এনোড এবং অক্সিজেন ক্যাথোড।
ব্যাটারি আউটপুট
সিরিজ কানেকশনে ব্যাটারির ভোল্ট যোগ হবে, এমপিয়ার সমান থাকবে
প্যারালাল কানেকশনে ব্যাটারির ভোল্ট একই থাকবে, এমপিয়ার যোগ হবে
I guess that to get the mortgage loans from creditors you should present a good reason. But, one time I’ve received a car loan, because I was willing to buy a house.