গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে কিছু কথা

গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং গ্রীন হাউস এফেক্ট নিয়ে ছোটবেলা থেকেই অনেক কিছু পড়ে
আসছি । যার মোদ্দা কথা হল পরিবেশ দূষন এবং গাছপালা কেটে ফেলার ফলে
গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে ফলে সূর্য থেকে তাপ বিকিরিত হয়ে পৃথিবীতে
ঢোকার পর যতটা আবার পৃথিবীর বাইরে বিকিরিত হওয়া উচিত তা হচ্ছে না ফলে
পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে । এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ
বৃদ্ধি পাবার ফলে মেরুপ্রদেশের বরফ গলে যাবে এবং সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি
পেয়ে পৃথিবীর বহু জায়গা ডুবিয়ে দেবে ।

পুরো ব্যাপারটার মধ্যেই কেমন একটা যেন মানুষের পাপের ফলই হল গ্লোবাল
ওয়ার্মিং এরকম একটা বার্তা লুকিয়ে রয়েছে । এবং এই সবই আমরা মুখস্ত করে
এসেছি । কিছুদিন আগে The Great Global Warming Swindle নামে একটি
তথ্যচিত্র দেখেছিলাম এই তথ্যচিত্রটিতে দাবি করা হয়েছিল অবশ্যই কিছু বাঘা
বাঘা বৈজ্ঞানিক এবং পরিবেশবিদদের সাক্ষাৎকার সহযোগে যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং
এর জন্য মানুষ দায়ী নয় । পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়া কমা খুব স্বাভাবিক একটা
ব্যাপার । এবং পৃথিবীর পরিবেশ সব সময়েই পরিবর্তিত হয়ে আসছে ।

পরে অবশ্য নেটে খোঁজ খবর নিয়ে জানলাম যে এই তথ্যচিত্রটি নিয়েও প্রচুর বিতর্ক এবং সন্দেহ আছে ।

তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর পিছনে বিরাট রাজনীতির খেলা আছে সেটা বুঝতে কোন
অসুবিধা হয় না । গত কিছু বছরে গ্লোবাল ওয়ার্মিং সংক্রান্ত রিসার্চ এর
পিছনে বহু টাকা ব্যয় করা হয়েছে । অনেকেরই বক্তব্য যে বিজ্ঞানের এই শাখায়
এত বেশি টাকা আসায় বিজ্ঞানের অন্য শাখাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । বেশ কিছু
সাংবাদিক, চ্যানেল, কাগজ, পত্রিকা এবং বিজ্ঞানী গ্লোবাল ওয়ার্মিং বেচে বেশ
ভালোই উপার্জন করছেন । আবার এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের সঙ্গেও
জড়িয়ে গেছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং । বলা যেতে পারে যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিজেই
এখন একটা সিস্টেম এবং ইন্ডাস্ট্রি । এবং এক রকমের পপ কালচারও বটে ।
ইদানীং গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে একটু আধটু পড়াশোনা করতে গিয়ে বেশ কিছু বেসিক তথ্য নজরে এল । যেমন :

গ্লোবাল ওয়ার্মিং হয় গ্রিনহাউস গ্যাসের কারণে । আর সবথেকে বড় গ্রিনহাউস
গ্যাস হল জলীয় বাষ্প । জলীয় বাষ্প ৩৬-৭০ শতাংশ পর্যন্ত গ্রিন হাউস
এফেক্টের জন্য দায়ী । আর এই জলীয় বাষ্পের মধ্যে কিন্তু মেঘ পড়ছে না ।

কার্বন ডাই অক্সাইডের গ্রিনহাউস এফেক্টের জন্য দায়িত্ব ৯-২৬ শতাংশ । মিথেন ৪-৯ শতাংশ । ওজোন ৩-৭ শতাংশ ।

এখানে মানব সভ্যতার দায়িত্ব মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেনের
পরিমান বায়ুমন্ডলে বাড়াবার জন্য । তবে মনে রাখতে হবে যে কলকারখানা ও
পরিবহন ছাড়াও আরও বহু প্রাকৃতিক ভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয় । যেমন
আগ্নেয়গিরিগুলি থেকে এবং জঙ্গলের প্রানীদের মৃতদেহ এবং গাছের তলায় পড়ে
থাকা পাতা পচেও কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয় । এবং মানুষ সহ সমস্ত প্রানীর
শ্বাসকার্যের ফলেও কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি হয় ।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর আর একটা বড় কারন সোলার ভ্যারিয়েশন । বা সূর্য থেকে বিকিরিত শক্তির বাড়া কমা যাতে মানুষের কোন হাত নেই ।

১৯৪০ এর পর থেকে পৃথিবীতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান ক্রমশ বেড়েছে । কিন্তু ১৯৭৫ সাল অবধি পৃথিবীর তাপমাত্রা কমেছে ।

পৃথিবীর ইতিহাসে বর্তমান কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান এবং তাপমাত্রার
চেয়ে বেশি এর আগেও ছিল । যেমন ডাইনোসররা যখন পৃথিবীতে পুরোদমে রাজত্ব করছে
তখন পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান এখন থেকে বারো গুন
পর্যন্ত বেশি ছিল । সেই সময় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এখন থেকে বেশি ছিল এবং
মেরু প্রদেশে কোন বরফ ছিল না । সেই সময়ে সমুদ্রের উচ্চতাও এখন থেকে ১০০
থেকে ২৫০ মিটার অবধি বেশি ছিল ।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং কে আটকাতে যে সমস্ত গাইডলাইন তৈরি হয়েছে সেগুলিকে
গরীব এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।
জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে যদি সৌরশক্তি বায়ুশক্তির মত অপ্রচলিত শক্তি
ব্যবহার করা হয় তাহলে হয়ত কয়েকটা বাড়িতে আলো পাখা চালানো যেতে পারে কিন্তু
বড় বড় শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব নয় । ভাবুন তো একটা লৌহ ইস্পাত শিল্প কি কখনো
সৌরশক্তি বা বায়ুশক্তির সাহায্যে গড়ে তোলা যেতে পারে না সৌর শক্তি দিয়ে
নিয়মিতভাবে ট্রেন চালানো যেতে পারে । তাহলে কি উন্নয়নশীল দেশগুলি কি
গাইডলাইন মানতে গিয়ে শিল্পোন্নয়ন করবে না ।
জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে পৃথিবীতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান
বাড়তে বাড়তে পৃথিবীকে একেবারে অবসবাসযোগ্য করে দেবে একথা ব্যক্তিগত ভাবে
আমার মনে হয় না । কারণ যতই হোক জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিমান সীমিত । পৃথিবীর
ধ্বংসের অনেক আগেই মনে হয় তা ফুরিয়ে যাবে ।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং থিয়োরির পক্ষে ও বিপক্ষে বহু মানুষ আছেন । এই থিয়োরির
বিপক্ষে যাঁরা তাঁরা এটাকে স্রেফ প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছুই মনে করেন না ।
আর এই থিয়োরির পক্ষে যাঁরা তাঁরা বিপক্ষকে উড়িয়ে দেন এই বলে যে তাদের
পিছনে আছে বড় বড় তেল কম্পানিগুলি । দুপক্ষের মতামত পড়ে বুঝে ওঠা খুব
মুশকিল যে কারা ঠিক ।

তবে সাধারন ভাবে শক্তি সাশ্রয়ের নিয়মগুলি মেনে চললে তা গ্লোবাল
ওয়ার্মিংকে কতটা আটকাবে তা জানা নেই তবে আমাদের পকেটের পক্ষে অবশ্যই কিছু
সাশ্রয় আনবে ।

 

http://en.wikipedia.org/wiki/Global_Warming
http://en.wikipedia.org/wiki/Solar_variation
http://en.wikipedia.org/wiki/Greenhouse_effect
http://en.wikipedia.org/wiki/Climate_change_denial
http://en.wikipedia.org/wiki/Scientific_opinion_on_climate_change
http://en.wikipedia.org/wiki/Global_warming_controversy
http://en.wikipedia.org/wiki/Politics_of_global_warming
http://en.wikipedia.org/wiki/The_Great_Global_Warming_Swindle
http://en.wikipedia.org/wiki/Dinosaur

About The Hidden God

Check Also

স্পেস-টাইম কন্টিনিউয়াম

কখনও ভেবে দেখেছেন যে কেন মানুষের বাস্তব চেতনা শুধু দৈর্ঘ্য বা দূরত্ব মাত্রা ও সময় মাত্রার বেড়াজালে আবদ্ধ ? কেন আমাদের উপলব্ধি “স্পেস-টাইম কন্টিনিউয়াম” প্রেক্ষাপট ছেড়ে বেরোতে পারে না ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পদার্থবিদ্যা নিজেই হোঁচট খায় ! তবে পদার্থবিদ্যার প্রসূতি যা অর্থাৎ মনুষ্য-মস্তিষ্ক, তার গভীরে প্রবেশ করলে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতেও পারে !

ফেসবুক কমেন্ট


  1. বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন দায়ী – এর বিপক্ষবাদীদের সবচেয়ে বড় যুক্তি হল যে সকল ডেটা বিশ্লেষন করে বিখ্যাত সেই গ্রাফটা তৈরী করা হয়েছে সেখানে –
    ১. তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেড়েছে বলে দেখা যায়, কিন্তু কার্বন ডাই-অক্সাইড বাড়ার ফলে তাপমাত্রা বেড়েছে এবং ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে বরফযুগ এসেছে এটা মানি না।
    ২. যে জমাট বরফের নমুনা বিশ্লেষন করে এই ফলাফল দেখানো হচ্ছে সেটা শুধু একটি এলাকার আবহাওয়ার ডেটা … এটা থেকে যে সমস্ত পৃথিবীজুড়ে এমনই ঘটেছিল সেটা জোর গলায় বলা যায় না। ঐ ডেটাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকেও বরফের নমুনা সংগ্রহ করে সেটার প্রকৃতি বিশ্লেষন করে যদি সেগুলোও একই রকম পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতি ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ও তাপমাত্রার মান নির্দেশ করে শুধুমাত্র তবেই সামগ্রীক ভাবে পৃথিবীতে অমন ঘটেছিল বলে ধরে নেয়া যায়।

    তবে, ইদানিং কালে যে সকল আবহাওয়া সিমুলেশন মডেল গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি সহ অন্যান্য খারাপ ফলাফলকেই নির্দেশ করে। আর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য যে কিছু গ্রীনহাউজ গ্যাস দায়ী সেটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। মিথেন গ্যাস এর সমপরিমান কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ৩০গুন বেশি উষ্ণায়ন ঘটাতে পারে বলে বইয়ে পড়েছি।

    [url=http://biggani.com/content/view/346/121/]এখানে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্পর্কে অনুবাদকৃত একটি প্রবন্ধ আছে[/url]।

  2. মিয়া মোহাম্মদ হুসাইনুজ্জামান

    বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করার জন্য কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমাতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন সম্মেলনে উন্নত এবং উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের জন্য কার্বন নির্গমনের সর্বোচ্চ মাত্রা ঠিক করে দেয়া হয়েছে – এবং স্বাক্ষরকারী দেশগুলোও সেটা মেনে নিয়েছে।

    পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে যে, উন্নত দেশগুলোর সমস্ত কলকারখানা এবং মোটরগাড়ীকে সর্বোৎকৃষ্ট অবস্থায় রাখলেও ওগুলোর সংখ্যা এত বেশি যে মোট কার্বন নির্গমন সেই দেশের কার্বন নির্গমনের কোটার চেয়ে বাইরে চলে যায়। এর সমাধান হিসেবে ঐ সকল দেশ বেশি কোটা যুক্ত দেশ (চীন, ভারত ইত্যাদি) থেকে তাদের অব্যবহৃত কোটা কিনে নেয়।

    ধরুন কখ দেশের কার্বন কোটা ১০০০টন কিন্তু এরা কার্বন নির্গমন করে ১৩০০টন। আবার গঘ দেশের কোটা ১০০০ টন কিন্তু সেই দেশে গাড়ী ও শিল্পকারখানা কম হওয়াতে কার্বন নির্গমন মাত্র ২০০ টন। ফলে, কখ দেশটি গঘ দেশ থেকে প্রয়োজনীয় ৩০০টনের কোটা কিনে নেয় … … যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে কখ দেশের নির্গত অতিরিক্ত ৩০০টন কার্বনের দায়ভার গঘ দেশ নিচ্ছে (তারপরেও সেদেশের আরও ৫০০টন অব্যবহৃত কোটা থেকে যাচ্ছে!)। আর এই বানিজ্যে মধ্যস্বত্বভোগী হল বিশ্বব্যাংক। এরা গঘ এর মত দেশগুলো থেকে অব্যবহৃত কার্বন কোটা কমদামে কিনে কখ এর মত দেশগুলোর কাছে বেশিদামে বিক্রি করছে।

    কার্বন নির্গমন কমানোর এই উদ্যোগে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কতটুকু কমবে সেটা সময়ই বলে দেবে, তবে কিছু প্রতিষ্ঠান ও দেশ কার্বন বানিজ্য করে যে লাভবান হবে সেটা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া অপেক্ষাকৃত দূষণমুক্ত প্রযুক্তি বেশি বেশি করে ব্যবহারের ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবেশের উন্নতি হবে – এটাও সত্য।

  3. Carbon dioxide and other gases warm the surface of the planet naturally by trapping solar heat in the atmosphere. This is a good thing because it keeps our planet habitable. However, by burning fossil fuels such as coal, gas and oil and clearing forests we have dramatically increased the amount of carbon dioxide in the Earth’s atmosphere and temperatures are rising.
    The vast majority of scientists agree that global warming is real, it’s already happening and that it is the result of our activities and not a natural occurrence.1 The evidence is overwhelming and undeniable.
    We’re already seeing changes. Glaciers are melting, plants and animals are being forced from their habitat, and the number of severe storms and droughts is increasing.
    The number of Category 4 and 5 hurricanes has almost doubled in the last 30 years.2
    Malaria has spread to higher altitudes in places like the Colombian Andes, 7,000 feet above sea level.3
    The flow of ice from glaciers in Greenland has more than doubled over the past decade.4
    At least 279 species of plants and animals are already responding to global warming, moving closer to the poles.5
    If the warming continues, we can expect catastrophic consequences.
    Deaths from global warming will double in just 25 years — to 300,000 people a year.6
    Global sea levels could rise by more than 20 feet with the loss of shelf ice in Greenland and Antarctica, devastating coastal areas worldwide.7
    Heat waves will be more frequent and more intense.
    Droughts and wildfires will occur more often.
    The Arctic Ocean could be ice free in summer by 2050.8
    More than a million species worldwide could be driven to extinction by 2050.9
    There is no doubt we can solve this problem. In fact, we have a moral obligation to do so. Small changes to your daily routine can add up to big differences in helping to stop global warming. The time to come together to solve this problem is now

    1 According to the Intergovernmental Panel on Climate Change (IPCC), this era of global warming “is unlikely to be entirely natural in origin” and “the balance of evidence suggests a discernible human influence of the global climate.”
    2 Emanuel, K. 2005. Increasing destructiveness of tropical cyclones over the past 30 years. Nature 436: 686-688.
    3 World Health Organization
    4 Krabill, W., E. Hanna, P. Huybrechts, W. Abdalati, J. Cappelen, B. Csatho, E. Frefick, S. Manizade, C. Martin, J, Sonntag, R. Swift, R. Thomas and J. Yungel. 2004. Greenland Ice Sheet: Increased coastal thinning. Geophysical Research Letters 31.
    5 Nature.
    6 World Health Organization
    7 Washington Post, “Debate on Climate Shifts to Issue of Irreparable Change,” Juliet Eilperin, January 29, 2006, Page A1.
    8 Arctic Climate Impact Assessment. 2004. Impacts of a Warming Arctic. Cambridge, UK: Cambridge University Press. Also quoted in Time Magazine, Vicious Cycles, Missy Adams, March 26, 2006.
    9 Time Magazine, Feeling the Heat, David Bjerklie, March 26, 2006.

  4. মনোজকুমার দ. গিরিশ

    পৃথিবীর তাপ বৃদ্ধির পক্ষে বা বিপক্ষে যা কিছু বলা হোক, সকলে একমত হবেন যে, গত দেড় দু’শো বছরে যে হারে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে তা সকল জীবজন্তু তথা প্রাণীকে টেক্কা দিয়েছে৤ বিশাল বিশাল কল কারখানা, গাড়ি চলাচল, জীবের শ্বাসপ্রশ্বাস, যুদ্ধ, বোমা বিস্ফোরণ, দাবানল ইত্যাদি কারণে বায়ুমণ্ডলে ক্রমে তাপ বাড়ছেই৤ এর পিছনকার কারণ মানুষ৤ মানুষের অকল্পনীয় সংখ্যা বৃদ্ধি৤ মানুষ কমলে বিশ্বতাপও কমবে৤ শিল্পউৎপাদন কমবে, গাড়ি কমবে, শ্বাসপ্রশ্বাস, যুদ্ধ মারামারি সবই কমবে৤ কমবে দারিদ্রও! পৃথিবী গ্রহটাকে যদি রক্ষা করতে হয় তবে মানুষের তরফ থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে, কারণ পৃথিবীর আসন্ন মহা বিপর্যয়ের জন্য কেবল মাত্র মানুষই দায়ী৤ যে প্রবল বন্যা এবং ঝড়ে পৃথিবীর এক একটা অংশ বিপর্যস্ত হচ্ছে, তা ক্রমে বাড়ছে এবং অচিরে তা সকল সহনসীমা ছাড়িয়ে যাবে৤ ২৫০কিমি বেগে ঝড় হলে তা মহা বিপর্যয় ডেকে আনে, ধুয়ে মুছে যায় প্রায় সব কিছু, সে রকম বিপর্যয় এর পরে দৈনিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে৤ এবং ঝড় যদি আড়াইশো কিমি না হয়ে আড়াই হাজার কিমি হয় তবে আশ্চর্য হবার কিছু নেই৤ ঝড়ের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করার রেগুলেটর তো মানুষের হাতে নেই৤ আর শুধু ঝড় কেন, বার্ড ফ্লু ধরনের অতি সক্রিয় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া জীবাণুর সঙ্গে লড়া মানুষের সাধ্যে কুলোবে না৤ অতি বুদ্ধিমান এবং সাহসী মানুষেরা বিশ্বের তাপ বৃদ্ধিকে আমল দিতে চান না, যখন সব ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তখন অবশ্য তাদের আফশোস করারও কিছু থাকবে না, কারণ আফশোস করার মতো তাঁরা বা অন্য কেউই আর তখন থাকবেন না!
    — মনোজকুমার দ. গিরিশ ০২/০১/২০০৮ কোলকাতা

  5. global warming ! is absolutely right . i think this column is so much informative. there is main factor is carbon dy oxide.

  6. He said
    “পৃথিবীর ইতিহাসে বর্তমান কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান এবং তাপমাত্রার চেয়ে বেশি এর আগেও ছিল । যেমন ডাইনোসররা যখন পৃথিবীতে পুরোদমে রাজত্ব করছে তখন পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান এখন থেকে বারো গুন পর্যন্ত বেশি ছিল ।”

    In contrast to what he said, we can have figures like this –
    http://en.wikipedia.org/wiki/Image:Co2-temperature-plot.svg

    But, I agree, Global warming has lot of politics driving the debate. In general, we should not forget that the Petroleum Industry invests a lot of money to disprove Global Warming.

    Thanks.

  7. Sayedur R Chowdhury যে গ্রাফটি দিয়েছেন তাতে মাত্র গত ৬৫০০০০ বছরের হিসাব রয়েছে । ডাইনোসররা পৃথিবীতে ছিল প্রায় ৬৫০০০০০০ বছর আগে (ছশো পঞ্চাশ লক্ষ বছর ছ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার বছর নয়)।
    উইকিপিডিয়ায় আছে

    The atmosphere’s composition during the dinosaur era was vastly different as well. Carbon dioxide levels were up to 12 times higher than today’s levels, and oxygen formed 32 to 35% of the atmosphere, as compared to 21% today. However, by the late Cretaceous, the environment was changing dramatically. Volcanic activity was decreasing, which led to a cooling trend as levels of atmospheric carbon dioxide dropped. Oxygen levels in the atmosphere also started to fluctuate and would ultimately fall considerably. Some scientists hypothesize that climate change, combined with lower oxygen levels, might have led directly to the demise of many species. If the dinosaurs had respiratory systems similar to those commonly found in modern birds, it may have been particularly difficult for them to cope with reduced respiratory efficiency, given the enormous oxygen demands of their very large bodies.

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।