কিভাবে কাজ করে?

টু-স্ট্রোক ডিজেল ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে

Share
Share

টুস্ট্রোক
ডিজেল ইঞ্জিন
কিভাবে কাজ করে
?

সাধারণত
আমরা যেসব যানবাহন
ব্যবহার করি
,যেমন
– গাড়ি,বাস,ট্রাক
ইত্যাদি,
সে
গুলো দুই ধরনের
ইঞ্জিন দ্বারা
চালিত-১.
গ্যাসোলিন
২.ডিজেল।
এরা আবার দুই
ধরনের হয় ১.
চার
স্ট্রোক অন্তর্দাহ্য
ইঞ্জিন ২.
দুই
স্ট্রোক অন্তর্দাহ্য
ইঞ্জিন।আমি
আমার এই লেখাতে
দুই স্ট্রোক
অন্তর্দাহ্য
ডিজেল ইঞ্জিন
কিভাবে কাজ করে
তা বর্ণনা করবো।

 

টুস্ট্রোক
ইঞ্জিন কি
?

প্রথমেই
আমাদের জানা
দরকার টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিন কি। নীচে
একটি টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিনের মৌলিক
অংশগুলো দেখানো
হলো।

fuel

[চিত্র: How Stuff Works ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত]

সিলিন্ডারের
শীর্ষে ২-৪টি
নির্গমণ ভাল্ভ
আছে,এরা
একই সময়ে একই
সাথে খুলে।
বহির্গমণ
ভাল্ভ-(exhaust
valve)এর
পাশেই আছে ডিজেল
ফুয়েল ইঞ্জেক্টর
(হলুদ
রঙের)।
টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিনের পিস্টন
দৈর্ঘ্য একটু
বেশি,যার
কারনে এটি অন্তর্গমণ
ভাল্ভ(intake
valve) হিসেবেও
কাজ করে। পিস্টন
যখন সিলিন্ডারের
সর্বনিম্ন অংশে
পৌঁছে,তখন
বায়ু অন্তর্গমন
মুখটি খুলে যায়
এবং বায়ু সিলিন্ডারে
প্রবেশ করে।
এই বায়ুকে প্রথমে
টার্বোচার্জার
অথবা সুপারচার্জার
দিয়ে পর্যাপ্ত
পরিমানে কম্প্রেস
করা হয়। ক্রাঙ্ককেইস
কে বায়ুরোধী
করা হয় এবং এতে
তেল রাখা হয়।

টুস্ট্রোক
ইঞ্জিনের সুবিধাঃ

১.
টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিনে কোন
ভাল্ভ নাই,যা
তাদের গঠন প্রক্রিয়াকে
সহজ করে এবং সেই
সাথে তাদের ওজন
ও কম করে।

২.টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিনে প্রতি
ঘূর্ণনে একবার
দহন (combustion)
হয়
কিন্তু চার-স্ট্রোক
ইঞ্জিনে প্রতি
দুই ঘুর্ণনে
একবার দহন হয়।
ফলে টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিন থেকে
আমরা বেশি শক্তি
পাই।

৩.
টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিন যে কোন
অবস্থানে(any
orientation) কাজ
করতে পারে,যা
যে কোন ভ্রাম্যমান
কাজে সহায়তা
করে।অন্যদিকে
চার স্ট্রোক
ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে
আমাদের অনেক
সমস্যার সম্মুখীন
হতে হয়,যেমন
সঠিকভাবে তেল
প্রবাহের জন্য
চার-স্ট্রোক
ইঞ্জিন কে উলম্বভাবে
রাখতে হয়।

এই
সুবিধাগুলো
পর্যালোচনা
করলে দেখা যায়
যে টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিন ওজনে
কম এবং প্রতি
স্ট্রোকে শক্তি
পাওয়া যায়। ফলে
টু-স্ট্রোক
ইঞ্জিনের শক্তি
আর ওজনের অনুপাত
চার স্ট্রোক
ইঞ্জিন থেকে
অনেক বেশি হয়।

টুস্ট্রোক
ডিজেল সাইকল
কিভাবে কাজ করেঃ

১.পিস্টন
যখন সিলিন্ডারের
শীর্ষাংশে পৌছে
তখন সিলিন্ডারে
থাকা বায়ুকে
উচ্চচাপে সংকোচিত
করে। ঠিক
সেই সময় ডিজেল
ফুয়েল -ইঞ্জেক্টরের
মাধ্যমে সিলিন্ডারে
স্প্রে করা হয়।
সিলিন্ডারের
উচ্চচাপ এবং
তাপের কারণে
তখনই দহন শুরু
হয়।

২.দহনের
ফলে যে চাপ সৃষ্টি
হয় তাতে পিস্টন
সিলিন্ডারের
নীচের অংশে চলে
যায়। এই
স্ট্রোককে বলে
পাওয়ার স্ট্রোক(power
stroke)।

৩.পিস্টন
নীচে যাওয়ার
ফলে বহির্গমণ
ভাল্ভ খুলে যায়
এবং পরিত্যক্ত
গ্যাস(exhaust
gases) বের
হয়ে যায়।ফলে
সিলিন্ডার
চাপমুক্ত হয়।

৪.পিস্টন
যখন আরো নীচে
যায় তখন বায়ু
অন্তর্গমন ভাল্ভ
খুলে ফলে পরিষ্কার
বায়ু(fresh
air) সিলিন্ডারে
প্রবেশ করে এবং
এই পরিষ্কার
বায়ুও পরিত্যক্ত
গ্যাস কে বহির্গমনে
সহায়তা করে।

৫.
পিস্টন
আবার সিলিন্ডারের
উপরের অংশে যেতে
থাকে,ফলে
বায়ু অন্তর্গমন
ভাল্ভ এবং বহির্গমন
ভাল্ভ বব্ধ হয়ে
যায়।

৬.পিস্টনের
উর্ধ্বগমনের
ফলে সিলিন্ডারের
পরিষ্কার বায়ু
সংকোচিত হয়।
এই স্ট্রোককে
বলে কম্প্রেশন
স্ট্রোক(compression
stroke)।

৭.এরপর
পিস্টন সিলিন্ডারের
শীর্ষাংশে যায়
এবং উপরোল্লিখিত
প্রক্রিয়ার
পুনরাবৃত্তি
ঘটে।

এই
বর্ণনা থেকে
দেখা যায় যে,টু-স্ট্রোক
ডিজেল ইঞ্জিন
এর সিলিন্ডারে
শুধুমাত্র
পরিষ্কার বায়ু
থাকে, ফলে
পরিবেশ সংক্রান্ত
কোন সমস্যার
সম্মুখীন হতে
হয়না। অপরদিকে,
টু-স্ট্রোক
ডিজেল ইঞ্জিনএর
সাথে অবশ্যই
টার্বোচার্জার
অথবা সুপারচার্জার
থাকতে হবে,ফলে
টু-স্ট্রোক
ডিজেল ইঞ্জিন
ব্যয়সাপেক্ষ
হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র:
How Two-stroke Engines Work 

Share

5 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ফ্রি ইমেইল নিউজলেটারে সাবক্রাইব করে নিন। আমাদের নতুন লেখাগুলি পৌছে যাবে আপনার ইমেইল বক্সে।

বিভাগসমুহ

গবেষণার তথ্য ও বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, বিজ্ঞানী.অর্গ নবীন প্রজন্মকে গবেষণার প্রতি অনুপ্রাণিত করে।

Contact:

biggani.org@জিমেইল.com

সম্পাদক: ড. মশিউর রহমান

Biggani.org connects young audiences with researchers' stories and insights, cultivating a deep interest in scientific exploration.

Copyright 2024 biggani.org